ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

পিতার কাছে পুত্রের বাজেট পেশ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
পিতার কাছে পুত্রের বাজেট পেশ

মাননীয় আব্বা, আপনারে সালাম জানিয়ে আমার বাজেট অধিবেশন শুরু করছি। আজ আমি আগামী অর্থবছরের জন্য আমার ব্যক্তিগত বাজেট পেশ করব। আমি আশা করছি, আপনি খুশি হয়েই অনুমোদন দেবেন।

প্রথমেই শিক্ষা খাত
আব্বা শিক্ষা হইলো জাতির মেরুদণ্ড। Education Is the... ইয়ে মেরুদণ্ডের ইংলিশটা ভুইল্লা গেসি। সে যাক, দুইটা বছর ধরে আমি সাফল্যের সহিত অত্যন্ত চমৎকার ফলাফল করে আসছি। এখন পর্যন্ত আমি মাত্র ১৮টা কোর্স রিটেক করেছি। যা কিনা আমার বন্ধুমহলের মধ্যে সর্বনিম্ন! সে অনুপাতে আগামী বছর আমার কমপক্ষে আরও ৯টা রিটেক লাগবে। তাই আপনি কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখবেন।

এরপর খাদ্য খাত
আব্বা গো, দুঃখের কথা কী বলব! দুইটা বছর ধরে ভার্সিটিতে প্রতিদিন মাত্র একটা বার্গার আর একটা হটডগ খেয়ে কোনোমতে বাইচ্চা আছি। এত কম খেয়ে পড়ালেখায় মন কীভাবে দিব গো আব্বা? তাই বলছি, আগামী বছরের জন্য প্রতিদিন ভার্সিটিতে আমি যাতে দুইটা বার্গার, একটা পিৎজা, একটা চিকেন সমুচা, একটা হটডগ খেতে পারি সেই ব্যবস্থা রাখবেন। এ ছাড়া দশটা টাকা বাড়তি দিয়েন গো আব্বা। খাওয়ার পরে বকশিশ না দিলে প্রেস্টিজ থাকে না। কী জইন্য এইডা আর কইলাম না! আর বিকেলে এক কাপ কফি আর হালকা নাশতা না খেলে আমার পক্ষে পড়ালেখায় মনোনিবেশ করা কষ্টকর হবে।

এখন আসি স্বাস্থ্য খাতে
আব্বা, ছয়টা মাস ধরে আমার হার্টের বাম পাশে চিকন চিকন বেদনা। লিজারে যখন দেখি, তখন সেই বেদনা আরও বেড়ে যায়। শুধু তাই না, লিজার কথা চিন্তা করলেও এই ঘটনা ঘটে। আব্বা গো, আমার দিলের মধ্যে কী যে সুনামি তা আপনে বুঝবেন না। কবির ভাষায় ‘ওরে হারাই হারাই সদা হয় ভয়, হারাইয়া ফেলি চকিতে।’ এই ভয় থেকে মুক্তি না পেলে আমার অন্তরের বিষ কমবে না। তাই লিজাকে উপযুক্ত গিফটের মাধ্যমে পটাইয়া যাতে আমি এই দুরারোগ্য ব্যাধি হইতে মুক্তি পাই ...সেই ব্যবস্থা করার দায়িত্ব আপনার হাতে।

ক্রীড়া ও বিনোদন খাত
আব্বা, আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে উল্লেখযোগ্য অর্থ বরাদ্দের অভাবে ক্রীড়া ক্ষেত্রে আমি দিন দিন পিছিয়ে পড়ছি। কয়েক বছর আগে যে রাজিব ‘পোকার’ খেলায় আমার ধারে-কাছেই আইতে পারত না, সেই পুলার কাছে গত সপ্তাহে আমি ৫০০ টাকা বাজি হারছি! এভাবে চলতে থাকলে আমার ও আমার পরিবারের মান-ইজ্জত ধুলায় মিশে যাবে। আপনি মহল্লায় মুখ দেখাতে পারবেন না। রাজিবের এই সাফল্যের রহস্য হইলো, সে সপ্তাহের সাত দিনই ক্লাবে গিয়ে খেলে আর আমি টাকার অভাবে সপ্তাহে মাত্র তিন-চার দিন খেলতে পারি। আপনি ক্রীড়া ক্ষেত্রে বিশেষ বরাদ্দের ব্যবস্থা রাখলে আমি প্রতিদিন খেলে ও প্রশিক্ষণ নিয়ে ওই বড়লোকের সন্তানরে হারিয়ে আপনার ও আমার মহল্লার ইজ্জত রক্ষা করতে পারব।

এখন আসি বিনোদনে
বিনোদনের কথা আর কী কমু। বিনোদনের অভাবে আমার এই জীবন মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাচ্ছে গো আব্বা। সিনেপ্লেক্সে গিয়ে সপ্তাহে একটার বেশি সিনেমা আমি দেখতে পারি না। মাসে ডিভিডি কিনে বড়জোর ১২-১৫টা সিনেমা দেখি। কোনো কোনো মাসে আরও কম। বুঝি আর না বুঝি ইদানীং ইংলিশ ব্যাটাগো মুভি না দেখলে বন্ধুদের কাছে ইজ্জত থাকে না। আমি এই সমস্যার আশু সমাধান কামনা করতেছি।
মাঝে মাঝে আপনার কথা খুব মনে পড়ে। সেই যে ছোটবেলায় আপনি আমাকে পুষ্কুনিতে নামিয়ে গোসল করাতেন। আহ, এইগুলো মনে পড়লে আমার চউক্ষের পানিতেই পুষ্কুনি হয়ে যায়। আমার তখন ইচ্ছা করে পুষ্কুনিতে নেমে গোসল করি। কিন্তু এই ঠাডা পড়া শহরে পুষ্কুনি তো দূরের কথা, বাথরুমের বালতিতেও পানি থাকে না। তাই মাঝে মধ্যে সুইমিং পুলে গিয়ে দুইডা ডুব না দিলে পরাণে শান্তি পাই না গো আব্বা। এ বিষয়েও একটু খেয়াল রাইখবেন।

এরপরে আসি তইথ্য ও পরযুক্তি খাতে
আব্বা দেশ এখন অনেক এগিয়েছে। এখন হচ্ছে আপনার ইন্টারনেট যুগ। নেট এত স্লো যে, একবার নেটে বসলে, বসতে বসতে কোমরের নিচ অবশ হইয়া যায়। পেজ লোড হইতে হইতে চউক্ষে ঘুম লোড হয়ে যায়। তাই আগামী অর্থবছরে আমার জন্য একটা ৬ এমবিপিএস স্পিডের নেট লাইনের জন্য ৬০০ টেকা বরাদ্দ রাখবেন। না হইলে ফেসবুক পেজ ‘আমরা বড়লোক বাপের গরিব সন্তান’ চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে।

এ ছাড়া ডেস্কটপ কম্পিউটারের কারণে ঘরের বাইরে গেলে আমি বহির্বিশ্বের সঙ্গে এক প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে আমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আজ হুমকির মুখে। একটা ল্যাপটপ থাকলে আজ আমার এই দশা হতো না। বিষয়টা ভেবে দেখার অনুরোধ রইল।
পরিশেষে, বিগত দিনগুলায় আমি যে দুর্ভোগ-দুর্দশায় ছিলাম, আশা করছি আসছে বছরে এই বাজেট অনুমোদনের মাধ্যমে আমার সেই দুঃখের দিনগুলার অবসান ঘটবে। আপনাকে ধন্যবাদ।

 কলি

আজকের সেরা জোকস: আত্মজীবনী

প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫১ পিএম
আজকের সেরা জোকস: আত্মজীবনী
ছবি এআই

▶ ভক্ত: আপনার আত্মজীবনীটা পড়ে খুব ভালো লাগল। 
লেখক: ধন্যবাদ। 
ভক্ত: এ রকম আরও কয়েকটা লিখুন না। 

 

