ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রতিশ্রুতি রক্ষা কেন এত জরুরি?

প্রকাশ: ০৭ মে ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ মে ২০২৫, ১১:১৮ এএম
প্রতিশ্রুতি রক্ষা কেন এত জরুরি?
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী, প্রতিশ্রুতি রক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ আমানত। এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযোজ্য— ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জীবনে। আল্লাহতায়ালার নির্দেশ অনুযায়ী, মুমিনদের অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুনাফিকের তিনটি লক্ষণ— মিথ্যা বলা, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা এবং আমানত খিয়ানত করা।’ (বুখারি, হাদিস: ৩২)

 

প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করা বা আমানত খিয়ানত করা মুনাফিকের নিদর্শন। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, ‘যার মধ্যে এই চারটি স্বভাব রয়েছে, সে খাঁটি মুনাফিক।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৩৩) অর্থাৎ, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা ইমানের জন্য ক্ষতিকর। আল্লাহতায়ালা কোরআনে বলেছেন, ‘তোমরা অঙ্গীকার পূর্ণ করো, নিশ্চয়ই অঙ্গীকার সম্পর্কে (কিয়ামতের দিন) তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।’ (সুরা বনি ইসরাইল, আয়াত: ৩৪)

 

প্রতিশ্রুতি রক্ষা একদিকে যেমন আল্লাহর নির্দেশ, তেমনি সমাজে বিশ্বাস ও সম্মান বজায় রাখার জন্যও তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জীবন, সম্পদ, সম্ভ্রম— এই তিনটি প্রধান আমানতকে সঠিকভাবে রক্ষা করা মুমিনের অন্যতম গুণ। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, তারা জান্নাতের উত্তরাধিকারী হবে।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত: ৮-১১)

 

অতএব, প্রতিশ্রুতি রক্ষা কেবল ব্যক্তিগত আস্থা ও সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়, ধর্মীয় ও সামাজিক দায়িত্বও বটে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তোমরা আমানতসমূহ তার প্রকৃত হকদারগণের নিকট পৌঁছে দাও।’ (সুরা নিসা, আয়াত: ৫৮) যারা তাদের প্রতিশ্রুতি এবং আমানত রক্ষা করে, তারা আল্লাহর নিকটে শ্রেষ্ঠ হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,  ‘একজন সত্যবাদী ও আমানতদার ব্যবসায়ী আখিরাতে নবীগণ, সিদ্দিকগণ এবং শহীদগণের সঙ্গে থাকবে।’ (তিরমিজি, হাদিস: ১২০৯)

 

প্রতিশ্রুতি রক্ষা ইমানের মূল ভিত্তি এবং এটি মুমিনের খাঁটি পরিচয়। আমাদের জীবনে প্রতিটি আমানত, প্রতিশ্রুতি এবং কর্তব্য রক্ষা করা, পরকালে আল্লাহর কাছে আমাদের সফলতার চাবিকাঠি হবে। ইনশা আল্লাহ।

পশু জবাইয়ের সময় দয়া দেখানো কতটা জরুরি?

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১০:০০ পিএম
পশু জবাইয়ের সময় দয়া দেখানো কতটা জরুরি?
কোরবানির পশু জবাই করার ছবি। সংগৃহীত

ঈদুল আযহা এলে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে কোরবানি করা হয়। এটি একটি মহান ইবাদত। তবে এই ইবাদত পালনের সময় পশুর প্রতি সহানুভূতি ও দয়া প্রদর্শন করা ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। কোরবানি মানেই শুধু জবাই করা নয়, বরং তা হতে হবে সর্বোত্তম পন্থায়, যাতে পশুর কষ্ট ন্যূনতম হয়।

