ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বানান ভুলের উপকারিতা

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১০ পিএম
বানান ভুলের উপকারিতা

আপনি কি আমার মতোই যেখানে-সেখানে লিখেন আর হাজারখানেক বানান ভুল করেন?

মানুষজন আপনাকে বানান ভুলের জন্য অপমান করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে?

আপনার বানান ভুলে সবাই এখন বিরক্ত অথবা অভ্যস্ত হয়ে বানান ভুলের কথা উচ্চারণ করে না?

আপনি কি এজন্য খুবই আপসেট?

কেন আপনার বানান ভুল হয়- তা নিয়ে কি টেনশনযুক্ত?

মানুষের তিরস্কার শুনতে শুনতে এখন কি লেখাজোখা বন্ধ হওয়ার উপক্রম?

নো টেনশন! আসুন জেনে নিই বানান ভুলের উপকারিতা!

আপনি যদি কিছু লেখেন এবং তা যদি কেউ পড়ে মন্তব্য করে বানান ভুল, তাহলে ধরে নেবেন লোকটি আপনার লেখাটি খুব মনোযোগ সহকারে পড়েছে। মনোযোগ সহকারে না পড়লে তিনি বানান ভুল ধরতে পারতেন না। তাই বানান ভুলের মাধ্যমে আপনি জেনে যাচ্ছেন আপনার লেখাটি কে মনোযোগ দিয়ে পড়ছে, কে পড়ছে না।

আপনি যদি ভুল বানান লেখেন, তাহলে যে ব্যক্তি আপনার লেখাটি পড়ছেন তিনি বারবার চেষ্টা করবেন আপনি ভুল শব্দটি কী লিখেছেন তা বের করতে। এতে করে পাঠকের চিন্তাশক্তি বিকশিত হবে। আপনি বানান ভুল করে পাঠকের উপকার করছেন। মনে করবেন আপনি একজন উপকারী ব্যক্তি।

একটা চিরাচরিত সত্য কথা আছে- ‘মানুষ মাত্রই ভুল করে।’ তাই অন্যরা যখন বলবে আপনার লেখার মধ্যে ভুল, তখন আপনি মনে করবেন আপনি একজন মানুষ। শুধু হাত-পা থাকলেই মানুষ হওয়া যায় না। আপনি যেহেতু ভুল করেছেন, সেহেতু আপনি সত্যিকারের মানুষ।

আপনি সবসময় ভুলভাল লেখেন, এটা যদি পাঠকদের একবার কষ্ট করে বোঝাতে পারেন, তাহলে আপনার অনেক পরিশ্রম কমে যাবে। যেমন- কখনো কোনো কিছু লিখতে গিয়ে বানান করতে পারছেন না অথবা বুঝতে পারছেন না বানানটা সঠিক হচ্ছে কি না। নো টেনশন, আপনার মনে যা আসবে তাই লিখে দেন। পাঠক বুঝে নেবে আপনার সঠিক শব্দটি কী হবে। কারণ পাঠক জানে, আপনি প্রায় সময়ই ভুলভাল লিখে থাকেন।

বানান ভুল হয় এটা নিয়ে কখনো মন খারাপ করবেন না। মনে করবেন এটা একটা গুণ! কয়জনের এমন গুণ থাকতে পারে। এটা সবাই পারে না। আপনি সবার থেকে আলাদা। এটা আপনার ঐতিহ্য।

স্ট্যাটাসে বানান ভুল করলে আপনি অনেক পাঠকের দৃষ্টি এক লেখাতেই সৃষ্টি করতে পারেন। কোনো মতে যদি একজন পাঠক মন্তব্য করেন বানান ভুল, তাহলে দেখবেন জাতির সব পাঠক কীভাবে আপনার লেখার বানান ভুল ধরার জন্য ওঠেপড়ে লেগেছেন। আর একেকজন একেক মন্তব্য করছেন। এতে করে বানান ভুলের কারণে আপনার লেখায় বেশি কমেন্টস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

