ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

আল্লাহর নামের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৪ পিএম
আল্লাহর নামের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
আরবিতে ‘আল্লাহ’ লেখা ছবি। ইন্টারনেট

পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর জন্যই রয়েছে সকল উত্তম নাম। সুতরাং তোমরা তাঁকে সেই নামসমূহের মাধ্যমেই ডাক।’ (সুরা আরাফ, আয়াত: ১৮০)। আল্লাহর নামসমূহ জানা ও স্মরণ করার অনেক ফজিলত রয়েছে। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর রয়েছে ৯৯টি নাম, যে ব্যক্তি এগুলো গণনা করবে (অর্থাৎ শিখবে, বুঝবে ও আমল করবে) সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বুখারি, হাদিস: ২৭৩৬, মুসলিম, হাদিস: ২৬৭৭)

জীবনে আল্লাহর নামের প্রভাব 
আল্লাহর নামগুলো হৃদয়ঙ্গম করতে পারলে তা আমাদের জীবনপথের পাথেয় হবে। এই নামগুলো ধারণ করতে পারলে জীবন হবে সুখের ও জান্নাতের। আল্লাহর নামের প্রভাব আমাদের জীবনকে কীভাবে জান্নাতের পথ দেখায়, এখানে কয়েকটি উদাহরণ দেওয়া হলো—

আর-রাজজাক বা রিজিকদাতা
ধরুন, আপনি একজন চাকরিজীবী। মাস শেষে বেতন পেয়ে দেখলেন, টাকার চেয়ে খরচের খাত বেশি। এ টাকায় মাস পেরোবে না। চিন্তায় পড়ে গেলেন। এমন সময় আর-রাজজাক নামটি স্মরণ করলে বুঝতে পারবেন, আল্লাহই আপনার রিজিকের মালিক। তিনি অনেক সময় অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে রিজিকের ব্যবস্থা করে দেন। সেটি নানা মাধ্যমে হতে পারে।

আরও পড়ুন: মৃতের মোচ, চুল ও নখ কাটা যাবে?

আল-হাফিজ বা রক্ষাকারী
মনে করুন, আপনার ছোট বাচ্চা স্কুলে যায়। প্রতিদিন তাকে স্কুলে পাঠানোর সময় যখন আল-হাফিজ নামে দোয়া করেন, তখন আপনার মন শান্ত থাকে। কারণ আপনি জানেন, আল্লাহই সর্বোত্তম রক্ষাকারী। একদিন হয়তো দেখলেন, আপনার বাচ্চা রাস্তা পার হতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছিল, কিন্তু পাশের একজন ভাই ধরে ফেলায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এটি আল্লাহর রহমতেই হয়েছে।
 
আশ-শাফি বা আরোগ্যদাতা
ধরুন, আপনার মা অসুস্থ। ডাক্তার দেখাচ্ছেন, ওষুধ খাওয়াচ্ছেন। কিন্তু রোগ সারতে চায় না। এমন সময় আশ-শাফি নামে দোয়া করতে থাকেন। আস্তে আস্তে দেখলেন, মায়ের অবস্থা ভালো হতে শুরু করেছে। কারণ আসল আরোগ্যদাতা তো আল্লাহই। 

এভাবে আল্লাহর প্রতিটি নামই আমাদের জীবনের নানা সময় সাহায্য করে। আমরা যদি এই নামগুলো মনে রেখে চলি, তা হলে জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ হবে। সবচেয়ে বড় কথা, এই নামগুলো আমাদের বোঝায় যে, আল্লাহ সব সময় আমাদের সঙ্গে আছেন। তিনি আমাদের সব দরকার জানেন, সব সমস্যার সমাধান জানেন। তাই আমাদের উচিত, এই নামগুলো ভালোভাবে শেখা। প্রতিটি নামের অর্থ বোঝার চেষ্টা করা। যেকোনো সমস্যায় পড়লে উপযুক্ত নাম দিয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। 

লেখক: খতিব, বাগবাড়ি জামে মসজিদ, গাবতলী  

ইসলামি বইয়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ বাদ দিতে হবে

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১২ পিএম
ইসলামি বইয়ের ক্ষেত্রে প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ বাদ দিতে হবে
মাকতাবাতুল আযহারের স্বত্বাধিকারী উবায়দুল্লাহ আযহারীর ছবি। সংগৃহীত