রাসুলুল্লাহ (সা.) এই বিষয়ে অত্যন্ত জোরালো নির্দেশনা দিয়েছেন। শাদ্দাদ ইবনে আওস (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহতায়ালা সকল কিছুর ওপর অনুগ্রহকে অপরিহার্য করেছেন। অতএব, যখন তোমরা (শরিয়ত মোতাবেক হদ বা কিসাস হিসেবে) হত্যা করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে হত্যা করো, যখন জবাই করবে তো উত্তম পদ্ধতিতে জবাই করো। এবং প্রত্যেকে তার ছুরিতে শান দেবে, যেন জবাইয়ের প্রাণীর বেশি কষ্ট না হয়।’(মুসলিম, ১৯৫৫; আবু দাউদ, ২৮১৫; নাসায়ী, ৪৪০৫) 

এই হাদিস থেকে আমরা কয়েকটি বিষয় পরিষ্কারভাবে জানতে পারি:

ক. অনুগ্রহ ও দয়া: ইসলাম সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া ও অনুগ্রহ প্রদর্শনের শিক্ষা দেয়। পশুর প্রতিও এই দয়া প্রযোজ্য।

খ. উত্তম পদ্ধতি: জবাইয়ের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। এর অর্থ হলো, দ্রুত ও নিখুঁতভাবে জবাই সম্পন্ন করা, যাতে পশু অপ্রয়োজনীয় কষ্ট না পায়।

গ. ছুরিতে শান দেওয়া: ধারালো ছুরি ব্যবহার করা অত্যাবশ্যক। ভোঁতা ছুরি পশুর কষ্টকে দীর্ঘায়িত করে, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। ধারালো ছুরি পশুর জন্য দ্রুত ও কম যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু নিশ্চিত করে।

কোরবানির সময় পশুকে অহেতুক টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া, অন্যদের সামনে জবাই করা, কিংবা একটি পশুর সামনে অন্য পশুকে জবাই করা থেকেও বিরত থাকা উচিত। এটি পশুর মানসিক কষ্টের কারণ হয়।

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

যেসব পশু কোরবানি করা জায়েজ নয়

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৬:০০ পিএম
যেসব পশু কোরবানি করা জায়েজ নয়
গরুর ছবি । সংগৃহীত

বারা ইবনে আযেব (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি, চার প্রকারের পশু কোরবানি করা জায়েজ নয়। যথা : পশুর উভয় বা কোনো এক চোখের দৃষ্টিহীনতা স্পষ্ট হলে, কোনো এক পা খোড়া হলে, অতি রুগ্ন হলে এবং এত শীর্ণ পশু, যার অস্থিমজ্জা সারশূন্য হয়ে পড়েছে। (ইবনে হিব্বান, ৫৯২১; আবু দাউদ, ২৮০২; নাসায়ী, ৪৩৬৯; ইবনে মাজাহ, ৩১৪৪)
আলি ইবনে আবি তালেব (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) কানের অগ্রভাগ কাটা প্রাণী, কানের গোড়া থেকে কেটে ঝুলে আছে এমন প্রাণী, কান ফেটে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যাওয়া প্রাণী, কানে গোল ছিদ্রবিশিষ্ট প্রাণী ও কান বা নাক একেবারে কেটে গেছে- এমন প্রাণী কোরবানি করতে নিষেধ করেছেন। (ইবনে মাজাহ, ৩১৪২; মুসনাদে আহমাদ, ৬০৯)

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

 

জবাইয়ের সময় ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলা কেন জরুরি?

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
জবাইয়ের সময় ‘বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার’ বলা কেন জরুরি?
পশু জবাইয়ের পূর্বের ছবি । সংগৃহীত

ঈদুল আযহা এলে মুসলিম উম্মাহ আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভে পশু কোরবানি করে থাকেন। এই মহান ইবাদত পালনের ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম-কানুন রয়েছে, যা মেনে চলা আবশ্যক। এর মধ্যে অন্যতম হলো পশু জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলা। এটি কেবল একটি বাক্য নয়, বরং মহান আল্লাহর নাম ও মহিমা ঘোষণার মাধ্যমে এই ইবাদতকে পূর্ণাঙ্গ করার একটি অপরিহার্য অংশ।

হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বড় শিংবিশিষ্ট সাদা-কালো বর্ণের দুটি নর দুম্বা কোরবানি করতেন, তখন তিনি বিসমিল্লাহ, আল্লাহু আকবার বলতেন। বর্ণনাকারী আরও বলেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে পশুর ঘাড়ের ডানপাশে পা রেখে নিজ হাতে যবাই করতে দেখেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, ১১৯৬০, ১২১৪৭)। এই হাদিস থেকে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, কোরবানি বা যেকোনো হালাল পশু যবাইয়ের পূর্বে আল্লাহ তায়ালার পবিত্র নাম উচ্চারণ করা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা এবং এর মাধ্যমে যবাইকৃত পশু হালাল হয়।

বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলার অর্থ হলো, আল্লাহর নামে শুরু করছি, আল্লাহ মহান। এর মাধ্যমে একজন মুসলিম আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং স্বীকার করে যে, এই কোরবানি কেবল তাঁরই জন্য। এটি শুধু পশু জবাইয়ের একটি আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং একটি আত্মিক সংযোগের বহিঃপ্রকাশ। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই তাসমিয়া (বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার) বাদ দেয়, তবে সে পশু হালাল হবে না বলে অধিকাংশ ফকিহগণ অভিমত দিয়েছেন।

কাজেই, কোরবানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত পালনের সময় আমাদের সকলের উচিত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ অনুসরণ করা এবং পূর্ণাঙ্গ সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে সঠিক নিয়ম মেনে বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবার বলে পশু কোরবানি করা। এটি শুধু কোরবানিকে বৈধই করে না, বরং ইবাদতের মান ও গুরুত্বকেও বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

ঈদের দিনে মোরগ কোরবানি করার শরয়ী বিধান কী?

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১২:০০ পিএম
ঈদের দিনে মোরগ কোরবানি করার শরয়ী বিধান কী?
মোরগের ছবি । সংগৃহীত

ঈদুল আযহা এলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করেন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু এলাকায় দরিদ্রদের মাঝে ঈদের দিন মোরগ কোরবানি করার একটি প্রচলন দেখা যায়, যা শরিয়তের দৃষ্টিতে না জায়েজ।

এখানে বিষয়টা হলো, ঈদের দিনে মোরগ জবাই করা নিষেধ নয়। আপনি প্রয়োজনে বা খাওয়ার উদ্দেশ্যে মোরগ জবাই করতেই পারেন। তবে এটিকে কোরবানির নিয়তে করা যাবে না। অর্থাৎ, ঈদের যে কোরবানি, যার দ্বারা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা হয়, সেই ইবাদতের উদ্দেশ্যে মোরগ কোরবানি বৈধ নয়।

এর কারণ হলো, ইসলামে কোরবানির জন্য সুনির্দিষ্ট কিছু পশুকে নির্ধারণ করা হয়েছে। যেমন- উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও দুম্বা। এই পশুগুলোই কোরবানির জন্য নির্ধারিত এবং এগুলোর দ্বারাই কোরবানি আদায় হয়। মোরগ বা অন্য কোনো পাখি দ্বারা কোরবানি আদায় হয় না, এমনকি তা কোরবানির সওয়াবও বহন করে না।

অতএব, যদি কেউ কোরবানির সওয়াবের আশায় মোরগ জবাই করেন, তবে তিনি সওয়াব তো পাবেনই না, বরং একটি অননুমোদিত কাজ করার কারণে গুনাহগার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এই বিষয়ে আমাদের সকলের সতর্ক থাকা উচিত এবং শরীয়তের বিধান মেনেই কোরবানি করা উচিত। মনে রাখতে হবে, ইবাদতের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর নির্দেশ পালন এবং তার সন্তুষ্টি অর্জন।

 

লেখক: আলেম,গবেষক ও সাংবাদিক

 

অর্থসহ রাসুল (সা.)-এর সাহাবিদের নাম

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
আপডেট: ০২ জুন ২০২৫, ১১:৪২ এএম
অর্থসহ রাসুল (সা.)-এর সাহাবিদের নাম
এক বৃদ্ধার বই পাঠের ছবি । সংগৃহীত

