ঢাকা ৬ ফাল্গুন ১৪৩১, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৬ ফাল্গুন ১৪৩১

ফার্সি গল্পের এক টুকরো

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৩১ এএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৪১ এএম
ফার্সি গল্পের এক টুকরো

সেকালে নবাব-বাদশাহরা খুশি হলেই কবিদের এক-আধটা ঘোড়াটোড়া উপহার দিতেন। আর ঘোড়া পেলে খুব সম্মানবোধ করতেন কবিরাও।

কবি আনোয়ারী ছিলেন বিখ্যাত ফার্সি কবি। সুলতান সঞ্চুর ছিলেন খুব গুণগ্রাহী আর আনোয়ারীকে বিশেষ পছন্দ করতেন তিনি। সুলতান একবার হুকুম দিলেন, আনোয়ারীকে এই কবিতার জন্যে একটা ঘোড়া দেওয়া হোক। হুকুম তামিল হলো সঙ্গে সঙ্গেই।

হুকুম তো তামিল হলো। আর যে ঘোড়া কবিকে দেওয়া হলো, অনেক দিন সেটার যত্ন হয়নি, সুলতানের আস্তাবলে ভালো করে দানাপানিও পায়নি। সে-বেচারা কবির বাড়িতে পৌঁছতে পৌঁছতেই…

কী ঘটল একটু পরে বলছি। পরদিন সুলতান দেখেন, কবি হেঁটেই সভায় হাজির।

কই হে, ঘোড়া কী হলো?

আজ্ঞে সেটায় চড়া আমার কর্ম নয়।

কেন?

হুজুর, যে রকম তার বেগ, তাতে পৃথিবীর কোনো মানুষ তার পিঠে চাপতে পারে না।

সে কী হে! সুলতান আশ্চর্য হয়ে গেলেন: আমিও পারব না?

আজ্ঞে না।

সুলতান চটে গেলেন: আমার আস্তাবলের ঘোড়া, আমি চাপতে পারব না? গোস্তাকি তো কম নয় তোমার।

আনোয়ারী বললেন, তা হলে শুনুন হুজুর:

কে দেখেছে এমন ঘোড়া–গজনী থেকে গৌড়ে,

মর্ত্য থেকে স্বর্গে গেল একটি রাতের দৌড়ে!

অর্থাৎ কবির বাড়িতে পৌঁছে একরাত্রেই ঘোড়াটা পটল তুলেছিলে। তখন সুলতানের কী হলো, বুঝতেই পারো।

জাহ্নবী

আজকের সেরা জোকস: দীর্ঘ জীবনের রহস্য

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৭ পিএম
আজকের সেরা জোকস: দীর্ঘ জীবনের রহস্য
ছবি এআই

১. জন্মদিনে একজন শতায়ু বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করা হল তার এই দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য কী?
বৃদ্ধা বললেন, এখনই ঠিক বলা যাচ্ছে না। একটা ভিটামিন পিল কোম্পানি, একটা আয়ুর্বেদ কোম্পানি আর একটা ফ্রুট জুস ফ্যাক্টরির সঙ্গে দরদাম চলছে।


২. বস: এ কী! আজ অফিসের হিসাব মেলানোর শেষ তারিখ আর ক্যাশিয়ার নেই? কোথায় গিয়েছেন তিনি?
কেরানি: তিনি গিয়েছেন জুয়া খেলতে, স্যার।
বস: জুয়া খেলতে? আমি কি ঠিক শুনছি?
কেরানি: হ্যাঁ স্যার। যাওয়ার আগে তিনি বলে গিয়েছেন, ক্যাশ মেলানোর এটাই তার শেষ সুযোগ।

 

৩. এক ব্যক্তি হোটেলে খেতে বসে বিরক্ত হয়ে বেয়ারাকে ডাকলেন।
ব্যক্তি: এই যে শোন, এ কী খাবার দিয়েছো?
বেয়ারা: কেন স্যার! কোনো সমস্যা হয়েছে?
ব্যক্তি: সমস্যা মানে! আরে এ খাবার তো একেবারে গাধার খাদ্যের অযোগ্য!
বেয়ারা: গাধার যোগ্য খাদ্য তো এই হোটেলে পাবেন না স্যার। আপনাকে না দিতে পাবার জন্য দুঃখিত।

আজকের সেরা জোকস: আলোর গতি

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
আজকের সেরা জোকস: আলোর গতি
ছবি এআই

শিক্ষক: মফিজ বলত, আইনস্টাইন কীভাবে আলোর বেগ পরিমাপ করেছিলেন?
মফিজ: স্যার, আমার মনে হয়, আলো যেহেতু অনেক বড় জিনিস, মানে বিশাল জিনিস, সেহেতু আইনস্টাইন প্রথমে একটা দুইশ গজ ফিতা নিয়েছিলেন, তারপর...
নান্টু: হয়নি স্যার। মফিজ কী ধরনের গাধা চিন্তা করেন! আরে আলো কি জামা-কাপড় যে ফিতা দিয়ে মাপব! আলো হইল আলুর মতো ভারী। তা ছাড়া তখন গজ ফিতা আবিষ্কারই হয়নি। তাই তখন মাপামাপির কাজে দাঁড়িপাল্লা ছাড়া উপায় ছিল কোনো? বলেন স্যার, আপনিই বলেন।
শিক্ষক: আহা! তোদের কী প্রতিভা! তোরা তো একসময় আইনস্টাইনকেও ছাড়িয়ে যাবি।

টং ঘরে টকশো

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
টং ঘরে টকশো
ছবি এআই

প্রায় বছর দশেক পরে ইতালি থেকে দেশে ফিরলেন মতিন মিয়া। প্রবাসের হাড়ভাঙা খাটুনি আর পাসপোর্টের পেছনে ছুটতে ছুটতে জীবনীশক্তি প্রায় শেষ। তাই একটু ফুরসত পেতে বাড়িতে আসা। 
সবার সঙ্গে সকাল-বিকেল কথা হচ্ছে। মনটা তাই ফুরফুরে। দুই দিন পর বাড়ির পাশের টং ঘরের বেঞ্চে বসলেন। উদ্দেশ্য শীতের এ নরম বিকেলে ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দিয়ে উষ্ণতা খুঁজে ফেরা এবং গ্রামবাসীর সঙ্গে গল্পগুজব। একটু পর মতিন মিয়ার মনে হলো, এ তিনি কোথায় এলেন! দেশের বাঘা বাঘা বিজ্ঞজন, জ্ঞানী-গুণীরা তার সঙ্গে এক বেঞ্চে বসে চা খাচ্ছেন। কী নিয়ে আলাপ হচ্ছে, না বলে বলা ভালো, কী নিয়ে আলাপ হচ্ছে না! হেন কোনো বিষয় নেই যা নিয়ে এখানকার প্যানেলিস্টরা তর্ক জুড়ছেন না।
প্রথমেই সদ্য অভিষেক হওয়া ট্রাম্পের সামনে কী কী করা উচিত- এ নিয়ে মুখে খই ফোটান ফাইভ পাস করা উত্তরপাড়ার মেম্বারের পুত হোসেন আলী। মধ্যপ্রাচ্য থেকে মহাকাশ- এসব নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি কী রকম হওয়া উচিত, পুতিনের সঙ্গে কাইজ্যা থামানোর টোটকা পরামর্শ, উত্তর কোরিয়ার ছোকড়াটাকে কেমন ধমক দিতে হবে, সব হোসেনের জানা। ট্রাম্প সাহেব জানলে পরের দিনই ভিসা দিয়ে তার উপদেষ্টা নিয়োগ দিতেন! এত বড় এক রত্ন বাংলাদেশের এক গাঁও-গেরামে পড়ে আছে!
একটু পরেই তর্কের টপিক আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ঢুকে গেল। এতটাই অভ্যন্তরীণ যে, একেবারে ছোট ঘর পর্যন্ত। পাশের বাড়ির মহব্বত আলীর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কয় লোটা পানি লাগে, টাট্টিতে কত সময় দেয়, ঘুমানোর সময় কত ডেসিমেলে নাক ডাকে; দেখা যাচ্ছে তার প্রতিবেশী সিসিটিভি ক্যামেরার মতোই সব খেয়াল করছে। আর সেই রিপোর্ট এই চা দোকানটায় উগড়ে দিচ্ছে। কারও স্কুলপড়ুয়া মেয়ে হয়তো দুই বাড়ি দূরে তার কোনো সহপাঠী থেকে নোট নিয়েছে। কিন্তু কান পাতলে শোনা যাবে, বদিউলের ঝি তো মতির পুতের সঙ্গে লাইন মারে। কারও মেয়ে হয়তো মাত্র নিউ টেনে পা দিয়েছে। কিন্তু আশপাশের লোকজন আজগুবি এক থিওরি বয়ান করবে, ঠিক কী কারণে বলিউডের সালমান খান আর আমাদের লোকমানের ছাও সালমা খানমের বিয়ে হচ্ছে না। বিয়ে যদি ঠিকও হয়, হবু জামাইয়ের চৌদ্দগোষ্ঠীর আমলনামা এ দরবারে পেশ করা হবে।
মন্ত্রমুগ্ধের মতো সব শুনে যাচ্ছেন মতিন মিয়া। মুখে রা নেই। তিনি নিজেই হয়তো জানেন না, তার জীবনে সমস্যা কী। কিন্তু পাড়া-প্রতিবেশী তাকে নিয়ে গবেষণা শেষ করে ফেলেছে। তিনি জানেনই না, বাড়ি থেকে ১০০ গজ দূরের চা দোকানের টং ঘরে তাকে নিয়ে নিয়মিত পিএইচডির রিসার্চ পেপার সাবমিট হচ্ছে। মনে মনে ঠিক করলেন, এসব আলোচনার পক্ষে-বিপক্ষে কিছুই বলা যাবে না। আমি তো কোনো ছাড়, যেখানে ট্রাম্পকেই ছাড় দেওয়া হয় না। করা হয় কঠোর প্রতিবাদ, তীব্র সমালোচনা। যদিও এসব ক্ষুরধার বাণী চায়ের ধোঁয়ার মতোই ক্ষণিকের মধ্যে মিলিয়ে যায়।
টকশোর মজমায় তিনি এতটাই মজেছেন যে, কখন যে চা শেষ হয়ে আঙুলের ফাঁক দিয়ে আলতো করে ছোট গ্লাসটিকে ধরে রেখেছেন খেয়ালই নেই। খেয়াল ভাঙল তখন, যখন হঠাৎ গ্লাসটি নিচে পড়ে গেল। গ্লাস ভাঙার ঝন ঝন আওয়াজে আলোচনায় ছেদ পড়ল। হালকা রসিকতা করে মতিন মিয়া বললেন, এটা হচ্ছে টকশোর বিরতি। গ্লাসের টুকরোগুলো উঠিয়ে নিচ্ছি। বিরতির পরে আপনারা যার যার টপিকে ফিরে যাবেন।

আকাশে দুই পাইলটের দেখা

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
আকাশে দুই পাইলটের দেখা
ছবি এআই

একটি এয়ারবাস ২২০ আটলান্টিক মহাসাগরের উপর দিয়ে ঘণ্টায় ৮০০ কিমি বেগে উড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ পাশে একটা ইউরোফাইটার জেট উপস্থিত হলো। ফাইটার জেটের পাইলট গতি কমিয়ে এয়ারবাসের পাশাপাশি উড়ে এয়ারবাসের পাইলটকে রেডিওতে অভিবাদন জানিয়ে বললেন, এয়ারবাসের ফ্লাইট খুব বিরক্তিকর তাই না? দেখো আমি কী করতে পারি।
এই বলে সে তার ফাইটার জেটটিকে এক ঝটকায় ঘুরিয়ে এয়ারবাসের চারপাশে একটি চক্কর দিয়ে উপরে উঠে আবার নিচে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি ছোঁয়া উচ্চতায় গিয়ে আবার এয়ারবাসের পাশে ফিরে এল। তারপর এয়ারবাসের পাইলটের দিকে তাকিয়ে বলল, আচ্ছা, কেমন ছিল?
এয়ারবাস পাইলট উত্তর দিলেন, অসাধারণ। এবার আমারটা দেখেন...
জেট পাইলট এয়ারবাসের দিকে তাকিয়ে থাকেন, কিন্তু কিছুই হয় না। এয়ারবাসটি একই গতিতে একগুঁয়ে সোজা উড়তে থাকে। ১০ মিনিট পর এয়ারবাসের পাইলট রেডিওতে বললেন, কেমন দেখলেন? 
জেট পাইলট বিভ্রান্ত হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি করেছেন কিছুই তো দেখলাম না। একই ভাবেই উড়ছিল বিমানটা। 
এয়ারবাসের পাইলট হেসে বললেন, আমি আমার সিট থেকে উঠে পেছনের ওয়াশরুমে গিয়েছিলাম। এরপর লাঞ্চ করে এক কাপ কফি খেলাম। তারপর একটু রেস্ট নিয়ে আবার আসন গ্রহণ করলাম।

অনিচ্ছাকৃত

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৪০ পিএম
অনিচ্ছাকৃত
এঁকেছেন মাসুম

এতক্ষণ ঘরে অনেক লোক ছিল। মেয়েরা কোলাহল করছিল। হঠাৎ তারা ছুটে বের হয়ে গেল। বরের ঘরে কিছু একটা ঘটনা ঘটেছে নিশ্চয়ই। 
বিয়ের সময় কনের বড় সমস্যা হলো, ইচ্ছা থাকলেও সে কথা বলতে পারে না। আসন ছেড়ে ছুটে কোথাও যেতে পারে না। অনেক সময় বাথরুম চেপে বসে থাকতে হয়। তৃষ্ণায় পানিও ঠিকমতো খেতে পারে না। 
তো সবাই কোথায় গেল সেটা জানার অপার আগ্রহ মনে চাপা দিয়ে কনে বসে রইল তার আসনে। তবে ঘরে সে একেবারে একা না। কাজি সাহেব আছেন। 
কনে বসে আছে খাটের মাঝখানে। খাটের সামনে একটা চেয়ারে বসে কাজি সাহেব মোটা ও বড় একটা খাতায় খস খস করে লিখে চলেছেন। বিয়ে রেজিস্ট্রি-সংক্রান্ত বিষয় হবে হয়তো। বর-কনের নাম, ঠিকানা, বাবা-মায়ের নাম সব তার কাছে একটা পৃষ্ঠায় লেখা। 
কনে তাকাল কাজি সাহেবের দিকে। বিয়ের কাজি এবং ঘটকের কথা ভাবলে সাধারণত বয়স্ক একজন মানুষের চেহারা সবার চোখে ভেসে ওঠে। শুকনা বয়স্ক লোক, চোয়াল ভাঙা, মুখের ভেতর পান, পান খাওয়া লাল দাঁত। 
তবে এই কাজি সাহেব সেরকম কেউ না। বয়স কম। গায়ের রং ফর্সা। গোলগাল চেহারা। মুখে পান নেই। পান সে খায় না। তবে ঠোঁট দুটি এমনিতেই লাল ও বেশ চিকন। কনে তার হবু বরের সঙ্গে কাজি সাহেবের চেহারা মেলাল। দেখল রূপ-সৌন্দর্যে তার হবু বরের কাছে কিছুই না। কনের বুকের ভেতর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে গেল। ইশ! আরও আগে কেন যে এই লোকটার সঙ্গে দেখা হলো না। 
কাজি সাহেব লিখে চলেছেন। কনে তাকিয়ে আছে তার দিকে। তাকিয়ে থাকতে থাকতে যেন প্রেমে পড়ে গেল, যাকে বলে প্রথম দেখায় প্রেম। একপর্যায়ে কনে বলে উঠল, কাজি সাহেব, আপনি কি বিবাহিত?
হঠাৎ এমন মিষ্টি কণ্ঠে কাজি সাহেব চমকে উঠলেন। তার কলম কেঁপে ওঠে একটা অক্ষর বাঁকা হয়ে গেল। তিনি আশপাশে তাকালেন। কনে ছাড়া কাউকে দেখতে পেলেন না। কনে যে এরকম প্রশ্ন করতে পারে তা তিনি ভাবতে পারছেন না। কনে বলল, বলছিলাম কী, আপনি বিবাহিত?
- অহ! জি, আমি বিবাহিত। বিবাহ করার ইচ্ছা ছিল না মোটেও। তবু করতে হলো।
- কেন করতে হলো কাজি সাহেব?
- এক বিয়ে রেজিস্ট্রি করাতে গিয়েছিলাম। সেখানে অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটল। 
- কী কাণ্ড কাজি সাহেব?
- কনে আমাকে পছন্দ করে বসল। সে আমাকেই বিয়ে করতে চায়। আমার ইচ্ছা ছিল না মোটেও। ভীষণ অনিচ্ছা নিয়ে শেষে আরেক কাজি ডেকে এনে...।
- ওফ! 
কাজি সাহেব আবার লেখায় মনোযোগী হলেন। কনে বলল, বিয়ে কি একটাই করেছেন কাজি সাহেব?
- না, দুইটা। পরেরটাও সেই একই ঘটনা। অনিচ্ছাকৃতভাবে.....।
- আচ্ছা কাজি সাহেব, এখন আমি যদি আপনাকে বিয়ে করতে চাই তো করবেন?
কাজি সাহেবের মুখটা ঝলমল করে উঠল। চোখের কোণে নেচে উঠল আনন্দ। তিনি বললেন, আমার মোটেও ইচ্ছা নাই। তবে আপনি চাইলে অনিচ্ছাকৃতভাবে...। 
- ধরেন আমাকে বিয়ে করলেন। আপনার ঘরে তিনটা স্ত্রী। আবার কোনো বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে গেলেন, আবার কোনো কনে আপনাকে পছন্দ করে ফেলল তখন?
- আমার সেরকম কোনো ইচ্ছা নেই। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে আবারও বিয়ে করতে হতে পারে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমি যেতে চাই না। তবু কখনো কখনো যেতে হয়। 
- ও।
- আপনার মতামত কী?
- নাহ! অনিচ্ছাকৃতভাবে আপনাকে আর আজ বিবাহ করাব না। আপনি যা লিখছিলেন লেখেন। 
কাজি সাহেবের মনটা যেন দমে গেল। মুখ গোমড়া করে তিনি লিখতে লাগলেন। আবার লোকজন ছুটে এল ঘরে। ঘর কোলাহলে পূর্ণ হলো।