
- রান্নাঘরে কাজ করছিলেন মিসেস সাফিনা। জানালা দিয়ে দেখলেন তার ছোট ছেলেটা খেলছে। খেলছে আর আকাশের দিকে তাকিয়ে কী যেন দেখছে। এদিকে পায়ে ফুটবল। আবার ওই দিকে আকাশ দেখছে। কখন যে হোঁচট খেয়ে পড়বে কে জানে। উপদেশ দিতে হবে ওকে। মনে মনে ভাবলেন মিসেস সাফিনা, ‘যখন যেই কাজটা করবে শুধু ওদিকেই মন দেবে অন্য কোনো দিকে না।’ এসব ভাবতে ভাবতে চুলার তরকারি পুড়ে কালো হয়ে গেল তার।
- সেদিন ছিল ছুটি। সকালে ঘুম থেকে উঠে পড়ালেখা শেষ করে রান্নাঘরে গেল তপন। ক্লাস এইটে পড়ে সে। গিয়ে দেখে তার মা বেসিনে থালা বাসন ধুচ্ছে।
‘সাহায্য করব নাকি তোমাকে?’ মাকে বলল তপন।
‘আরে না, যা পড়তে বস গিয়ে।’
‘পড়া শেষ। দাঁড়াও কয়েকটা প্লেট আমি তোমাকে ধুয়ে দিচ্ছি।’
কয়েকটা প্লেট ধুয়ে দিল মাকে তপন।
তার কয়েকদিন পর স্কুলে স্যার জিজ্ঞাসা করল বাসায় মাকে কে কে সাহায্য করে। তপন দাঁড়িয়ে ছুটির দিনে মাকে থালাবাসন ধুতে সাহায্য করার কথা বলল।
‘গ্রেট তপন। সামনে আমাদের স্কুল ম্যাগাজিন বের হচ্ছে সেখানে তুমি এই অভিজ্ঞতার কথা লিখবে। সবার এটা পড়া ও করা উচিত।’
বাসায় এসে খুব সুন্দর করে লেখাটা লিখল তপন।
‘মায়ের পাশে আমি’। শিরোনাম ছিল লেখাটার। হিট করল সেটা। প্রশংসিত হলো তপন। লেখার জন্য আর মাকে এভাবে সাহায্য করার জন্য। স্কুলজুড়ে অনেক বন্ধুবান্ধব হয়ে গেল তার। এমনকি লেখাটা ছড়িয়ে পড়ল ইন্টারনেটে, ফেসবুকে। ঠিক দাবানলের মতো। অনেক ই-মেইল ও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট আসতে লাগল তপনের।
তারপর। সেটা আরেকটা ছুটির দিন।
মা বলল, ‘তপন আজ তোর খালারা আসবে। আমি খুবই ব্যস্ত। একটু আয় না রান্নাঘরে। কয়েকটা কাজে সাহায্য কর।’
‘আমি ব্যস্ত মা!’ নিজের রুম থেকে চেঁচিয়ে বলল তপন। ই-মেইল ও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের জবাব দিচ্ছিল সে।
কলি