ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাজির এক্সপার্ট মফিজ

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৩ পিএম
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১৫ পিএম
বাজির এক্সপার্ট মফিজ
আঁকা: মাসুম

সিঙ্গাপুরের নামকরা এক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ অফিসে কর্মরত আছেন কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি আছেন, যার নাম মফিজ। মফিজ সাহেব খুবই বুদ্ধিমান। তার একটা বদভ্যাস আছে। তিনি শুধু কলিগদের সঙ্গে বাজি ধরেন। অবশ্যই মোটা অঙ্কের অর্থ। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি কখনো বাজিতে হারেন না এক দিনের কথা। কলিগদের সঙ্গে বাজি ধরার আগ্রহ প্রকাশ করলেন।

কলিগরা: বাজির বিষয় বলেন।
মফিজ: আপনারা কেউ কি দেখেছেন যে ঘোড়ার লেজের সঙ্গে মাকড়সা জাল বুনে আছে?
কলিগরা: নাহ! এ হতেই পারে না।
মফিজ: হতে পারে। আমি দেখেছি। তাহলে বাজি হয়ে যাক।
কলিগরা: কত?
মফিজ: ১০ হাজার ডলার। আমি যদি হেরে যাই, আমি একা ১০ হাজার দেব, আর আপনারা হেরে গেলে সবাই মিলে দেবেন।
সবাই খুশি মনে রাজি হয়ে গেলেন। এবার প্রমাণ করার পালা।
মফিজ সাহেব সবাইকে শহর থেকে একটু দূরে একটা চার রাস্তার মোড়ে নিয়ে আসলেন। সেখানে একটা ঘোড়ার মূর্তি দেখা গেল এবং সেটার লেজের সঙ্গে মাকড়সা জাল বুনেছে।
মফিজ: এই যে ঘোড়া আর এই যে মাকড়সার জাল, সঙ্গে মাকড়সা।
কলিগরা: ধুর! এটা তো মূর্তি।
মফিজ: মূর্তি হোক আর যাই হোক, ঘোড়া কি না?
কলিগরা: হ্যাঁ ঘোড়া।
মফিজ: তাহলে আমিই জয়ী। আমার পাওনা বুঝিয়ে দিন।
সবাই ১০ হাজার ডলার দিতে বাধ্য হলেন।
এক বছর ধরে মফিজ সাহেব এমনটাই করে আসছেন। সবাই তার ওপর ক্ষিপ্ত। তারা সিদ্ধান্ত নিলেন, চেয়ারম্যানের কাছে তার বিরুদ্ধে বাজি ধরার অভিযোগ করবেন এবং এখান থেকে হেড অফিসে বদলি করবেন।
যেই কথা সেই কাজ। সাত দিনের মধ্যে তার বদলির আদেশ, ১০ দিনের মাথায় হেড অফিসে জয়েন করা হয়ে গেল।
হেড অফিসে এসে মফিজ সাহেব ভালোভাবে কাজ শুরু করলেন। ব্যাংকের যেকোনো কাজে তিনি সিদ্ধহস্ত। আর বাজি ধরার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এভাবে টানা দুই মাস কেটে গেল। চেয়ারম্যান চিন্তা করলেন, মফিজ তো খুব ভালো ছেলে, তাহলে ওর বিরুদ্ধে অভিযোগ এল কেন? 
