ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

আল্লাহকে পাওয়ার সহজ উপায়

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৯ পিএম
আল্লাহকে পাওয়ার সহজ উপায়
পবিত্র কাবার ছবি। ইন্টারনেট

আল্লাহ সবচেয়ে বেশি দয়ালু। বান্দাকে আল্লাহর চেয়ে বেশি কেউ ভালোবাসেন না। মা সন্তানকে যতটুকু ভালোবাসেন। আল্লাহ তার চেয়েও বেশি ভালোবাসেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মা তার সন্তানের ওপর যতটুকু দয়ালু, আল্লাহ তাঁর বান্দার ওপর তদাপেক্ষা অধিক দয়ালু।’ (বুখারি, হাদিস: ৫৯৯৯) 
বস্তুত আল্লাহর নেয়ামতের চাদরে আবৃত মানুষ। এত এত রহমত আল্লাহর, যা গুনে শেষ করা যাবে না। কোরআনে আছে, ‘যদি তোমরা আল্লাহর নেয়ামত গণনা করো, তবে এর ইয়ত্তা পাবে না। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সুরা নাহল, আয়াত: ১৮)
আল্লাহর প্রিয় হওয়ার, তাঁকে কাছে পাওয়ার অনেক আমল রয়েছে। এখানে কয়েকটি আমল তুলে ধরা হলো—

ইসলামে আত্মসমর্পণ
আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম। ইসলাম স্বভাবজাত সহজ পালনীয় ধর্ম। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভ কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত—এই পাঁচটির সব কয়টি সবার জন্যই ফরজ; ব্যাপারটি এমন নয়। যার নেসাব পরিমাণ সম্পদ নেই, তার জন্য জাকাত ফরজ নয়। যার হজের সামর্থ্য নেই, তার জন্য হজ ফরজ নয়। কিন্তু সামর্থ্য থাকলে করতে হবে। এগুলো মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে আমল করতে হবে। কোনো একটাকে অস্বীকার করা যাবে না। অস্বীকার করলে ইমান থাকবে না। ইসলামে সমর্পণের অর্থই হলো এই পাঁচটিকে হৃদয়ে ধারণ করে আমল করা। 
 
হালাল-হারাম মেনে চলা 
আমাদের জীবনে যা কিছু হারাম—তা পরিহার করতে হবে। ধরা যাক এক ব্যক্তি নামাজ পড়ে, রোজাও রাখে, কিন্তু তার উপার্জন হারাম। অবৈধ্য পথে সে উপার্জন করে। তা হলে ওই নামাজ, রোজায় কোনো কাজ হবে না। 
আমরা হারাম উর্পাজনের পাহাড়ে বসে আল্লাহকে পেতে চাই। যেটা আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কিছুই নয়। আল্লাহ সবচেয়ে পবিত্র। তাকে আপনি অপবিত্র হারাম উপার্জনের মাধ্যমে পেতে চাইছেন! এ তো স্রেফ বোকামি। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না। আত্মসাতের সম্পদ থেকে দান করলে কবুল করেন না।’ (মুসলিম, হাদিস ২২৪)
জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এমন শরীর কখনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যা হারাম দ্বারা বর্ধিত। জাহান্নামই তার উপযুক্ত জায়গা।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৪৪৪১)

আরও পড়ুন: তাহাজ্জুদ নামাজের গুরুত্ব

যারা হারাম পন্থায় উপার্জন করে, মহান আল্লাহ তাদের দোয়া কবুল করেন না। রাসুলুল্লাহ (সা.) এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, দীর্ঘ সফরের ক্লান্তিতে যার মাথার চুল বিক্ষিপ্ত, অবিন্যস্ত ও সারা শরীর ধূলিমলিন। সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, হে আমার প্রভু, হে আমার প্রতিপালক, অথচ তার খাদ্য ও পানীয় হারাম, তার পোশাক হারাম, তার জীবন-জীবিকাও হারাম। এ অবস্থায় তার দোয়া কীভাবে কবুল হতে পারে? (তিরমিজি, হাদিস: ২৯৮৯)

সুদ থেকে সাবধান
সুদ হারাম। সুদখোরদের সম্পর্কে হাদিসে আছে, ‘যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, যে সাক্ষী থাকে এবং যে সুদের হিসাব-নিকাশ বা সুদের চুক্তিপত্র ইত্যাদি লিখে দেয়, সবার প্রতি রাসুলুল্লাহ (সা.) লানত করেছেন।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১২০৬)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সুদ সত্তর প্রকার পাপের সমষ্টি। তার মাঝে সবচেয়ে নিম্নতম হলো আপন মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করার সমতুল্য।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস: ১৫৩৪৫)। সুদ কখনোই সম্পদ বৃদ্ধি করে না। সম্পদে বরকত আনে না। জাকাত সম্পদ বৃদ্ধি করে। 

ব্যভিচার থেকে দূরে থাকা
সমাজে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়া একটি পাপাচার হলো ব্যভিচার। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না।’ (সুরা ইসরা, আয়াত: ৩২) 

লেখক: গবেষক ও প্রাবন্ধিক

রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রী কি কি করতে পারবে?

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
রোজা রেখে স্বামী-স্ত্রী কি কি করতে পারবে?
স্বামী-স্ত্রীর প্রতীকী ছবি । সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখা মুসলিমদের জন্য ফরজ। তবে অনেকেই রোজা অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান থাকেন। রমজানের দিনে স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে ইসলামের নির্দেশনা খুবই স্পষ্ট। রোজা রেখে স্ত্রীর সঙ্গে চুম্বন, আলিঙ্গন বা স্পর্শ করা জায়েজ, তবে শর্ত হলো এতে যেন সহবাস বা বীর্যপাতের আশঙ্কা না থাকে। নবিজি (সা.) নিজেও রোজা রেখে স্ত্রীদের চুম্বন করতেন এবং তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতেন।


আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, নবিজি (সা.) রোজা অবস্থায় তাকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করতেন। তিনি বলেন, নবিজি (সা.) ছিলেন যৌনাকাঙ্ক্ষা নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তি। (বুখারি, ১৯২৭; মুসলিম, ১১০৬)


তবে, যারা নিজেদের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না, তাদের জন্য রোজার সময় এ ধরনের ঘনিষ্ঠতা এড়ানোই উত্তম। শাইখ উসাইমীন (রহ.) বলেছেন, যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাদের জন্য স্ত্রীকে চুম্বন করা বা আলিঙ্গন করা জায়েজ। কিন্তু যাদের বীর্যপাতের আশঙ্কা বেশি, তাদের এড়িয়ে চলা উচিত। (মাজমুউল ফাতাওয়া, ১৯/২৫৬)


রোজা অবস্থায় সহবাসের ক্ষেত্রে ইসলাম কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রোজা অবস্থায় সহবাস করলে রোজা ভেঙে যায় এবং এর জন্য কাফফারা দিতে হয়। কাফফারা হলো একজন দাস মুক্ত করা, অথবা লাগাতার দুই মাস রোজা রাখা, অথবা ৬০ জন মিসকিনকে খাবার খাওয়ানো। (বুখারি, ১৯৩৬)


সহবাস বলতে পুরুষাঙ্গ ও স্ত্রী-অঙ্গের মিলন বোঝায়। এতে বীর্যপাত হওয়া শর্ত নয়। শুধু সংস্পর্শেই রোজা ভেঙে যাবে। তাই রোজার সময় সহবাস থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা আবশ্যক। রোজার সময় স্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা জায়েজ, তবে তা যেন সহবাস বা বীর্যপাতের দিকে না যায়। নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারলে চুম্বন বা আলিঙ্গন করা যায়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ না থাকলে এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। 

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

 

জেলে যাওয়ার কারণে মান্নতের রোজা ছুটে গেলে করণীয় কি?

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:১১ পিএম
জেলে যাওয়ার কারণে মান্নতের রোজা ছুটে গেলে করণীয় কি?
জেলে আবদ্ধ হওয়ার ছবি । সংগৃহীত

প্রশ্ন: গত বছর আমার ছেলে একটি মিথ্যা মামলায় আটক হয় এবং সাত বছরের জেল দেওয়া হয় পরে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করি আপিলের চূড়ান্ত রায়ের দিন ছিল ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আমি তখন মান্নত করি যে, যদি ওই দিন আমার ছেলের মুক্তির রায় হয়, তা হলে আমি ২৩ নভেম্বর থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত একটানা এক মাস রোজা রাখব

আলহামদুলিল্লাহ, ২২ নভেম্বর আমার ছেলের মুক্তির রায় হয় এবং আমি ২৩ নভেম্বর থেকে রোজা রাখা শুরু করি কিন্তু বিশেষ কিছু কারণে মাঝে তিন দিন রোজা রাখতে পারিনি এখন জানতে চাই, আমাকে কি পুনরায় পুরো এক মাস রোজা রাখতে হবে, নাকি শুধু ছুটে যাওয়া তিন দিনের রোজা কাজা করলেই চলবে?