বানানে ভুল অক্ষর ব্যবহার করতে করতে আপনি একসময় বাংলার অভিধানে নতুন শব্দের সৃষ্টি করে ফেলতে পারেন। যেমন- বাংলার অভিধানে বে-সম্ভব বলে কোনো শব্দ নেই কিন্তু আমরা এটা অসম্ভব হিসেবে ব্যবহার করি। যেই লেখক এই শব্দটা প্রথম আবিষ্কার করেন, তিনিও নিশ্চয় আপনার-আমার মতো বানান ভুল করতেন। তাই নিজেকে ছোট করে দেখবেন না।

মাঝে মধ্যেই দেখবেন রাস্তায় পাঁচ-দশ টাকার বই বিক্রি হচ্ছে। এই বইয়ে সব প্রশ্নের সমাধান লেখা থাকে। এসব বইয়ে আপনার নামও ওঠে যেতে পারে। প্রশ্নটা থাকতে পারে এমন- বলুন তো কোন লেখক তার পুরো জীবনে সব লেখায়াই ভুল বানান লিখে এসেছেন? উত্তরে থাকতে পারে আপনার নাম। আপনিই হতে পারেন সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি শুধু বানান ভুলের কারণে।

বাংলাদেশের টিভি অনুষ্ঠান টক শোতে আপনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানোর সম্ভাবনা আছে। কারণ টক শোতে কী নিয়ে টক করবে তা তারা নিজেরাও জানে না। আপনাকে ডাকা হতে পারে বানান ভুল পাঠকের ওপর কেমন প্রভাবের সৃষ্টি করে তা নিয়ে টক করার জন্য।

আপনি বানান ভুল করে যদি কোনোভাবে একবার জাতির মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারেন, তাহলে দেখবেন মিডিয়া আপনার পিছে ঘুরঘুর করছে।

 কলি

আইটি ফান

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
আইটি ফান
আঁকা মাসুম

টেক সাপোর্ট: আপনার কম্পিউটারটা কেমন?
কাস্টমার: সাদা।

কাস্টমার: হাই, আমি মেরি। আমার ডিস্কটি বের করতে পারছি না।
টেক সাপোর্ট: ডিস্ক ড্রাইভের বাইরে যে বাটন আছে সেটা প্রেস করুন।
কাস্টমার: কাজ হচ্ছে না, বেশ শক্ত করেই আটকেছে।
টেক সাপোর্ট: অবস্থা তো তাহলে ভালো নয়, আপনি কম্পিউটারটি নিয়ে আমাদের ল্যাবে নিয়ে আসুন।
কাস্টমার: আরে, সরি। সাহায্য লাগবে না। ডিস্কটা তো আমি ঢুকাইনি। টেবিলের ওপরই পড়ে আছে।

টেক সাপোর্ট: স্ক্রিনের বাম দিকে যে ‘মাই কম্পিউটার’ আইকন আছে, তাতে ক্লিক করুন।
কাস্টমার: আমার বাম দিক না আপনার বাম দিক?

কাস্টমার: আমি লাল কালার প্রিন্ট করতে পারছি না।
টেক সাপোর্ট: আপনার কালার প্রিন্টার আছে?
কাস্টমার: ওহ হো...আচ্ছা ধন্যবাদ।

কাস্টমার: আমার কি-বোর্ড কাজ করছে না।
টেক সাপোর্ট: কি-বোর্ডটা কম্পিউটারের সঙ্গে লাগানো আছে তো?
কাস্টমার: জানি না। কম্পিউটারের পেছনে যেতে পারছি না।
টেক সাপোর্ট: কি-বোর্ডটা নিয়ে দশ কদম পেছনে যান।
কাস্টমার: ওকে।
টেক সাপোর্ট: কি-বোর্ড আপনার সঙ্গে এসেছে?
কাস্টমার: হ্যাঁ।
টেক সাপোর্ট: তার মানে কি-বোর্ডটি কানেক্ট করা ছিল না। ওখানে আর কোনো কি-বোর্ড আছে?
কাস্টমার: হ্যাঁ, আরেকটা আছে। এটা কাজ করে।

প্রথম বন্ধু: তোর কম্পিউটারের পাসওয়ার্ড হলো, ‘ছোট হাতের এ, বড় হাতে ভি এবং সেভেন।’
দ্বিতীয় বন্ধু: সেভেন কী ছোট হাতের না বড় হাতের?