উবায়দুল্লাহ আযহারী মাকতাবাতুল আযহারের স্বত্বাধিকারী। বিদেশ থেকে আরবি, উর্দু কিতাব আমদানির মাধ্যমে প্রকাশনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। সময়ের চাহিদায় বাংলাভাষার বইও প্রকাশ করেছেন অনেক। এর মধ্যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। ইসলামি প্রকাশনা জগতে তিনি প্রভাত পুরুষ। তিনি কেন প্রকাশক হলেন, এবারের বইমেলায় কোন ধরনের বই প্রকাশ করছেন, ইসলামি বইয়ের জাগরণে করণীয়, লেখক-প্রকাশকের সম্পর্ক ও তরুণ লেখক-প্রকাশকদের জন্য দিক-নির্দেশনা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিরাজ রহমান 


খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন? 
উবায়দুল্লাহ আযহারী: পারিবারিকভাবেই আমাদের সকল পিতৃপুরুষ ও আত্মীয়স্বজন দ্বীনের খেদমতের সঙ্গে জড়িত। কেউ মাদরাসার মুহতামিম, মুহাদ্দিস। কেউ মসজিদের ইমাম ও খতিব। এ জন্য শিক্ষাজীবন থেকেই আমার নিজেরও ইচ্ছা ছিল, কর্মজীবনে এমন একটা কর্মক্ষেত্রে শরিক হব, যার মাধ্যমে জীবনযাপনের পাশাপাশি দ্বীনের বড় ধরনের খেদমত হবে।
আমাদের ছাত্রজীবনে আরবি কিতাবাদির সমস্যা ছিল প্রকট। প্রয়োজনীয় কিতাবাদি পাওয়া যেতো না। মাদরাসাগুলোর লাইব্রেরিগুরো সমৃদ্ধ ছিল না। এ জন্য মিসরের জামিয়াতুল আযহারে পড়াশুনার সময় কিতাবাদি আমদানির বিষয়টি ভাবনায় ছিল। এরপর পাকিস্তান, ভারত ও বৈরুত সফর করে কিতাবাদি আমদানি করে সুলভ মূল্যে সকল কিতাব হাতের নাগালে পেশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সেই ভাবনা থেকেই ‘মাকতাবাতুল আযহার’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথম দিকে আমরা শুধু আরবি-উর্দু কিতাবাদি আমদানি করতাম। এরপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা বইয়ের প্রকাশনার সাথেও জড়িয়ে পড়ি ওতোপ্রতোভাবে।

খবরের কাগজ: এবারের বইমেলায় কোন ধরনের বই বেশি আনছেন। পাঠকদের জন্য কী চমক থাকছে? 
উবায়দুল্লাহ আযহারী: এবারের একুশে বইমেলায় আমাদের বেশ কিছু গ্রন্থ আসছে। কদিন আগে মাওলানা আতীক উল্লাহ ভাইয়ের ‘আমাদের ইন্তিফাদা’ এনেছি। এরপর তার আরেকটি বই আসছে ‘আমাদের বইমেলা’ নামে। পাশাপাশি বাংলাদেশের বরেণ্য ওয়ায়েজ মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবির ‘খুতুবাতে আইয়ুবি’র দ্বিতীয় খণ্ড এনেছি। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ‘দারুল উলূম দেওবন্দ’ বইটি আসবে। এর পাশাপাশি জান্নাত সম্পর্কে ঢাউস সাইজের একটি বই আসছে। সবচেয়ে চমক হলো, মেলার শেষ দিকে ইতিহাসের ওপর একটি চমকপ্রদ বই আসতে যাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ।

খবরের কাগজ: মানসম্মত বই প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা কেমন? 
উবায়দুল্লাহ আযহারী: আজ থেকে দেড় যুগ আগে আমরা যখন বইয়ের সঙ্গে জড়িত হই, তখন এই ইন্ড্রাস্ট্রি ছিল খুবই ছোট। অল্প পাঠক। স্বল্প পরিসর। এখন আলহামদুলিল্লাহ, এই প্রকাশনা জগত অনেক বিস্তৃত হয়েছে। যোগ্য ও মেধাবী তরুণরা বইয়ের দিকে ঝুঁকছে। বইয়ের কাটতি বেড়েছে। যার ফলে প্রতিষ্ঠিত প্রকাশনীগুলো দক্ষ জনবল নিয়োগ দিচ্ছে। এখন অন্যদের মতো আমাদেরও নিজস্ব প্রুফ রিডার, বানান সম্পাদক, শরয়ি সম্পাদক ও ভাষা সম্পাদকের প্যানেল রয়েছে। ছাপার ক্ষেত্রে কেউ অফসেটের বাইরে কল্পনাও করতে পারছে না। আপনি আমাদের পাঁচ বছর আগের প্রকাশিত বইয়ের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত বইয়ের তুলনা করলেই বুঝতে পারবেন।

