
আহমাদ গালিব মাকতাবাতুল ইসলামের স্বত্বাধিকারী। কওমি মাদরাসার পাঠ্যবই, অনুবাদ, ইতিহাস, পরকাল ভাবনা ইত্যাদি বিষয়ের বই প্রকাশ করে বেশ সুনাম করেছেন তিনি। ইসলামি প্রকাশনাশিল্পে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তার প্রকাশক হওয়ার গল্প, মানসম্মত বই প্রকাশে ভূমিকা, পাঠকদের জন্য বইমেলায় চমক, ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে করণীয় ও তরুণ লেখক-প্রকাশকদের সম্পর্কে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রায়হান রাশেদ
খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন?
আহমাদ গালিব: লেখালেখি, বই পাঠ, বই কেনা ছোটবেলা থেকেই নেশার মতো ছিল। বইয়ের প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকেই ক্রমে প্রকাশক হয়ে উঠেছি।
খবরের কাগজ: মানসম্মত বই প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা কেমন?
আহমাদ গালিব: মাকতাবাতুল ইসলাম মানসম্পন্ন বই প্রকাশের ক্ষেত্রে অগ্রপথিক দাবি করার মতো একটি প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের স্লোগান হলো ‘সেরা মুদ্রণ ও প্রকাশনার অগ্রপথিক’। এই স্লোগানটি শুধু মুখের ভাষা আর লেখায় সীমিত না রেখে মাকতাবাতুল ইসলাম কাজেও পরিণত করে দেখিয়েছে। ইসলামি প্রকাশনায় আমরাই সর্বপ্রথম সাদা কাগজকে ভিন্ন কালার করে ব্যবহার শুরু করি, যা সাদা কাগজের চেয়ে অধিক দৃষ্টিনন্দন।
খবরের কাগজ: এবারের মেলায় আপনারা কোন ধরনের বই বেশি আনছেন? পাঠকদের জন্য কী চমক থাকছে।
আহমাদ গালিব: ইতিহাস, পরকাল ভাবনা, বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।
খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
আহমাদ গালিব: ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে আমি মনে করি, বই প্রদর্শনী কিংবা বইয়ের মেলা আয়োজন বেশ ফলপ্রসূ হবে। এই মেলা যদি প্রতিটি স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা যায়, তাহলে ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের মধ্যে ইসলামি বইয়ের ব্যাপক প্রসার ঘটবে।
খবরের কাগজ: তরুণ লেখক-প্রকাশকদের জন্য আপনার অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ প্রত্যাশা করছি।
আহমাদ গালিব: তরুণ লেখকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, আপনারা বাংলা ভাষাটাকে নিজেদের ভেতরে আরও বেশি করে ধারণ করুন। বাংলা ভাষার রীতি-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন এবং প্রতিনিয়ত চর্চা অব্যাহত রাখুন। প্রকাশকরা শুধু টাকার দিকে না তাকিয়ে সৃজনশীলতা ও বিষয়বস্তুর বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করুন।