ঢাকা ২৩ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪

জামাই আদরের তারতম্য

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
জামাই আদরের তারতম্য

প্রথম বছর
বাসমতী চালের ভাত, ভাতে ঘি, সঙ্গে কাগজি লেবু এক ফালি, মুগের ডাল, কুমড়োফুলের বড়া, ফুলকপির তরকারি, মাছের কালিয়া, কচি খাসির মাংস, আমসত্ত্বের চাটনি, খাসা পাঁপড়, মিষ্টি দই, শেষে জোর করে দুটি মিষ্টি। কী আর হবে, এই বলে দুটি মিঠা পান মুখে পুরে দেওয়া।

দ্বিতীয় বছর
অনেকটা প্রথম বছরের পুনরাবৃত্তি, সবজি ও মিষ্টির পদের পরিবর্তন।

তৃতীয় বছর
মিনিকেট চালের ভাত, উচ্ছে ভাজা, কলাই ডাল, কলাই ডালের বড়া, আলু পোস্ত, শাহি পাঁপড়, দুই পিস মাছ ও ঝোল, সাদা দই। বিকেলে দুই পিস বালুসাই।

চতুর্থ বছর
আগের বছরের মতোই, বিকেলে বালুসাইয়ের বদলে একটু চানাচুর।

পঞ্চম ও ষষ্ঠ বছর
ভাত, মসুর ডাল, আলু-কপি ভাজা, কাঁচা পেঁয়াজ, লোকাল পাঁপড়, মেনি মাছের ঝাল, কিশমিশ দিয়ে সুজির হালুয়া।

সপ্তম ও অষ্টম বছর
ভাত, আলু ভর্তা, উচ্ছে ভাজি, ঢ্যাঁড়শ ভাজি, ডিমের কারি, সঙ্গে সালাদ। রাতে শোবার আগে জিজ্ঞাসা করা হবে, ‘বাবা এক গ্লাস দুধ খাবে নাকি?’

নবম ও দশম বছর
চা ও শিঙাড়া দিয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে, দুপুরে খেয়ে যাবে তো? চলো বাজার ঘুরে কিছু সবজি নিয়ে আসা যাক।

একাদশ ও দ্বাদশ বছর
লেবু-চা, সঙ্গে দুটি সল্টেড বিস্কুট। তারপর প্রশ্ন: এদিকে কী মনে করে? কোনো কাজ ছিল নাকি? আজকে থাকছ তো?

ত্রয়োদশ ও চতুর্দশ বছর
শাশুড়ি: কেমন আছ বাবাজি? তাড়াহুড়ো না থাকলে চা খেয়ে যেও।

পঞ্চদশ ও ষোড়শ বছর
শাশুড়ি বলছে শ্বশুরকে: এই যে, জামাই বাবু এসেছে, কী ব্যাপার জেনে নাও। সব ঠিকঠাক তো?

সপ্তদশ ও অষ্টাদশ বছর
শাশুড়ি: এমনি পরিস্থিতিতে আছি যে জামাইকে চাও খাওয়াতে পারছি না।

উনবিংশ ও বিংশ বছর
শাশুড়ি: কী গো জামাই, শুনলাম চা খাওয়া ছেড়ে দিয়েছ। শুধু শুধু শরীর খারাপ নিয়ে আসা-যাওয়ার কী দরকার। তাতে নিজের যেমন সমস্যা হয়, তেমনি অন্যদেরও সমস্যা হয়। ঘরে বসে থাকাই ভালো।

এবার বলুন, আপনাদের বিয়ের কয় বছর হলো?

 কলি

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. শিক্ষক: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন, আবিরের খুব জ্বর হয়েছে এবং ও আজ স্কুলে আসতে পারবে না?

এপাশ থেকে: হু!

শিক্ষক: আপনি কে বলছেন?

