
মদিনায় অবতীর্ণ সুরা হাশর পবিত্র কোরআনের ৫৯তম সুরা। এর আয়াত সংখ্যা ২৪টি। সুরা হাশরের আরেক নাম বনু নাজির। সাইদ ইবনে জুবাইর (রা.) বলেন, ‘আমি আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে বললাম, এটি হাশর। তিনি বললেন একে বনু নাজির বলো, কেননা এ সুরায় মদিনা থেকে বনু নাজির গোত্রের বহিষ্কারের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস: ৪৫২১)
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াতের অনেক ফজিলত রয়েছে। সকাল-বিকাল সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও সওয়াবের আমল। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিনবার ‘আউজুবিল্লাহিস সামিয়িল আলিমি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়বে। এর পর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াত করবে। আল্লাহতায়ালা ওই ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন; যারা ওই ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তা হলে সে শহিদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তা হলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩০৯০)
সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত
বাংলা উচ্চারণ: হু আল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাদি, হুয়ার রাহমানুর রাহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লাহি আম্মা য়ুশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বা-রিউল মুছাওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।
বাংলা অর্থ: তিনিই আল্লাহ, যিনি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই; তিনি দৃশ্য ও অদৃশ্যকে জানেন, তিনি পরম দয়ালু, অসীম দাতা। তিনিই আল্লাহ তিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনিই একমাত্র মালিক, পবিত্র, শান্তি ও নিরাপত্তাদাতা, আশ্রয়দাতা, পরাক্রান্ত, প্রতাপান্বিত, মাহাত্মশীল। তারা যাকে অংশীদার করে আল্লাহ তায়ালা তা থেকে পবিত্র। তিনিই আল্লাহ, স্রষ্টা, উদ্ভাবক, রূপদাতা, উত্তম নামগুলো তারই। নভোমণ্ডলে ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে, সবই তার পবিত্রতা ঘোষণা করে। তিনি পরাক্রান্ত প্রজ্ঞাময়।’ (সুরা হাশর, আয়াত: ২২-২৪)
লেখক: আলেম ও অনুবাদক