এই ভেবে ব্রাঞ্চ অফিসে ফোন করলেন।
চেয়ারম্যান: মফিজের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। সে দুই মাস ধরে কোনো বাজি ধরেনি আর সব কাজ সুষ্ঠুভাবে করে চলেছে।
কলিগ: স্যার ও বাজি ধরায় এক্সপার্ট।
চেয়ারম্যান: নাহ। আমার তা মনে হয় না।
কলিগ: স্যার আপনি ওকে জোর করে বাজি ধরাবেন, দেখবেন হেরে যাবেন।
চেয়ারম্যান: আচ্ছা আমি দেখছি।
চেয়ারম্যান মফিজকে তার চেম্বারে ডেকে পাঠালেন।
চেয়ারম্যান: আপনি নাকি অনেক বড় বাজিকর?
মফিজ: কই না তো স্যার! কে বলেছে?
চেয়ারম্যান: আমার সঙ্গে আপনাকে বাজি ধরতে হবে।
মফিজ: আমি বাজি ধরতে পারি না স্যার।
চেয়ারম্যান: বাজি ধরতেই হবে।
মফিজ: এত করে যখন বলছেন, তাহলে আমি রাজি। তবে আমি হেরে যাব।
চেয়ারম্যান: বাজির বিষয় বলেন।
মফিজ: জি স্যার, কিছু মনে করবেন না...আমি এই রুমের মধ্যে দৌড়ে ২০ চক্কর দেব। এর মধ্যে যদি আপনি ২০ বার কান ধরে উঠবস করতে পারেন, তাহলে আমি আপনাকে ১ হাজার ডলার দেব। আর না পারলে আপনি আমাকে ১০০ ডলার দেবেন, রাজি?
বিজয় নিশ্চিত জেনে চেয়ারম্যান সাহেব বাজিতে রাজি হয়ে গেলেন। মফিজ দৌড় শুরু করতেই চেয়ারম্যান সাহেব কান ধরে উঠবস শুরু করলেন। ১০ চক্করের আগেই তিনি ১০ বার উঠবোস সম্পন্ন করে ফেললেন।
চেয়ারম্যান: আপনি তো হেরে গেলেন। আপনার তো কোনো বুদ্ধিই নেই।
মফিজ: কোনো দিনই তো জিততে পারিনি স্যার।
চেয়ারম্যান: ঠিক আছে। আমার ১ হাজার ডলার দিয়ে আপনি আপনার কাজে যান।
এবার চেয়ারম্যান আবার ব্রাঞ্চে ফোন দিলেন।
চেয়ারম্যান: মফিজ তো আসলেই ভালো ছেলে। ও হেরে গেছে। আপনারা ওর নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। এই অপরাধে আমি আপনাদের সবাইকে হেড অফিসে বদলি করছি আর মফিজকে তার আগের জায়গায় ফিরিয়ে দিচ্ছি। আপনারা প্রস্তুত হন।
কলিগ: স্যার তার আগে একটা কথা আছে।
চেয়ারম্যান: বলুন।
কলিগ: ও কী কোনো কারণে আপনাকে কান ধরে উঠবোস করিয়েছে।
চেয়ারম্যান: হ্যাঁ, করিয়েছে।
কলিগ: স্যার, ও এখান থেকে যাওয়ার সময় আমাদের সঙ্গে লিখিত বাজি ধরে গেছে যে, ‘আমি চেয়ারম্যানকে কান ধরে উঠবস করাব আর আপনাদের সবাইকে হেড অফিসে বদলি করাব।’ স্যার আবার তো আমরা ১০ হাজার ডলার হেরে গেলাম।

কলি

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. রাজু: জানিস, আজ স্কুলে আসতে আমি পাঁচ টাকা বাঁচিয়েছি।
হাবলু: কীভাবে?
রাজু: আজ বাসের পিছনে দৌড়ে দৌড়ে এসেছি। যদি বাসের ভেতরে উঠে বসতাম, তাহলে পাক্কা পাঁচ টাকা দিয়ে দিতে হত।
হাবলু: ইশশ, তুই যা গাধা না!
রাজু: পাঁচ টাকা বাঁচালাম, এতে গাধা বলার কী আছে?
হাবলু: আরে ব্যাটা, বাসের পেছনে না দৌড়ে যদি ট্যাক্সির পিছনে দৌড়ে আসতি, তাহলে কত টাকা বাঁচত বল একবার। একদম ৩০০ টাকা বেঁচে যেত তোর।

 

২. এক চিকিৎসক বিয়ে করতে গিয়েছেন। বিয়ের সময়ে কাজি হবু স্ত্রীর হাত ডাক্তারের হাতে তুলে দিলেন। ডাক্তার অভ্যাস মতো স্ত্রীর নাড়ি টিপে ধরে বললেন, প্রেশার তো বেশি মনে হচ্ছে। জিভটা দেখি।

 

৩. হাসপাতালে সদ্যপ্রসূত বোনকে দেখতে গিয়েছে ছয় বছরের কাজল। এ সময় সে পাশের বিছানায় এক বৃদ্ধা রোগিনীকে জিজ্ঞেস করল-
কাজল: তুমি এখানে কত দিন আছ?
বৃদ্ধ: তিন মাস ।
কাজল: তোমার বাচ্চা কই ?
বৃদ্ধ: আমার বাচ্চা নেই।
কাজল: কী বলছ, আমার মা এখানে মাত্র দু’দিন হল এসেছে, একটা বাচ্চা হয়েছে, তুমি তো খুব স্লো দেখছি।

 

৪. গোয়েন্দাপ্রধান: চোরাকারবারিদের অনুসরণ করে তুমি কি হোটেল সুপার স্টারে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী: জি, স্যার!
গোয়েন্দাপ্রধান: ওরা তোমাকে চিনে ফেলেনি তো?
গোয়েন্দা সহকারী: না স্যার। আমি ছদ্মবেশ নিয়ে হোটেলের ভেতরে ঢুকেছি।
গোয়েন্দাপ্রধান: কীসের ছদ্মবেশে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী: স্যার, ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে।
গোয়েন্দাপ্রধান: কী! হোটেল সুপার স্টারের মতো একটা জায়গায় তুমি ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে গিয়েছ? তোমাকে তো ভেতরে ঢুকতেই দেওয়ার কথা না!
গোয়েন্দা সহকারী: হা হা! স্যার কি আমাকে অত বোকা ভেবেছেন? জানতাম, ঢুকতে দেবে না। সে জন্য আগে থেকেই গলায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম!

 

৫. শিক্ষক: পাঁচ থেকে দুই বিয়োগ করলে হাতে কত থাকে?
ছাত্র: জানি না, স্যার।
শিক্ষক: তুই একটা আস্ত গরু।
ছাত্র: স্যার, আমি তো এখনও ছোট। আমাকে বাছুর বলবেন স্যার।

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. বাড়ির মালিক: তুমি গত তিন দিন কাজে আসোনি কেন?
কাজের মেয়ে: আমিতো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম যে আমি বাড়ি যাচ্ছি।
বাড়ির মালিক: তুমি ফেসবুকও চালাও নাকি?
কাজের মেয়ে: ক্যান, আপনি জানেন না? আপনার ছেলে তো কমেন্টও করলো, মিস ইউ!


২. ছেলে: মা, আমাদের টয়লেটটা অনেক ভালো। দরজা খুললে লাইট জ্বলে, দরজা বন্ধ করলে লাইট অফ হয়।
মা: ওরে বদের হাড্ডি! তুই আজও ফ্রিজে প্রস্রাব করেছিস!


৩. শিক্ষক: তুমি হোমওয়ার্ক করোনি কেন?
ছাত্র: স্যার, আমি তো হোস্টেলে থাকি।
শিক্ষক: তাতে কি হয়েছে?
ছাত্র: হোস্টেলওয়ার্ক তো করতে বলেননি।


৪. অভিভাবক: স্যার আপনার কী মনে হয়? আমার ছেলে বড় হয়ে কী হবে?
শিক্ষক: মনে হয়, মহাকাশচারী হবে।
অভিভাবক: কেনো স্যার?
শিক্ষক: ওকে যখন ক্লাসে কোনো পড়া জিজ্ঞেস করি, মনে হয় এইমাত্র আকাশ থেকে পড়লো।

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. শিক্ষক: বলো তো, কোনটি আমাদের বেশি দরকার, সূর্য না চাঁদ?
ছাত্র: চাঁদ, স্যার।
শিক্ষক: কেন?
ছাত্র: রাতে চারদিক অন্ধকার থাকে, তখন চাঁদ আমাদের আলো দেয়। আর দিনে চারদিক আলোকিত থাকে। সূর্য আমাদের তখন আলো দেয়।


 
২. শিক্ষক: শেরশাহ প্রথম ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করেন।
ছাত্র: কেন স্যার, এর আগে কি ঘোড়ারা ডাকতে পারত না?


 
৩. স্যার: মিঠু, বলতো গরু আমাদের কী দেয়?
মিঠু: গরু আমাদের গুঁতো দেয় স্যার!


 
৪. শিক্ষক: মন্টি, বলো তো হাসা ইংরেজি কী?
মন্টি: লাফ।
শিক্ষক: তাহলে হাসাহাসির ইংরেজি কী হবে?
মন্টি: লাফালাফি স্যার!
 

৫. শিক্ষক: রনি, এই ম্যাপে দেখাও তো দেখি আমেরিকা কোথায়?
রনি গিয়ে দেখিয়ে আসার পর…
শিক্ষক: ভেরি গুড। এবার জনি বলতো, আমেরিকা কে আবিষ্কার করেছে?
জনি: রনি করেছে স্যার।

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. স্বামী স্ত্রী এক সঙ্গে টেবিলে বসে খাচ্ছে...
স্বামী: তোমাকে কিছু বলতে চাইছি, যদি অনুমতি দাও তাহলে বলবো।
স্ত্রী: খাওয়ার সময় কোনো কথা বলতে হয় না।
স্ত্রী: (খাওয়া শেষে) হুম, কি যেন বলতে চাইছিলে?
স্বামী: তুমিতো মোবাইল ঘাটতে ঘাটতে খাচ্ছিলে, তাই প্লেটের দিকে নজর দাওনি। আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে, তোমার প্লেটে একটি মরা তেলাপোকা ছিলো। 

২. ছেলে: ইশ! কেন যে আপেলের সাইজ তরমুজের সমান হলো না!
বাবা: কেন রে?
ছেলে: মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সূত্রটা মুখস্থ হচ্ছে না!


৩. স্বামী: আজ আমি তোমার কাছে কিছুই গোপন রাখবো না। কী জানতে চাও বলো?
স্ত্রী: আমিও। আচ্ছা, আমাদের বিয়ের আগে তোমার কি কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল?
স্বামী: না! তবে মাঝে মাঝে নাইট ক্লাবে যেতাম আর কি!
স্ত্রী: তাই তো বলি তোমাকে এতো চেনা চেনা লাগছে কেন!

একজন অভিজ্ঞ চোরের সাক্ষাৎকার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
একজন অভিজ্ঞ চোরের সাক্ষাৎকার
আঁকা মাসুম

রঙ্গব্যঙ্গ: কেমন আছেন আপনি? 
চোর: খুব বেশি ভালো না ভাইজান। আপনি? 
রঙ্গব্যঙ্গ: জি ভালো। তা আপনি ভালো নেই কেন?
চোর: বাজার খারাপ। ব্যবসাপাতি মন্দা যাইতাছে।
রঙ্গব্যঙ্গ: জানামতে আপনি তো এই লাইনে একজন অভিজ্ঞ লোক। অনেক দিন ধরে আছেন এই পেশায়। আপনার ব্যবসা হঠাৎ মন্দা যাওয়ার কারণ কী?
চোর: আর কী বলমু ভাইজান, বুঝেনই তো! দিন যত যাইতাছে মানুষজন এই পেশায় বেশি ঝুঁকতাছে। আর মানুষ যত বাড়ব প্রতিযোগিতা তত বাড়ব, এইটাই তো স্বাভাবিক। আর অভিজ্ঞতার কথা বললেন না, ওইটার জোরেই এহনো টিক্কা আছি। চাইরটা ডাইল-ভাত খাইতে পারতাছি। 
রঙ্গব্যঙ্গ: ব্যাপারটা যদি একটু খোলাসা করতেন।
চোর: মনে করেন আমগো বাপ-দাদার পেশা, তো বাজারে কোনো চেঞ্জ আসলে আমরা কিন্তু সহজেই তা বুইঝা যাই। এই যেমন বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির সময়ে কাজে নামার আগে কী কী ব্যাপরে ট্রেনিং থাকা দরকার ওইটা কিন্তু আমরা ঠিকই জানি। কিন্তু যারা এই পেশায় নয়া, তারা কিন্তু ব্যাপারগুলা সহজে ধরবার পারে না।
রঙ্গব্যঙ্গ: খুবই জটিল কথা বললেন। আপনি কত দিন ধরে এই পেশায় আছেন?
চোর: এই ধরেন ৪০ বছর।
রঙ্গব্যঙ্গ: আপনার বয়স কত?
চোর: এই তো উনচল্লিশ পার কইরা চল্লিশে পা রাখলাম।
রঙ্গব্যঙ্গ: তাহলে আপনি যে বললেন এই পেশায় ৪০ বছর ধরে আছেন।
চোর: আরে ভাইজান, আমারে পেটে নিয়াই আমার আম্মা পাশের বাড়ির এক ভাবির শাড়ি চুরি করছিল; এইবার হিসাব করেন।
রঙ্গব্যঙ্গ: বাহ চমৎকার। তা কোনো স্বপ্নটপ্ন দেখেন?
চোর: ভাইজান যে কী জন্য বারবার লজ্জা দেন, তা বুঝি না। রাতের বেলাই ঘুমাই কখন যে স্বপ্ন দেখুম।
রঙ্গব্যঙ্গ: আরে ভাই, স্বপ্ন বলতে বলছি ভবিষ্যতে কিছু করার কথা ভাবেন কি না।
চোর: তা তো অবশ্যই ভাবি ভাইজান।
রঙ্গব্যঙ্গ: কী সেটা?
চোর: একবার আমেরিকা যাইতে চাই।
রঙ্গব্যঙ্গ: বিদেশে! যাক ভালো হওয়ার চিন্তাভাবনা আছে তাহলে। তা কী করবেন আমেরিকা গিয়ে?
চোর: আমার বড় পোলাডা ওই দিন কইল সে নাকি ফেসবুকে দেখছে যে ওই দেশে বিল গেটস নামে এক বিরাট ধনী লোক আছে। তার বাসায় একবার চুরি করবার চাই। আর ওইখানে একবার চুরি করতে পারলেই তো ঠ্যাঙের ওপরে ঠ্যাং তুইলা সারা জীবন কাটায় দিবার পারমু, বুঝলেন।
রঙ্গব্যঙ্গ: বাহ...আপনার চিন্তাভাবনায় আমরা মুগ্ধ। ভাই সাহেব, আপনাকে একটা পরামর্শ দিই?
চোর: অবশ্যই ভাইজান। আপনারা জ্ঞানীগুণী মানুষ, কোনো বুদ্ধি-পরামর্শ দিলে ওইডা তো আমাগো সৌভাগ্য।
রঙ্গব্যঙ্গ: এই পেশাটা ছেড়ে দিয়ে ভালো হয়ে যান।
চোর: ধন্যবাদ ভাইজান। ভাইজান, আপনারে একটা কথা কই?
রঙ্গব্যঙ্গ: হুম, অবশ্যই।
চোর: সবসময় নিজের পকেটের দিকে খেয়াল রাখবেন। সামান্য বেখেয়াল হইলেই কিন্তু...
রঙ্গব্যঙ্গ: এই...আমার! আমার মানিব্যাগ কই? আমার মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোন কই গেল!

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });