ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

মুক্তির বরাত নিয়ে এলো শবেবরাত

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
মুক্তির বরাত নিয়ে এলো শবেবরাত
প্রার্থনারত এক ব্যক্তির ছবি। সংগৃহীত

শব ফারসি শব্দ, অর্থ রাত। বারাআত শব্দটি আরবি, অর্থ মুক্তি। শবে বারাআত হলো মুক্তির রজনী। হিজরি অষ্টম মাস শাবানের চৌদ্দ তারিখ রাতে মহান আল্লাহতায়ালা অসংখ্য মানুষকে মাফ করেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এ কারণে এই রাতকে শবেবরাত বা মুক্তির রজনী বলা হয়। আরবিতে এ রাতকে ‘লায়লাতুন নিসফি মিন শাবান’ বলা হয়।
বান্দা যত বড় গুনাহই করুক না কেন, খাঁটি দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করলে তিনি ক্ষমা করে দেন। ক্ষমার জন্য তিনি কোনো সময় বা দিনকে নির্দিষ্ট করেননি। তবে কোরআন ও হাদিসে এমন কিছু সময় ও দিনের কথা উল্লেখ হয়েছে, যার ফজিলত অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি। এর মধ্যে অন্যতম শাবান মাসের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতটি। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে দাঁড়ালেন এবং এত দীর্ঘ সেজদা করলেন যে আমার ধারণা হলো, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন; আমি তখন উঠে তাঁর পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি নাড়া দিলাম, তাঁর বৃদ্ধাঙ্গুলি নড়ল; তিনি সেজদা থেকে উঠলেন এবং নামাজ শেষ করে আমাকে লক্ষ করে বললেন, হে আয়েশা, তোমার কি এ আশঙ্কা হয়েছে? আমি উত্তরে বললাম,  হে আল্লাহর রাসুল, আপনার দীর্ঘ সেজদা থেকে আমার আশঙ্কা হয়েছিল আপনি মৃত্যুবরণ করেছেন কি না? নবিজি (সা.) বললেন, তুমি কি জানো এটা কোন রাত? আমি বললাম, আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলই ভালো জানেন। তখন নবিজি (সা.) বললেন, এটা হলো অর্ধশাবানের রাত; এ রাতে আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন; ক্ষমাপ্রার্থনাকারীদের ক্ষমা করে দেন, অনুগ্রহ প্রার্থীদের অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদের তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।’ (শুআবুল ইমান, খণ্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৩৮২)
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তুমি কি জানো, অর্ধ শাবানের রাতের কার্যক্রম কী? আয়েশা (রা.) বললেন, না, হে আল্লাহর রাসুল। নবি (সা.) বললেন, এ বছর যতজন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এবং মারা যাবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়। এ রাতেই মানুষের আমল পৌঁছানো হয় এবং এ রাতেই তাদের রিজিক অবতীর্ণ হয়।’ (মিশকাতুল মাসাবিহ, হাদিস: ১৩০৫)
আতা ইবনে ইয়াসার (রহ.) থেকে বর্ণিত, ‘শাবানের ১৫তম রাতে মৃতদের তালিকা (মৃত্যুর দায়িত্বে নিয়োজিত ফেরেশতার কাছে) দেওয়া হয়। এমনকি কোনো লোক সফরে বের হয়, অথচ তাকে জীবিতদের তালিকা থেকে মৃতদের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কেউ বিয়ে করে অথচ তাকে জীবিতদের তালিকা থেকে মৃতদের তালিকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।’ (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, ৭৯২৫)
আয়েশা (রা.) বলেন, ‘এক রাতে আমি নবি (সা.)-কে (বিছানায়) না পেয়ে তাঁর খোঁজে বের হলাম। আমি লক্ষ্য করলাম, তিনি জান্নাতুল বাকিতে, তাঁর মাথা আকাশের দিকে তুলে আছেন। তিনি বলেন, হে আয়েশা, তুমি কি আশঙ্কা করেছো যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তোমার প্রতি অবিচার করবেন? আয়েশা (রা.) বলেন, তা নয়; বরং আমি ভাবলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোনো স্ত্রীর কাছে গেছেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে দুনিয়ার নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন এবং কালব গোত্রের মেষপালের পশমের চেয়েও অধিকসংখ্যক মানুষের গুনাহ মাফ করেন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৯)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহতায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ছাড়া সবাইকে ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে হিব্বান, হাদিস: ৫৬৬৫)
আলি ইবনে আবি তালিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যখন অর্ধ শাবানের রাত তোমাদের সামনে আসে, তখন তোমরা নামাজ আদায় করো এবং পরের দিনে রোজা রাখো। আল্লাহতায়ালা এ রাতে সূর্যাস্তের পর প্রথম আসমানে অবতরণ করেন। এর পর তিনি এই বলে ডাকতে থাকেন—তোমাদের মধ্যে আছে কি কোনো ক্ষমা প্রার্থনাকারী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। তোমাদের মধ্যে আছে কি কোনো রিজিক অন্বেষণকারী? আমি তাকে রিজিক দান করব। তোমাদের মধ্যে আছে কি কোনো বিপদগ্রস্ত? আমি তার বিপদ দূর করে দেব। ফজর উদয় হওয়া পর্যন্ত এভাবেই চলতে থাকে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৩৮৮)
প্রসিদ্ধ তাবেয়ি আতা ইবনে ইয়াসার (রহ.) বলেন, ‘শাবান মাসের পনেরো তারিখের রাতের চেয়ে উত্তম কোনো রাত নেই।’ (লাতায়িফুল মাআরিফ, ১৫১)। শবেবরাতের রাতে গুরুত্বের সঙ্গে কয়েকটি আমল করা যেতে পারে। যেমন- নফল নামাজ আদায়, তওবা করা, কোরআন তেলাওয়াত ও জিকির করা। পরদিন রোজা রাখা। শবেবরাতে আল্লাহর কাছে গুনাহ মাফের জন্য প্রার্থনা ও হাদিসে বর্ণিত আমল করব। পাশাপাশি প্রচলিত ভুল কাজগুলো বর্জন করব।  

