ঢাকা ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২

পৃথিবীতে মহানবির (সা.) ৬৩ বছর—২ ৫৭২-৫৭৩ সালের কখন কী ঘটেছিল?

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫, ১০:০৯ এএম
৫৭২-৫৭৩ সালের কখন কী ঘটেছিল?
প্রতীকী ছবি । সংগৃহীত

তৎকালীন আরব সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথা ছিল, বিশেষত মক্কার সম্ভ্রান্ত পরিবারগুলোতে, নবজাত শিশুদের জন্মের পর মরুভূমির উন্মুক্ত পরিবেশে লালন-পালন করা। এর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শিশুদের বিশুদ্ধ বাতাস ও বেদুইনদের সংগ্রামী জীবনধারার সংস্পর্শে শারীরিক ও মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলা। এই প্রথা অনুসারেই মক্কায় জন্মগ্রহণকারী শিশু মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর জন্মের আট অথবা দশ দিন পর বনু সাদ গোত্রের মহীয়সী নারী হালিমা সাদিয়ার (রা.) তত্ত্বাবধানে প্রেরণ করা হয়। বনু সাদ ছিল তায়েফ শহর থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি মরু অঞ্চল। 

 

দুধমাতা হালিমা (রা.) পরম স্নেহ ও যত্নের সাথে দীর্ঘ দুই বছর মহানবি (সা.)-কে লালন-পালন করেন। দুই বছর বয়স সমাপ্ত হতেই নবি মুহাম্মদ (সা.) দুধ ছাড়েন। আর সময় তার স্বাভাবিক গতিতে ৫৭৩ সালে পৌঁছলেও হালিমা (রা.)-এর কাছে মনে হলো এই সময়টুকু তাঁর কাছে অন্য সময়ের তুলনায় খুব দ্রুতই পার হয়েছে। হালিমা (রা.) গভীর বিষাদে আপ্লুত হন।

 

সে সময়ের আরবীয় রীতি অনুযায়ী, দুধ ছাড়ানোর পর নবি মুহাম্মদ (সা.)-কে তাঁর মাতা আমেনা বিনতে ওহাবের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। এই বিদায়কালে দুধমাতা হালিমা (রা.), তাঁর দুধভাই আবদুল্লাহ এবং দুধবোন সায়মা অত্যন্ত ব্যথিত ও মর্মাহত হন। ঐতিহাসিকগণ বর্ণনা করেন, দুগ্ধপোষ্য শিশু মুহাম্মদ (সা.)-কে স্তন্যপান থেকে বিরত করার সময় মা হালিমার গভীর কান্না, আবেগ ও ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে মা আমেনা তাঁকে আরও কিছুকাল তায়েফের বনু সাদ অঞ্চলে লালন-পালনের জন্য পুনরায় তাঁর কাছে অর্পণ করেন। (সিরাতে ইবনে হিশাম: ১/ ১৬২- ১৬৪)

 

নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর দুধ ছাড়ার অব্যবহিত পরই তাঁর পবিত্র মুখে স্পষ্ট ও বিশুদ্ধ উচ্চারণে প্রথম কথা ফোটে। হালিমা (রা.)-এর বর্ণনা অনুযায়ী, শিশু মুহাম্মদ (সা.) সর্বপ্রথম যে বাক্যগুলো উচ্চারণ করেছিলেন তা হলো: ‘আল্লাহু আকবর কাবিরা, ওয়াল হামদুলিল্লাহি হামদান কাসিরা, ওয়া সুবহানাল্লাহি বুকরাতাও-ওয়া আসিলা’ (আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, অতি মহান; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, বহু প্রশংসা এবং সকাল-সন্ধ্যায় আল্লাহ পবিত্র)। (খাসাইসে কুবরা : ১/৫৫)

 

অন্য সাধারণ শিশুদের তুলনায় এই শিশুই ছিলেন অধিক হৃষ্টপুষ্ট ও সুগঠিত। শিশুরা সাধারণত যে বয়সে ভাষা রপ্ত করে, সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নবি মুহাম্মদ (সা.) বনু সাদের বিশুদ্ধ পরিবেশে লালিত হন। তৎকালীন আরব সমাজে বনু সাদ গোত্রের ভাষাগত দক্ষতা, অলঙ্কারপূর্ণ বাগ্মিতা এবং উচ্চমানের সাহিত্যচর্চার বিশেষ খ্যাতি ও স্বীকৃতি ছিল। নবি মুহম্মদ (সা.) পরবর্তী সময়ে তাঁর সাহাবিদের কাছে এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলতেন, ‘আমি তোমাদের তুলনায় অধিক বিশুদ্ধ ভাষী কোরাইশি এবং আমি সাদ ইবনে বকর গোত্রের দুধ পান করেছি।’ (নবীয়ে রহমত, পৃ: ১১৪)

 

নবি মুহাম্মদ (সা.) অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও চমৎকারভাবে কথা বলতেন, যার ফলে শোনা মাত্রই তাঁর বক্তব্য সহজে অনুধাবন করতে পারত। তিনি কখনো কর্কশ বা রূঢ় ভাষায় কারও সাথে কথা বলতেন না এবং কাউকে অশালীনভাবে সম্বোধনও করতেন না। তাঁর চালচলন এবং কথা বলার ভঙ্গিও ছিল অন্যদের থেকে স্বতন্ত্র ও স্মরণীয়। শৈশবকাল থেকেই তাঁর মিষ্টি ও সত্যপূর্ণ কথা সবার মন জয় করে নিত এবং সবাই তাঁকে ভালোবাসত। সত্যবাদিতা তাঁর শৈশব থেকেই সর্বজনবিদিত ছিল। হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘তোমরা যত দ্রুত কথা বলো, তিনি তত দ্রুত বলতেন না। তিনি থেমে থেমে কথা বলতেন, যাতে প্রত্যেক শ্রোতা তাঁর কথা বুঝতে পারত।’ (তিরমিজি, হাদিস: ৩,৬৩৯)

 

হালিমা সাদিয়া (রা.) নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর অসাধারণ দৈহিক বিকাশের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর শারীরিক বৃদ্ধি অন্য শিশুদের তুলনায় অনেক উন্নত ছিল। এমনকি দুই বছর বয়সেই তাঁকে বেশ বড়সড় দেখাচ্ছিল।’ (সিরাতে খাতুল আম্বিয়া, পৃ: ৭)

 

নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর শৈশবকাল ছিল পূর্ণ পরিপক্বতা, মাধুর্য এবং নৈতিক শিক্ষা ও চরিত্রের উজ্জ্বল প্রতিফলন। বনু সাদের মরুপ্রান্তরে যে আলো ছড়িয়েছিল একটি শিশু, সেটি ছিল সারা মানবতার আলোকবর্তিকা ও মহান শিক্ষা।

 

লেখক : আলেম ও সাংবাদিক

 

অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?
অজু করার দৃশ্য। সংগৃহীত

প্রশ্ন : এক ব্যক্তি অজুতে প্রতিটি অঙ্গ অন্তত ৪-৫ বার ধৌত করে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, এ ছাড়া আমার মন পরিতৃপ্ত হয় না। এভাবে নিয়মিত তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস গড়ার হুকুম কী? এতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা আছে কি?

উত্তর : অজুর অঙ্গগুলো তিন বার করে ধোয়া সুন্নত। তাই তিন বার ধোয়ারই অভ্যাস করা চাই। তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস করা উচিত নয়। আর তিনের অধিক ধোয়াকে উত্তম মনে করে এর উপর আমল করা গুনাহ। পক্ষান্তরে তিনবার ধোয়ার পরও কোনো স্থানে পানি পৌঁছার ব্যাপারে সন্দেহ হলে সে স্থানটি আবার ধুয়া। তবে শুধু ওয়াসওয়াসার ভিত্তিতে এরূপ করা যাবে না।

[তথ্যসূত্র: সুনানে আবু দাউদ ১/১৮, বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৩, শরহুল মুনিয়্যা ২৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২, আলবাহরুর রায়েক ১/৪৬]

নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
নামাজের মধ্যে সময় দেখতে ঘড়ির দিকে তাকানো কী হবে?
নামাজরত মুসল্লির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : আমাদের মসজিদের সামনের দেওয়ালে একটি ডিজিটাল ঘড়ি লাগানো আছে। অনেক সময় যোহরের নামাজ পড়তে এসে সময় না দেখেই সুন্নত নামাজ শুরু করে দেই। জামাত দাঁড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা হলে সুন্নত শেষ করতে পারব কি না, তা নিশ্চিত হতে ঘড়ির দিকে তাকাই। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজের মধ্যে সময় দেখার জন্য ঘড়ির দিকে তাকালে কি নামাজের কোনো ক্ষতি হয়?


উত্তর : নামাজের মধ্যে সময় দেখার উদ্দেশ্যে ঘড়ির দিকে তাকানো মাকরূহ (অপছন্দনীয়)। এটি নামাজের খুশুখুযু বা একাগ্রতার পরিপন্থী কাজ। তাই এমনটা করা থেকে বিরত থাকা উচিত। নামাজে আমাদের মন এবং দৃষ্টি শুধুমাত্র আল্লাহর দিকে নিবদ্ধ থাকা উচিত। ঘড়ি বা অন্য কোনো বস্তুর দিকে তাকালে মনোযোগ বিঘ্নিত হয়, যা নামাজের মূল উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করে। যদিও এতে নামাজ পুরোপুরি ভেঙে যায় না, তবে এটি নামাজের পরিপূর্ণতা ও সওয়াব কমিয়ে দেয়।
এক্ষেত্রে একটি বিষয় মনে রাখা জরুরি যে, সুন্নত নামাজ শুরু করার আগে পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে শুরু করা উচিত, যাতে জামাত শুরু হওয়ার আগেই তা শেষ করা যায়। যদি মনে হয় সময় কম, তাহলে সুন্নত বাদ দিয়ে সরাসরি ফরজ নামাজের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

[তথ্যসূত্র : বুরহানী (২/১৫৯), খুলাসাতুল ফাতাওয়া (১/৯৯), ফাতহুল কাদীর (১/৩৫১), শরহুল মুনইয়া (পৃ. ৪৪৭), আলবাহরুর রায়েক (২/১৪), এবং আদ্দুররুল মুখতার (১/৬৩৪)]

এসব গ্রন্থ অনুযায়ী, ছোটখাটো নড়াচড়া বা দৃষ্টির কারণে নামাজ ভেঙে যায় না, তবে তা নামাজের একাগ্রতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তাই এই ধরনের অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া এড়িয়ে চলা উত্তম।

 

আ দিয়ে মেয়ে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ২

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০ এএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:১১ পিএম
আ দিয়ে মেয়ে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ২
মেয়ে শিশুর ছবি । সংগৃহীত

শিশুর জন্য একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করা সব মা-বাবারই স্বপ্ন। নামের মাধ্যমেই শিশুর ব্যক্তিত্ব পরিচয় ফুটে ওঠে। ইসলামিক আধুনিক রুচির সমন্বয়ে '' অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া কিছু চমৎকার নামের তালিকা এখানে দেওয়া হলো, যা আপনার আদরের কন্যার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। প্রতিটি নামের রয়েছে বিশেষ অর্থ, যা আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অনুপ্রেরণামূলক হবে।

ক্রমিক

নাম

অর্থ

.

আদিবা

শিষ্ট, ভদ্র

.

আদিলা

ন্যায়পরায়ণ

.

আফিফা

পবিত্রা, সচ্চরিত্রা

.

আমেনা

নিরাপদ, নিশ্চিন্ত

.

আমিরা

রাজকন্যা

.

আয়েশা

সচ্ছল (উম্মুল মুমিনিন আয়েশা রা.-এর নাম)

.

আরুবা

সোহাগিনি

.

আলিফা

বান্ধবী

.

আলিমা

জ্ঞানী

১০.

আলিয়া

উচ্চ

১১.

আসমা

মহত্তর, উচ্চতর

১২.

আসিফা

ঝড়ো বাতাস

১৩.

আসিমা

হেফাজতকারিণী, রাজধানী

১৪.

আসিয়া

চিকিৎসক (ফেরআউনের স্ত্রীর নাম)

১৫.

আহিদা

প্রতিজ্ঞাকারিণী

১৬.

আনিয়া

ঘনিষ্ঠ

১৭.

আতিফা

দয়ালু

১৮.

আতিয়্যা

দান, উপঢৌকন

১৯.

আজওয়া

আলো

২০.

আজিজা

শক্তিশালী, সম্মানিত

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর দুরূদ পড়ার বিধান কী?

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০১:১৩ পিএম
কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর দুরূদ পড়ার বিধান কী?
প্রতীকী ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন : কালিমা তাইয়্যিবা পড়ার পর কি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলা জরুরি? 

উত্তর : কালেমা তাইয়িবা তো ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ এতটুকুই। সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কালেমার অংশ নয়। তাই রাসুলুল্লাহর নামের পর দুরূদ শরিফ পড়তে হয়, এ নিয়ম অনুযায়ী কালেমার পরেও তা পড়া যাবে। তবে কালেমার সাথে একেবারে মিলিয়ে নয়; বরং কালেমার পর ওয়াকফ করে এরপর পড়বে। যেন দরূদ শরিফকে কালেমার অংশ মনে না হয়।

[সূত্র : ফাতাওয়া উসমানী ১/৫৮]

 

খতিব কি খুতবার সময় মুসল্লিদের সতর্ক করতে পারবেন?

প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
খতিব কি খুতবার সময় মুসল্লিদের সতর্ক করতে পারবেন?
মসজিদে জুমার খুতবা দেওয়ার ছবি। সংগৃহীত

যখন খতিব সাহেব খুতবা দেন, তখন যদি তিনি এমন কোনো কাজ দেখেন যা শরিয়ত বিরোধী, যেমন মুসল্লিরা কথা বলছে বা অন্য কোনো বিশৃঙ্খলা করছে, তখন তিনি তাদের সতর্ক করতে পারবেন। খুতবার মাঝখানে মুসল্লিদের চুপ থাকার নির্দেশ দিলে বা তাদের সতর্ক করলে খুতবার কোনো ক্ষতি হবে না। এতে দোষের কিছু নেই, বরং এটা খতিব সাহেবের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তিনি চাইলে এ বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পদক্ষেপ নিতে পারেন।

ফতোয়ার কিতাবসমূহে এই বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা (২/২৫), বাদায়েউস সানায়ে (১/৫৯৫) এবং খুলাসাতুল ফাতাওয়া (১/২০৬)-এর মতো নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলোতে এই বিধানের কথা উল্লেখ আছে। তাই খতিব সাহেবের জন্য খুতবার মাঝখানে মুসল্লিদের সতর্ক করা সম্পূর্ণ বৈধ। এটি খুতবার সম্মান এবং পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জরুরি।

অতএব, মুসল্লিদের উচিত খুতবার সময় সম্পূর্ণ নীরবতা ও মনোযোগ বজায় রাখা। অন্যদিকে, খতিব সাহেব যদি দেখেন যে শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে, তাহলে তিনি পরিস্থিতি অনুযায়ী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে পারেন।