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে? 
উবায়দুল্লাহ আযহারী: অনেকগুলো পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রথমত, ইসলামি বইয়ের সাথে প্রশাসনের বৈষম্যমূলক আচরণ বাদ দিতে হবে। সাধারণ বইপত্রের মতো তাদেরকেও সারা দেশে স্বাধীনভাবে মেলা আয়োজন ও বইপত্র প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে। দ্বিতীয়ত, সরকারের ভর্তুকি দিয়ে হলেও বইপত্রের জন্যে প্রয়োজনীয় কাগজের দাম নাগালের মধ্যে রাখতে হবে। গত দু’ বছর ধরে কাগজের দাম হু হু করে বাড়তে থাকার কারণে আমরা হতাশ। আশা করি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এর লাগাম টেনে ধরবে।

খবরের কাগজ: লেখক-প্রকাশকের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? 
উবায়দুল্লাহ আযহারী: বন্ধুর মতো হওয়া দরকার। একজন অপরের সংকট বুঝবেন। দুঃসময়ে পাশে থাকবেন। সুসময়ের অংশিদার করবেন। তবেই এই জগত উন্নতি করবে। পান থেকে চুন খসলেই সমালোচনার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে, এখানে একপক্ষের স্থিতি অন্যপক্ষের ভালো অবস্থানের ওপর নির্ভর করে। লেখক না থাকলে প্রকাশক বই বের করবেন কোত্থেকে! আবার প্রকাশকপক্ষ না থাকলে লেখকের লেখক সত্ত্বার বিকাশ হবে কীভাবে! কাজেই সকল সমস্যার সুষ্ঠু সমাধানের জন্যে দু পক্ষের মাঝে আন্তরিক সম্পর্ক থাকা দরকার।

খবরের কাগজ: তরুণ লেখক-প্রকাশকদের জন্য আপনার অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ প্রত্যাশা করছি।
উবায়দুল্লাহ আযহারী: হুট করেই কেউ গাছে উঠতে পারে না। তার জন্যে প্রয়োজন প্রশিক্ষণ ও চেষ্টা। আপনি যে পেশায় নিজেকে বিকশিত করতে চান, সবার আগে সেই পেশার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করুন। অভিজ্ঞতার ভাণ্ডার সমৃদ্ধ করুন। যোগ্য হয়ে ওঠুন। এরপর সেই পেশায় আত্মনিয়োগ করুন, ইনশাআল্লাহ সফলতা আপনার পদচুম্বন করবে। 

আল্লাহ ও নবীর অবমাননায় শাস্তির দাবিতে ১৫০ আলেমের বিবৃতি

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৪ পিএম
আল্লাহ ও নবীর অবমাননায় শাস্তির দাবিতে ১৫০ আলেমের বিবৃতি
‘১৫০ আলেমের বিবৃতি’ লেখা ছবি। সংগৃহীত

আল্লাহ ও নবীর শানে ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া রাখাল রাহার (সাজ্জাদুর রহমান) শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১৫০ আলেম। 

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা (সাজ্জাদুর রহমান) আল্লাহ তাআলার শানে চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি পোস্ট প্রকাশ করেন। পরিস্থিতির চাপে পড়ে তিনি পরবর্তীতে পোস্টটি মুছে ফেলেন। এই মন্তব্যের মাধ্যমে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত করেছে, যা দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।

এই ধরনের বক্তব্য শুধুমাত্র ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি, সামাজিক বিভাজন উস্কে দেওয়া এবং জাতীয় স্থিতিশীলতা বিনষ্টের একটি ষড়যন্ত্রমূলক প্রচেষ্টা বলেই প্রতীয়মান হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা মনে করি, এই ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতাগুলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ইতোপূর্বে শিক্ষাক্ষেত্রেও রাখাল রাহা বিভিন্ন বিতর্কিত সংশোধন ও পরিবর্তনের মাধ্যমে ইসলামি সংস্কৃতি, ইতিহাস এবং জাতীয় মূল্যবোধের প্রতি অবমাননাকর দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। 

