ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

নবিজির (সা.) প্রোডাক্টিভ রুটিন ও সুন্নাহ লাইফস্টাইল নিয়ে বাংলায় প্রথম বই

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৬ পিএম
নবিজির (সা.) প্রোডাক্টিভ রুটিন ও সুন্নাহ লাইফস্টাইল নিয়ে বাংলায় প্রথম বই
উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ (সা.) বইয়ের প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আদর্শই সবার জন্য অনুকরণীয় আদর্শ অভিহিত করে বলেন, ‘আল্লাহর রাসুলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব, আয়াত: ২১)। মানুষের জীবনের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সব বিষয়ে মহান আল্লাহর নির্দেশনা কী, রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজের জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে তা দেখিয়ে দিয়েছেন। মানুষ কীভাবে আল্লাহর ইবাদত করবে এবং কীভাবে ২৪ ঘণ্টা সময় কাটাবে—মানুষের দিন-রাত কেমন করে কাটানো উচিত, কোন সময় কি করবে, কখন ঘুমাবে, কখন হাঁটবে, কখন খাবে, কোন সময় স্ত্রীর সঙ্গে একান্ত সময় যাপন করবে, এর সবকিছু স্পষ্টভাবে বলেছেন নবিজি (সা.)। তাঁর রুটিনমাফিক জীবনজুড়ে রয়েছে সেসব কাজকর্ম। তিনি দিন-রাতের ২৪ ঘণ্টা সময় কাটিয়েছেন নিয়মের ভেতর দিয়ে। মুসলিম মাত্রই জানতে চান, মুহাম্মাদ (সা.)-এর দিন-রাত কীভাবে কেটেছে? তিনি ২৪ ঘণ্টায় কি কি কাজ করতেন? তাঁর জীবনের রুটিন কেমন ছিল? তার লাইফস্টাইল কোন ধরনের ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ২৪ ঘণ্টার রুটিন ও তাঁর সুন্নাহ লাইফস্টাইল জানার এক হীরকখণ্ড উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ (সা.)। 

পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বর্ণনা থেকে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর আনুগত্য করা এবং তাঁর দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক ও মাসিক রুটিন (সুন্নত, দোয়া ও আমল), অভ্যাস ও জীবনধারা অনুসরণ করার মধ্যেই দুনিয়ার সফলতা ও পরকালের মুক্তি রয়েছে। তাঁর জীবনধারা উম্মতের জন্য অনুকরণীয়-অনুসরণীয় সুন্দরতম আদর্শ। একমাত্র রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নতি আমলগুলো অনুসরণে প্রত্যেক মুমিন-মুসলমানের যাবতীয় কল্যাণ নিহিত। তাঁর প্রতিদিনের সুন্নত, দোয়া, আমল ও জীবনযাপনের রুটিন জানার অনন্য এ বই। 

কীভাবে শুরু হতো রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সকাল? কখন ঘুম থেকে উঠতেন তিনি? নাশতায় কি খেতেন? নাকি আমাদের মতো নাশতা না করেই চলে যেতেন কর্মস্থলে? দুপুরের সময়টা কীভাবে কাটত তাঁর? বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলে কী করতেন? কখন এবং কীভাবে ঘুমাতেন তিনি? ঘুমানোর ঠিক কতক্ষণ আগে রাতের খাবার খেতেন? স্বামী হিসেবে কতটা উত্তম ছিলেন তিনি? সপ্তাহের কোন কোন দিন রোজা রাখতেন এবং বছরের কোন মাসে কখন, কীভাবে, কী কী আমল করতেন রাসুলুল্লাহ (সা.)? প্রোডাক্টিভিটির কোনো ছোঁয়া ছিল কি তাঁর দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক ও মাসিক রুটিন এবং জীবনধারায়? এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর মিলবে এ বইটির পাতায় পাতায়।

এ বইটিতে বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যথা-

  • রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রোডাক্টিভ রুটিন এবং সুন্নাহ লাইফস্টাইলকে বর্তমান সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে বুঝতে ও আমল করতে সহজ হয়।
  • প্রোডাক্টিভ লাইফস্টাইল মেইনটেন করে জীবনে সফল হওয়ার জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর রুটিন ও লাইফস্টাইলই যে সর্বোত্তম অনুকরণীয় আদর্শ এবং তিনিই যে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ প্রোডাক্টিভ মানুষ— তা প্রমাণ করা হয়েছে।
  • দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক ও মাসিক প্রোডাক্টিভ রুটিন এবং সুন্নাহ লাইফস্টাইল তুলে ধরার পাশাপাশি এগুলোর আদায়পদ্ধতি এবং বিধান তুলে ধরা হয়েছে।
  • গ্রাফ, ইনফোগ্রাফিক ডিজাইন ও ছক আকারে বিভিন্ন বিষয়াবলি উপস্থাপন করা হয়েছে।
  • সুপ্রসিদ্ধ ছয়টি হাদিস গ্রন্থসহ বিশুদ্ধ বিভিন্ন হাদিস গ্রন্থ থেকে প্রায় দেড় হাজার বিশুদ্ধ বর্ণনা বা রেওয়ায়েতের আলোকে বইটি রচিত হয়েছে।

বইটি লিখেছেন মিরাজ রহমান। প্রকাশ করেছে সুলতানস। ৩৮২ পৃষ্ঠার বইটির মুদ্রিত মূল্য ৭০০ টাকা। দেশের অভিজাত সব লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন অনলাইন বুকশপে বইটি পাওয়া যায়। সরাসরি সুলতানস থেকে বইটি কিনতে ভিজিট করুন ফেসবুক পেজে