লোক: আমি ইন্টারনেটে কানেক্ট হতে পারছি না।
টেক সাপোর্ট: আপনি সঠিক পাসওয়ার্ড দিয়েছেন?
লোক: হ্যাঁ, আমি শিওর। আমার সহকর্মীকেও একই পাসওয়ার্ড দিতে দেখেছি।
টেক সাপোর্ট: পাসওয়ার্ডটা বলুন তো।
লোক: ছয়টা স্টার।

টেক সাপোর্ট: আপনি কোন অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেন?
লোক: ফায়ারফক্স।
টেক সাপোর্ট: এটা তো অ্যান্টিভাইরাস না।
লোক: ওহ, সরি... ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার।

আমার কম্পিউটারে অনেক বড় একটা সমস্যা হয়েছে। আমার বন্ধু একটা স্ক্রিন সেভার সেট করে দিয়েছে। কিন্তু আমি মাউজ নাড়ালেই সেটা চলে যায়।

টেক সাপোর্ট: কীভাবে সাহায্য করতে পারি?
কাস্টমার: আমি আমার প্রথম ই-মেইল লিখছি।
টেক সাপোর্ট: আচ্ছা, তাহলে আপনার সমস্যাটা কী?
কাষ্টমার: আমি a লিখেছি, কিন্তু এর ওপর গোল চিহ্নটা কীভাবে দেব?

কলি 

প্রসঙ্গ প্রোগ্রামার

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পিএম
প্রসঙ্গ প্রোগ্রামার

নির্জন অন্ধকার পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল প্রোগ্রামার। একজন পথরোধ করে দাঁড়িয়ে টাকা দাবি করল। প্রোগ্রামার ভাবল:
নিশ্চয়ই প্রোভাইডার!

 মাঝে মধ্যেই হঠাৎ করে মনিটরে ভেসে ওঠা নীল পর্দা দেখে দেখে অতিষ্ঠ? মাইক্রোসফটের সাইট থেকে একটি ‘প্যাচ’ ডাউনলোড করে নিন। এরপর কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে বেছে নিন, কী রঙের পর্দা দেখতে চান।

স্বর্গ আর নরকের মধ্যে পার্থক্য কী?
নরকে ইন্টারনেট নেই।

প্রোগ্রামারের লেখা স্মৃতিকথা থেকে: মেয়েটির সঙ্গে নেট-বন্ধুত্ব ছিল প্রায় দুই বছরের। এখন তার কথা ঠিক মনে পড়ে না। তবে তার আইপি অ্যাড্রেসটি ভুলিনি এখনো।

প্রোগ্রামার টাকা ধার চাইছে বন্ধুর কাছে:
তোমার কাছে ৫০০ টাকা হবে? না না, ৫০০ নয়, ৫১২।

কম্পিউটারের ভাষায় স্বামীকে কী বলা যায়?
স্ত্রীর রেজিস্টার্ড ইউজার।

ইন্টারনেটে অনুষ্ঠিত হলো সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইন্টারনেট’। শ্রেষ্ঠ সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন B21399KS.JPG

ট্যাক্সি চড়ে যাচ্ছিল প্রোগ্রামার। হঠাৎ তা থেমে গেল। স্টার্ট নিচ্ছে না কিছুতেই। প্রোগ্রামার বলল:
কয়েকটা জানালা (উইন্ডো) বন্ধ করে দিলে কাজ হওয়ার কথা।

 কলি

জামাই আদরের তারতম্য

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
জামাই আদরের তারতম্য

প্রথম বছর
বাসমতী চালের ভাত, ভাতে ঘি, সঙ্গে কাগজি লেবু এক ফালি, মুগের ডাল, কুমড়োফুলের বড়া, ফুলকপির তরকারি, মাছের কালিয়া, কচি খাসির মাংস, আমসত্ত্বের চাটনি, খাসা পাঁপড়, মিষ্টি দই, শেষে জোর করে দুটি মিষ্টি। কী আর হবে, এই বলে দুটি মিঠা পান মুখে পুরে দেওয়া।

দ্বিতীয় বছর
অনেকটা প্রথম বছরের পুনরাবৃত্তি, সবজি ও মিষ্টির পদের পরিবর্তন।

তৃতীয় বছর
মিনিকেট চালের ভাত, উচ্ছে ভাজা, কলাই ডাল, কলাই ডালের বড়া, আলু পোস্ত, শাহি পাঁপড়, দুই পিস মাছ ও ঝোল, সাদা দই। বিকেলে দুই পিস বালুসাই।