লেখক: শিক্ষক জামিয়া মাহমুদিয়া অলিনগর সিকদারবাগ মাদরাসা, সাভার

 

২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২১ মার্চ, ২০২৫ শুক্রবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি

আজ ২১ মার্চ, ২০ তম রোজা। শুক্রবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৫ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।

২১ মার্চ, শুক্রবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময়: ৪.৪৫ মিনিট
ইফতারের সময়: ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

মান্নতের রোজা উদ্দেশ্যপূরণের আগে রাখা শুরু করা যাবে কি?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
মান্নতের রোজা উদ্দেশ্যপূরণের আগে রাখা শুরু করা যাবে কি?
আরবিতে রমজান কারিম লেখা ক্যালিগ্রাফির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে একটি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। অনেক চিকিৎসার পরও তিনি সুস্থ হচ্ছিলেন না। তাই আমি মান্নত করেছিলাম যে, তিনি সুস্থ হলে আমি ১০ দিন রোজা রাখব। কিন্তু তার পরও তিনি সুস্থ না হওয়ায় আমি মনে মনে ভাবলাম যে, মান্নতের রোজাগুলো রাখা শুরু করলে তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন। এর পর আমি ১০টি রোজা রাখি এবং তার পর তিনি সুস্থ হয়ে যান। এখন জানার বিষয় হলো, আমাকে কি আবার ওই মান্নতের রোজাগুলো রাখতে হবে?

 

উত্তর : প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে পুনরায় ১০টি রোজা রাখতে হবে। কারণ, আপনি মান্নত করেছিলেন যে, আপনার স্বামী সুস্থ হলে আপনি ১০টি রোজা রাখবেন। কিন্তু আপনি তার সুস্থ হওয়ার আগেই রোজাগুলো রাখা শুরু করে দিয়েছেন। ইসলামি শরিয়তের বিধান অনুযায়ী, মান্নতের রোজা তখনই আদায় হবে, যখন মান্নতের শর্তপূরণ হওয়ার পর তা রাখা হবে। 


অতএব, মান্নত পূরণের জন্য আপনাকে পুনরায় ১০টি রোজা রাখতে হবে। আপনি যে রোজাগুলো রেখেছেন তা নফল হিসেবে গণ্য হবে, মান্নতের রোজা হিসেবে নয়। (ফাতাওয়া তাতারখানিয়া (৩/৪৩৩), ফাতাওয়া হিন্দিয়া (১/২১০), ইমদাদুল ফাত্তাহ (পৃ. ৭০৭), হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী (পৃ. ৩৮১)

লেখক :  সহ-সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

 

নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে কী ?
খেজুর দিয়ে সাজানো খাবারের থালার ছবি । সংগৃহীত

ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভের মধ্যে রোজা একটি ফরজ ইবাদত। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, জ্ঞানসম্পন্ন সুস্থ প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা ফরজ। সঠিকভাবে রোজা আদায়ের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিধিবিধান। তাই রোজা সঠিকভাবে আদায় করতে হলে অবশ্যই মাসয়ালা মাসায়েল সম্পর্কে জানতে হবে।


নাপাক অবস্থায় সাহরি খেয়ে রোজা রাখা যাবে? এই ধরনের প্রশ্ন অনেকে করে থাকেন। মনে রাখতে হবে, যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে খাওয়া-দাওয়া করতে কোনো নিষেধ নেই। তবে কুলি করে, উভয় হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করা উত্তম। গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও গোসল না করেই সাহরি খেয়ে রোজা রাখলে রোজা সঠিক হয়ে যাবে এবং এতে কোনো ধরনের সমস্যা হবে না। 


তবে মনে রাখতে হবে, ফজরের ওয়াক্ত থাকতেই গোসল করে সময়মতো নামাজ আদায় করতে হবে। রোজা যেমন ফরজ বিধান, ঠিক তেমনই নামাজও ফরজ বিধান। সব সময়ই একটি বিষয় স্মরণে রাখা, গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া কবিরা গুনাহ। যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।


কেননা একটি গুনাহই জাহান্নামে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে আল্লাহ যদি ক্ষমা করেন। (মুসলিম ২৫৯২; বাদায়েউস সানায়ে, ১/১৫১)
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন। এর পর তিনি গোসল করে নিতেন। ফজর নামাজ পড়তেন। এভাবে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৮২৯; মুসলিম ১১০৯) 

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক 

যেভাবে রমজান কাটাতেন রাসুলুল্লাহ (সা.)—১৯ রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
রোজাদারকে যেভাবে সম্মানিত করেছেন
আলোয় উজ্জ্বল চাঁদের ছবি । সংগৃহীত

রোজা শুধু আল্লাহর জন্য এবং তিনিই এর প্রতিদান দেবেন মর্মে হাদিসে কুদসিতে ইরশাদ করেছেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম—তা শুধু আমার জন্য, আমিই তার প্রতিদান দেব। (মুসলিম, ১১৫১) 
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা হলো ঢাল ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার মজবুত দুর্গ। (মুসনাদে আহমদ, ৯২২৫)  
আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য এক দিন রোজা রাখবে, আল্লাহ তার থেকে জাহান্নামকে এক খরিফ (৭০ বছরের) দূরত্বে সরিয়ে দেবেন। (মুসলিম, ১১৫৩)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, জান্নাতে একটি দরজা রয়েছে। যার নাম রাইয়ান। কিয়ামতের দিন রোজাদাররাই শুধু সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবেন। তাদের ছাড়া অন্য কেউ সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। সে দিন ঘোষণা করা হবে, রোজাদাররা কোথায়? তখন তারা দাঁড়িয়ে যাবে এবং সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে। যখন তাদের প্রবেশ শেষ হবে, তখন দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফলে তারা ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। (বুখারি, ১৮৯৬) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যার হাতে মুহাম্মাদের জীবন সেই সত্তার শপথ রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহতায়ালার কাছে মেশকের ঘ্রাণ থেকেও প্রিয়। (বুখারি, ১১৫১)


আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে রোজা বলবে, হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও সহবাস থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। কোরআন বলবে, হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি, তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি বলেন, এরপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। (মুসনাদে আহমদ, ৬৬২৬)


রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষ যখন পরিবার-পরিজন, প্রতিবেশী ও ধন-সম্পদের কারণে গুনাহ করে ফেলে, তখন নামাজ, রোজা, সদকা সে গুনাহগুলোকে মিটিয়ে দেয়। (মেশকাত, ১৭৩)  অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সঙ্গে রোজা রাখবে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আহমদ ইবনে হাম্বল, পৃষ্ঠা: ৪০২)


আবু মুসা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা নিজের ওপর অবধারিত করে দিয়েছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গ্রীষ্মকালে (রোজা রাখার কারণে) পিপাসার্ত থেকেছে, তিনি তাকে তৃষ্ণার দিন (কিয়ামতের দিন) পানি পান করাবেন।
এ ছাড়া আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ইফতারের সময় রোজাদার যখন দোয়া করেন তখন তার দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ দোয়া কবুল করা হয়। (জামেউল আহাদিস, ১৮৬৮৩)

 

লেখক : আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক

২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২০ মার্চ, ২০২৫ বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি।

আজ ২০ মার্চ, ১৯ তম রোজা। বৃহস্পতিবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪টা ৪৬ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১০ মিনিট।


২০ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৪৬ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১০ মিনিট


জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৪৩)

 

সূত্র :  ইসলামিক ফাউন্ডেশন