▶ খুব যেখানে বৃষ্টি হয়, রাস্তাঘাটে কাদা-পানি থাকে; সে সব জায়গায় তুই যদি জুতা কিনতে যাস, দেখবি জুতার দোকানদার পায়ের মাপ না নিয়ে তোর বগলের মাপ নেবে! 
- কেন? 
- কারণ সেসব এলাকার মানুষ পায়ে জুতা দেওয়ার কোনো স্কোপই পায় না! জুতা বগলে নিয়ে ঘোরে। 

আজকের সেরা জোকস: দুই বন্ধু

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৯ পিএম
আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
আজকের সেরা জোকস: দুই বন্ধু
ছবি এআই

▶ বন্ধুদের সঙ্গে এক ছেলে আড্ডা দেওয়ার সময় বলল, গতকাল রাতে আমার স্বপ্নে আমির খান এসেছিল। এমন ভাব দেখাল যেন ও আমাকে চেনেই না। 

▶ এক দর্জি তার ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছে। পথে তার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করল, এটা কি তোমার ছোট ছেলে, না কি বড় ছেলে? 
দর্জি বলল: বড়। 
লোকটি আবার প্রশ্ন করল: ছোটটি কত ছোট? 
দর্জি উত্তর দিল: এর থেকে দুই গিরা ছোট।

আজকের সেরা জোকস: বানর থেকে মানুষ

প্রকাশ: ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৮ পিএম
আজকের সেরা জোকস: বানর থেকে মানুষ
ছবি এআই

▶ ক্লাসে শিক্ষক পড়াচ্ছে...
শিক্ষক: বানর থেকে মানুষ হতে লেগেছে বিশ লাখ বছর।
ছাত্র: এটা কীভাবে সম্ভব, এতদিন কেউ বাঁচে নাকি!

▶ হোটেলের রুম থেকে রিসিপশনে ফোন করে এক লোক জিজ্ঞেস করে, ভাই বাংলাদেশের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সময় পার্থক্য কত? 
রিসিপশন থেকে বলল: স্যার, এক সেকেন্ড প্লিজ। 
ওই প্রান্ত থেকে থ্যাংক ইউ বলে ফোন রেখে দিল। 

আজকের সেরা জোকস: সংকর মুরগি

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৯ পিএম
আজকের সেরা জোকস: সংকর মুরগি
ছবি এআই

▶ গ্রামের এক জ্ঞানী লোক একটি টিয়া পাখি আর একটি মুরগির সংকর করে, এক বিশেষ জাতের মুরগির জন্ম দিয়েছে। একদিন ওই লোক বাসায় বসে টিভি দেখতেছে। মুরগিটা সামনে এসে বলল..
মুরগি: ওই দরজার সামনে ডিম পাইরা আইসি, নিয়া আসেন।

 

▶ এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে বলছে, দোস্ত তোর মাথায় যদি আমাকে ৩টি ডিম ভাঙতে দিস তাহলে তোকে ১০০ টাকা দেব।
দ্বিতীয় বন্ধু: আচ্ছা ভাঙ।
প্রথম বন্ধু দুটি ডিম ভেঙে বসে পড়ল।
দ্বিতীয় বন্ধু: কীরে আরেকটা ভাঙলি না?
প্রথম বন্ধু: না, আর একটা ভাঙলে তো ১০০ টাকা দেওয়া লাগবে।

আজকের সেরা জোকস: দুই মাতাল

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৬ পিএম
আজকের সেরা জোকস: দুই মাতাল
ছবি এআই

▶ দুই মাতালকে ধরেছে পুলিশ। 
পুলিশ: তোর ঠিকানা বল।
প্রথম মাতাল: আমার কোনো নির্দিষ্ট ঠিকানা নেই।
পুলিশ: আর তোর?
দ্বিতীয় মাতাল: আমি ওর উপরের ফ্ল্যাটে থাকি।

 

▶ রফিক: শুনলাম তোমার বাসা থেকে নাকি চোর ফ্রিজ নিয়ে পালিয়েছে। তা টের পেয়েও বাধা দাওনি কেন?
আনিস: পাগল হইছো! বাধা দেব, পরে যদি ফ্রিজটা ধরতে বলত...যে ওজন।