ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

উম্মাহর প্রয়োজনে যুগোপযোগী বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করে যেতে চাই

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০১ পিএম
উম্মাহর প্রয়োজনে যুগোপযোগী বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করে যেতে চাই
মাকতাবাতুল খিদমাহর পরিচালক মাওলানা আবদুল মান্নান। ছবি: সংগৃহীত

মাওলানা আবদুল মান্নান মাকতাবাতুল খিদমাহর প্রকাশক। ভোলার লালমোহনে জন্ম। গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার হাতেখড়ি। চট্টগ্রামের এক মাদরাসা থেকে হাফেজ হয়েছেন। দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) করেছেন। তাখাসসুল ফিল হাদিস পড়েছেন। তার প্রকাশক হওয়ার গল্প, ইসলামি বইয়ের পাঠকের চাহিদা, কোন ধরনের বই প্রকাশে তিনি আগ্রহী, ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রায়হান রাশেদ


খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন? 
মাওলানা আবদুল মান্নান: প্রকাশক হওয়ার বিষয়টা এক রকম কাকতালীয় ব্যাপার বলেই আমার কাছে মনে হয়। আমি প্রথমে মাদরাসাকেন্দ্রিক দ্বীনি খেদমতের জন্যই মনস্থ করেছিলাম। পড়াশোনা শেষে মাদরাসায় খেদমত শুরু করি। পাশাপাশি প্রকাশনা সেক্টরের সঙ্গেও কিছুটা যুক্ত ছিলাম। পরে আমার কাছে মনে হয়েছে, প্রকাশনা জগৎও দ্বীনি খেদমতের স্বতন্ত্র একটি প্ল্যাটফর্ম। জনমানুষের মাঝে ইসলাম ও ধর্মীয় বিশুদ্ধ জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়া এবং মানুষকে বিশুদ্ধ ইলমের পথে নিয়ে আসা এটা আলেমদের একটি নৈতিক দায়িত্ব। কারণ দ্বীনি ইলম হলো নবিদের তুরাস আর আলেমরা হলেন সেই তুরাসের উত্তরাধিকার। কাজেই বাতিলদের অপব্যাখ্যা এবং মূর্খ লোকদের বিভ্রান্তি থেকে ইলমকে হেফাজতের যে ঐশী দায়িত্ব আমাদের ওপর অর্পিত হয়েছে, সেই দায়িত্ব-কর্তব্য থেকেই এই সেক্টরে যোগদান করা। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের পাঠক দিন দিন বাড়ছে বলে কী আপনি মনে করেন?
মাওলানা আবদুল মান্নান: চারপাশে ইসলামের যে নবজাগরণ বাংলাদেশে লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং যুবসমাজের মনে ইসলামকে জানার যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে; এটা অবশ্যই ধর্মীয় বইয়ের পাঠক বৃদ্ধি পাওয়ার দিকেই ইঙ্গিত করে। ধর্মীয় বইয়ের জগতে সৃজনশীলতা যত বৃদ্ধি পাচ্ছে, পাঠক মহল ততই বাড়ছে এবং সমৃদ্ধ হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, পাঠক বাড়ার এ ধারাবাহিকতা ইনশাআল্লাহ অব্যাহত থাকবে। 

খবরের কাগজ: আপনার প্রকাশনী সম্পর্কে কিছু বলুন। কী ধরনের বই প্রকাশে আপনারা আগ্রহী? 
মাওলানা আবদুল মান্নান: আমার প্রকাশনী আমার স্বপ্নের জায়গা। আমি আমার স্বপ্নটিকে সুন্দর করে পরিচর্যা করে বাস্তবায়ন করতে চাই। প্রথমত ধর্মীয় বিশুদ্ধ জ্ঞান এবং ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা ছাত্রসমাজসহ মুসলমানদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে আমরা দরসি বইগুলো যুগোপযোগী ও মানসম্পন্ন করে প্রকাশ করছি। দ্বিতীয়ত সৃজনশীল বইয়ের ক্ষেত্রে আমরা আমাদের আকাবিরদের কারনামাগুলো বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই। উম্মাহর প্রয়োজনকে সামনে রেখে আমরা যুগোপযোগী বুদ্ধিভিত্তিক কাজ করে যেতে চাই, যে কাজগুলো আমাদেরকে শতাব্দীর পর শতাব্দী স্মরণ রাখবে। 

খবরের কাগজ: মানসম্মত বই প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা কেমন?
মাওলানা আবদুল মান্নান: মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য আমাদের রয়েছে বিজ্ঞ লেখক, অনুবাদক ও সম্পাদক চৌকস টিম। টিমটি মানসম্মত বই প্রকাশের জন্য এবং লেখার মান সমৃদ্ধ করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা সবে মাত্র এ সেক্টরে এসেছি। মাত্র বছর তিনেক হয়েছে। আমরা আমাদের লেখক, অনুবাদক এবং সম্পাদক প্যানেলকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। আর বই বাহ্যিকভাবে সুন্দর করতে আমরা আমাদের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে আমরা কোনো আপস করি না। কারণ খিদমাহর একটি মূলনীতি হলো সৃজনশীলতা। কাজেই আমরা বইয়ের ভেতরগত দিক ও বাহ্যিক দিক উভয়টি সুন্দর করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
মাওলানা আবদুল মান্নান: এর জন্য গণমুখী দাওয়াতি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। উম্মাহর প্রয়োজনকে সামনে রেখে বই প্রকাশ করতে হবে। এর পর সোশ্যাল মিডিয়া এবং গণমাধ্যমগুলোতে সেসব বইয়ের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা করে সব ধরনের পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। 

