ঢাকা ২৬ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২

হজের শিক্ষা : যেভাবে গড়বেন নতুন জীবন

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
আপডেট: ১৪ জুন ২০২৫, ১১:৪৫ এএম
হজের শিক্ষা : যেভাবে গড়বেন নতুন জীবন
হাজিদের দেশে ফেরার ছবি । সংগৃহীত

হজ, ইসলামের এক সুমহান স্তম্ভ, যা মুসলিমের জীবনে বড় পরিবর্তন আনে। এটি কেবল একটি ধর্মীয় আচার নয়, বরং জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের এক সুমহান পথ। হজ-পরবর্তী নতুন জীবন কেমন হওয়া উচিত, তা নির্ভর করে হজের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতাকে একজন ব্যক্তি কতটা ধারণ ও বাস্তবায়ন করতে পারে।

পাপমুক্ত জীবন ও আল্লাহর স্মরণ
হজ শেষে একজন হাজিকে পাপমুক্ত জীবনযাপন করতে হবে। অসৎ কর্ম পরিহার করে সৎকর্মে নিমগ্ন থাকা এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সচেষ্ট থাকা হজের মূল উদ্দেশ্য। পবিত্র কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নির্ধারিত মাসগুলোতে হজ সম্পন্ন করো। এই মাসগুলোতে যে ব্যক্তি নিজের ওপর হজ ফরজ করে নিল, তার জন্য গালাগাল, কলহ বা পাপ কাজ করা উচিত নয়। আর যেকোনো ভালো কাজ তুমি করো, আল্লাহ তা জানেন।’ (সুরা বাকারা, ১৯৭) এই আয়াত হজের সময় ও পরবর্তী জীবনে পাপ, কলহ এবং অন্যায় থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দেয়।

আল্লাহতায়ালা আরও বলেন, ‘তোমরা যখন হজের কার্যাবলি শেষ করবে, তখন আল্লাহকে তেমনিভাবে স্মরণ করবে, যেভাবে নিজেদের বাপ-দাদাকে স্মরণ করে থাক; বরং তার চেয়েও বেশি স্মরণ করবে।’(সুরা বাকারা, ২০০) এটি নির্দেশ করে যে হজের পর নতুন জীবনে আল্লাহর স্মরণ ও কৃতজ্ঞতা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত। আল্লাহর জিকির ও শুকরিয়া হজের পর জীবনের নিত্যসঙ্গী হবে।

আত্মশুদ্ধি, আনুগত্য ও দৈনন্দিন ইবাদত
হজের পর একজন হাজিকে অতীতের পাপ থেকে তওবা করে নতুন জীবন শুরু করতে হবে। হজের সময় অর্জিত পবিত্রতা ধরে রাখা অপরিহার্য। হজ আত্মশুদ্ধির এক অপূর্ব সফর, যেখানে প্রতিটি পদক্ষেপে আত্মসমর্পণ, আনুগত্য, ত্যাগ, ধৈর্য এবং আত্মিক নবজাগরণের শিক্ষা নিহিত।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, রোজা, জাকাত ও দোয়া হজ-পরবর্তী জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হওয়া উচিত। হজের সময় অর্জিত নিয়মানুবর্তিতা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে হবে। মক্কা-মদিনার পবিত্র ভূমিতে নবীদের দুঃখ-কষ্ট স্মরণ করে হৃদয়ে আল্লাহর ফয়সালার প্রতি গভীর আস্থা তৈরি হয়, যা তাকদিরে সন্তুষ্ট থাকার এক অনুপম গুণ।

সামাজিক সম্পর্ক ও হালাল জীবিকা
পরিবার, প্রতিবেশী ও সমাজের সঙ্গে শান্তি ও সদ্ভাব বজায় রাখা হজের অন্যতম শিক্ষা। হজের সময় যে মমত্ব ও একত্ববোধ তৈরি হয়, তা জীবনে প্রতিফলিত করা উচিত। সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনেও হজের শিক্ষার প্রভাব থাকা প্রয়োজন। হারাম উপার্জন ইবাদতের স্বাদ নষ্ট করে দেয়, তাই বাইতুল্লাহর সফরে যাওয়া ব্যক্তির জীবিকা হবে হালাল, সততা ও নিষ্ঠায় ভরপুর।