বিবৃতিতে আলেমরা তিনটি দাবি জানিয়েছেন, ১. রাখাল রাহাকে অবিলম্বে এনসিটিবির পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটি থেকে অপসারণ করতে হবে। ২. তার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া বক্তব্যের জন্য প্রচলিত আইনের আওতায় দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৩. দীর্ঘমেয়াদী সমাধান হিসেবে ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো শক্তিশালী করতে হবে। 

বিবৃতিদাতারা হলেন

আল্লামা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী, প্রফেসর ড. এবিএম হিজবুল্লাহ, মুফতী মুহা. কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরি, ড. খলীলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. গিয়াসউদ্দীন তালুকদার, মাওলানা খুবাইব বিন তায়্যিব (জিরি), মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, ড. মানজুরে এলাহি, ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ড. মুহাম্মদ গোলাম রববানী, ড. মীর মনজুর মাহমুদ, প্রফেসর ড. সায়্যেদ মাকসুদুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মুখতার আহমেদ, হাফেজ হাবিবুল্লাহ মুহাম্মাদ ইকবাল, মাওলানা মোশতাক ফয়েজী, শায়খ আহমাদ বিন ইউসুফ আল আযহারী, শায়খ হারুন আজিজী নদভী,  মাওলানা হাফিজুর রহমান সিদ্দিক কুয়াকাটা, মুফতি সাইফুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী (সাইমুম সাদী) ড. ইউসুফ সুলতান, শায়েখ মুরতাজা হাসান ফয়জী মাসুম, ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম আল মাদানী, ড. রশিদ আহমদ, মাওলানা ফখরুদ্দীন আহমাদ, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আবদুল্লাহ আল-আমিন, মুফতি আমির হামজা, শায়খ কামরুল ইসলাম সাইদ আল আনসারী, শায়খ আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক, মুফতি মনোয়ার হোসেন।

শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, মুফতি আরিফ বিন হাবিব, সৈয়দ হাসান আল আযহারী, মাওলানা রাফী বিন মুনির, শায়খ জামাল উদ্দীন, মাওলানা আবদুল মজিদ, মাওলানা মহিউদ্দীন ফারুকী, মুফতী লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, শায়খ সাদিকুর রহমান আল-আযহারী, মুফতী মুহাম্মদ আলী, মুফতী আব্দুল্লাহ মাসুম,মাওলানা মীযান হারুন,  মুফতি রেজাউল করিম আবরার, ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী, মাওলানা আবদুল্লাহ আল ফারুক কাসেমী, মাওলানা আলী হাসান তৈয়ব, সৈয়দ শামছুল হুদা, মাওলানা গাজী সানাউল্লাহ রাহমানী, ড. আবুল কালাম আজাদ মাদানী, ড. বি এম মফিজুর রহমান আল আজহারী, মুফতী শামছুদ্দোহা আশরাফী, মুফতি নোমান কাসেমী, শায়খ মোল্লা নাজিমুদ্দীন, মুফতি জিয়াউর রহমান, উস্তায আবু ত্বহা মুহাম্মাদ আদনান, মুফতি হেদায়েত উল্লাহ খান আজাদি, মাওলানা গাজি ইয়াকুব, মুফতী সাঈদ আহমাদ, মুফতি নুরুজ্জামান নাহিদ, মাওলানা আফীফ ফুরকান, মুহাদ্দিস মাওলানা আ.ন.ম. আকরাম হোসাইন, মাওলানা সিফাত হাসান, মহিউদ্দিন কাসেমী, মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসউদ, মুফতি আরিফ জাব্বার কাসেমী, মুফতি আবদুল গাফফার, মাওলানা নিজাম বিন মুহিব,মুহাম্মাদ নূরুল্লাহ, মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, মাওলানা মুস্তাফিজ রহমানী,মুফতী আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মাওলানা আমিন ইকবাল।

