এই চিত্রখানা যদি কোনো প্রদর্শনীতে টাঙানো হয় তাহলে কোন শ্রেণির দর্শক কী মন্তব্য করবেন সেটাই অনুমান করেছেন ফারজানা আলম
ট্রাক ড্রাইভার: এইডা মনে লয় টেরাকের নিচে চাপা পইড়া চেব্ডা হওয়া কোনো যুবতী মহিলা। দেখতাছেন না, চোখ দুইটা কেমনে বাইর হইয়া আছে।
নেতা: সম্ভবত নারী অধিকার আদায়ে অনশনরত কোনো মহিলার বাষ্পরুদ্ধ ছবি। শরীর যে চিকন তাতে নির্দ্বিধায় বলা যায়, ভদ্রমহিলা চার দিন ধরে না খাওয়া।
ফকির: ভিক্ষা চাইয়া না পাইলে চেহারা এর তন ভালা কেমনে হইব?
উকিল: স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এটা একটা নারী নির্যাতন কেস। নির্যাতনের জন্য কে দায়ী সেটা আর্টিস্টকে রিমান্ডে নিলেই বোঝা যাবে।
ডাক্তার: এ ক্লিয়ার সিম্পটম অব গ্যাস্ট্রোলজি। অতিরিক্ত ভাজাপোড়ার কারণে ডিওডেনামে বাড়তি চাপ পড়ে। সেটা থেকেই চেহারার এই দশা। অ্যান্টাসিড বড়ি খাওয়া জরুরি।
টোকাই: এই বেডি কোনো বাসায় কাম করে মনে হয়। পিঁয়াজ চুরি কইরা আম্মার হাতে ধরা খাইছে। তারপরেই এমন দশা।
পুলিশ: মহিলা থানায় এসেছেন জিডি করতে। কিন্তু অফিসার এক জিডিতে এক হাজার টাকা চেয়ে বসাতে মহিলার মাথা ঘুরতে শুরু করেছে। চিত্র দেখে এটাই স্পষ্ট প্রতিয়মান হয়।
কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার: মহিলার ল্যাপটপের হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করার সম্ভাবনা প্রবল। তা না হলে এভাবে কারও চোখ ঘুরতে পারে না।
হোটেলের ওয়েটার: মহিলার সামনের কাঁটা চামচ দেখে মনে হয় তার সামনে পেশকরা নাশতা তার পছন্দ হয়নি। কিংবা তার নাশতায় কোনো পোকা পড়ে আছে। মুখের ভাব দেখে আমি এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছি।
শেয়ার ব্যবসায়ী: শেয়ার ব্যবসায় ধরা খাবার কারণে যেকোনো বিনিয়োগকারীর চেহারা এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমাদেরটাও এমন হয়েছিল। এখানে আরও দেখা যাচ্ছে যে, তিনি চান মিয়া ও সুরুজ আলীর থেকে লোনে টাকা নিয়েছিলেন। তাদের অবস্থাও খারাপ।
কবি: নারী তব হাহাকার কেন
আজন্ম প্রভাতে। কবে কার কোথাকার
নাতিদীর্ঘ সাম্যসভ্যবেলা। (কী বুঝলেন?)
আঁতেল: টিনএজ ছেলেমেয়েদের মাঝে চুল কালার করার একটা বাজে অভ্যাস আছে। সেটার প্রভাব এখানে স্পষ্ট লক্ষণীয়। তবে চুলের মতো বডির কালার কেন সবুজ হলো তা বুঝতে পারছি না।
রাজনীতিবিদ: এখানে ঘটনা কী তা তদন্ত ছাড়া বলা যাবে না। আমরা অচিরেই দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জাতিকে এ বিষয়ে অবগত করছি। তার আগে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
জ্যোতির্বিদ: চাঁদ এবং সূর্য একই সমান্তরালে দর্শন করত চিত্রে দৃশ্যমান আন্টি কিছুটা বিভ্রান্তির সম্মুখীন হন। যার কারণে তার চেহারার এই অবস্থা।
রিসেপশনিস্ট: আমার মনে হয়, এই ভদ্রমহিলা অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া বড় সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। কিন্তু স্যার সুযোগ না দেওয়ায় রাগে তার চেহারা এমন হয়েছে।
কলি