ধৈর্য, দানশীলতা ও পবিত্রতা
হজের স্মৃতি ধরে রাখতে দানশীলতা ও সদকার পরিমাণ বৃদ্ধি করা উচিত। হজের সময় অর্জিত ত্যাগের মনোভাব দানের মাধ্যমে প্রকাশ করা সম্ভব। হজরত হাজেরা (আ.)-এর সাফা-মারওয়ায় দৌড়ানোর ঘটনা সংকটের মধ্যেও ধৈর্য ও নির্ভরতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। হজ আমাদের শেখায় বাইতুল্লাহর মতো নিজেদের মনকেও শিরক, হিংসা, গিবত ও অহংকারের ময়লা থেকে মুক্ত রাখতে। বাইরের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি অন্তরের শুদ্ধতাও অপরিহার্য।

হজ কেবল একটি যাত্রা নয়, এটি একটি জীবনব্যাপী শিক্ষা যা আমাদের জীবনের প্রতিটি দিকে প্রভাব ফেলে। হজের সময় আমরা একত্ব, ত্যাগ, ধৈর্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আত্মসমর্পণের শিক্ষা লাভ করি। এই শিক্ষাগুলো হজ-পরবর্তী জীবনে নিষ্ঠার সঙ্গে প্রয়োগ করাই হজের সার্থকতা।

 

লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

ই দিয়ে মেয়ে শিশুর শ্রুতিমধুর নামের তালিকা

প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
ই দিয়ে মেয়ে শিশুর শ্রুতিমধুর নামের তালিকা
মেয়ে শিশুর ছবি । সংগৃহীত

সন্তানের জন্য একটি সুন্দর, অর্থবহ এবং শ্রুতিমধুর নাম নির্বাচন করা প্রতিটি পিতামাতারই একান্ত আকাঙ্ক্ষা। নামের মাধ্যমেই শিশুর ব্যক্তিত্বের প্রথম বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ইসলামিক সংস্কৃতিতে 'ই' অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া অসংখ্য চমৎকার নাম রয়েছে, তা যেমন অর্থবহ, তেমনি উচ্চারণেও সুমধুর। এই নামগুলো যেমন ঐতিহ্য বহন করে, তেমনি আধুনিক রুচির সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ।

আমরা এখানে এমন কিছু নির্বাচিত নাম উপস্থাপন করছি, যা আপনার ছোট্ট রাজকন্যার জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যতের ইঙ্গিত বহন করবে। প্রতিটি নামের সঙ্গে তার অর্থও দেওয়া হয়েছে, যাতে নামটি নির্বাচনের ক্ষেত্রে আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়।

নাম

অর্থ

 

 

ইদিয়া

ঈদের উপহার

ইশা

জীবন

ইনা

পরিপক্ক

ইসমা

নিষ্পাপতা

ইনাস

সঙ্গী

ইসরা

নৈশভ্রমণকারী

ইফফা

পবিত্রতা

ইবরা

উপদেশ

ইমামা

নেতৃত্ব

ইমা

ইশারা, নির্দেশ

ইয়াকযানা

জাগ্রত

ইয়াফিয়া

কিশোরী

ইয়ামিনা

কল্যাণময়ী

ইয়াসমিন

জেসমিন ফুল

ইয়াসারা

সহজতা, ধনাঢ্যতা

ইয়াসিরা

সহজ, সাবলীল

ইয়ুমনা

কল্যাণ

ইয়ুসরা

বাম দিক, আনন্দের বিষয়

 লেখক: আলেম ও সাংবাদিক

ছবি বা জুতার সামনে সিজদা করা যাবে কী ?

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৭:৩০ পিএম
আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৫, ১০:২৬ এএম
ছবি বা জুতার সামনে সিজদা করা যাবে কী ?
সিজদারত মুসল্লির ছবি। সংগৃহীত

প্রশ্ন: আমরা জানি আল্লাহ ছাড়া কাউকে সিজদা করা হারাম। আমার প্রশ্ন হলো, নামাজের সময় যদি আমাদের সামনে মুসল্লিদের জুতা থাকে বা মসজিদের আসবাবপত্রে কোনো প্রাণীর ছবি থাকে, তাহলে কি আমরা জুতা বা ওই ছবিকে সিজদা করছি বলে গণ্য হবে? 