সাহাবায়ে কেরাম রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গীগণ, ইসলামের ইতিহাসে উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো। তাঁরা ছিলেন ইসলামের প্রথম অনুসারী, যারা নিজেদের জীবন, সম্পদ এবং সবকিছু আল্লাহর পথে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁদের নামগুলো শুধু ঐতিহাসিক স্মারক নয়, বরং প্রতিটি নামেই রয়েছে এক গভীর অর্থ, যা তাঁদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, আত্মত্যাগ এবং ইসলামের প্রতি নিবেদিত প্রাণকে তুলে ধরে। এই বরকতময় নামগুলো আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কিছু প্রিয় সাহাবির নাম, তাঁদের আরবি উচ্চারণ, বাংলা উচ্চারণ এবং অর্থসহ উল্লেখক করা হলো।

সাহাবিগণের বরকতময় নাম ও অর্থ

আরবি নাম

বাংলা উচ্চারণ

অর্থ

عياض

আইয়ায (রা.)

অধিক দানকারী

عوف

আওফ (রা.)

সিংহ, নেকড়ে, অতিথি

أوس

আওস (রা.)

উপহার, নেকড়ে

أقرع

আকরা (রা.)

টাকযুক্ত

عفرية

আকরাবা (রা.)

ঘোড়ার জিন বাঁধার হুক। উহুদযুদ্ধে শহিদ সাহাবি

 عاقل

আকেল (রা.)

বুদ্ধিমান

الأخش

আখনাস (রা.)

সিংহ, প্রত্যাবর্তনকারী। তিনি,তার পুত্র ও নাতি তিনজনই বদরযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন

ابن عجلان

ইবনে আজলান  (রা)   

দ্রুতগতিসম্পন্ন

عطية

আতিয়্যা (রা.)

দান

عدي

আদি (রা.)

আগ্রাসী

عنترة

আনতারা (রা.)

বীরত্ব

أنس

আনাস (রা.)

বন্ধু (নবিজির দীর্ঘদিনের সেবক)

أنسة

আনাসা (রা.)

ঘনিষ্ঠ হওয়া, পছন্দ হওয়া (নবিজির গোলাম, বদরি সাহাবি)

عبدة

আবদা (রা.)

ধার্মিক, পরিচারিকা

عبد الرحمن

আব্দুর রহমান (রা.)

করুণাময়ের বান্দা (জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ১০ জনের একজন)

عبد الله

আব্দুল্লাহ (রা.)

আল্লাহর বান্দা

عبس

আবস (রা.)

ভ্রুকুটি করা (একজন বদরি সাহাবি)

     

أبو حبيب

আবু হাবিব (রা.)

বন্ধু

أبو حية

আবু হাব্বা (রা.)

শস্যদানা

أبو حرام

আবু হারাম (রা.)

সম্মানিত

     

أبو هريرة

আবু হুরাইরা (রা.)

বিড়াল পালক (সবচেয়ে বেশি হাদিস বর্ণনাকারী সাহাবি)

أبو حسين

আবু হুসাইন (রা.)

সুন্দর

أبو اليسر

আবুল ইয়াসার (রা.)

সহজ

أبو الهيثم

আবুল হাইসাম (রা.)

ইগল

عباد

আব্বাদ (রা.)

অধিক ইবাদতকারী

عباس

আব্বাস (রা.)

সিংহ, কঠোর (নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চাচা)

عمرو

আমর (রা.)

দীর্ঘজীবী (শাম ও মিশর বিজয়ে নেতৃত্ব দানকারী)

عامر

আমের (রা.)

সভ্য

عمار

আম্মার (রা.)

ধর্মপরায়ণ

عائد

আয়িদ (রা.)

প্রত্যাবর্তনকারী

الأرقم

আরকাম (রা.)

কলম (ইসলাম প্রচারের প্রথম কেন্দ্র তাঁর ঘর)

علي

আলি (রা.)

মর্যাদাবান, মহৎ (ইসলামের চতুর্থ খলিফা)

أسعد

আসআদ (রা.)

অধিকতর ভাগ্যবান (আনসার সাহাবিদের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী)

عاصم

আসেম (রা.)

প্রতিরোধকারী

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক