ঢাকা ১০ আষাঢ় ১৪৩২, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫
English

আবেদনপত্র ও তার জবাব

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৪, ১২:৫৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪, ০১:১৪ পিএম
আবেদনপত্র ও তার জবাব

১.বরাবর
মাননীয়া স্ত্রী
মফিজ অ্যাপার্টমেন্ট
ঢাকা

বিষয়: কোপা আমেরিকা চলাকালীন টিভির রিমোট দখলে রাখার আবেদন

মহোদয়া,
সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার ফ্ল্যাটের আপনার কক্ষে বসবাসকারী আপনারই স্বামী ফুটবলপ্রেমী সদরুল। আপনি জানেন, আর্জেন্টিনার মেসি আর ব্রাজিলের নেইমার কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেকগুলো ম্যাচ পেরিয়ে ফাইনাল কাছাকাছি চলে এসেছে। ফাইনালে উক্ত খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স দেখার জন্য আমি মুখিয়ে আছি।

তাই আপনার কাছে আরজ এই যে, খেলা চলাকালীন টিভির  রিমোট আমার হাতে দিয়ে উক্ত দুই মহান ফুটবলারের খেলা দেখার উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখার ব্যবস্থা করতে মহোদয়ার মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক

ফুটবলপ্রেমী সদরুল
মফিজ অ্যাপার্টমেন্ট

২.বরাবর
গদাইয়ের বাপ
মফিজ অ্যাপার্টমেন্ট
ঢাকা

আপনার আবেদনপত্রটি পেয়েছি। ফুটবলের প্রতি আপনার ভালোবাসা প্রশংসার দাবি রাখে। এমন ভালোবাসা সংসারের প্রতি থাকলে আরও ভালো লাগত। যাই হোক, আপনি অবগত আছেন, মেসির আর্জেন্টিনা এবং নেইমারের ব্রাজিল টুর্নামেন্টে থাকলেও বাংলাদেশের নামগন্ধ সেই টুর্নামেন্টে নেই। যেখানে বাংলাদেশ নেই, সেই খেলা দেখে কোনো ফায়দা নেই। তাই  রিমোট বরাবরের মতো আমার হাতেই থাকবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হলো। দয়া করে টিভির  রিমোটের দিকে নজর দেবেন না।

বিনীত নিবেদক

মিসেস সদরুল
মফিজ অ্যাপার্টমেন্ট

কলি 

আজকের সেরা জোকস: কুপি বাত্তি

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০১:৪৭ পিএম
আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০১:৫৯ পিএম
আজকের সেরা জোকস: কুপি বাত্তি
ছবি এআই

▶ গ্রামে বিদ্যুৎ আসার পর বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তা এক বৃদ্ধাকে জিজ্ঞেস করলেন, কেমন লাগছে আপনাদের এখন?
বৃদ্ধা: তোমরা যে বাত্তি দিয়া গেছ, ওই আলোরে এখন আমাগো হারিকেন আর কুপি বাত্তি খুঁজে পাইতে কোনো কষ্ট হয় না!

 

▶ মমিন ভাইয়ের প্রথম নাতি হয়েছে। বাবা-মার সঙ্গে নানাবাড়ি বেড়াতে এসেছে। নানী তো আহ্লাদে বাঁচে না—ছাদে নাতিকে নিয়ে খেলছেন।
নানী: ওরে আমার সোনারে! ওরে আমার যাদুরে! ঐ যে নিচে তোমার নানা, ওরে ভিজাইয়া দে!
নানা নিচে পত্রিকা পড়ছিলেন। বললেন, এই পানি ফালায় কে?
নানী: চিল্লাইও না। নাতি হিসি করছে।
নানা: ও তাইলে ঠিক আছে। পানি ফালাইলে খবর আছিল!

কিপ্টুস

প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম
কিপ্টুস
ছবি এআই

সেদিন আকাশ ছিল মেঘে ঢাকা। এনামুল মিডটার্ম পরীক্ষা শেষ করে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। সিনেমাতে যেমনটা ঘটে অনেকটা তেমন কিছু ঘটে গেল তখন। ব্যাপারটা খুলেই বলি। ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন তিনি। এমন সময় সামনাসামনি সংঘর্ষ হলো মিতার সঙ্গে। এনামুলের হাত থেকে বইখাতা সব পড়ে গেল। পড়ে যাওয়া সেই বই একসঙ্গে দুজনে উঠাতে গিয়ে মাথায় মাথায় ঠোকাঠুকিও হলো। তারপর হলো ভাব। সেই ভাব একসময় ভালোবাসায় পরিণত হলো।
ভালোবাসা হলেই আসে ডেটিংয়ের পালা। কিন্তু এনামুল কিংবা মিতা কখনোই ডেটিংয়ে যান না। না পার্কে, না চাইনিজে, না সিনেমা দেখতে। কারণ একটাই। খরচ। তারা দুজন খরচ করার ব্যাপারে অতিরিক্ত সচেতন। এতটাই সচেতন যে, বন্ধুবান্ধবরা দুজনকে কিপটে নামে ডাকতে শুরু করল।
সাধারণত ক্লাস শেষ হলে তাদের দেখা হয়। সেখানেই কিছুক্ষণ প্রেমালাপ চলে। তারপর যে যার বাড়ির দিকে রওনা হয়। এনামুল কখনো মিতাকে এগিয়ে দিতে যায় না। কারণ, এগিয়ে দিতে গেলেই ট্যাক্সি ভাড়াটা তাকে দিতে হবে। কে চায় বাড়তি ভাড়ার ঝামেলা নিজের কাঁধে নিতে। মিতাও কখনো এনামুলকে বলে না এগিয়ে দিতে। কারণ, এগিয়ে দিতে এলেই এনামুল জানবে মিতা ট্যাক্সিতে না, প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করে।
তিন বছর পরের কথা। মিতার জন্মদিন আজ। এনামুল চাইলেন রাত ১২টায় জন্মদিনটা সেলিব্রেট করবেন। পরিকল্পনা মিতাকে জানাতেই তিনিও রাজি হয়ে গেলেন। মিতা বললেন, ‘যখন বাবা ঘুমিয়ে যাবে তখন আমি রাস্তায় এক টাকার একটা কয়েন ফেলব। সে শব্দ শুনে তুমি ভেতরে চলে আসবে।’
যথা সময়ে মিতা কয়েন ফেলল। কিন্তু এনামুল এল কয়েন ফেলার এক ঘণ্টা পর। 
মিতা: এত দেরি করলে কেন?
এনামুল: আরে আমি কয়েনটা খুঁজছিলাম।
মিতা: আরে পাগল, আমি তো কয়েনটাতে সুতা দিয়ে বেঁধে ফেলছিলাম। পড়ে আবার সুতা টেনে উঠিয়ে নিয়েছি।

আজকের সেরা জোকস: একদিন পার্টিতে

প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ০২:০৬ পিএম
আপডেট: ১৯ জুন ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
আজকের সেরা জোকস: একদিন পার্টিতে
ছবি এআই

▶ এক পার্টিতে এক লোক চুপচাপ বসে আছে। হঠাৎ, এক সুন্দরী তরুণী এসে তাকে জিজ্ঞেস করল,
— আপনি কি নাচতে আগ্রহী?
লোকটি খুশিতে উচ্ছ্বসিত হয়ে বলল,
— অবশ্যই!
তরুণী বলল,
— তাহলে প্লিজ, চেয়ারটা ছেড়ে ফ্লোরে গিয়ে নাচুন। আমি একটু বসি!

 

▶ সাকিব: রাকিব, তোকে ঠিক রাত ১০টায় একটা ফোন দিবি তো? একটু দরকারি কথা আছে।
রাকিব: ঠিক আছে। তাহলে তুই আগে আমাকে ৯টা ৫৯ মিনিটে ফোন দিয়ে মনে করিয়ে দিস!

দুই বন্ধু

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
দুই বন্ধু

ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। ১০টি প্রশ্নের সবগুলোই কমন পড়েছে। সবগুলোর উত্তর পকেটে রাখা কাগজে আছে। চুপিচুপি এক নাম্বার প্রশ্নটা পকেট থেকে বের করে শাকিল লিখতে শুরু করল। পাশের সিটে বসা ইরফান পুরো ব্যাপারটা খেয়াল করছিল। তার একটাও কমন পড়েনি। না পকেটে, না মাথায়। কী আর করা, ফিসফিসিয়ে শাকিলের কাছে সাহায্য চাইল। শাকিল না করল না। পকেট থেকে আরেকটা কাগজ বের করে ইরফানের হাতে ধরিয়ে দিতে দিতে বলল, ‘লেখা হয়ে গেলে আমাকে ফেরত দিস। তখন আরেকটা দেব।’
সেই থেকে শাকিল আর ইরফান ঘনিষ্ঠ বন্ধু। একজন অন্যকে ছাড়া কোথাও যায় না, কিছু খায় না। এরকম পরিস্থিতিতে একদিন তাদের ইচ্ছা হলো সিনেমা দেখার। এলাকার সিনেমা হলে ‘তুমি আমার জান পাখি’ সিনেমা চলছে। নাইট শো দেখে বেরোতে বেরোতে ১২টা বেজে গেল। তবে আকাশে পূর্ণ চাঁদ থাকায় পথ চলতে কোনো সমস্যা হচ্ছিল না। হঠাৎ শাকিল পথে কী যেন পড়ে থাকতে দেখে ইরফানকে বলল, ‘দোস্ত দেখ, সামনে কী যেন পড়ে আছে।’ 
ইরফান অন্যমনস্ক ছিল। শাকিলের কথায় পথের দিকে তাকিয়ে দেখে সত্যি কী যেন দেখা যাচ্ছে। ইরফান শাকিলকে বলল, ‘হুম, মনে হচ্ছে দই পড়ে আছে। যাওয়ার সময় কারও কাছ থেকে পড়ে গেছে নাকি কে জানে।’ 
দইয়ের কথা শুনে শাকিল খুশি হয়ে গেল, ‘দই! আচ্ছা একটু অপেক্ষা কর, আমি টেস্ট করে দেখছি।’
শাকিল দেরি করল না। সেখান থেকে আঙুল দিয়ে খানিকটা তুলে মুখে দিল। তারপর মুহূর্তেই কুঁচকে ফেলল নিজের চোখ-মুখ। শাকিলের চেহারা দেখে ইরফান অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘কী হলো, এমন করছিস কেন?’ 
শাকিল আমতা আমতা করে জবাব দিল, ‘কোথায় দই, এটা তো গোবর!’
শুনে ইরফান স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে বলল, ‘বেঁচে গেছিস। ভাগ্যিস রাতের অন্ধকারে ওগুলো পারাস নাই!’

আজকের সেরা জোকস: আম বিক্রেতা

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ০৫:৫৩ পিএম
আজকের সেরা জোকস: আম বিক্রেতা
ছবি এআই

▶ আম বিক্রেতা : নিয়ে যান স্যার! একেবারে চিনির মতো মিষ্টি আম।
ক্রেতা একটা আম নিয়ে মিষ্টি কিনা টেস্ট করার জন্য কামড় দিয়েই বড় করে হাঁ করে রইল।
আম বিক্রেতা : স্যার, মুখটা একটু বন্ধ করেন। যত বড় করে হা করেছেন, আম ততটাও টক না!

 

▶ বন্ধুর মন খারাপ দেখে জিজ্ঞেস করল, কিরে, তোর মন খারাপ কেন?
২য় বন্ধু : ব্যবসায় আবারও মার খাইছি।
১ম বন্ধু : কী ব্যবসায় মার খাইলি? কেমন কইরা খাইলি? কই ব্যবসা দিছিলি?
২য় বন্ধু : আর বলিস না! সামনের মোড়ের ছয়তলা দালানটার তিনতলায় পেট্রোল পাম্পের ব্যবসা দিছিলাম।