
প্রশ্ন: অনেক সময় দেখা যায়, কিছু কোম্পানির মোবাইল কার্ড তার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হয়। যেমন, ৫০ টাকার একটি কার্ড ৫৪ বা ৫৫ টাকায় কিনতে হয়। আমি দিচ্ছি ৫৫ টাকা, কিন্তু পাচ্ছি ৫০ টাকার সেবা। জানতে চাই, এই বাড়তি টাকা দেওয়া কি সুদ হিসেবে গণ্য হবে?
উত্তর: আপনার প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং বর্তমান সময়ের একটি প্রচলিত বিষয়। ইসলামি শরিয়তের দৃষ্টিতে, এই লেনদেনকে সুদ হিসেবে গণ্য করা হবে না।
এর মূল কারণ হলো, এখানে ৫০ টাকার মোবাইল কার্ডটি সরাসরি ৫০ টাকা হিসেবে বিবেচিত হয় না, বরং এটি একটি পণ্য বা মূল্যমানের টেলিযোগাযোগ সেবা। অর্থাৎ, আপনি ৫৫ টাকা দিয়ে ৫০ টাকার সমান একটি সেবাপণ্য কিনছেন, যা দিয়ে কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এটি নগদ টাকার বিনিময়ে নগদ টাকা লেনদেন নয়।
সুদ সাধারণত একই প্রকারের মুদ্রার বিনিময়ে বেশি পরিমাণ মুদ্রা নেওয়াকে বোঝায়, যেমন ১০০ টাকার বিনিময়ে ১০৫ টাকা নেওয়া। কিন্তু এখানে একটি পণ্য (মোবাইল কার্ডের সেবা) কেনা হচ্ছে, যার মূল্য বিক্রেতা বেশি নির্ধারণ করেছেন।
অতএব, ৫০ টাকার কার্ড ৫৪ বা ৫৫ টাকায় কেনা-বেচা করলে তা সুদ হবে না। তবে, শরিয়তের দৃষ্টিতে এবং নৈতিকতার দিক থেকে, কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে কোনো পণ্য বিক্রি করা অন্যায়। এটি ক্রেতার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে এবং ন্যায্য ব্যবসার নীতির পরিপন্থী।
[তথ্যসূত্র: তাকমিলাতু ফাতহুল মুলহিম (১/৪০০) এবং ফাতহুল কাদীর (৬/১৫৯)]