 

২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি

আজ ২১ মার্চ, ২০ তম রোজা। শুক্রবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।

২১ মার্চ, শুক্রবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময়: ৪.৪৫ মিনিট
ইফতারের সময়: ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

মান্নতের রোজা উদ্দেশ্যপূরণের আগে রাখা শুরু করা যাবে কি?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
মান্নতের রোজা উদ্দেশ্যপূরণের আগে রাখা শুরু করা যাবে কি?
আরবিতে রমজান কারিম লেখা ক্যালিগ্রাফির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে একটি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অনেক চিকিৎসার পরও তিনি সুস্থ হচ্ছিলেন না। তাই আমি মান্নত করেছিলাম যে, তিনি সুস্থ হলে আমি ১০ দিন রোজা রাখব। কিন্তু তার পরও তিনি সুস্থ না হওয়ায় আমি মনে মনে ভাবলাম যে, মান্নতের রোজাগুলো রাখা শুরু করলে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। এর পর আমি ১০টি রোজা রাখি এবং তার পর তিনি সুস্থ হয়ে যান। এখন জানার বিষয় হলো, আমাকে কি আবার ওই মান্নতের রোজাগুলো রাখতে হবে?

 

উত্তর : প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে পুনরায় ১০টি রোজা রাখতে হবে। কারণ, আপনি মান্নত করেছিলেন যে, আপনার স্বামী সুস্থ হলে আপনি ১০টি রোজা রাখবেন। কিন্তু আপনি তার সুস্থ হওয়ার আগেই রোজাগুলো রাখা শুরু করে দিয়েছেন। ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, মান্নতের রোজা তখনই আদায় হবে, যখন মান্নতের শর্তপূরণ হওয়ার পর তা রাখা হবে। 


অতএব, মান্নত পূরণের জন্য আপনাকে পুনরায় ১০টি রোজা রাখতে হবে। আপনি যে রোজাগুলো রেখেছেন তা নফল হিসেবে গণ্য হবে, মান্নতের রোজা হিসেবে নয়। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া (৩/৪৩৩), ফাতাওয়া হিন্দিয়া (১/২১০), ইমদাদুল ফাত্তাহ (পৃ. ৭০৭), হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী (পৃ. ৩৮১)

লেখক :  সহ-সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

 

নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?
খেজুর দিয়ে সাজানো খাবারের থালার ছবি । সংগৃহীত

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন সুস্থ প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। সঠিকভাবে রোজা আদায়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধিবিধান। তাই রোজা সঠিকভাবে আদায় করতে হলে অবশ্যই মাসয়ালা মাসায়েল সম্পর্কে জানতে হবে।


নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে? এই ধরনের প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে খাওয়া-দাওয়া করতে কোনো নিষেধ নেই। তবে কুলি করে, উভয় হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করা উত্তম। গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও গোসল না করেই সাহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোজা সঠিক হয়ে যাবে এবং এতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। 


তবে মনে রাখতে হবে, ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময়মতো নামাজ আদায় করতে হবে। রোজা যেমন ফরজ বিধান, ঠিক তেমনই নামাজও ফরজ বিধান। সব সময়ই একটি বিষয় স্মরণে রাখা, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া কবিরা গুনাহ। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।


কেননা একটি গুনাহই জাহান্নামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে আল্লাহ যদি ক্ষমা করেন। (মুসলিম ২৫৯২; বাদায়েউস সানায়ে, ১/১৫১)
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন। এর পর তিনি গোসল করে নিতেন। ফজর নামাজ পড়তেন। এভাবে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৮২৯; মুসলিম ১১০৯) 

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক 

যেভাবে রমজান কাটাতেন রাসুলুল্লাহ (সা.)—১৯ রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন
আলোয় উজ্জ্বল চাঁদের ছবি । সংগৃহীত

রোজা শুধু আল্লাহর জন্য এবং তিনিই এর প্রতিদান দেবেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে ইরশাদ করেছেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম—তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম, ১১৫১) 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা হলো ঢাল ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার মজবুত দুর্গ। (মুসনাদে আহমদ, ৯২২৫)  
আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (৭০ বছরের) দূরত্বে সরিয়ে দেবেন। (মুসলিম, ১১৫৩)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন রোজাদাররাই শুধু সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সে দিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি, ১৮৯৬) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন সেই সত্তার শপথ রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মেশকের ঘ্রাণ থেকেও প্রিয়। (বুখারি, ১১৫১)


আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, এরপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমদ, ৬৬২৬)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ যখন পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ও ধন-সম্পদের কারণে গুনাহ করে ফেলে, তখন নামাজ, রোজা, সদকা সে গুনাহগুলোকে মিটিয়ে দেয়। (মেশকাত, ১৭৩)  অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, পৃষ্ঠা: ৪০২)


আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা নিজের ওপর অবধারিত করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজা রাখার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন।
এ ছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দোয়া করেন তখন তার দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ দোয়া কবুল করা হয়। (জামেউল আহাদিস, ১৮৬৮৩)

 

লেখক : আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক

২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি।

আজ ২০ মার্চ, ১৯ তম রোজা। বৃহস্পতিবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৬ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।


২০ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৪৬ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র :  ইসলামিক ফাউন্ডেশন