এপাশ থেকে: আমি আমার আব্বু বলছি।

 

২. চিড়িয়াখানায় বাঘের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বাবা ছেলেকে বলছিলেন, বাঘ কত ভয়ংকর প্রাণী, কী ভীষণ হিংস্র সে!

ছেলে: (কাঁদো কাঁদো হয়ে) বাবা, এই বাঘ যদি তোমাকে খেয়ে ফেলে...!

বাবা: (আদুরে স্বরে) কী হবে তাহলে?

ছেলে: আমি বাসায় যাব কীভাবে! ভ্যা...

 

৩. ছেলে বাবার কাঁধে বসে চুল টানছে।

বাবা: খোকা, চুল টানা বন্ধ করো।

খোকা: চুল টানছি না তো বাবা, আমার চুইংগামটা ফেরত নেয়ার চেষ্টা করছি!

 

৪. বাবা: খোকা, ক্লাস সেভেনে উঠে তোমার কেমন লাগছে?

খোকা: খুবই খারাপ, বাবা।

বাবা: বলো কী! কেন? ক্লাস সেভেনেই তো আমি আমার জীবনের সেরা তিনটা বছর কাটিয়েছি!

 

৫. ছেলে: বাবা, আমাকে আরেক গ্লাস পানি দাও।

বাবা: তোমার এত পানি লাগে কেন? তোমাকে ইতিমধ্যে ১০ গ্লাস পানি দিয়েছি।

ছেলে: কিন্তু বাবা, বিছানায় যে আগুন ধরিয়েছি, সেটা তো নিভছে না!

 

৬. বাবা: জানিস, তোর পড়ালেখার পিছনে আমার কত খরচ হয়?

ছেলে: হ্যাঁ বাবা, জানি বলেই তো কম কম পড়ালেখা করে তোমার খরচ কমানোর চেষ্টা করি।

 

৭. ছেলে: মা, বাবার চোখে চশমা কেন?

মা: তুমি বাবার কথা শোনো না যে তাই! যাদের ছেলে কথা শোনে না তাদের এমন হয়।

ছেলে: ওহ! এবার বুঝলাম, কেন দাদু ভাইয়ের চোখে এত পাওয়ারের চশমা!

 

৮. বাবা: মিনু দেখো, আমি খুব সস্তায় দারুণ একটা চায়নিজ রেডিও কিনেছি।

মিনু: তুই কি বোকা বাবা? কবে তোমার বুদ্ধিসুদ্ধি হবে বল তো? আমরা তো চায়নিজ ভাষাটাই জানি না। তাহলে কী করবি এই চায়নিজ রেডিও দিয়ে?

 

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৭ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. শিক্ষক: পাঁচ থেকে দুই বিয়োগ করলে হাতে কত থাকে?
ছাত্র: জানি না, স্যার।
শিক্ষক: তুই একটা আস্ত গরু।
ছাত্র: স্যার, আমি তো এখনও ছোট। আমাকে বাছুর বলবেন, স্যার।


২. এক চিকিৎসক বিয়ে করতে গিয়েছেন। তিনি খুব ভুলো মনের। 
বিয়ের সময়ে পুরোহিত যখন মন্ত্র পড়াতে পড়াতে ওঁর হাতে হবু স্ত্রীর হাত তুলে দিলেন, উনি স্ত্রীর নাড়ি টিপে ধরে বললেন— খুব উত্তেজিত মহিলা তো। তার পরে বললেন, জিভ দেখি।


৩. রাসেল: জানিস, আজ স্কুলে আসতে আমি পাঁচ টাকা বাঁচিয়েছি।
জসিম: কীভাবে?
রাসেল: আজ বাসের একদম পিছনে দৌড়ে দৌড়ে এসেছি। যদি বাসের ভেতরে উঠে বসতাম, তাহলে পাক্কা পাঁচ টাকা দিয়ে দিতে হত।
জসিম: ইশশ, তুই যা গাধা না!
রাসেল: পাঁচ টাকা বাঁচালাম, এতে গাধা বলার কী আছে?
জসিম: আরে ব্যাটা, বাসের পেছনে না দৌড়ে যদি ট্যাক্সির পিছনে দৌড়ে আসতি, তাহলে কত টাকা বাঁচত বল একবার। একদম ১০০ টাকা বেঁচে যেত তোর।

