
মিসেস জরিনা সকালের নাশতা বানানোর জন্য ফ্রিজ থেকে ডিম নিয়ে রান্না ঘরে ঢুকলেন। একটু পরে কড়াইতে ডিম ছেড়ে যেই না রান্নাঘর থেকে বের হতে যাবেন, তখনই হুড়মুড় করে তার স্বামী রান্নাঘরে ঢুকে পড়লেন। মিসেস জরিনা অবাক। এমনিতে সে কখনো এখানে আসে না। তিনি ভাবলেন কোনো সমস্যা হয়েছে বোধ হয়। সে কারণে জিজ্ঞেস করলেন, কী ব্যাপার, এখানে?
স্বামী বললেন, সাবধান! ডিমভাজা এত সহজ না। সবসময় সতর্ক চোখ রাখতে হয়। চোখ একটু এদিক সেদিক হয়েছে তো ডিম পুড়ে ছারখার। কড়াইতে আরেকটু তেল দাও।
মিসেস জরিনা কিছু একটা বলতে চাইলেন কিন্তু সেটাও পারলেন না। তার আগেই স্বামী প্রবর আবার চেঁচাতে শুরু করলেন, খাইছে আমারে! পেঁয়জ কই? পেঁয়াজ এত কম দিয়েছ কেন? সাবধান, জলদি আরেকটু পেঁয়াজ কেটে ডিমের মধ্যে ছড়িয়ে দাও। আরে বাবা একি অবস্থা! জলদি আরেকটু তেল আনো। সব তেল তো টেনে গেল। এক্ষুনি ডিম পুড়ে কয়লা হলো বলে।
স্বামীর তাড়াহুড়া দেখে মিসেস জরিনা ভড়কে গেলেন। কিচেন কেবিনেট থেকে তেলের বোতল এনে যেই না কড়াইতে ঢালতে যাবেন তখন স্বামী আবার হায় হায় করে উঠলেন, খুব সাবধান। আরে একি, ডিম ভাজার সময় মন কই থাকে? লবণ দেওয়ার কোনো লক্ষণই তো তোমার মধ্যে দেখতে পাচ্ছি না। লবণ না থাকলে ডিমে কোনো স্বাদ হয়। জলদি লবণ দাও। তবে খুব সাবধান। একটুও যেন বেশি না পড়ে। আরে তোমার ধ্যান কোথায়, ডান পাশে দাও, ডান পাশে। সাইডে...আরে সাইডে চাপাও না। সামান্য ডিম ভাজতে জানো না? অবাক কাণ্ড। তোমার হাতে আমাদের সবার সকালের নাশতা নির্ভর করছে সেটা কি মনে আছে?
মিসেস জরিনা এবার আর মুখ বন্ধ রাখতে পারলেন না। তিনি বললেন, রান্নাঘরে এসে এভাবে চিৎকার করছ কেন? তোমার কি ধারণা, আমি সামান্য ডিমটাও ভাজতে জানি না?
এবার স্বামী বাবু একটু নরম হলেন। তিনি বললেন, আমি আসলে বোঝাতে চাইছিলাম যে, তোমাকে নিয়ে গাড়ি চালাতে বসলে আমার আসলে কেমন লাগে।
কলি