 

উত্তর: কেউ যদি আল্লাহর নামে রোজা রাখার মান্নত করে, তা হলে সে রোজা রাখা ওয়াজিব হয়ে যায় তবে কোনো শর্তের ভিত্তিতে মান্নত মানলে সেই শর্ত পূরণ হওয়ার আগে ওয়াজিব হয় না, শর্ত পূরণ হলেই ওয়াজিব হয়

প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে শুধু ছুটে যাওয়া তিন দিনের রোজা কাজা করতে হবে পুনরায় পুরো এক মাস রোজা রাখার প্রয়োজন নেই কারণ, মান্নতের রোজা রাখার সময় যদি কোনো কারণে কিছু রোজা ছুটে যায়, তা হলে শুধু ছুটে যাওয়া রোজাগুলো কাজা করাই যথেষ্ট

অতএব, আপনি শুধু ছুটে যাওয়া তিন দিনের রোজা কাজা করবেন এতেই আপনার মান্নত পূর্ণ হয়ে যাবে (বাদায়েউস সানায়ে /২৬৫; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া /২৩৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া / ২১০; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর /৩৪০)

 

লেখক : সহ-সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

 

রাসুলুল্লাহ (সা.) যেভাবে রমজান কাটাতেন—১৮ পরিবারের সদস্যসহ স্ত্রীদের শিক্ষা দান করতেন

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:১১ পিএম
পরিবারের সদস্যসহ স্ত্রীদের শিক্ষা দান করতেন
কোরআন তেলওয়াতের ছবি । সংগৃহীত

রমজান মাস শিক্ষার মাস। দীক্ষা গ্রহণের মাস। এ মাসকে বলা হয় প্রশিক্ষণের মাস। এক মাস থেকে যে শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা হয়, বাকি ১১ মাসে সে অনুযায়ী জীবনযাপন করতে হয়। ইবাদতের মৌসুম রমজানকে গনিমত হিসেবে গ্রহণ করে শিক্ষা-দীক্ষা গ্রহণে মনোযোগী হওয়া আবশ্যক। আর এক্ষেত্রে নিজ পরিবার-পরিজনকে ভুলে গেলে চলবে না। তাদেরকে সর্বাগ্রে বিবেচনায় রাখতে হবে। কারণ আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনে এ ব্যাপারে ইরশাদ করেছেন, ‘আপনি আপনার নিকটবর্তী পরিবার-পরিজনকে সতর্ক করুন।’ (সুরা শুআরা, ২১৪)।


রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে নানাভাবে তার পরিবারের সদস্যসহ স্ত্রীদের শিক্ষা দান করতেন। জ্ঞান বিতরণের মজলিস বসত তার তত্ত্বাবধানে। হাদিসের পাঠক মাত্রই জানেন, রমজানবিষয়ক অধিকাংশ হাদিস তার স্ত্রীদের থেকে বর্ণিত। স্ত্রীদের শিক্ষার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর গুরুত্বারোপের উত্তম প্রমাণ এসব হাদিস। 


আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার কি মত, আমি যদি লাইলাতুল কদর সম্পর্কে জ্ঞাত হই বা বুঝতে পারি যে আজকে লাইলাতুল কদর; তা হলে আমি কী দোয়া পাঠ করব?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) তাকে বললেন, ‘তুমি দোয়া করবে, বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি। বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ, আপনি ক্ষমাশীল সম্মানিত, আপনি ক্ষমা পছন্দ করেন। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করুন।’ (তিরমিজি, ৩৪৩৫)।


নারীদের ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ করতে পুরুষকে, বিশেষ করে স্বামীকে অবশ্যই যত্নবান হতে হবে এবং তার জন্য রমজানই সুন্দর ও উপযুক্ত সময়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ব্যক্তির জন্য পাপ হিসেবে এ-ই যথেষ্ট যে, যার ভরণ-পোষণ তার দায়িত্ব তাকে সে বিনষ্ট করে দেয়।’ (মুসনাদে আহমদ, ৬৪৯৫)। সুতরাং রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে আমাদের নারীসমাজকে ধর্মীয় জ্ঞানে সমৃদ্ধ করে তোলার ক্ষেত্রে রমজান মাসকে আমরা সুবর্ণ সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করতে পারি।


