ঢাকা ১৩ চৈত্র ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১

বইয়ের সৃজনশীলতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করা জরুরি

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম
বইয়ের সৃজনশীলতা ও বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করা জরুরি
মাকতাবাতুল ইসলামের স্বত্বাধিকারী আহমাদ গালিবের ছবি। সংগৃহীত

আহমাদ গালিব মাকতাবাতুল ইসলামের স্বত্বাধিকারী। কওমি মাদরাসার পাঠ্যবই, অনুবাদ, ইতিহাস, পরকাল ভাবনা ইত্যাদি বিষয়ের বই প্রকাশ করে বেশ সুনাম করেছেন তিনি। ইসলামি প্রকাশনাশিল্পে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তার প্রকাশক হওয়ার গল্প, মানসম্মত বই প্রকাশে ভূমিকা, পাঠকদের জন্য বইমেলায় চমক, ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে করণীয় ও তরুণ লেখক-প্রকাশকদের সম্পর্কে কথা বলেছেন খবরের কাগজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রায়হান রাশেদ

খবরের কাগজ: আপনি প্রকাশক হলেন কেন? 
আহমাদ গালিব: লেখালেখি, বই পাঠ, বই কেনা ছোটবেলা থেকেই নেশার মতো ছিল। বইয়ের প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকেই ক্রমে প্রকাশক হয়ে উঠেছি। 

খবরের কাগজ: মানসম্মত বই প্রকাশে আপনাদের ভূমিকা কেমন?
আহমাদ গালিব: মাকতাবাতুল ইসলাম মানসম্পন্ন বই প্রকাশের ক্ষেত্রে অগ্রপথিক দাবি করার মতো একটি প্রতিষ্ঠান। শুরু থেকেই এই প্রতিষ্ঠানের স্লোগান হলো ‘সেরা মুদ্রণ ও প্রকাশনার অগ্রপথিক’। এই স্লোগানটি শুধু মুখের ভাষা আর লেখায় সীমিত না রেখে মাকতাবাতুল ইসলাম কাজেও পরিণত করে দেখিয়েছে। ইসলামি প্রকাশনায় আমরাই সর্বপ্রথম সাদা কাগজকে ভিন্ন কালার করে ব্যবহার শুরু করি, যা সাদা কাগজের চেয়ে অধিক দৃষ্টিনন্দন।

খবরের কাগজ: এবারের মেলায় আপনারা কোন ধরনের বই বেশি আনছেন? পাঠকদের জন্য কী চমক থাকছে।
আহমাদ গালিব: ইতিহাস, পরকাল ভাবনা, বিশেষ করে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। 

খবরের কাগজ: ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে?
আহমাদ গালিব: ইসলামি বইয়ের জাগরণের ক্ষেত্রে আমি মনে করি, বই প্রদর্শনী কিংবা বইয়ের মেলা আয়োজন বেশ ফলপ্রসূ হবে। এই মেলা যদি প্রতিটি স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা যায়, তাহলে ৫৬ হাজার বর্গ মাইলের মধ্যে ইসলামি বইয়ের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। 

খবরের কাগজ: তরুণ লেখক-প্রকাশকদের জন্য আপনার অভিজ্ঞতালব্ধ পরামর্শ প্রত্যাশা করছি।
আহমাদ গালিব: তরুণ লেখকদের প্রতি পরামর্শ থাকবে, আপনারা বাংলা ভাষাটাকে নিজেদের ভেতরে আরও বেশি করে ধারণ করুন। বাংলা ভাষার রীতি-নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকুন এবং প্রতিনিয়ত চর্চা অব্যাহত রাখুন। প্রকাশকরা শুধু টাকার দিকে না তাকিয়ে সৃজনশীলতা ও বিষয়বস্তুর বস্তুনিষ্ঠতা নিশ্চিত করুন।

২৭ মার্চ, ২০২৫  বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৮ এএম
২৭ মার্চ, ২০২৫  বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২৭ মার্চ, ২০২৫  বৃহস্পতিবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি।

আজ ২৭ মার্চ, ২৬ তম রোজা। বৃহস্পতিবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪ টা ৩৯ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১৩ মিনিট।

২৭ মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৩৯ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১৩ মিনিট

 

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৩)

 

সূত্র :  ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

 

মসজিদ পরিচিতি ⁠ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৭ এএম
⁠ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ
রাতে দৃষ্টিনন্দন তাকওয়া মসজিদের ছবি । সংগৃহীত

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মসজিদগুলোর মধ্যে ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ অন্যতম। এটি তার অনন্য স্থাপত্যশৈলী এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। মসজিদটি ধানমন্ডি ১২/১১ নম্বর সড়কে অবস্থিত এবং এর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ধানমন্ডি লেক, যা মসজিদের সৌন্দর্যকে আরও বৃদ্ধি করে।

এই মসজিদের স্থাপত্যের চেয়ে এর সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য হলো এই মসজিদটি মহান আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি একটি আদর্শ সমাজ গঠন কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সমর্থ হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও ইসলামিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে এখানকার ইমাম-মুসল্লি ও এলাকাবাসী আত্মার আত্মীয়তে পরিণত হয়েছে।

অন্য মসজিদের মতো দৈনন্দিন কার্যক্রম, যেমন-পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সার্বিক নিরাপত্তা, ভোজনশালা ইতাদি তো আছেই। পাশাপাশি আছে বিভিন্ন আধুনিক কার্যক্রম। যাকে মৌলিকভাবে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদের কার্যক্রমকে মূলত দুটি ভাগে ভাগ করা যায়:

১. শিক্ষামূলক কার্যক্রম

২. সেবামূলক কার্যক্রম

শিক্ষা কার্যক্রম

মুসল্লিদের দ্বীন শিক্ষার কথা মাথায় রেখে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় মৌলিক ইসলামি জ্ঞানচর্চার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ। যেমন- প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের আগে দুই মিনিটে একটি করে মাসয়ালা শোনানো এবং ফজর নামাজের পর প্রতিদিন পবিত্র কোরআনের সংক্ষিপ্ত তাফসির করা, মুসল্লিদের বিশুদ্ধ ঈমান-আকিদা ও ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনের সুবিধার্থে বয়স্ক কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করা, স্কুলপড়ুয়া শিশু-কিশোরদের অনাবাসিক মাদরাসার ব্যবস্থা করা, যাতে তারা এখানে বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াত ও ধর্মীয় শিক্ষা অর্জন করতে পারে। আরও আছে মাদরাসায় পড়তে ইচ্ছুক শিশু-কিশোরদের জন্য মক্তব ও হিফজ বিভাগ।

মসজিদ যেহেতু একটি ইসলামি সমাজ পরিচালনার অন্যতম কেন্দ্র, তাই এখান থেকে সমাজসেবামূলক কিছু প্রকল্পও পরিচালিত হয়। যেমন- মাত্র ১০ টাকায় চিকিৎসাসেবা, প্রতিদিন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার সকাল-সন্ধ্যা দুবেলা রোগী দেখেন। মাত্র ১০ টাকার টিকিট সংগ্রহের মাধ্যমে চিকিৎসা ও ওষুধ সেবা পাওয়া যায়। প্রতিদিন প্রায় এক শ জন রোগী এখান থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে থাকেন।

পাশাপাশি শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, দুর্যোগকালে ত্রাণ বিতরণ, অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে হুইলচেয়ার, সেলাই মেশিন ইত্যাদি বিতরণসহ বিভিন্ন রকম সহায়তা করা হয়। বিশেষ করে যারা নও-মুসলিম হন, তাদের ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা, তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা মসজিদ থেকেই করার চেষ্টা করা হয়। গরিব ও দুস্থ শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য আছে বৃত্তির ব্যবস্থা।

এ ছাড়া কোনো মুসলিম মারা গেলে তার লাশ সৎকারের জন্য মসজিদের পক্ষ থেকে আছে মৃতদেহ গোসলের কক্ষ। যেখানে ন্যূনতম ফি প্রদানের মাধ্যমে মৃতদেহ গোসল থেকে শুরু করে কাফন-দাফনে সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।


এ মসজিদের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, মুসল্লিদের জন্য এখানকার দরজা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে, যে কেউ যেকোনো সময় এখানে এসে নামাজ/ইবাদত-বন্দেগি করতে পারে এবং খুশির দিনে যেমন মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের স্মরণ করে, তেমনি বিপদের সময়ও সহযোগিতার জন্য ২৪ ঘণ্টাই ইমাম সাহেবের দ্বারস্থ হওয়ার জন্য মসজিদের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়।

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক 

 

হায়েজের কারণে মান্নতের রোজার দিন পরিবর্তন করা যাবে কি না?

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:০৭ এএম
হায়েজের কারণে মান্নতের রোজার দিন পরিবর্তন করা যাবে কি না?
আরবিতে রমজান কারিম লেখা ক্যালিগ্রাফির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : এক নারী মান্নত করেছে যে, যদি তার ছেলে আগামী মঙ্গলবার বিদেশ থেকে নিরাপদে নিজ বাড়িতে ফিরে আসে, তা হলে সে পরদিন বুধবার রোজা রাখবে। মঙ্গলবার তার ছেলে নিরাপদে বাড়িতে আসে, কিন্তু সেদিনই তার হায়েজ শুরু হয়ে যায়। ফলে বুধবার হায়েজের কারণে সে রোজা রাখতে পারেনি। এখন জানার বিষয় হলো, এই নারী তার মান্নত কীভাবে আদায় করবে? তা আদায়ের সঠিক সময় কখন?

 

উত্তর : প্রশ্নে উল্লিখিত নারী তার মান্নত আদায় করতে চাইলে হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়ার পর একটি রোজা রাখবে। এর মাধ্যমেই তার মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাবে। ইসলামি শরিয়ত অনুযায়ী, হায়েজ বা নিফাসের সময় নারীরা রোজা রাখতে পারেন না। তাই এ অবস্থায় রোজা রাখা সম্ভব না হওয়ায়, পবিত্র হওয়ার পর তা আদায় করে নেওয়া জরুরি। তবে যদি কোনো অসুস্থতাজনিত কারণে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে সুস্থতার পর তার কাজা আদায় করে নেওয়া আবশ্যক।


মান্নতের রোজা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আদায় করা অবশ্য কর্তব্য। যেহেতু এই নারী হায়েজের কারণে নির্ধারিত দিনে রোজা রাখতে পারেনি, তাই তার জন্য পরবর্তী সময়ে একটি রোজা রাখাই যথেষ্ট। এতে তার মান্নত পূর্ণ হয়ে যাবে এবং কোনো অতিরিক্ত কাফ্ফারা বা শাস্তির মুখাপেক্ষী হবে না। কারণ, মান্নতের রোজা বা অন্য কোনো ইবাদত যদি হায়েজ, নিফাস বা অন্য কোনো শরয়ী ওজরের কারণে নির্ধারিত সময়ে আদায় করা সম্ভব না হয়, তা হলে পরবর্তী সময়ে তা আদায় করে নেওয়া যায়। এতে মান্নত সঠিকভাবে আদায় হয়ে যায়।


অতএব, প্রশ্নোক্ত নারী হায়েজ থেকে পবিত্র হওয়ার পর যেকোনো সুবিধাজনক দিনে একটি রোজা রাখবে। এর মাধ্যমেই তার মান্নত আদায় হয়ে যাবে।  (বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৭; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ১/৪৮০; ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৪/১০৩; রদ্দুল মুহতার ৩/৭৩৭।)

 

লেখক : সহ-সম্পাদক, দৈনিক খবরের কাগজ

২৬ মার্চ, ২০২৫ বুধবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি

প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৫ পিএম
২৬ মার্চ, ২০২৫ বুধবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি
২৬ মার্চ, ২০২৫ বুধবারের সাহরি ও ইফতারের সময়সূচির ছবি।

আজ ২৬ মার্চ, ২৫ তম রোজা। বুধবার । এ দিনের সাহরির শেষ সময় ভোর ৪ টা ৪০ মিনিট ও ইফতারির সময় ৬ টা ১২ মিনিট।

২৬ মার্চ, বুধবার, ২০২৫
সাহরির শেষ সময় : ৪.৪০ মিনিট
ইফতারের সময় : ৬.১২ মিনিট

 

জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবী (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি ইফতারের সময় এবং প্রতি রাতে লোকদের জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৬৪৩)

 

সূত্র :  ইসলামিক ফাউন্ডেশন

 

রাসুলুল্লাহ (সা.) যেভাবে রমজান কাটাতেন—২৫ যেভাবে লাইলাতুল কদর তালাশ ও পালন করতেন

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:০০ এএম
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০২:১২ পিএম
যেভাবে লাইলাতুল কদর তালাশ ও পালন করতেন
আরবিতে লায়লাতুল কদর লেখা ছবি । সংগৃহীত
কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, নিশ্চয়ই আমি তা (কোরআন) অবতীর্ণ করেছি কদরের রাতে। আর কদরের রাত সম্পর্কে তুমি কী জান? কদরের রাত সহস্র মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তি বিরাজ করে ঊষার আবির্ভাব পর্যন্ত। (সুরা কদর, ১-৫)
 
আলী ইবনে উরওয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বনি ইসরাঈলের চারজন আবেদ সম্পর্কে বলেছিলেন, তারা আশি বছর ধরে অনবরত আল্লাহর ইবাদত করছিল। এর মধ্যে মুহূর্ত সময়ের জন্যও ইবাদত থেকে তারা বিচ্ছিন্ন হননি। তারা -হলেন, আল্লাহর নবি জাকারিয়া (আ.), আইউব (আ.), হাজকিল ইবনে আজুজ (আ.) এবং ইউশা ইবনে নূহ (আ.)। তা শুনে সাহাবিরা (রা.) রীতিমতো অবাক হলেন। এ সময় জিবরাঈল (আ.) এসে বললেন, ‘হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মতরা এ কথা শুনে অবাক হচ্ছে? তাদের জন্য আল্লাহ এর চেয়ে উত্তম কিছু রেখেছেন। এর পর সুরা কদর পাঠ করা হয়। (ইবনে কাসির, ১৮/২২৩)
 
রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনে লাইলাতুল কদর তালাশ করতেন। তিনি বলেছেন,  আমি কদরের রাতের সন্ধানে প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এর পর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিনে। অতঃপর ওহি পাঠিয়ে আমাকে জানানো হলো— তা শেষ দশ দিনে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে।’ (মুসলিম : হাদিস নং ১১৬৭) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসের শেষ দশ দিনে লাইলাতুল কদরের সন্ধানে ইতিকাফ করতেন।’ (মুসলিম : হাদিস নং ২৬৭১)
 
রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘রমজানের শেষ ১০ দিনে তোমরা কদরের রাত তালাশ করো।’ (বুখারি : হাদিস নং ২০২০; মুসলিম : হাদিস নং ১১৬৯) 
অন্য হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা রমজানের শেষ ১০ দিনের বিজোড় রাতগুলোতে কদরের রাত খোঁজ করো।’ (বুখারি : হাদিস নং ২০১৭)
ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কিছু সাহাবিকে স্বপ্নের মাধ্যমে রমজানের শেষের সাত রাতে লাইলাতুল কদর দেখানো হয়। এ কথা শুনে আল্লাহর রাসুল (সা.) বললেন, আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। (তোমাদের দেখা ও আমার দেখা) শেষ সাত দিনের ক্ষেত্রে মিলে গেছে। অতএব যে ব্যক্তি এর সন্ধানপ্রত্যাশী, সে যেন তা শেষ সাত রাতে সন্ধান করে।’ (বুখারি : হাদিস নং ২০১৫)
 
আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘একবার আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! লাইলাতুল কদর কোন রাতে আমি যদি তা বুঝতে পারি, তা হলে আমি কী দোয়া পড়ব? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি বলবে, বাংলা উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি। বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন। (তিরমিজি : হাদিস নং ৩৫১৩; ইবনে মাজাহ : হাদিস নং ৩৮৫০)
 
এ ছাড়া রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার করতেন। তিনি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাস পেল, অথচ তার গুনাহ মাফ করাতে পারল না, সে ধ্বংস হোক।’ (শরহুস সুন্নাহ : হাদিস নং ৬৮৯)
 
 
লেখক :  আলেম, গবেষক ও সাংবাদিক