চতুর্থ বছর
আগের বছরের মতোই, বিকেলে বালুসাইয়ের বদলে একটু চানাচুর।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ বছর
ভাত, মসুর ডাল, আলু-কপি ভাজা, কাঁচা পেঁয়াজ, লোকাল পাঁপড়, মেনি মাছের ঝাল, কিশমিশ দিয়ে সুজির হালুয়া।

সপ্তম ও অষ্টম বছর
ভাত, আলু ভর্তা, উচ্ছে ভাজি, ঢ্যাঁড়শ ভাজি, ডিমের কারি, সঙ্গে সালাদ। রাতে শোবার আগে জিজ্ঞাসা করা হবে, ‘বাবা এক গ্লাস দুধ খাবে নাকি?’

নবম ও দশম বছর
চা ও শিঙাড়া দিয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে, দুপুরে খেয়ে যাবে তো? চলো বাজার ঘুরে কিছু সবজি নিয়ে আসা যাক।

একাদশ ও দ্বাদশ বছর
লেবু-চা, সঙ্গে দুটি সল্টেড বিস্কুট। তারপর প্রশ্ন: এদিকে কী মনে করে? কোনো কাজ ছিল নাকি? আজকে থাকছ তো?

ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ বছর
শাশুড়ি: কেমন আছ বাবাজি? তাড়াহুড়ো না থাকলে চা খেয়ে যেও।

পঞ্চদশ ও ষোড়শ বছর
শাশুড়ি বলছে শ্বশুরকে: এই যে, জামাই বাবু এসেছে, কী ব্যাপার জেনে নাও। সব ঠিকঠাক তো?

সপ্তদশ ও অষ্টাদশ বছর
শাশুড়ি: এমনি পরিস্থিতিতে আছি যে জামাইকে চাও খাওয়াতে পারছি না।

উনবিংশ ও বিংশ বছর
শাশুড়ি: কী গো জামাই, শুনলাম চা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছ। শুধু শুধু শরীর খারাপ নিয়ে আসা-যাওয়ার কী দরকার। তাতে নিজের যেমন সমস্যা হয়, তেমনি অন্যদেরও সমস্যা হয়। ঘরে বসে থাকাই ভালো।

এবার বলুন, আপনাদের বিয়ের কয় বছর হলো?

 কলি

কাল্পনিক মন্তব্য

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
কাল্পনিক মন্তব্য

এই চিত্রখানা যদি কোনো প্রদর্শনীতে টাঙানো হয় তাহলে কোন শ্রেণির দর্শক কী মন্তব্য করবেন সেটাই অনুমান করেছেন ফারজানা আলম

ট্রাক ড্রাইভার: এইডা মনে লয় টেরাকের নিচে চাপা পইড়া চেব্ডা হওয়া কোনো যুবতী মহিলা। দেখতাছেন না, চোখ দুইটা কেমনে বাইর হইয়া আছে।

নেতা: সম্ভবত নারী অধিকার আদায়ে অনশনরত কোনো মহিলার বাষ্পরুদ্ধ ছবি। শরীর যে চিকন তাতে নির্দ্বিধায় বলা যায়, ভদ্রমহিলা চার দিন ধরে না খাওয়া।

ফকির: ভিক্ষা চাইয়া না পাইলে চেহারা এর তন ভালা কেমনে হইব?

উকিল: স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এটা একটা নারী নির্যাতন কেস। নির্যাতনের জন্য কে দায়ী সেটা আর্টিস্টকে রিমান্ডে নিলেই বোঝা যাবে।

ডাক্তার: এ ক্লিয়ার সিম্পটম অব গ্যাস্ট্রোলজি। অতিরিক্ত ভাজাপোড়ার কারণে ডিওডেনামে বাড়তি চাপ পড়ে। সেটা থেকেই চেহারার এই দশা। অ্যান্টাসিড বড়ি খাওয়া জরুরি।

টোকাই: এই বেডি কোনো বাসায় কাম করে মনে হয়। পিঁয়াজ চুরি কইরা আম্মার হাতে ধরা খাইছে। তারপরেই এমন দশা।

পুলিশ: মহিলা থানায় এসেছেন জিডি করতে। কিন্তু অফিসার এক জিডিতে এক হাজার টাকা চেয়ে বসাতে মহিলার মাথা ঘুরতে শুরু করেছে। চিত্র দেখে এটাই স্পষ্ট প্রতিয়মান হয়।

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার: মহিলার ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করার সম্ভাবনা প্রবল। তা না হলে এভাবে কারও চোখ ঘুরতে পারে না।

হোটেলের ওয়েটার: মহিলার সামনের কাঁটা চামচ দেখে মনে হয় তার সামনে পেশকরা নাশতা তার পছন্দ হয়নি। কিংবা তার নাশতায় কোনো পোকা পড়ে আছে। মুখের ভাব দেখে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি।

শেয়ার ব্যবসায়ী: শেয়ার ব্যবসায় ধরা খাবার কারণে যেকোনো বিনিয়োগকারীর চেহারা এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমাদেরটাও এমন হয়েছিল। এখানে আরও দেখা যাচ্ছে যে, তিনি চান মিয়া ও সুরুজ আলীর থেকে লোনে টাকা নিয়েছিলেন। তাদের অবস্থাও খারাপ।

কবি: নারী তব হাহাকার কেন
আজন্ম প্রভাতে। কবে কার কোথাকার
নাতিদীর্ঘ সাম্যসভ্যবেলা। (কী বুঝলেন?)

আঁতেল: টিনএজ ছেলেমেয়েদের মাঝে চুল কালার করার একটা বাজে অভ্যাস আছে। সেটার প্রভাব এখানে স্পষ্ট লক্ষণীয়। তবে চুলের মতো বডির কালার কেন সবুজ হলো তা বুঝতে পারছি না।

রাজনীতিবিদ: এখানে ঘটনা কী তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা অচিরেই দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতিকে এ বিষয়ে অবগত করছি। তার আগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

জ্যোতির্বিদ: চাঁদ এবং সূর্য একই সমান্তরালে দর্শন করত চিত্রে দৃশ্যমান আন্টি কিছুটা বিভ্রান্তির সম্মুখীন হন। যার কারণে তার চেহারার এই অবস্থা।

রিসেপশনিস্ট: আমার মনে হয়, এই ভদ্রমহিলা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া বড় সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু স্যার সুযোগ না দেওয়ায় রাগে তার চেহারা এমন হয়েছে।

 কলি

জ্যামাক্রান্ত জীবন

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০১:১৩ পিএম
জ্যামাক্রান্ত জীবন

যাদের বাইরে ঘোরাঘুরি করতে হয়, তাদের ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই জ্যাম নিয়ে চিন্তিত থাকতে হয়। এমনকি স্বপ্নেও দেখেন, জ্যামে বসে আছেন। তারা সারাদিন কখন কি চিন্তা করেন তা দেখাচ্ছেন অঙ্কিতা মণ্ডল

সকালে ঘুম থেকে উঠে
সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি
সারা দিন যেন আমি জ্যাম এড়িয়ে চলি।
ব্রেকফাস্ট করতে করতে
দুই হাত উঁচু করে 
ধরি মোর কান
আজ রাস্তার জ্যামে যেন
না পড়ে মোর যান।

বাইরে বের হওয়ার সময়
আমাদের দেশে হবে সেই রাস্তা কবে?
কোথাও কোনো প্রকার জ্যাম না হবে।

জ্যামে পড়ার পর 
জ্যামের রাজ্যে 
রাস্তা জটময়
স্থির গাড়িগুলো যেন
সুশ্রী কিছু জুটি।

অনেকক্ষণ জ্যামে বসার পর 
নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে
জ্যাম আমায় শিক্ষা দিল 
হেঁটে চলতে ভাইরে
ধৈর্য-সহ্যের শিক্ষাটাও
জ্যামের কাছে পাইরে।

জ্যামে অতিষ্ঠ হয়ে বাস থেকে নেমে: 
থাকব না তো বদ্ধ বাসে
দেখব এবার জগৎটাকে,
কেমন করে হাঁটছে মানুষ
বাস-ট্রাকের জ্যামের ফাঁকে।

 কলি