ঢাকা ১৪ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৪ চৈত্র ১৪৩১

যেসব কান্না আল্লাহর পছন্দ

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৮ এএম
যেসব কান্না আল্লাহর পছন্দ
কান্নারত এক ব্যক্তির ছবি। ইন্টারনেট

পৃথিবীর সব জায়গার ও সব ভাষার মানুষ কাঁদে। মানুষের কান্নার ভাষা সবাই বোঝে। একজন নবজাতকও দুনিয়াতে নিজের আগমন ও অস্তিত্বের জানান এই কান্না দিয়েই প্রকাশ করে। সে তখন কান্না না করলে মা-বাবাসহ সবাই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রত্যেক নবজাতককে জন্মের সময় শয়তান খোঁচা দেয়, ফলে সে শয়তানের খোঁচায় চিৎকার করে।’ (বুখারি, হাদিস: ৩৪৩১)। কান্নায় কি শুধু মনের দুঃখ-কষ্টের প্রকাশ ঘটে, না অন্য কিছুও থাকে? আসলে কান্নার আছে আরও অনেক প্রকার। এখানে পাঁচটি প্রকার উল্লেখ করা হলো—

বিপদের কান্না: বিপদে পড়লে সবাই মন খারাপ করে। কান্না করে। হাদিসে আছে, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) তার শিশুপুত্র ইবরাহিমের মৃত্যুর সময় কান্নারত অবস্থায় বলেছেন, চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে, হৃদয় ব্যথিত হয়। তবে আমরা তাই বলি যার ওপর আমাদের সব সন্তুষ্টি। আর তোমার বিচ্ছেদে আমরা ব্যথিত।’ (বুখারি, হাদিস: ১৪০৭)
 
বিচ্ছেদের কান্না: আপনজন ও প্রিয়জনের বিচ্ছেদে মানুষ কান্না করে। ইয়াকুব (আ.) আপন সন্তান ইউসুফ (আ.)-এর বিচ্ছেদে কান্না করেছিলেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আর তার চোখ দুটি কাঁদতে কাঁদতে সাদা হয়ে গিয়েছিল এবং তার হৃদয় চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল।’ (সুরা ইউসুফ, আয়াত: ৮৪) 

কোরআন পড়ে বা শুনে কান্না: এমন অনেক সৌভাগ্যবান ব্যক্তি আছেন, যারা কোরআন তেলাওয়াতের সময় কান্না করেন। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা কেঁদে কেঁদে কোরআন তেলাওয়াত করো, যদি কান্না না আসে তা হলে কান্নার ভান ধরো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৩৭) 
ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন, সাহাবায়ে কেরামের কোরআন তেলাওয়াতের সময় আশ্চার্যজনক অবস্থা সৃষ্টি হতো, সাহাবিদের  ভেতর কেউ তেলাওয়াতের সময় কান্না করতেন, কেউবা আবার বেহুঁশ হয়ে যেতেন, আবার কেউ এই বেহুঁশের মধ্যেই চির বিদায় হয়ে যেতেন। (খুতুবাতে জুলফিকার, ৪/১৭৯)

গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না: যাপিত জীবনে কমবেশি সবাই গুনাহ করে থাকে, তবে গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না করা এক অনন্য গুণ। যে গুনাহের কথা স্মরণ করে কান্না করে, আল্লাহতায়ালা তার ওপর সন্তুষ্ট হয়ে যান। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালার কাছে দুটি ফোঁটা অত্যন্ত প্রিয়। এক. আল্লাহতায়ালার ভয়ে যে অশ্রু ফোঁটা ঝরে। দুই. আল্লাহতায়ালার রাস্তায় যে অশ্রু ফোঁটা ঝরে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১৬৩৯)

আল্লাহর ভয়ে কান্না: চোখের সদ্ব্যবহারের একটি অনন্য দিক হলো, আল্লাহর ভয়ে কান্না করা। তা ছাড়া আল্লাহর ভয়ে কান্না করা মুমিনের বিশেষ গুণ এবং একনিষ্ঠতার বড় প্রমাণও। আল্লাহর ভয় ইমানের অপরিহার্য উপাদান। কেননা ইমান হলো, আশা ও ভয়ের ভেতরে। নবি-রাসুলদের বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘এরা সৎ কাজে ছিল ক্ষিপ্রগতি, তারা আমাকে ডাকতো আশা নিয়ে ও ভীত হয়ে, আর তারা ছিল আমার প্রতি বিনয়ী।’ (সুরা আম্বিয়া, আয়াত: ৯০)

জীবনের সব ক্ষেত্রে মহান আল্লাহকে ভয় করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করা যাবে না। অনেক কারণে মানুষ কান্না করে এবং অশ্রুপাত করে। এসবের মধ্যে আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হচ্ছে তাঁর ভয়ে কান্না করা। হাশরের ময়দানে এ প্রকারের কান্না ও অশ্রু অমূল্য সম্পদ হয়ে বান্দাকে আনন্দিত করবে এবং মুখে হাসি ফোটাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তিনটি চোখ জাহান্নামের আগুন দেখবে না। যে চোখ আল্লাহর রাস্তায় পাহারাদারি করে, যে চোখ আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, যে চোখ আল্লাহ কর্তৃক নিষিদ্ধ জিনিস দেখে ক্ষুব্ধ হয়।’ (আল মুজামুল কাবির লিত তিবরানি, হাদিস: ১০০৩)

লেখক: মুহাদ্দিস, জামিয়া কাশেফুল উলুম মাদরাসা, মধুপুর 

 

২৮ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম
২৮ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২৮ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি

আজ ২৮ মার্চ, ২৭ তম রোজা। শুক্রবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪ টা ৩৫ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১৭ মিনিট।

২৮ মার্চ, শুক্রবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৩৫ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১৭ মিনিট
 

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৩)

পবিত্র শবে কদর আজ

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
পবিত্র শবে কদর আজ
ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর আজ বৃহস্পতিবার। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হবে শবে কদরের রজনী। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে সারা দেশে পবিত্র শবে কদর পালিত হবে।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম।

এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারি। অর্জন করতে পারি তাঁর অসীম রহমত, নাজাত, বরকত ও মাগফেরাত। 

পবিত্র শবেকদরের রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগি করবেন।

পবিত্র রমজান মাসে লাইলাতুল কদরে পবিত্র আল কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রাতে মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। 

এ রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিল ও আখেরি মোনাজাত করবেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে পরেরদিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে রাতব্যাপী ওয়াজ মাহফিল, ধর্মীয় বয়ান ও আখেরি মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের সব মসজিদেই তারাবির নামাজের পর থেকে ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন থাকবে।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিওসমূহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার করবে। এ ছাড়া সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে। সূত্র: বাসস

অমিয়/

কীভাবে বুঝবেন আজ শবে কদর?

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১০:০০ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৫ পিএম
কীভাবে বুঝবেন আজ শবে কদর?
রাতে কোরআন তেলাওয়াতের মনোমুগ্ধকর ছবি। সংগৃহীত

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর হচ্ছে বছরের শ্রেষ্ঠ রাত, যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাসের চেয়েও উত্তম বলে বিবেচিত। তবে এই রাতটি কবে, তা নির্দিষ্টভাবে বলা হয়নি। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আমাকে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়েছে, তবে পরে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতে এটি খুঁজে পাবে।’ (বুখারি, ২০১৪)

আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘এ রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।’ (তাফসিরে ইবনে আব্বাস, পৃষ্ঠা: ৬৫৪) এর ভাবার্থ হলো, ‘এ রাতের ইবাদত, তেলাওয়াত, কিয়াম ও অন্যান্য আমল হাজার মাস ইবাদতের চেয়েও উত্তম।’ (ইবনে কাসির, ১৮/২২৩) 

যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় এ রাতে ইবাদত করে, তার আগের সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (মুসলিম, হাদিস: ৭৬০; বুখারি, হাদিস: ২০১৪)

এখন প্রশ্ন হলো, কীভাবে বুঝবেন আজ মনিমান্বিত সেই রাত? হাদিসে বর্ণিত এ রাতের কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো- 

১. রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাত
শবে কদর রমজান মাসের শেষ দশকের বিজোড় রাতে হবে। বিশেষত, ২১, ২৩, ২৫, ২৭ বা ২৯ তারিখের রাতটি হতে পারে শবে কদর।

২. আবহাওয়া বিশেষ থাকবে
শবে কদর রাতের আবহাওয়া হবে নাতিশীতোষ্ণ, অর্থাৎ তীব্র গরম বা শীত থাকবে না। রাতে গভীর অন্ধকারেও ভাসবে না, বরং স্নিগ্ধ ও শান্ত অনুভূতি থাকবে।

৩. মৃদুমন্দ বাতাস
এ রাতে মৃদুমন্দ বাতাস প্রবাহিত হবে, যা শান্তির অনুভূতি তৈরি করবে এবং ইবাদতের সময় বিশেষ তৃপ্তি দেবে।

৪. ইবাদত করবে তৃপ্তি অনুভব
শবে কদরের রাতে ইবাদত করতে করতে মানুষ বিশেষ এক ধরনের তৃপ্তি অনুভব করবে। তাদের মনে শান্তি এবং সন্তুষ্টি থাকবে, যা স্বাভাবিক রাতের ইবাদত থেকে আলাদা।

৫. আল্লাহ স্বপ্নে জানাতে পারেন
এ রাতে ঈমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে শবে কদরের রাতের ব্যাপারে জানিয়ে দিতে পারেন, যা এই রাতের একটি আলামত হতে পারে।

৬. বৃষ্টির সম্ভাবনা
শবে কদর রাতে বৃষ্টিও হতে পারে, যা এই রাতের বরকতের চিহ্ন হিসেবে ধরা হয়। (মুসনাদে আহমাদ, ২০৯৩০)

৭. সূর্যোদয়ের আলোকরশ্মি
শবে কদরের পর সূর্যোদয় হবে হালকা আলোকরশ্মি নিয়ে, যা পূর্ণিমার চাঁদের মতো হবে। এটি একটি বিশিষ্ট আলামত হিসেবে ধরা হয়। (ইবনে খুজাইমা, ২১৯১)

৮. ইবাদতের সময় সওয়াব বৃদ্ধি
এই রাতের ইবাদত অন্য হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। ফলে একজন মুসলমান তার অতীত গুনাহ থেকে মুক্তি পেয়ে অতিরিক্ত সওয়াব লাভ করতে পারেন।

৯. শবে কদরের রাতের ফজিলত কেয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে
শবে কদর যেহেতু বছরের শ্রেষ্ঠ রাত, তাই এর ফজিলত কেয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী হবে এবং যারা এই রাতে ইবাদত করবেন, তারা বিশেষ পুরস্কৃত হবেন।

১০. শবে কদরের রাতটি আল্লাহর রহমত ও বরকতের রাত
শবে কদর রাতটি এমন একটি রাত, যেখানে আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের ওপর বিশেষ রহমত ও বরকত বর্ষণ করেন। এই রাতে যারা ইবাদত করেন, তারা দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও সুখ লাভ করবেন।

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

রোজা রেখে এবং টাকা দিয়ে কাফফারা রোজা আদায় করা যাবে কি?

প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
রোজা রেখে এবং টাকা দিয়ে কাফফারা রোজা আদায় করা যাবে কি?
চাঁদের আকৃতির মত বিভিন্ন খাবারের ছবি । সংগৃহীত

প্রশ্ন : এক ব্যক্তি আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় রোজার মাধ্যমে কসমের কাফফারা আদায় করতে শুরু করে। দুই দিন রোজা রাখার পর তৃতীয় রোজার দিন সে সম্পদের মাধ্যমে কাফ্ফারা আদায় করার মতো সামর্থ্য অর্জন করে। ফলে সে সম্পদের মাধ্যমে কাফ্ফারা আদায় করার নিয়তে তৃতীয় রোজাটি ভেঙে ফেলে। এখন জানার বিষয় হলো, উক্ত রোজাটির কি কাজা আদায় করতে হবে?

 

উত্তর : প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতে তৃতীয় রোজাটি ভেঙে ফেলা অনুত্তম হয়েছে। তবে এর কাজা আদায় করা জরুরি নয়। কারণ, কসমের কাফ্ফারা আদায়ের ক্ষেত্রে যদি কেউ আর্থিক অসামর্থ্যের কারণে রোজা রাখা শুরু করে এবং পরে সম্পদের মাধ্যমে কাফ্ফারা আদায়ের সামর্থ্য অর্জন করে, তা হলে তার ওপর সম্পদের মাধ্যমে কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এ অবস্থায় পূর্বে রাখা রোজাগুলো কাফফারা হিসেবে গণ্য হয় না।

অতএব, তৃতীয় রোজাটি ভাঙার ফলে এর কাজা আদায় করা জরুরি নয়, তবে নফল হিসেবে পূর্ণ করা উত্তম। (শরহু মুখতাসারিত তাহাবি (৭/৪০৭), ফাতাওয়া হিন্দিয়া (২/৬৪), আদ্দুররুল মুখতার (৩/৭২৭), রদ্দুল মুহতার (৩/৭২৭)

 

লেখক : সহ-সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

 

২৭ মার্চ, ২০২৫  বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৮ এএম
২৭ মার্চ, ২০২৫  বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২৭ মার্চ, ২০২৫  বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি।

আজ ২৭ মার্চ, ২৬ তম রোজা। বৃহস্পতিবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪ টা ৩৯ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১৩ মিনিট।

২৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৩৯ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১৩ মিনিট

 

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৩)

 

সূত্র :  ইসলামিক ফাউন্ডেশন