ঢাকা ২ ফাল্গুন ১৪৩১, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২ ফাল্গুন ১৪৩১

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল নেভাতে আজান দেওয়া সম্পর্কে যা জানা গেল

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৯ পিএম
আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানল নেভাতে আজান দেওয়া সম্পর্কে যা জানা গেল
রিউমার স্ক্যানার থেকে নেওয়া ছবি।

ভয়াবহ দাবানলে পুড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) শুরু হওয়া দাবানল ছয় দিন পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। দাবানলে প্রাণহানির সংখ্যা স্থানীয় সময় গতকাল রোববার পর্যন্ত ২৪–এ পৌঁছেছে। দাবানল আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।  এখন পর্যন্ত প্যালেসেইডস দাবানল মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে বলে জানিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার ফায়ার সার্ভিস। 

এর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আগুন নেভাতে আজান দেওয়া হয়েছে- এরকম একটি ভিডিও ভাইরাল করা হয়। খালেদ আহমেদ শাহিন নামের একজনের ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের লজ এঞ্জেলস শহরে আগুন নিভাতে যখন সকল প্রযুক্তি ব্যর্থ! তখনই হুজুরদের দিয়ে আযানের মাধ্যমে আল্লাহর গজব থেকে বাঁচার জন্য মিনতি করছে।’ মুহূর্তে ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। কয়েক লাখ মানুষ ভিডিওটি দেখেন। অনেকে শেয়ার করেন। কেউ কেউ মন্তব্য করেন।

প্রচারিত ভিডিওটিতে দাবি করা হচ্ছে, ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের আগুন নেভাতে আজান দেওয়া হয়েছে। তবে রিউমার স্ক্যানার জানিয়েছে, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ের নয়। এটি অন্তত প্রায় ২ বছরের পুরোনো। ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলসের আগুন নেভাতে আজান দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। 

ভিডিওটি মূলত পাকিস্তানের। ২০২২ সালের ১ জুন করাচির একটি সুপারমার্কেটে আগুন লাগে।  আগুন নেভাতে ওই সুপারমার্কেটের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের উদ্যোগে কিছু লোক আজান দেন। 

আরও পড়ুন: মহান আল্লাহর ৯৯ নাম ও অর্থ

আজানের গুরুত্ব ও ফজিলত
আজান একটি ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আজান দেওয়ার কথা কোরআনে বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যখন তোমরা নামাজের জন্যে আহ্বান করো, তখন তারা (কাফের-মুশরিকরা) একে উপহাস ও খেলা বলে মনে করে।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত:  ৫৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন নামাজের জন্য আজান দেওয়া হয়, তখন শয়তান হাওয়া ছেড়ে পালায়, যাতে সে আজানের শব্দ না শোনে। যখন আজান শেষ হয়ে যায়, তখন সে আবার ফিরে আসে। আবার যখন নামাজের জন্য একামত বলা হয়, তখন আবার সে দূরে সরে যায়। একামত শেষ হলে সে পুনরায় ফিরে এসে লোকের মনে কুমন্ত্রণা দিয়ে বলে, এটা স্মরণ করো, ওটা স্মরণ করো। এভাবে বিস্মৃত বিষয়গুলো সে স্মরণ করিয়ে দেয়। তাতে লোকটি এমন অবস্থায় গিয়ে পৌঁছায় যে, সে কয় রাকাত নামাজ আদায় করেছে তা আর মনে করতে পারে না।’ (মুসলিম, হাদিস: ৭৪৫)

নামাজ ছাড়া আর কখন আজান দিতে হয়?
মূলত নামাজের জন্য আহ্বান জানানোর জন্যই আজানের বিধান চালু করা হয়েছে। তবে হাদিসে নামাজ ছাড়া আরও দুটি সময়ে আজান দেওয়ার বিধানের কথা পাওয়া যায়। সেগুলো হলো—

ক. নবজাতকের ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দেওয়া: আবু রাফে (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘যখন হাসান ইবনে আলি (রা.)-এর জন্ম হয় তখন আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে তার কানে আজান দিতে দেখেছি।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৫১৪)

খ. কারও ওপর যদি জিনের বদ-আছর পড়ে তখন আজান দেওয়া: আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যদি তোমাদের ওপর জিনের প্রভাব পড়ে বা বদ-আছর পড়ে, তা সহলে তোমরা আজান দাও। কারণ শয়তান আজান শুনলে দৌড়ে পালিয়ে যায়।’ (তাবরানি, হাদিস: ৪৩৬)

রায়হান/

শবেবরাতেও ক্ষমা নেই যাদের

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
শবেবরাতেও ক্ষমা নেই যাদের
আরবিতে শবেবরাত লেখা ছবি। সংগৃহীত

শবেবরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। এ রাতের ইবাদত বেশ ফজিলতপূর্ণ। হাদিসের ভাষ্যমতে, এ রাতে সবাইকে ক্ষমা করা হয়। তবে এমন কিছু দুর্ভাগাও রয়েছে, যারা এ রাতেও ক্ষমা পায় না। তবে যদি সে তওবা করে এবং আল্লাহতায়ালার কাছে কায়মনোবাক্যে ক্ষমা চায়, তা হলে তিনি তাকেও ক্ষমা করবেন। শবেবরাতেও যারা ক্ষমা পায় না, তারা হলো—

মুশরিক: শিরকের মতো জঘন্য পাপে লিপ্ত ব্যক্তিরা শবেবরাতেও ক্ষমা পান না। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা তাকে ক্ষমা করেন না, যে তাঁর সঙ্গে শিরক করে। এর চেয়ে নিম্নস্তরের পাপ তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৪৮) 

মুশাহিন: মুশাহিন অর্থ বিদ্বেষ পোষণকারী। দ্বীনি কারণ ছাড়া যে অন্যের প্রতি অন্তরে বিদ্বেষ পোষণ করবে, আল্লাহতায়ালা তাকে এ রাতে ক্ষমা করবেন না। ইমাম আওজায়ি (রহ.) বলেন, মুশাহিন হচ্ছে এমন ব্যক্তি, যে সাহাবিদের প্রতি অন্তরে বিদ্বেষ লালন করে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘বিদ্বেষ পোষণকারী দুই ব্যক্তি পারস্পরিক সন্ধি করার আগ পর্যন্ত তাদের ক্ষমা করা হবে না।’ (মুসলিম, হাদিস: ২৫৬৫)

হত্যাকারী: কাউকে হত্যা করা কুফরের সমপর্যায়ের অপরাধ। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কোনো মুসলমানকে গালি দেওয়া জঘন্য পাপ আর কোনো মুসলমানকে হত্যা করা কুফরি।’ (বুখারি, হাদিস: ৭০৭৬) 
এ ছাড়াও হত্যা সেই সাতটি জিনিসের অন্তর্ভুক্ত, হাদিসে যেগুলোকে ‘সাতটি ধ্বংসকারী জিনিস’ বলা হয়েছে। (বুখারি, হাদিস: ২৭৬৬)

সম্পর্ক ছিন্নকারী: আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা কবিরা গুনাহ। যারা এমন কাজ করে, তাদের ওপর আল্লাহতায়ালা অভিসম্পাত করেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর ক্ষমতা লাভ করলে সম্ভবত তোমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করবে। এদের প্রতিই আল্লাহতায়ালা অভিসম্পাত করেন।’ (সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত: ২২-২৩)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৯৮৪)

টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী: পুরুষের জন্য টাখনুর নিচে কাপড় পরা নাজায়েজ। এটি অহংকারের প্রতীক। ইসলামে অহংকার নিষেধ। অহংকারবশত যে পুরুষ টাখনুর নিচে কাপড় ঝুলিয়ে রাখবে, হাদিসে তার ব্যাপারে কঠোর শাস্তির কথা এসেছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অহংকারের কারণে কাপড় ঝুলিয়ে চলবে, আল্লাহতায়ালা কিয়ামত দিবসে তার দিকে দৃষ্টিপাত করবেন না।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৬৬৫)
এমনভাবে পিতামাতার অবাধ্য সন্তান, জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত এবং নেশায় আসক্ত ব্যক্তিও শবেবরাতে ক্ষমালাভের সৌভাগ্য থেকে বঞ্চিত হয়। তবে উল্লিখিত পাপে নিমজ্জিত কোনো ব্যক্তি যদি আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা ও তওবা করে, ভবিষ্যতে এমন গর্হিত কোনো কাজ করবে না বলে আন্তরিকভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়, তা হলে আল্লাহতায়ালা তাদের ক্ষমা করবেন। তওবার মাধ্যমে যাবতীয় গুনাহ থেকে ক্ষমালাভ করা যায়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তবে কেউ তওবা করলে, ইমান আনলে এবং সৎকর্ম করলে, আল্লাহ এমন লোকদের পাপরাশিকে পুণ্য দিয়ে পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা ফুরকান, আয়াত: ৭০) 

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া আরাবিয়া দারুস সুন্নাহ রাজাবাড়ী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ

 

মুক্তির বরাত নিয়ে এলো শবেবরাত

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
মুক্তির বরাত নিয়ে এলো শবেবরাত
প্রার্থনারত এক ব্যক্তির ছবি। সংগৃহীত

শব ফারসি শব্দ, অর্থ রাত। বারাআত শব্দটি আরবি, অর্থ মুক্তি। শবে বারাআত হলো মুক্তির রজনী। হিজরি অষ্টম মাস শাবানের চৌদ্দ তারিখ রাতে মহান আল্লাহতায়ালা অসংখ্য মানুষকে মাফ করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এ কারণে এই রাতকে শবেবরাত বা মুক্তির রজনী বলা হয়। আরবিতে এ রাতকে ‘লায়লাতুন নিসফি মিন শাবান’ বলা হয়।
বান্দা যত বড় গুনাহই করুক না কেন, খাঁটি দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করলে তিনি ক্ষমা করে দেন। ক্ষমার জন্য তিনি কোনো সময় বা দিনকে নির্দিষ্ট করেননি। তবে কোরআন ও হাদিসে এমন কিছু সময় ও দিনের কথা উল্লেখ হয়েছে, যার ফজিলত অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে অন্যতম শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতটি। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন; আমি তখন উঠে তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা, তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম,  হে আল্লাহর রাসুল, আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না? নবিজি (সা.) বললেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভালো জানেন। তখন নবিজি (সা.) বললেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।’ (শুআবুল ইমান, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৩৮২)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি কি জানো, অর্ধ শাবানের রাতের কার্যক্রম কী? আয়েশা (রা.) বললেন, না, হে আল্লাহর রাসুল। নবি (সা.) বললেন, এ বছর যতজন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং মারা যাবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়। এ রাতেই মানুষের আমল পৌঁছানো হয় এবং এ রাতেই তাদের রিজিক অবতীর্ণ হয়।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ১৩০৫)
আতা ইবনে ইয়াসার (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘শাবানের ১৫তম রাতে মৃতদের তালিকা (মৃত্যুর দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতার কাছে) দেওয়া হয়। এমনকি কোনো লোক সফরে বের হয়, অথচ তাকে জীবিতদের তালিকা থেকে মৃতদের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কেউ বিয়ে করে অথচ তাকে জীবিতদের তালিকা থেকে মৃতদের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ৭৯২৫)
আয়েশা (রা.) বলেন, ‘এক রাতে আমি নবি (সা.)-কে (বিছানায়) না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি জান্নাতুল বাকিতে, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে আছেন। তিনি বলেন, হে আয়েশা, তুমি কি আশঙ্কা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আয়েশা (রা.) বলেন, তা নয়; বরং আমি ভাবলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোনো স্ত্রীর কাছে গেছেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চেয়েও অধিকসংখ্যক মানুষের গুনাহ মাফ করেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৫৬৬৫)
আলি ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত তোমাদের সামনে আসে, তখন তোমরা নামাজ আদায় করো এবং পরের দিনে রোজা রাখো। আল্লাহতায়ালা এ রাতে সূর্যাস্তের পর প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। এর পর তিনি এই বলে ডাকতে থাকেন—তোমাদের মধ্যে আছে কি কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তোমাদের মধ্যে আছে কি কোনো রিজিক অন্বেষণকারী? আমি তাকে রিজিক দান করব। তোমাদের মধ্যে আছে কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি তার বিপদ দূর করে দেব। ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৮)
প্রসিদ্ধ তাবেয়ি আতা ইবনে ইয়াসার (রহ.) বলেন, ‘শাবান মাসের পনেরো তারিখের রাতের চেয়ে উত্তম কোনো রাত নেই।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, ১৫১)। শবেবরাতের রাতে গুরুত্বের সঙ্গে কয়েকটি আমল করা যেতে পারে। যেমন- নফল নামাজ আদায়, তওবা করা, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির করা। পরদিন রোজা রাখা। শবেবরাতে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা ও হাদিসে বর্ণিত আমল করব। পাশাপাশি প্রচলিত ভুল কাজগুলো বর্জন করব।  

লেখক: শিক্ষক জামিয়া মাহমুদিয়া অলিনগর সিকদারবাগ মাদরাসা, সাভার

 

ইসলামে উত্তরাধিকার আইনের আদ্যোপান্ত জানার অনন্য যে বই

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
ইসলামে উত্তরাধিকার আইনের আদ্যোপান্ত জানার অনন্য যে বই
ইসলামে উত্তরাধিকার আইন ও সমাজের অসঙ্গতি বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

মিরাস বা মৃতের ত্যাজ্যসম্পদ কোন খাতে কীভাবে ব্যয়িত হবে এবং এর সঙ্গে কার কী অধিকার সম্পৃক্ত—এ বিষয়টিও মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রসঙ্গ। এখানেও রয়েছে ইসলামের অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ ও কল্যাণকর নীতিমালা, যা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে মিরাস নিয়ে সমাজে কোনো ধরনের বিবাদ ও বিরোধ দেখা দিত না। প্রত্যেক হকদার তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার লাভ করত অনায়াসে। কিন্তু ইসলামের নীতিমালা কাঙ্ক্ষিতরূপে অনুসৃত না হওয়ার কারণে এ বিষয়ে আমাদের সমাজে নিত্যদিন অনেক রকম কলহ লেগে আছে। আপনজনদের মধ্যে হিংসা-বিদ্বেষের বিষ ছড়িয়ে পড়ছে। সামান্য অর্থের লোভে পারস্পরিক রক্তের সম্পর্ককে ছিন্ন করতেও দ্বিধা করছে না মানুষ। সামাজিক এ ক্ষতের একমাত্র চিকিৎসা ইসলামের অনুশাসন পুরোপুরি মেনে চলা। তাই আমাদের জানতে হবে, মিরাস বিষয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কী এবং কী নির্দেশনা আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন। মিরাস বিষয়ে বিস্তারিত জানার অনন্য এক বই ইসলামে উত্তরাধিকার আইন ও সমাজের অসঙ্গতি। 
কোরআনুল কারিমে উত্তরাধিকারের বিধিবিধান সবচেয়ে বিশদভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। কিন্তু উত্তরাধিকারসংক্রান্ত দরকারি জ্ঞানটুকু আমাদের অনেকেরই নেই। উত্তরাধিকার বিষয়ে আমাদের অঞ্চলে অনেক অজ্ঞতা এবং কুসংস্কার প্রচলিত রয়েছে। ফলে মৃতের সম্পদ বণ্টনের সময় কাউকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করি, অনেককে তো আমরা সম্পদের হকদারই মনে করি না। এতে করে আল্লাহর অকাট্য বিধান লঙ্ঘনের পাশাপাশি আমাদের পারিবারিক জীবনেও নেমে আসে চরম অশান্তি। মিরাস-সংক্রান্ত প্রচলিত অজ্ঞতা এবং কুসংস্কার নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এ বইয়ে। সেই সঙ্গে বাতলে দেওয়া হয়েছে উত্তরণের পন্থাও। মিরাস বিষয়ে জানতে আগ্রহী পাঠকের জন্য বইটি অবশ্য পাঠ্য।

