
মানুষের সম্পদ তিনটি—দান, নিজের আহারকৃত বস্তু, ব্যবহৃত পোশাক। তা ছাড়া বাকি সম্পদের মালিক তার ওয়ারিশরা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আদম সন্তান বলেন, আমার সম্পদ, আমার সম্পত্তি। কিন্তু যে জিনিস তুমি দান-সদকা করেছ (আল্লাহতায়ালার খাতায়) তা জমা রেখেছ, যা খেয়ে শেষ করেছ কিংবা যা পরিধান করে পুরোনো করেছ, এগুলো ছাড়া তোমার সম্পদ বলতে কিছু নেই।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩৩৫৪)
মানুষের মৃত্যুর পর সব নেক আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তবে তিনটি কাজ করে গেলে এর সওয়াব মৃত্যুর পরও সে পেতে থাকবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ যখন মৃত্যুবরণ করে তখন তার আমলের সুযোগও বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি আমলের সওয়াব বন্ধ হয় না।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ২৮৮০)
আরও পড়ুন: মুসলিম শিশুর প্রথম শিক্ষা
এক. সদকায়ে জারিয়া: মৃত্যুর পরও সদকায়ে জারিয়ার সওয়াব পাওয়া যায়। মসজিদ-মাদরাসা নির্মাণ, রাস্তায় সুপেয় পানির ব্যবস্থা ইত্যাদি হলো সদকায়ে জারিয়া। মসজিদে মানুষ নামাজ আদার করলে মসজিদ নির্মাতার নামে সওয়াবের একটা অংশ পৌঁছে যায়, যা সে মৃত্যুর পরও কবরে শুয়ে পেতে থাকবে। অনুরূপভাবে সওয়াব পেতে থাকবে মাদরাসা বা অন্য কোনো কল্যাণকর কাজ করে গেলেও।
দুই. এমন জ্ঞান, যা দিয়ে মানুষ উপকৃত হয়: যেমন- বই রচনা করা। সুযোগ্য শিষ্য তৈরি করা, যা থেকে মানুষ যুগ যুগ ধরে উপকৃত হবে।
তিন. নেক সন্তান—যে তার জন্য দোয়া করে: মা-বাবার মৃত্যুর পর কবরের পাশে গিয়ে বা দূর থেকে দোয়া করবে—এমন সন্তান দুনিয়ায় রেখে যেতে চাইলে সর্বপ্রথম মা-বাবাকে হতে হবে একজন আদর্শবান ও আল্লাহ ভীরু। সন্তানকে দিতে হবে ধর্মীয় শিক্ষা ও উত্তম আদর্শ। তা হলেই সে মা-বাবার মৃত্যুর পর দোয়া করবে। কবর জিয়ারত করবে।
লেখক: আলেম ও মাদরাসা শিক্ষক