বই: উসওয়াতুন হাসানা প্রোডাক্টিভ মুহাম্মাদ 
লেখক: মিরাজ রহমান 
প্রকাশক: সুলতানস 
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৩৮৪
মুদ্রিত মূল্য: ৭০০ টাকা
মোবাইল: ০১৮১০০১১১২৫

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি

আজ ২১ মার্চ, ২০ তম রোজা। শুক্রবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।

২১ মার্চ, শুক্রবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময়: ৪.৪৫ মিনিট
ইফতারের সময়: ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

মান্নতের রোজা উদ্দেশ্যপূরণের আগে রাখা শুরু করা যাবে কি?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
মান্নতের রোজা উদ্দেশ্যপূরণের আগে রাখা শুরু করা যাবে কি?
আরবিতে রমজান কারিম লেখা ক্যালিগ্রাফির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে একটি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অনেক চিকিৎসার পরও তিনি সুস্থ হচ্ছিলেন না। তাই আমি মান্নত করেছিলাম যে, তিনি সুস্থ হলে আমি ১০ দিন রোজা রাখব। কিন্তু তার পরও তিনি সুস্থ না হওয়ায় আমি মনে মনে ভাবলাম যে, মান্নতের রোজাগুলো রাখা শুরু করলে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। এর পর আমি ১০টি রোজা রাখি এবং তার পর তিনি সুস্থ হয়ে যান। এখন জানার বিষয় হলো, আমাকে কি আবার ওই মান্নতের রোজাগুলো রাখতে হবে?

 

উত্তর : প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে পুনরায় ১০টি রোজা রাখতে হবে। কারণ, আপনি মান্নত করেছিলেন যে, আপনার স্বামী সুস্থ হলে আপনি ১০টি রোজা রাখবেন। কিন্তু আপনি তার সুস্থ হওয়ার আগেই রোজাগুলো রাখা শুরু করে দিয়েছেন। ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, মান্নতের রোজা তখনই আদায় হবে, যখন মান্নতের শর্তপূরণ হওয়ার পর তা রাখা হবে। 


অতএব, মান্নত পূরণের জন্য আপনাকে পুনরায় ১০টি রোজা রাখতে হবে। আপনি যে রোজাগুলো রেখেছেন তা নফল হিসেবে গণ্য হবে, মান্নতের রোজা হিসেবে নয়। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া (৩/৪৩৩), ফাতাওয়া হিন্দিয়া (১/২১০), ইমদাদুল ফাত্তাহ (পৃ. ৭০৭), হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী (পৃ. ৩৮১)

লেখক :  সহ-সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

 

নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?
খেজুর দিয়ে সাজানো খাবারের থালার ছবি । সংগৃহীত

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন সুস্থ প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। সঠিকভাবে রোজা আদায়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধিবিধান। তাই রোজা সঠিকভাবে আদায় করতে হলে অবশ্যই মাসয়ালা মাসায়েল সম্পর্কে জানতে হবে।


নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে? এই ধরনের প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে খাওয়া-দাওয়া করতে কোনো নিষেধ নেই। তবে কুলি করে, উভয় হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করা উত্তম। গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও গোসল না করেই সাহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোজা সঠিক হয়ে যাবে এবং এতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। 


তবে মনে রাখতে হবে, ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময়মতো নামাজ আদায় করতে হবে। রোজা যেমন ফরজ বিধান, ঠিক তেমনই নামাজও ফরজ বিধান। সব সময়ই একটি বিষয় স্মরণে রাখা, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া কবিরা গুনাহ। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।


কেননা একটি গুনাহই জাহান্নামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে আল্লাহ যদি ক্ষমা করেন। (মুসলিম ২৫৯২; বাদায়েউস সানায়ে, ১/১৫১)
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন। এর পর তিনি গোসল করে নিতেন। ফজর নামাজ পড়তেন। এভাবে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৮২৯; মুসলিম ১১০৯) 

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক 

যেভাবে রমজান কাটাতেন রাসুলুল্লাহ (সা.)—১৯ রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন
আলোয় উজ্জ্বল চাঁদের ছবি । সংগৃহীত

রোজা শুধু আল্লাহর জন্য এবং তিনিই এর প্রতিদান দেবেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে ইরশাদ করেছেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম—তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম, ১১৫১) 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা হলো ঢাল ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার মজবুত দুর্গ। (মুসনাদে আহমদ, ৯২২৫)  
আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (৭০ বছরের) দূরত্বে সরিয়ে দেবেন। (মুসলিম, ১১৫৩)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন রোজাদাররাই শুধু সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সে দিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি, ১৮৯৬) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন সেই সত্তার শপথ রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মেশকের ঘ্রাণ থেকেও প্রিয়। (বুখারি, ১১৫১)


আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, এরপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমদ, ৬৬২৬)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ যখন পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ও ধন-সম্পদের কারণে গুনাহ করে ফেলে, তখন নামাজ, রোজা, সদকা সে গুনাহগুলোকে মিটিয়ে দেয়। (মেশকাত, ১৭৩)  অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, পৃষ্ঠা: ৪০২)


আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা নিজের ওপর অবধারিত করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজা রাখার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন।
এ ছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দোয়া করেন তখন তার দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ দোয়া কবুল করা হয়। (জামেউল আহাদিস, ১৮৬৮৩)

 

লেখক : আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক

২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি।

আজ ২০ মার্চ, ১৯ তম রোজা। বৃহস্পতিবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৬ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।


২০ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৪৬ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র :  ইসলামিক ফাউন্ডেশন