বইটিতে মোট তিনটি অধ্যায় রয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে মিরাসের পরিচয়, বৈশিষ্ট্য, গুরুত্ব ও বিবিধ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক আলোচনা। দ্বিতীয় অধ্যায়ে আলোচনা করা হয়েছে মিরাস বণ্টনে প্রচলিত ভুল ও তার নিরসন। শেষ অধ্যায়ে সংক্ষেপে বিবৃত হয়েছে মিরাসের শরয়ি নীতিমালা। 

বইটি লিখেছেন মুফতি মাহবুবুর রহমান। বইটি প্রকাশ করেছে সমকালীন প্রকাশন। ১১৪ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রিত মূল্য ২২০ টাকা। দেশের অভিজাত সব লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যায়। সরাসরি সমকালীন প্রকাশন থেকে বইটি কিনতে ভিজিট করুন ফেসবুক পেজে

বই: ইসলামে উত্তরাধিকার আইন ও সমাজের অসঙ্গতি
লেখক: মুফতি মাহবুবুর রহমান 
প্রকাশক: সমকালীন প্রকাশন 
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১১৪
মুদ্রিত মূল্য: ২২০ টাকা
মোবাইল: ০১৪০৯-৮০০৯০০

লেখক: আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক

 

চরপাথালিয়া মাদরাসায় এক বছরে হাফেজ হয়েছেন ৫৬ জন

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০০ পিএম
চরপাথালিয়া মাদরাসায় এক বছরে হাফেজ হয়েছেন ৫৬ জন
হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি পরিয়ে দিচ্ছেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান উস্তাজুল হুফফাজ হাফেজ আবদুল হক। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়ার থানার চরপাথালিয়া সালমান ফারসি (রা.) মাদরাসা থেকে এক বছরে ৫৬ জন শিক্ষার্থী কোরআনের হেফজ সম্পন্ন করেছে। গত বুধবার মাদরাসার উদ্যোগে আয়োজিত মাহফিলে হাফেজ ছাত্রদের পাগড়ি এবং তাদের  পিতাকে ‘গর্বিত বাবা’ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
মাদরাসার মুতাওয়াল্লি মো. শিকদার শিহাবুদ্দিনের সভাপতিত্বে পাগড়ি প্রদান মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান উস্তাজুল হুফফাজ হাফেজ আবদুল হক, প্রধান মেহমান ছিলেন জামেয়া শারইয়্যাহ মালিবাগের প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু সাঈদ এবং প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মাওলানা যাইনুল আবেদীন। এ ছাড়াও গজারিয়ার স্থানীয় মাদরাসার পরিচালক ও আলেম-উলামা এবং হাফেজ ছাত্রদের অভিভাকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক হাফেজ আল আমিন সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে মো. শিকদার শিহাবুদ্দিন বলেন, ‘হাফেজরা আল্লার কাছে সবচেয়ে দামি মানুষ। তাদের কদর বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আজকে যারা হাফেজ হলেন, তারা হয়তো বড় হয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে মিশে যাবেন। কিন্তু সবার সঙ্গে থাকার পরও তাদের আলাদা একটা পরিচয় থাকবে, তারা হাফেজে কোরআন। তারা কোরআনের মতো দামি গ্রন্থ সিনায় ধারণ করেছেন। তাই হাফেজের মর্যাদা আমাদের বুঝতে হবে।’
প্রধান অতিথির বক্তেব্যে হাফেজ আবদুল হক বলেন, ‘হাফেজদের পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠান আসলে একটা ছায়া অনুষ্ঠান মাত্র। এসব হাফেজদের সম্মানীত করা হবে জান্নাতে। এখানে মাদরাসা পরিচালকরা হাফেজ ছাত্রদের বাবাকে গর্বিত পিতা অ্যাওয়ার্ড দিয়েছেন, এটাও একটা নমুনা। কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা হাফেজ ছাত্রদে বাবামাকে নুরের টুপি পরাবেন। হাফেজদের সম্মান দুনিয়া-আখেরাতে সব জায়গাতেই সবার ওপরে।’
মাদরাসার পরিচালক হাফেজ আল আমিন সরকার বলেন, ‘এক বছরে ৫৬ জন ছাত্র  হাফেজ  হওয়া একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় অর্জন; কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু মুমিনের আসল সফলতা হলো আল্লাহকে রাজি-খুশি করা। আল্লাহ যদি আমাদের ইখলাস ও খেদমতে খুশি হন, তাহলে হাফেজ বেশি হলো না কম হলো; সেটা বড় কথা নয়। আমাদের মাদরাসার বয়সও বেশি না। আমরা ২০১৬ সালে শুরু করেছি। আমরা শুরু থেকেই শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতের বিষটি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ও শারীরিক সুস্থতা ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও জোর দিয়েছি। বর্তমান-সাবেক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাক যারাই মাদরাসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং আছেন, সবাই আমাদের জন্য দেয়া করবেন। আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় চরপাথালিয়া সালামান ফারসি (রা.) মাদরাসা আরো অনেক দূর এগিয়ে যাবে।’

আরআর/এমআর

গত এক যুগে ইসলামি প্রকাশনায় একটি বিপ্লব সাধিত হয়েছে

প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪২ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৯ এএম
গত এক যুগে ইসলামি প্রকাশনায় একটি বিপ্লব সাধিত হয়েছে
সুলতানসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেদোয়ান ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

রেদোয়ান ইসলাম সুলতানস প্রকাশনীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক। বরিশাল সদরে জন্ম। ঢাকা উত্তরার মাদরাসাতুল হিকমা থেকে হেফজ শেষ করেছেন। কম্পিউটার সায়েন্সের ওপর বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং করেছেন গ্রিন ইউনিভার্সিটি থেকে। তার প্রকাশক হওয়ার গল্প, ইসলামি বইয়ের চাহিদা ও পাঠক বৃদ্ধি, সুলতানস কোন ধরনের বই প্রকাশে আগ্রহী, মানসম্মত বই প্রকাশে তাদের ভূমিকা কেমন ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রায়হান রাশেদ

খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন?
রেদোয়ান ইসলাম: জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেওয়াকে আমি জীবনের এক মহৎ উদ্দেশ্য হিসেবে দেখেছি। বিশেষ করে ইসলামি জ্ঞান এবং নৈতিকতার পাঠ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া আমার দায়িত্ব মনে করি। এই মহৎ উদ্দেশ্য ও দায়িত্বের জায়গা থেকে আমি প্রকাশক হয়েছি। এক্ষেত্রে আমার ছোট কাকু (চাচা) বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ লেখক মিরাজ রহমান এবং আমার পিতার অবদানের কাছে আমি ঋণী। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের পাঠক দিন দিন বাড়ছে বলে কী আপনি মনে করেন?
রেদোয়ান ইসলাম: হ্যাঁ, নিঃসন্দেহে। বর্তমান সময়ে মানুষ ইসলাম সম্পর্কে জানতে ও বুঝতে আগ্রহী হচ্ছে। বিশেষত তরুণ প্রজন্ম কোরআন, হাদিস এবং ইসলামি জীবনব্যবস্থা সম্পর্কে জানতে বেশ আগ্রহী এবং এটি অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন বেশি। গত পাঁচ-সাত বছরে ইসলামি বইয়ের চাহিদা অনেক বেড়েছে। এক্ষেত্রে গত এক যুগে ইসলামি প্রকাশনা সেক্টরে একটি বিপ্লব হয়েছে বলে আমি মনে করি এবং সুলতানস সে বিপ্লবের অন্যতম অংশীদার, আলহামদুলিল্লাহ। আর এটি আমাদের জন্য একটি বড় প্রেরণা।

খবরের কাগজ: আপনার প্রকাশনী সম্পর্কে কিছু বলুন। কী ধরনের বই প্রকাশে আপনারা আগ্রহী? 
রেদোয়ান ইসলাম: আমাদের ‘সুলতানস’ প্রকাশনী মানসম্পন্ন বই প্রকাশে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা প্রতিটি বইয়ের বিষয়বস্তু, সম্পাদনা এবং মুদ্রণ প্রক্রিয়ায় সর্বোচ্চ মান বজায় রাখি। বিশ্বস্ত লেখক ও গবেষকদের সঙ্গে কাজ করে তথ্যবহুল ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপিত বই প্রকাশ করি। বইয়ের নকশা ও বাঁধাইয়ের ক্ষেত্রেও আমরা উৎকৃষ্ট মান নিশ্চিত করি, যাতে পাঠকরা একটি সন্তোষজনক পাঠ অভিজ্ঞতা লাভ করেন। আমাদের প্রকাশিত বইগুলো যেমন- মুসলিম সভ্যতার ১০০১ আবিষ্কার, দ্য গ্রেটেস্ট অন্ট্রাপ্রেনর মুহাম্মাদ (সা.) এবং হিলিং দ্য এম্পটিনেস, পাঠকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে। এই বইগুলোর মান নিয়ে পাঠকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। আমরা কোরআন হাদিসের আলোকে জীবনঘনিষ্ঠ বই প্রকাশ করি। সিরাত বিষয়ে আমাদের কয়েকটি বই বেস্ট সেলার হয়েছে। প্রতিটি বইয়ের কনটেন্ট আমরা যুগোপযোগী বিষয়ের সঙ্গে মিল রেখে করি। সর্বপরি আমরা সব সময় মানসম্মত কনটেন্ট এবং আকর্ষণীয় ডিজাইনের ওপর গুরুত্ব দিই। আমাদের প্রতিটি বই গবেষণালব্ধ তথ্য এবং প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপিত হয়, যাতে তা পাঠকের জন্য সহজপাঠ্য ও উপকারী হয়। 

খবরের কাগজ: এবারের মেলাতে নতুন কি বই প্রকাশ করেছে সুলতানস?
রেদোয়ান ইসলাম: ২০২৫ অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ (সা.) বইটি মহানবি মুহাম্মাদ (সা.)-এর জীবন থেকে প্রোডাক্টিভিটির শিক্ষা নিয়ে রচিত। লেখক মিরাজ রহমান এই গ্রন্থে নবিজির (সা.) কর্মপদ্ধতি, সময় ব্যবস্থাপনা এবং জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর প্রোডাক্টিভ দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। বইটি পাঠকদেরকে নবিজির (সা.) জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের দৈনন্দিন জীবনে প্রোডাক্টিভ হতে সহায়তা করবে। যারা ইসলামি মূল্যবোধের আলোকে সফল ও প্রোডাক্টিভ জীবন গড়তে চান, তাদের জন্য এটি একটি মূল্যবান বই।