মাতাল বাজিকর এবং তিন ভাই

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১০ এএম
মাতাল বাজিকর এবং তিন ভাই
ছবি এআই

এক দিন বারে এক লোক ঢুকে বারটেন্ডারকে বলল, আজকে এই বারের সবাইকে আমার তরফ থেকে এক পেগ।

বারটেন্ডার বলল, তা ঠিক আছে। কিন্তু এই মন্দার সময় তোমার কাছে এত ডলার আছে তো?

লোকটি একতারা ডলার বের করে দেখাল। বারটেন্ডার অবাক হয়ে গেল, তুমি এত ডলার কোথায় পেলে?

লোকটি উত্তর দিল, বাজি ধরা আমার পেশা।

বারটেন্ডার বলল, কিন্তু বাজি মানেই তো ৫০:৫০ চান্স। তাহলে?

লোকটি বলল, ঠিক আছে, চলো ৫০ ডলার বাজি ধরি, আমি আমার ডান চোখে কামড় দেব।

বারটেন্ডার রাজি হলো। বাজিকর তখন তার নকল ডান চোখ খুলে কামড়ে দিল।

বারটেন্ডার বাজিতে হেরে ৫০ ডলার দিয়ে দিল।

বাজিকর বলল, হেরে তোমার মন খুব খারাপ হয়েছে বুঝতে পারছি। চলো তোমাকে আরেকটা সুযোগ দিই টাকা ফেরত নেওয়ার। এসো বাজি ধরি, আমি আমার বাম চোখে কামড় দেব।

বারটেন্ডার খুশি হয়ে উঠল, তোমার ডান চোখ নকল। আবার বারে তুমি দেখেই ঢুকেছ। তোমার বাম চোখটা তাহলে নকল না। আমি বাজিতে রাজি।

বাজিকর তখন তার নকল দাঁত খুলে বাম চোখে কামড় দিল।

ধুত- বারটেন্ডার বিরক্ত হয়ে বলল।

দেখলে, এভাবেই আমি আমার বাজিগুলো জিতি। এবারের ৫০ ডলার আমি তোমার কাছ থেকে নিলাম না। তার বদলে এক বোতল হুইস্কি দাও।

এক বোতল হুইস্কি নিয়ে বাজিকর চলে গেল জুয়ার রুমে। সারা রাত ধরে সে জুয়া খেলল আর হুইস্কির বোতলটা প্রায় খালি করে ফেলল। ভোরের দিকে সে বারটেন্ডারের কাছে এগিয়ে এল। সে নেশার কারণে ঠিকমতো পা ফেলতে পারছিল না।

কোনোমতে বারের ওপর ভর রেখে বাজিকর জড়ানো কণ্ঠে বলল, আমি তোমার সঙ্গে শেষ বাজি ধরতে এসেছি। আমি তোমার এই টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে তোমার পেছনের একটা খালি হুইস্কির বোতলে হিসু করে দেখাব। বাজি হাজার ডলার।

বারটেন্ডার বাজিকরকে সারা রাতই হুইস্কি খেতে দেখেছে। সে নিশ্চিত সে কোনোভাবেই এই বাজিতে জিততে পারবে না। তাই সে খুশি মনে রাজি হয়ে গেল।

বাজিকর টেবিলের ওপর ওঠে পেছনের একটা হুইস্কির খালি বোতলে প্রস্রাব ফেলার অনেক চেষ্টা করল, কিন্তু সে এমনভাবে কাঁপছিল যে সে বোতল বাদে সব জায়গা নোংরা করে ফেলল।

শেষে লজ্জিত কণ্ঠে বলল, বারটেন্ডার, আমি পারলাম না।

বারটেন্ডার খুশিতে লাফ দিয়ে বলল, ইয়েস, আমি হাজার ডলার জিতেছি।

বাজিকর খুশিমনে তাকে হাজার ডলার দিয়ে দিল। বারটেন্ডার অবাক হয়ে বলল, কী ব্যাপার! তুমি এত সহজে হার স্বীকার করে নিলে?