মাওলানা  ইমরান রাইহান, মাওলানা জহির উদ্দিন বাবর, মাওলানা নাজমুল হাসান, শায়খ ইউসুফ ওবায়দী, উস্তাদ আহমদ রফিক, মাওলানা হাছিব আর রহমান, শেখ ফজলুল করীম মারুফ, মাওলানা  এম হাসিবুর রহমান, মাওলানা আসআদ বিন সিরাজ, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা ইয়াহইয়া তাকী, মাওলানা মনিরুল ইসলাম মজুমদার,  হাফেজ মাওলানা মুফতী আবু মুহাম্মদ রহমানী, মাওলানা আব্দুল কাহহার, শায়খ ড. আব্দুস সালাম আজাদী, মাওলানা শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, মাওলানা বদরুজ্জামান, মাওলানা মুফতী আফিফ ফুরকান, মুফতী ড. খলীলুর রহমান, মাওলানা এমদাদুল হক, মাওলানা জুবায়ের আহমেদ, মুফতি মুহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ,,মাওলানা মাকসুদ আল-আজমী, মাওলানা নাজমুল ইসলাম।

মুফতি আম্মার বিন নূর, মাওলানা মির্জা আরাফাত, শাইখ সালাহউদ্দীন মাক্কী, মাওলানা উমায়ের বিন রশিদ, মাওলানা আবদুস সালাম যুক্তিবাদী, মাওলানা এমদাদ হোসেন, মাওলানা নুরুল  কারীম  আকরাম, মাওলানা গোলাম রব্বানী,মাওলানা মুস্তাফা, শায়খ জারির ইবনে আব্দুল্লাহ জাফরী, মুফতী নুরুন্নবী, মুফতী মাহমুদ হাসান, মাওলানা মাহফুজুর রহমান, মুফতী তানভীর আহমদ, মুফতী আল আমিন, মুফতী সুলাইমান খান, মুফতী সালমান শেখ, হাফেজ মাওলানা হাসানুজ্জামান, মাওলানা নজির হোসাইন, মাওলানা হোসাইন আহমদ, মুফতী আব্দুল্লাহ, মুফতী রফিকুল ইসলাম, মুফতী আবুল হাসান, মাওলানা ইমদাদুল হক, মাওলানা রবিউল ইসলাম, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মুফতী ফাহিম আহমাদ, মাওলানা হাসান বনিক।

মুফতী যোবায়ের হাসান, মাওলানা আল আমিন রংপুরী, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন,  মুফতী মুহাম্মদ আলী যশোরী, মুফতী শরীফুল ইসলাম,মাওলানা রাশেদুল ইসলাম, হাফেজ জাহিদ হাসান, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা সাব্বির আহমদ, মাওলানা আবুল কাসেম আদিল, মুফতী দেলোয়ার হোসাইন, মাওলানা খলিলুর রহমান, মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা আব্দুর রহমান কোব্বাদি, মুফতি মোহাম্মাদউল্লাহ, মুফতি  ইমামুদ্দিন, মুফতি  মুফতি আবদুল আজিজ কাসেমি, মুফতি জুবায়েব আবদুল্লাহ কাসেমি, মাওলানা শাহজাহান আল হাবিবি।

আরআর/এমআর

কিশোরদের জন্য নবিজিকে (সা.) জানার সহজ বই ‘ছোটোদের সীরাতুন নবী সা.’

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
কিশোরদের জন্য নবিজিকে (সা.) জানার সহজ বই ‘ছোটোদের সীরাতুন নবী সা.’
ছোটোদের সীরাতুন নবী সা. বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবনী পাঠ করা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ এর মাধ্যমে আমরা আমাদের কর্তব্য নির্ধারণ এবং সেই কর্তব্য পালনের সঠিক নির্দেশনা পেতে পারি। তাঁর পবিত্র সিরাত পাঠের মাধ্যমে আমরা জ্ঞান-প্রজ্ঞা, দ্বীন-ইমান, আদব-আখলাক, আদর্শ জীবন গঠন ও আল্লাহর দিকে দাওয়াত ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে অতুলনীয় পাথেয় অর্জন করতে পারি। প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস সাক্ষী যে, পবিত্র সিরাত যুগে যুগে অসংখ্য মানুষকে ইমানের পথ দেখিয়েছে। 

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ওপর নাজিল হওয়া কোরআন, সেই কোরআনের আলোয় উদ্ভাসিত তাঁর বাস্তব জীবন, তাঁর অনন্য চরিত্র-মাধুর্য, তাঁর মহত্ত্ব, মহানুভবতা যুগে যুগে অসংখ্য মানুষকে ইমান ও বিশ্বাসের স্নিগ্ধ ছায়াতলে নিয়ে এসেছে। তাঁর পবিত্র জীবন তাঁর নবুওয়াত ও রিসালাতের এক দেদীপ্যমান প্রমাণ, যার প্রভাব কোনো ন্যায়নিষ্ঠ হৃদয় ও মস্তিষ্ক এড়িয়ে যেতে পারে না। তাই তাঁর পবিত্র জীবন ও কর্ম ইমান লাভের মাধ্যম আর ইমানের আলোকপ্রাপ্ত সৌভাগ্যবান মানবের ইমান-বৃদ্ধির উপায়। তবে এর জন্য খোলা মন নিয়ে পবিত্র সিরাতের সান্নিধ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন। বড়োদের জন্য নানাবিধ সিরাতের বই বাজারে থাকলেও ছোটদের জন্য তেমন নেই। যেগুলো আছে, সেগুলো তেমন পাঠযোগ্য নয়। ছোটদের পাঠযোগ্য করে সহজ ভাষায় ছোটোদের সীরাতুন নবী সা. বই লিখেছেন সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদবি (রহ.)। 

ছোটোদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা এ বইয়ে খুব সংক্ষেপে সিরাতের সারনির্যাস সন্নিবেশিত হয়েছে। সিরাতের চমৎকার ঘটনাবলি, দাওয়াতের প্রাথমিক ইতিহাস, বিভিন্ন বিজয়াভিযান, নববি তরবিয়তের শিক্ষণীয় ঘটনাসমূহ ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর অনেক মুজেজার বর্ণনাও এতে চলে এসেছে।

মোট কথা, বইটি যেন একটি পূর্ণাঙ্গ পাঠশালা। তাতে ছোটোরা ইমান-ইহসান ও আত্মিক পবিত্রতার সঙ্গে যেমন বেড়ে উঠবে। জীবন-পথের অমূল্য পাথেয় পাবে; অন্ধকারে পথচলার জন্য পাবে উজ্জ্বল আলো। সর্বোপরি, এটা হবে এমন অস্ত্র যার মাধ্যমে নিজের জান ও ইমান বাঁচাতে পারবে। এমন পয়গাম যা পৃথিবীর অপরাপর জাতির সামনে পেশ করতে পারবে অনায়াসে।

লেখক বইটি রচনা করতে গিয়ে সিরাত ইবনে হিশামের ওপর অনেকটা নির্ভর করেছেন। কিছু প্রাচীন গ্রন্থ ও সিহাহ সিত্তার সহযোগিতাও নিয়েছেন। বইটি নিতান্তই শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা। 

বইটিতে পনেরোটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে জাহেলি যুগ, দ্বিতীয় অধ্যায়ে রাসুলের আবির্ভাবের আগে, তৃতীয় অধ্যায়ে নবুয়তের পর, চতুর্থ অধ্যায়ে মদিনায়, পঞ্চম অধ্যায়ে ওহুদ যুদ্ধ, ষষ্ঠ অধ্যায়ে বনু কুরাইজার যুদ্ধ, সপ্তম অধ্যায়ে হুদাইবিয়ার যুদ্ধ, অষ্টম অধ্যায়ে রাজা-বাদশাহ ও আমির-ওমারাদের ইসলামের দাওয়াত, নবম অধ্যায়ে খায়বার যুদ্ধ, দশম অধ্যায়ে মুতার যুদ্ধ, একাদশ অধ্যায়ে মক্কাবিজয়, দ্বাদশ অধ্যায়ে হুনাইনের যুদ্ধ, ত্রয়োদশ অধ্যায়ে তায়েফ যুদ্ধ, চতুর্দশ অধ্যায়ে প্রতিনিধি আসার বছর ও পঞ্চদশ অধ্যায়ে রাসুল (সা.)-এর মৃত্যুর আলাপ রয়েছে। 

বইটি লিখেছেন সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদবি। অনুবাদ করেছেন মাওলানা ইবরাহিম খলিল। বইটি প্রকাশ করেছে মাকতাবাতুল ইসলাম। ২৫৬ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রিত মূল্য ৪৯০ টাকা। দেশের অভিজাত সব লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যায়। সরাসরি মাকতাবাতুল ইসলাম থেকে বইটি কিনতে ভিজিট করুন ফেসবুক পেজে

বই: ছোটোদের সীরাতুন নবী সা.
লেখক: সাইয়েদ আবুল হাসান আলি নদবি
অনুবাদ: মাওলানা ইবরাহিম খলিল
প্রকাশক: মাকতাবাতুল ইসলাম 
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৫৬
মুদ্রিত মূল্য: ৪৯০ টাকা
মোবাইল: ০১৯১২-৩৯৫৩৫১

 

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:১০ পিএম
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ
পবিত্র কোরআনের প্রচ্ছদ। ছবি: ইন্টারনেট

মদিনায় অবতীর্ণ সুরা হাশর পবিত্র কোরআনের ৫৯তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ২৪টি। সুরা হাশরের আরেক নাম বনু নাজির। সাইদ ইবনে জুবাইর (রা.) বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে বললাম, এটি হাশর। তিনি বললেন একে বনু নাজির বলো, কেননা এ সুরায় মদিনা থেকে বনু নাজির গোত্রের বহিষ্কারের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৫২১)

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। সকাল-বিকাল সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সওয়াবের আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিনবার ‘আউজুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়বে। এর পর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত করবে। আল্লাহতায়ালা ওই ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন; যারা ওই ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তা হলে সে শহিদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তা হলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩০৯০)

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত

বাংলা উচ্চারণ: হু আল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাদি, হুয়ার রাহমানুর রাহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লাহি আম্মা য়ুশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বা-রিউল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।

বাংলা অর্থ: তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তায়ালা তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা হাশর, আয়াত: ২২-২৪) 

লেখক: আলেম ও অনুবাদক

 

আফতাবনগর বড় মাদরাসার পাঁচ দিনের ইতেকাফে থাকবেন মাহমুদ মাদানি

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১২ পিএম
আফতাবনগর বড় মাদরাসার পাঁচ দিনের ইতেকাফে থাকবেন মাহমুদ মাদানি
আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলুম মাদরাসার ছবি। ইনসেটে আওলাদে রাসুল সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানি (দা.বা.)। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজান উপলক্ষে রোজার প্রথম দিন থেকে আফতাবনগরের আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলুমে (বড় মাদরাসা) পাঁচ দিনের ইতেকাফ (নফল) অনুষ্ঠিত হবে। ইতেকাফে পাঁচ দিনই অবস্থান করবেন বিশ্ববিখ্যাত আলেমেদ্বীন আওলাদে রাসুল সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানি (দা.বা.)। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জানেশীনে ফেদায়ে মিল্লাত সাইয়িদ মাহমুদ মাদানি (দা.বা.)-এর অন্যতম খলিফা এবং অত্র মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল মুফতি মোহাম্মদ আলী। 

জানা যায়, ইতেকাফ চলাকালে আওলাদে রাসুল মাহমুদ মাদানির তত্ত্বাবধানে ইসলাহি (সংশোধনমূলক) কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বাংলাদেশে শীর্ষস্থানীয় আলেমেদ্বীন মুফতি রশিদ আহমদ, মুফতি হাফিজুদ্দিন, মাওলানা আরিফ উদ্দিন মারুফসহ দেশের বিশিষ্ট আলেমরা এ ইতিকাফে উপস্থিত থাকবেন। 

মুফতি মোহাম্মদ আলী জানান, ‌‌‌‌‌বর্তমান ফেতনা-ফাসাদের যুগে আত্মশুদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। আত্মশুদ্ধি অর্জনের জন্য বুজুর্গদের সাহচর্য ও সান্নিধ্য প্রয়োজন। রমজান মাসের বরকতময় দিনে আওলাদে রাসুলের সান্নিধ্যে থেকে আত্মশুদ্ধি অর্জন ও নিজেকে আল্লাহওয়ালা বানানোর ক্ষেত্রে এ ইতেকাফ বড় এক সুযোগ। 

তিনি আরও জানান, ইতেকাফে আগ্রহীরা আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। সেখানে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য দিতে হবে। কত দিন অবস্থান করতে চান তাও উল্লেখ করতে হবে। অনলাইন বা অফলাইনে এ আবেদন ফরম পুরণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ০১৯৯২৫০৭৫৬৮, ০১৬৬০০১২১২৩ এবং ০১৫১৬১৮৫৪২৬ নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।