উত্তর: আপনার প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেকের মনেই এমন বিভ্রান্তি দেখা দেয়। ইসলামি শরিয়তের বিধান এ বিষয়ে স্পষ্ট। প্রথমত, নামাজের সময় প্রাণীর ছবি সামনে রাখা মাকরূহ। যদি স্পষ্ট দৃশ্যমান কোনো প্রাণীর ছবি নামাজির সামনে থাকে, তবে নামাজ মাকরূহ হয়। ছবি যদি এক হাতের কম দূরত্বেও থাকে, তবুও একই বিধান প্রযোজ্য। তাই, ছবি বা প্রতিকৃতি সামনে রাখা থেকে বিরত থাকা উচিত, যাতে নামাজের পূর্ণ মনোযোগ বিঘ্নিত না হয়।

কিন্তু আপনার মূল প্রশ্নটি হলো, জুতা বা ছবিকে সিজদা করা হচ্ছে কি না। এর উত্তর হলো না, এতে জুতা বা ছবিকে সিজদা করা হয় না। সিজদা হওয়ার জন্য যাকে সিজদা করা হচ্ছে, তাকে উদ্দেশ্য করা জরুরি। একজন নামাজি যখন সিজদা করেন, তখন তার একমাত্র উদ্দেশ্য থাকে মহান আল্লাহকে সিজদা করা। তার সামনে কোনো বস্তু বা ছবি থাকলেই তিনি সেটিকে সিজদা করছেন, এমনটি মনে করার কোনো সুযোগ নেই। নামাজি তার মন ও শরির দিয়ে কেবল আল্লাহর প্রতিই নিবিষ্ট থাকে।
এ বিষয়ে ফিকাহর কিতাবে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, নামাজি কেবল আল্লাহকেই সিজদা করে, অন্য কিছুকে নয়। সুতরাং, নামাজির সামনে জুতা-স্যান্ডেল বা প্রাণীর ছবি থাকলে তা সিজদার কারণ হয় না, যদি না নামাজির উদ্দেশ্য সেই বস্তুকে সিজদা করা হয়।

                    [তথ্যসূত্র: আলবাহরুর রায়েক (২/২৭), আদ্দুররুল মুহতার (১/৬৪৮) এবং ফাতাওয়া হিন্দিয়া (১/১০৭)]

 

২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) কবে?

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ পিএম
২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) কবে?
আল্লাহতায়ালার কাছে প্রার্থনা করার ছবি। সংগৃহীত

বাংলাদেশে ২০২৫ সালের ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) উদযাপিত হতে পারে ৫ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭ হিজরি তারিখে। যা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি (সা.) হিসেবে সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত মহিমান্বিত ও শ্রদ্ধার। তবে চূড়ান্ত তারিখ চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।

১২ রবিউল আউয়াল এই দিনেই জন্মগ্রহণ করেন ইসলামের শেষ নবি, বিশ্বমানবতার পথপ্রদর্শক হজরত মুহাম্মদ (সা.)। আশ্চর্যের বিষয়, একই দিনে তিনি ইন্তেকালও করেন। তাই দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে স্মরণ ও শ্রদ্ধার, আবেগ ও ভালোবাসার।

৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কার কুরাইশ বংশের সম্ভ্রান্ত পরিবারে মা আমিনার কোলজুড়ে জন্ম নেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তাঁর পিতা আবদুল্লাহ তাঁর জন্মের আগেই ইন্তেকাল করেন, মাত্র ছয় বছর বয়সে তিনি পিতাকে হারান। সেই এতিম শিশুই একদিন হয়ে উঠেন বিশ্বের সবচেয়ে শ্রদ্ধেয়, প্রভাবশালী ও ন্যায়নিষ্ঠ পুরুষ।

আল্লাহতায়ালা তাঁকে প্রেরণ করেন রহমাতুল্লিল আলামিন হিসেবে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমত ও করুণার উৎস রূপে। নবি মুহাম্মদ (সা.)-এর আবির্ভাবের পূর্বে আরব সমাজ ছিল চরম অবক্ষয়ের মধ্যে। পৌত্তলিকতা, নারী অবমাননা, অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নিপীড়নের করাল গ্রাসে আচ্ছন্ন ছিল মানবতা। সেই সময়ের সমাজকে বলা হয় আইয়ামে জাহেলিয়াত তথা অজ্ঞতার যুগ।

এই অন্ধকার যুগেই তিনি আগমন করেন সত্য, শান্তি ও ন্যায়ের আলোকবর্তিকা হয়ে। শৈশব থেকেই তিনি সততা, ধৈর্য, সহমর্মিতা ও চারিত্রিক দৃঢ়তার জন্য পরিচিত ছিলেন। আরব সমাজ তাঁকে আল-আমিন উপাধিতে ভূষিত করে।

৪০ বছর বয়সে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকা অবস্থায় আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি প্রথম ওহি নাজিল হয়। সেখান থেকেই শুরু হয় ইসলামের নবযাত্রা একটি ঐশী ধর্মের উদ্ভব, যা আজ প্রায় ২০০ কোটি অনুসারীর বিশ্বাস ও জীবনপদ্ধতি।

পরবর্তী ২৩ বছর তিনি মহান আল্লাহর পথনির্দেশনায় ইসলামের আহ্বান ছড়িয়ে দেন। দুঃসহ প্রতিকূলতা, নিরবচ্ছিন্ন ত্যাগ ও অমানুষিক কষ্ট সহ্য করেও তিনি মানবতার কল্যাণে ইসলামের আলো পৃথিবীর কোণে কোণে ছড়িয়ে দেন।

ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান নবিজির স্মৃতিচারণায় বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় মেতে উঠেন। মসজিদে মসজিদে মিলাদ মাহফিল, দোয়া, কোরআন তিলাওয়াত ও জীবন গঠনের আলোচনার মধ্য দিয়ে পালিত হয় দিনটি। এ দিনটি শুধুই আনন্দ বা উৎসবের নয় বরং বিশ্বনবির আদর্শ ও জীবনচর্যার অনুসরণে নিজেকে প্রস্তুত করার এক মহান উপলক্ষ।

ই দিয়ে ছেলে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ১

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৮:৩০ এএম
ই দিয়ে ছেলে শিশুর আধুনিক ও অর্থপূর্ণ নাম—পর্ব ১
ছেলে শিশুর ছবি। সংগৃহীত

একটি নতুন প্রাণের আগমন প্রতিটি পরিবারে নিয়ে আসে এক অনাবিল আনন্দ ও সীমাহীন উচ্ছ্বাস। এই শুভক্ষণে বাবা-মায়ের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো তাদের ছোট্ট সোনামণির জন্য একটি সুন্দর ও অর্থবহ নাম নির্বাচন করা। নাম কেবল একটি পরিচয় নয়, এটি একটি শিশুর ভবিষ্যৎ, ব্যক্তিত্ব এবং পারিবারিক ঐতিহ্যের প্রতিচ্ছবি। ইসলামিক সংস্কৃতিতে নামের গুরুত্ব অপরিসীম। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন তোমাদেরকে তোমাদের নাম এবং তোমাদের পিতার নামে ডাকা হবে। অতএব, সুন্দর নাম রাখো।

ই অক্ষর দিয়ে শুরু হওয়া কিছু চমৎকার এবং অর্থবহ নামের একটি তালিকা এখানে তুলে ধরা হলো। 

বাংলা নাম

উচ্চারণ

ইংরেজি

আরবি

নামের অর্থ

 

ইউনুস

ইউনুস

Yunus

يونس

অনন্য মানুষ, একজন নবীর নাম

 

ইউশা

ইউশা

Yusha

يوشع

একজন নবীর নাম

 

ইউসুফ

ইউছুফ

Yusuf

يوسف

একজন নবীর নাম

 

ইউহান্না

ইউহান্না

Yuhanna

يوحنا

আল্লাহর দয়া, হযরত ঈসা (আ.)-এর একজন শিষ্য

 

ইকনা

ইকনা

Iqna

إقناع

তৃপ্তকরণ, তুষ্টকরণ

 

ইকনান

ইকনান

Iqnan

عقتان

খাঁটি সোনা

 

ইকবাল

ইকবাল

Iqbal

إقبال

সৌভাগ্য, সমৃদ্ধি, উন্নতি

 

ইকরাম

ইকরাম

Ikram

إكرام

সম্মান প্রদর্শন, মর্যাদাবান, সম্মান, মর্যাদা

 

ইকরামুল হক

ইকরামুল হক

Ikramul Haque

إكرام الحق

সত্যের মর্যাদাদান

 

ইকমিল

ইকমিল

Ikmil

إكميل

পূর্ণতা, সমাপ্তি

 

ইখতিয়ার

ইখতিয়ার

Ikhtiyar

اختيار

পছন্দ, নির্বাচন, বাছাই

 

ইখতিয়ারুদ্দীন

ইখতিয়ারুদ্দীন

Ikhtiyaruddin

اختيار الدين

দ্বীনের নির্বাচিত ব্যক্তি, বাছাই

 

ইগনা

ইগনা

Igna

إغناء

ধনীকরণ, সমৃদ্ধকরণ

 

ইছনা

ইছনা

Isna

إثناء

প্রশংসাকরণ, স্তুতি বর্ণনা

 

ইছফা

ইছফা

Isfa

إصفاء

আন্তরিকতা, মনোনয়ন

 

ইছমত

ইছমাত

Ismat

عصمت

পবিত্রতা, সংরক্ষণ, সাহাবির নাম

 

ইছলাহ

ইছলাহ

Islah

إصلاح

সংস্কার, পুনর্বাসন, শান্তিস্থাপন

 

ইছলাহুদ্দীন

ইছলাহুদ্দীন

Islahuddin

صلاح الدين

দ্বীনের সংস্কারক

 

ইছহাক

ইছহাক

Ishaq

إسحاق

হযরত ইসহাক (আ.)

 

ইদরাক

ইদরাক

Idraq

إدراك

বুদ্ধিদৃষ্টি, উপলব্ধি

 

ইদরীস

ইদরীস

Idris

إدريس

হযরত ইদরিস (আ.)

 

ইনছাফ

ইনছাফ

Insaf

انصاف

ন্যায়বিচার, সুবিচার

 

ইনজাদ

ইনজাদ

Injad

إنجاد

সাহায্যকরণ, উদ্ধারকরণ

 

 

অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৭:০০ পিএম
অজুতে প্রতিটি অঙ্গ ৪-৫ বার ধৌত করা যাবে কী?
অজু করার দৃশ্য। সংগৃহীত

প্রশ্ন : এক ব্যক্তি অজুতে প্রতিটি অঙ্গ অন্তত ৪-৫ বার ধৌত করে। তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বলে, এ ছাড়া আমার মন পরিতৃপ্ত হয় না। এভাবে নিয়মিত তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস গড়ার হুকুম কী? এতে শরিয়তের দৃষ্টিতে কোনো অসুবিধা আছে কি?

উত্তর : অজুর অঙ্গগুলো তিন বার করে ধোয়া সুন্নত। তাই তিন বার ধোয়ারই অভ্যাস করা চাই। তিন বারের অধিক ধোয়ার অভ্যাস করা উচিত নয়। আর তিনের অধিক ধোয়াকে উত্তম মনে করে এর উপর আমল করা গুনাহ। পক্ষান্তরে তিনবার ধোয়ার পরও কোনো স্থানে পানি পৌঁছার ব্যাপারে সন্দেহ হলে সে স্থানটি আবার ধুয়া। তবে শুধু ওয়াসওয়াসার ভিত্তিতে এরূপ করা যাবে না।

[তথ্যসূত্র: সুনানে আবু দাউদ ১/১৮, বাদায়েউস সানায়ে ১/১১৩, শরহুল মুনিয়্যা ২৬, খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২২, আলবাহরুর রায়েক ১/৪৬]