বাজিকর বলল, জুয়ার রুমের লোকগুলোর সঙ্গে আমার বাজি রয়েছে যে, আমি তোমার পুরো বারে হিসু করব, কিন্তু তুমি হাসবে আর আমাকে মারবে না। ওদের সঙ্গে আমি হাজার ডলার জিতেছি।

n এক আইরিশ ডাবলিনের এক বারে এসে তিন পেগ মদ নিয়ে এক কোণায় বসল। তারপর একে একে তিনটি পেগ একাই খেয়ে নিল। আরেক দফা বারটেন্ডারের কাছে আসতেই বারটেন্ডার বলল, এই মদ ছোট পেগে খেয়ে মজা কম। যদি তিনটার বদলে একটা বড় পেগ নিতে তাহলে আরও মজা পেতে।

লোকটি হেসে বলল, আসলে আমরা তিন ভাই কাজের প্রয়োজনে তিন দেশে অবস্থান করছি। আমরা আলাদা হওয়ার আগে ঠিক করেছিলাম, যেখানেই থাকি, প্রত্যেকেই আমরা এক পেগ করে প্রত্যেকের তরফ থেকে খাব এবং পুরোনো দিনের কথা স্মরণ করব।

বারটেন্ডার স্বীকার করল, এটা খুবই ভালো জিনিস। এতে পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্পর্ক ভালো থাকবে।

এভাবে আইরিশ লোকটা প্রতিদিন বারে আসত আর তিন পেগ করে মদ খেত। বারের নিয়মিত সবাই তার কাহিনি শুনেছিল বলে সবাই এটাকে স্বাভাবিকভাবেই দেখত।

এক দিন বারে ঢুকে লোকটি বলল, আমাকে দুই পেগ দাও। কথাটা বলামাত্র বারে পিনপতন নিস্তব্ধতা নেমে এল। বারটেন্ডার মলিন মুখে পেগ ঢেলে দিতে দিতে বলল, তোমার ভাইয়ের মৃত্যুতে আমিও গভীরভাবে শোকাহত। আমরা তার বিদেহী আত্মার মুক্তি কামনা করি।

কী হয়েছে বুঝতে লোকটি একটু সময় নিল। তারপর হাসি ফুটে উঠল তার চেহারায়, আরে না, তোমরা যেটা মনে করছ, তেমন নয়। আমার ভাইয়েরা ঠিকই আছে। আজ থেকে আমি মদ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।

 

মেহেদী আল মাহমুদ

কাঁচা বাজার বিড়ম্বনা

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
কাঁচা বাজার বিড়ম্বনা
আঁকা মাসুম

ছুটির দিন। কোথায় ঘুম ভাঙার পর বিছানায় একটু অজগর সাপের মতো গড়াগড়ি খাব তা না, আম্মা সাতসকালে বাজারে পাঠিয়ে দিল। সাধারণত বাজারের কাজ আমার ছোট ভাই করে। বাসার কোনো কাজে ওর কোনো আগ্রহ নেই। শুধু বাজার করার জন্যই ওর যত আগ্রহ। কী যে এর কারণ কে জানে। ওর সামনে পরীক্ষা, তাই আমাকেই এই দায়িত্ব নিতে হলো।

বাজারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রওনা হওয়ার আগে ছোট ভাই বলে উঠল, পচা মাছ-টাছ আনিও না। তোমার তো ওই দিকেই বেশি খেয়াল।

আমি কিছু বললাম না। ছুটির দিনে মেজাজ খারাপ করতে কে চায়?

রিকশা ঠিক করতে গিয়ে রিকশাওয়ালার কথা শুনে মনে হলো, আমাকে তার মামার মতো লাগছে মনে হয়। ২০ টাকার ভাড়া চাইছে ৪০ টাকা।

বললাম, শুধু যাব। আসব না তো।

সে আমার কথার কোনো পাত্তা না দিয়ে লুঙ্গির কোঁচড় থেকে বিড়ি বের করে ধরিয়ে ফেলল।

অবশেষে ৪০ টাকাতেই রাজি হয়ে গেলাম। ছুটির দিনে মেজাজ খারাপ করতে কে চায়?

বাজারের গলিতে ঢোকার আগেই একটা চায়ের দোকান আছে। এসব দোকানে

কাতালানদের স্বাধীনতার খবর থেকে শুরু করে বাংলাদেশ টিমের কোনো ব্যাটসম্যানের কীভাবে খেলা দরকার ছিল এসব খবর জানা যায়। অনেকদিন এসব দোকানে বসি না। আজ সুযোগ পাওয়া গেছে তাই ঢুকে পড়লাম।

ঢুকে দেখি আজ বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা হচ্ছে।

একজন বলল, পেঁয়াজের ভরি নাকি ৭০ টাকা চলতেছে!

আরে ওই দিন এক বিয়েতে খাসির রেজালার দিকে কেউ তাকাচ্ছেই না।

কেন?

সালাদের মধ্যে পেঁয়াজ ছিল। গোল গোল করে কাটা। সবাই ওই প্লেট নিয়ে টানাটানি।

আমার মেয়ে চুলে আগে পেঁয়াজের রস দিত। ভাবতেই গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।

বলেন কী। আপনার মেয়ের তো তাহলে ছেলের অভাব হবে না। ছেলেপক্ষ যখন শুনবে মেয়ের চুলে পেঁয়াজের রস পাওয়া যেতে পারে।

সবাই হেসে উঠল।

আরেকজন বলল, এখন পান্তাভাত ফার্মের মুরগি দিয়ে খেলেই ভালো।

মুরগি দিয়ে কেন?- আমি আমার বড় নাকটা গলিয়ে দিলাম।

কাঁচা মরিচের কেজি কত?- আমাকে সেই লোক উল্টো প্রশ্ন করল।

কত?- আমি একটু অবাক হলাম।

জানেন না আপনি?

না তো।

কোন দেশ?- লোকটি ভুরু নাচিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করল।

মানে?- বুঝলাম যে আমাকেই মুরগি বানানো হচ্ছে।

কোন দেশ থেকে আসছেন?

আমার থতমত অবস্থা দেখে আরেকজন লোক এগিয়ে এল।

ভাই এখন কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা। ফার্মের মুরগির কেজিও ২৬০ টাকা। আগে মানুষ পান্তাভাত দিয়ে কাঁচা মরিচ খেত। এখন ফার্মের মুরগি দিয়ে খাবে।

আরেক প্রস্থ হাসাহাসি হলো।

আর সবজি? কোনটা কিনবেন বলেন। যেসব শাকসবজি আমরা আগে গ্রামে গরু-ছাগলদের খাওয়াতাম সেগুলোও তো খেতে পারছি না।

আরে এসবের মধ্যে যে বিষ খাব সেই উপায়ই তো নেই।

কেন কী হইছে?- এক বয়স্ক ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করছে।

বাসায় ইঁদুর বেড়ে যাওয়ায় ওই দিন ইঁদুর মারার বিষ কিনতে গেছিলাম। ওইটারও দেখি দাম বাড়ছে!

সবাই হো হো করে হেসে ফেলল।

না না ভাই হাসিয়েন না। এটা আসলেই সিরিয়াস ইস্যু। বিষ খেয়ে মরতে চাইলেও পারবেন নাকি?

এখন সস্তা আছে একটা জিনিসই। সেটা হচ্ছে মানুষের জীবন। রাস্তাঘাটে, বাসের ধাক্কায়, পানির তোড়ে খালি মানুষই ভেসে যাচ্ছে।

সস্তা আছে একটা জিনিসই সেটা হচ্ছে ম্যাচের বাক্স। টাকাতে পাওয়া যাচ্ছে এখনো।

আমি চায়ের দামটা মিটিয়ে বাজারের সামনে এসে দাঁড়ালাম। এক লোককে আসতে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই কী অবস্থা?

ফাটতেছে!- এক শব্দে জবাব দিলেন ভদ্রলোক।

আমার সঙ্গে সঙ্গে সেই জোকসটা মনে পড়ে গেল।

বাজারের পাশে এক দর্জির রমরমা ব্যবসা। বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম শুনে লোকজনের প্যান্ট ফেটে গেলেই সে রিপু করে দিচ্ছে। ১৬০০ টাকা ইলিশের কেজি শুনে এক লোকের প্যান্ট ফেটে গেছে। দর্জির কাছে রিপু করাতে গেল সে।

রিপু কত?- রিপু শেষে প্যান্ট পরে দর্জিকে জিজ্ঞাসা করল লোকটি।

৫০ টাকা।

লোকটি একটা ১০০ টাকার নোট দর্জিকে দিয়ে বলল আপনার রিপুর দাম শুনে আবার ফেটে গেছে!

বাজারের দিকে গেলামই না। খালি এক ডজন ম্যাচ কিনে বাসার দিকে চললাম। ম্যাচেরও আবার কখন দাম বেড়ে যাবে কে বলতে পারে।

 

মেহেদী আল মাহমুদ

মানবজীবনের প্রশ্ন

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পিএম
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ পিএম
মানবজীবনের প্রশ্ন

আমাদের জীবন প্রশ্নমুখর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্নের ধরন পাল্টায়। এক জীবনে কী কী প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তার কিছু নমুনা তুলে ধরছেন ফখরুল ইসলাম

স্কুল জীবনের প্রশ্ন

কোন ক্লাসে পড়ো?
রোল নম্বর কত?
রোল এত পেছনে কেন? 
পাশের বাসার ওমুক পারে, তুমি পার না কেন?
মা-বাবার কথা ঠিকমতো শোনো না কেন?
ওর খেলনা নিয়েছ কেন?

কলেজ জীবনের প্রশ্ন

ম্যাট্রিকের রেজাল্ট কী?
রেজাল্ট খারাপ হলো কেন?
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ইচ্ছা?
কোন সাবজেক্টে পড়বা?
ভবিষ্যতে কী করবা?

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রশ্ন

কোন সাবজেক্টে পড়?
অনার্স শেষ করে কী করবা?
সাবজেক্টের বাজার কেমন?
চাকরি-বাকরি আছে তো?
কোন লাইনে যাবা বলে ঠিক করেছ?

বেকার জীবনের প্রশ্ন

চাকরি-বাকরি খুঁজতেছ নাকি?
কেমন চাকরি পছন্দ?
সরকারি চাকরিতে অ্যাপ্লাই করতেছ না কেন?
বসে বসে আর কত দিন?
মা-বাবার কথা ভাব?

চাকরি জীবনের প্রশ্ন

স্যালারি কেমন?
বেতন-টেতন পাও তো?
চলে তো?
বিয়েশাদি করবা কবে?
বয়স যে শেষ হয়ে যাচ্ছে, খেয়াল আছে?

বিবাহিত জীবনের প্রশ্ন

সংসার ঠিকমতো চলতেছে তো?
ঝামেলা হয়?
বাচ্চা-কাচ্চা নিচ্ছ কবে?
টাকা-পয়সা জমাচ্ছ, নাকি ফালতু খরচ করো?

পিতা-মাতার জীবনের প্রশ্ন

বাচ্চা কয়টা?
বাচ্চার রোল কত?
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
রেজাল্ট খারাপ কেন?
বাচ্চার গ্রোথ কম কেন?

 কলি