এ ছাড়া রমজানে রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘরের নারীদের বিভিন্নভাবে ইবাদত-বন্দেগিতে মগ্ন রাখার ব্যবস্থা করতেন। আলী (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তার পরিবারকে রমজানের শেষ দশ দিনে রাতে জাগিয়ে দিতেন। (তিরমিজি, ৭৯৫)। 
আবু জর (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, মাসের তিন দিন অবশিষ্ট অবধি তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করলেন না। তৃতীয় দিনে তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করলেন, তার পরিবার ও স্ত্রীদের আহ্বান করলেন, এতটা দীর্ঘসময় তিনি জাগরণ করলেন যে, আমরা সাহরি পরিত্যাগের আশঙ্কা করলাম। (তিরমিজি, ৮০৬)।


অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে, চার দিন অবশিষ্ট থাকা পর্যন্তও তিনি আমাদের নিয়ে রাত্রি যাপন করলেন না। অতঃপর যখন অবশিষ্ট ছিল মাত্র তিন দিন, তখন তিনি তার কন্যা ও স্ত্রীদের নিকট সংবাদ পাঠালেন এবং লোকেরা জমায়েত হলো। তিনি আমাদের নিয়ে এতটা সময় জাগরণ করলেন যে, সাহরি ছুটে যাওয়ার আশঙ্কা হলো। (নাসায়ি, ১৩৬৪)।


জয়নব বিনতে উম্মে সালামা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন মাসের মাত্র দশ দিন অবশিষ্ট থাকত, তখন পরিবারের সক্ষম সবাইকে রাসুল রাত্রি জাগরণ করাতেন। (মারওয়াজি, কিয়ামু রমাজান, পৃষ্ঠা ৩১)।

 

লেখক : আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক

 

১৯ মার্চ, ২০২৫ বুধবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
১৯ মার্চ, ২০২৫ বুধবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
১৯ মার্চ, ২০২৫ বুধবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি

আজ ১৯ মার্চ, ১৮ তম রোজা। বুধবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪ টা ৪৭ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।


১৯ মার্চ, বুধবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৪৭ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১০ মিনিট

 

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষা করা যাবে কি ?

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
রোজা রেখে রক্ত পরীক্ষা করা যাবে কি ?
রক্ত সংগ্রহের ছবি। সংগৃহীত

রমজান মাসে রোজা রাখা প্রতিটি সক্ষম মুসলিমের জন্য ফরজ। এই পবিত্র মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আমরা ইবাদত ও আত্মশুদ্ধির চেষ্টা করি। তবে রোজা রাখা অবস্থায় অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, রক্তদান করা যাবে কি না? ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে রোজা রেখে রক্তদান করা সম্পূর্ণ জায়েজ এবং এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।


রোজা ভঙ্গের মূল কারণ হলো পাকস্থলী বা মস্তিষ্কে সরাসরি কোনো খাদ্য বা পানীয় প্রবেশ করা। রক্তদানের ক্ষেত্রে এমন কোনো কিছু ঘটে না। রক্তদানের সময় কোনো বস্তু শরীরে প্রবেশ করে না বা কোনো খাদ্যও গ্রহণ করা হয় না। তাই রোজা রেখে রক্তদান করলে রোজা নষ্ট হবে না।
নবি করিম (সা.) রোজা রেখে শিঙ্গা লাগিয়েছেন, যা হাদিসে বর্ণিত আছে। শিঙ্গার মাধ্যমে শরীর থেকে রক্ত বের করা হয়। এ বিষয় থেকে বোঝা যায়, রক্ত বের করলে বা রক্তদান করলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। ইসলামি ফিকহবিদগণও একমত যে, রোজা রেখে রক্তদান করা জায়েজ এবং এতে রোজা ভাঙার কোনো আশঙ্কা নেই।

 

এক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা। যদিও রোজা রেখে রক্তদান করা জায়েজ, তবে অতিরিক্ত রক্তদান করা মাকরুহ (অপছন্দনীয়); যদি তা শরীরে দুর্বলতা সৃষ্টি করে। রোজা রাখা অবস্থায় শরীরের শক্তি বজায় রাখা জরুরি। তাই রক্তদানের পর যথেষ্ট বিশ্রাম ও সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
রমজান মাসে ইবাদতের পাশাপাশি মানবসেবার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করার বড় সুযোগ। কেননা তার দ্বারা মানুষের জীবন রক্ষা পায়। আর রক্তদান একটি মহৎ কাজ, যা প্রয়োজনে রোজা রেখেও করা যেতে পারে। এতে রোজার কোনো সমস্যা হবে না।

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক