ঢাকা ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কাঁচা বাজার বিড়ম্বনা

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৩ পিএম
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৪ পিএম
কাঁচা বাজার বিড়ম্বনা
আঁকা মাসুম

ছুটির দিন। কোথায় ঘুম ভাঙার পর বিছানায় একটু অজগর সাপের মতো গড়াগড়ি খাব তা না, আম্মা সাতসকালে বাজারে পাঠিয়ে দিল। সাধারণত বাজারের কাজ আমার ছোট ভাই করে। বাসার কোনো কাজে ওর কোনো আগ্রহ নেই। শুধু বাজার করার জন্যই ওর যত আগ্রহ। কী যে এর কারণ কে জানে। ওর সামনে পরীক্ষা, তাই আমাকেই এই দায়িত্ব নিতে হলো।

বাজারের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রওনা হওয়ার আগে ছোট ভাই বলে উঠল, পচা মাছ-টাছ আনিও না। তোমার তো ওই দিকেই বেশি খেয়াল।

আমি কিছু বললাম না। ছুটির দিনে মেজাজ খারাপ করতে কে চায়?

রিকশা ঠিক করতে গিয়ে রিকশাওয়ালার কথা শুনে মনে হলো, আমাকে তার মামার মতো লাগছে মনে হয়। ২০ টাকার ভাড়া চাইছে ৪০ টাকা।

বললাম, শুধু যাব। আসব না তো।

সে আমার কথার কোনো পাত্তা না দিয়ে লুঙ্গির কোঁচড় থেকে বিড়ি বের করে ধরিয়ে ফেলল।

অবশেষে ৪০ টাকাতেই রাজি হয়ে গেলাম। ছুটির দিনে মেজাজ খারাপ করতে কে চায়?

বাজারের গলিতে ঢোকার আগেই একটা চায়ের দোকান আছে। এসব দোকানে

কাতালানদের স্বাধীনতার খবর থেকে শুরু করে বাংলাদেশ টিমের কোনো ব্যাটসম্যানের কীভাবে খেলা দরকার ছিল এসব খবর জানা যায়। অনেকদিন এসব দোকানে বসি না। আজ সুযোগ পাওয়া গেছে তাই ঢুকে পড়লাম।

ঢুকে দেখি আজ বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ে কথা হচ্ছে।

একজন বলল, পেঁয়াজের ভরি নাকি ৭০ টাকা চলতেছে!

আরে ওই দিন এক বিয়েতে খাসির রেজালার দিকে কেউ তাকাচ্ছেই না।

কেন?

সালাদের মধ্যে পেঁয়াজ ছিল। গোল গোল করে কাটা। সবাই ওই প্লেট নিয়ে টানাটানি।

আমার মেয়ে চুলে আগে পেঁয়াজের রস দিত। ভাবতেই গায়ের লোমগুলো দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।

বলেন কী। আপনার মেয়ের তো তাহলে ছেলের অভাব হবে না। ছেলেপক্ষ যখন শুনবে মেয়ের চুলে পেঁয়াজের রস পাওয়া যেতে পারে।

সবাই হেসে উঠল।

আরেকজন বলল, এখন পান্তাভাত ফার্মের মুরগি দিয়ে খেলেই ভালো।

মুরগি দিয়ে কেন?- আমি আমার বড় নাকটা গলিয়ে দিলাম।

কাঁচা মরিচের কেজি কত?- আমাকে সেই লোক উল্টো প্রশ্ন করল।

কত?- আমি একটু অবাক হলাম।

জানেন না আপনি?

না তো।

কোন দেশ?- লোকটি ভুরু নাচিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করল।

মানে?- বুঝলাম যে আমাকেই মুরগি বানানো হচ্ছে।

কোন দেশ থেকে আসছেন?

আমার থতমত অবস্থা দেখে আরেকজন লোক এগিয়ে এল।

ভাই এখন কাঁচা মরিচের কেজি ১২০ টাকা। ফার্মের মুরগির কেজিও ২৬০ টাকা। আগে মানুষ পান্তাভাত দিয়ে কাঁচা মরিচ খেত। এখন ফার্মের মুরগি দিয়ে খাবে।

আরেক প্রস্থ হাসাহাসি হলো।

আর সবজি? কোনটা কিনবেন বলেন। যেসব শাকসবজি আমরা আগে গ্রামে গরু-ছাগলদের খাওয়াতাম সেগুলোও তো খেতে পারছি না।

আরে এসবের মধ্যে যে বিষ খাব সেই উপায়ই তো নেই।

কেন কী হইছে?- এক বয়স্ক ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করছে।

বাসায় ইঁদুর বেড়ে যাওয়ায় ওই দিন ইঁদুর মারার বিষ কিনতে গেছিলাম। ওইটারও দেখি দাম বাড়ছে!

সবাই হো হো করে হেসে ফেলল।

না না ভাই হাসিয়েন না। এটা আসলেই সিরিয়াস ইস্যু। বিষ খেয়ে মরতে চাইলেও পারবেন নাকি?

এখন সস্তা আছে একটা জিনিসই। সেটা হচ্ছে মানুষের জীবন। রাস্তাঘাটে, বাসের ধাক্কায়, পানির তোড়ে খালি মানুষই ভেসে যাচ্ছে।

সস্তা আছে একটা জিনিসই সেটা হচ্ছে ম্যাচের বাক্স। টাকাতে পাওয়া যাচ্ছে এখনো।

আমি চায়ের দামটা মিটিয়ে বাজারের সামনে এসে দাঁড়ালাম। এক লোককে আসতে দেখে জিজ্ঞাসা করলাম, ভাই কী অবস্থা?

ফাটতেছে!- এক শব্দে জবাব দিলেন ভদ্রলোক।

আমার সঙ্গে সঙ্গে সেই জোকসটা মনে পড়ে গেল।

বাজারের পাশে এক দর্জির রমরমা ব্যবসা। বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম শুনে লোকজনের প্যান্ট ফেটে গেলেই সে রিপু করে দিচ্ছে। ১৬০০ টাকা ইলিশের কেজি শুনে এক লোকের প্যান্ট ফেটে গেছে। দর্জির কাছে রিপু করাতে গেল সে।

রিপু কত?- রিপু শেষে প্যান্ট পরে দর্জিকে জিজ্ঞাসা করল লোকটি।

৫০ টাকা।

লোকটি একটা ১০০ টাকার নোট দর্জিকে দিয়ে বলল আপনার রিপুর দাম শুনে আবার ফেটে গেছে!

বাজারের দিকে গেলামই না। খালি এক ডজন ম্যাচ কিনে বাসার দিকে চললাম। ম্যাচেরও আবার কখন দাম বেড়ে যাবে কে বলতে পারে।

 

মেহেদী আল মাহমুদ

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. রাজু: জানিস, আজ স্কুলে আসতে আমি পাঁচ টাকা বাঁচিয়েছি।
হাবলু: কীভাবে?
রাজু: আজ বাসের পিছনে দৌড়ে দৌড়ে এসেছি। যদি বাসের ভেতরে উঠে বসতাম, তাহলে পাক্কা পাঁচ টাকা দিয়ে দিতে হত।
হাবলু: ইশশ, তুই যা গাধা না!
রাজু: পাঁচ টাকা বাঁচালাম, এতে গাধা বলার কী আছে?
হাবলু: আরে ব্যাটা, বাসের পেছনে না দৌড়ে যদি ট্যাক্সির পিছনে দৌড়ে আসতি, তাহলে কত টাকা বাঁচত বল একবার। একদম ৩০০ টাকা বেঁচে যেত তোর।

 

২. এক চিকিৎসক বিয়ে করতে গিয়েছেন। বিয়ের সময়ে কাজি হবু স্ত্রীর হাত ডাক্তারের হাতে তুলে দিলেন। ডাক্তার অভ্যাস মতো স্ত্রীর নাড়ি টিপে ধরে বললেন, প্রেশার তো বেশি মনে হচ্ছে। জিভটা দেখি।

 

৩. হাসপাতালে সদ্যপ্রসূত বোনকে দেখতে গিয়েছে ছয় বছরের কাজল। এ সময় সে পাশের বিছানায় এক বৃদ্ধা রোগিনীকে জিজ্ঞেস করল-
কাজল: তুমি এখানে কত দিন আছ?
বৃদ্ধ: তিন মাস ।
কাজল: তোমার বাচ্চা কই ?
বৃদ্ধ: আমার বাচ্চা নেই।
কাজল: কী বলছ, আমার মা এখানে মাত্র দু’দিন হল এসেছে, একটা বাচ্চা হয়েছে, তুমি তো খুব স্লো দেখছি।

 

৪. গোয়েন্দাপ্রধান: চোরাকারবারিদের অনুসরণ করে তুমি কি হোটেল সুপার স্টারে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী: জি, স্যার!
গোয়েন্দাপ্রধান: ওরা তোমাকে চিনে ফেলেনি তো?
গোয়েন্দা সহকারী: না স্যার। আমি ছদ্মবেশ নিয়ে হোটেলের ভেতরে ঢুকেছি।
গোয়েন্দাপ্রধান: কীসের ছদ্মবেশে গিয়েছিলে?
গোয়েন্দা সহকারী: স্যার, ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে।
গোয়েন্দাপ্রধান: কী! হোটেল সুপার স্টারের মতো একটা জায়গায় তুমি ভিক্ষুকের ছদ্মবেশে গিয়েছ? তোমাকে তো ভেতরে ঢুকতেই দেওয়ার কথা না!
গোয়েন্দা সহকারী: হা হা! স্যার কি আমাকে অত বোকা ভেবেছেন? জানতাম, ঢুকতে দেবে না। সে জন্য আগে থেকেই গলায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে রেখেছিলাম!

 

৫. শিক্ষক: পাঁচ থেকে দুই বিয়োগ করলে হাতে কত থাকে?
ছাত্র: জানি না, স্যার।
শিক্ষক: তুই একটা আস্ত গরু।
ছাত্র: স্যার, আমি তো এখনও ছোট। আমাকে বাছুর বলবেন স্যার।

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পিএম
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২১ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. বাড়ির মালিক: তুমি গত তিন দিন কাজে আসোনি কেন?
কাজের মেয়ে: আমিতো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম যে আমি বাড়ি যাচ্ছি।
বাড়ির মালিক: তুমি ফেসবুকও চালাও নাকি?
কাজের মেয়ে: ক্যান, আপনি জানেন না? আপনার ছেলে তো কমেন্টও করলো, মিস ইউ!


২. ছেলে: মা, আমাদের টয়লেটটা অনেক ভালো। দরজা খুললে লাইট জ্বলে, দরজা বন্ধ করলে লাইট অফ হয়।
মা: ওরে বদের হাড্ডি! তুই আজও ফ্রিজে প্রস্রাব করেছিস!


৩. শিক্ষক: তুমি হোমওয়ার্ক করোনি কেন?
ছাত্র: স্যার, আমি তো হোস্টেলে থাকি।
শিক্ষক: তাতে কি হয়েছে?
ছাত্র: হোস্টেলওয়ার্ক তো করতে বলেননি।


৪. অভিভাবক: স্যার আপনার কী মনে হয়? আমার ছেলে বড় হয়ে কী হবে?
শিক্ষক: মনে হয়, মহাকাশচারী হবে।
অভিভাবক: কেনো স্যার?
শিক্ষক: ওকে যখন ক্লাসে কোনো পড়া জিজ্ঞেস করি, মনে হয় এইমাত্র আকাশ থেকে পড়লো।

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০৯ পিএম
আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. শিক্ষক: বলো তো, কোনটি আমাদের বেশি দরকার, সূর্য না চাঁদ?
ছাত্র: চাঁদ, স্যার।
শিক্ষক: কেন?
ছাত্র: রাতে চারদিক অন্ধকার থাকে, তখন চাঁদ আমাদের আলো দেয়। আর দিনে চারদিক আলোকিত থাকে। সূর্য আমাদের তখন আলো দেয়।


 
২. শিক্ষক: শেরশাহ প্রথম ঘোড়ার ডাকের প্রচলন করেন।
ছাত্র: কেন স্যার, এর আগে কি ঘোড়ারা ডাকতে পারত না?


 
৩. স্যার: মিঠু, বলতো গরু আমাদের কী দেয়?
মিঠু: গরু আমাদের গুঁতো দেয় স্যার!


 
৪. শিক্ষক: মন্টি, বলো তো হাসা ইংরেজি কী?
মন্টি: লাফ।
শিক্ষক: তাহলে হাসাহাসির ইংরেজি কী হবে?
মন্টি: লাফালাফি স্যার!
 

৫. শিক্ষক: রনি, এই ম্যাপে দেখাও তো দেখি আমেরিকা কোথায়?
রনি গিয়ে দেখিয়ে আসার পর…
শিক্ষক: ভেরি গুড। এবার জনি বলতো, আমেরিকা কে আবিষ্কার করেছে?
জনি: রনি করেছে স্যার।

আজকের সেরা জোকস

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:০০ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
আজকের সেরা জোকস
সংগৃহীত

১. স্বামী স্ত্রী এক সঙ্গে টেবিলে বসে খাচ্ছে...
স্বামী: তোমাকে কিছু বলতে চাইছি, যদি অনুমতি দাও তাহলে বলবো।
স্ত্রী: খাওয়ার সময় কোনো কথা বলতে হয় না।
স্ত্রী: (খাওয়া শেষে) হুম, কি যেন বলতে চাইছিলে?
স্বামী: তুমিতো মোবাইল ঘাটতে ঘাটতে খাচ্ছিলে, তাই প্লেটের দিকে নজর দাওনি। আমি বলতে চাচ্ছিলাম যে, তোমার প্লেটে একটি মরা তেলাপোকা ছিলো। 

২. ছেলে: ইশ! কেন যে আপেলের সাইজ তরমুজের সমান হলো না!
বাবা: কেন রে?
ছেলে: মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সূত্রটা মুখস্থ হচ্ছে না!


৩. স্বামী: আজ আমি তোমার কাছে কিছুই গোপন রাখবো না। কী জানতে চাও বলো?
স্ত্রী: আমিও। আচ্ছা, আমাদের বিয়ের আগে তোমার কি কোনো মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল?
স্বামী: না! তবে মাঝে মাঝে নাইট ক্লাবে যেতাম আর কি!
স্ত্রী: তাই তো বলি তোমাকে এতো চেনা চেনা লাগছে কেন!

একজন অভিজ্ঞ চোরের সাক্ষাৎকার

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০০ এএম
একজন অভিজ্ঞ চোরের সাক্ষাৎকার
আঁকা মাসুম

রঙ্গব্যঙ্গ: কেমন আছেন আপনি? 
চোর: খুব বেশি ভালো না ভাইজান। আপনি? 
রঙ্গব্যঙ্গ: জি ভালো। তা আপনি ভালো নেই কেন?
চোর: বাজার খারাপ। ব্যবসাপাতি মন্দা যাইতাছে।
রঙ্গব্যঙ্গ: জানামতে আপনি তো এই লাইনে একজন অভিজ্ঞ লোক। অনেক দিন ধরে আছেন এই পেশায়। আপনার ব্যবসা হঠাৎ মন্দা যাওয়ার কারণ কী?
চোর: আর কী বলমু ভাইজান, বুঝেনই তো! দিন যত যাইতাছে মানুষজন এই পেশায় বেশি ঝুঁকতাছে। আর মানুষ যত বাড়ব প্রতিযোগিতা তত বাড়ব, এইটাই তো স্বাভাবিক। আর অভিজ্ঞতার কথা বললেন না, ওইটার জোরেই এহনো টিক্কা আছি। চাইরটা ডাইল-ভাত খাইতে পারতাছি। 
রঙ্গব্যঙ্গ: ব্যাপারটা যদি একটু খোলাসা করতেন।
চোর: মনে করেন আমগো বাপ-দাদার পেশা, তো বাজারে কোনো চেঞ্জ আসলে আমরা কিন্তু সহজেই তা বুইঝা যাই। এই যেমন বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির সময়ে কাজে নামার আগে কী কী ব্যাপরে ট্রেনিং থাকা দরকার ওইটা কিন্তু আমরা ঠিকই জানি। কিন্তু যারা এই পেশায় নয়া, তারা কিন্তু ব্যাপারগুলা সহজে ধরবার পারে না।
রঙ্গব্যঙ্গ: খুবই জটিল কথা বললেন। আপনি কত দিন ধরে এই পেশায় আছেন?
চোর: এই ধরেন ৪০ বছর।
রঙ্গব্যঙ্গ: আপনার বয়স কত?
চোর: এই তো উনচল্লিশ পার কইরা চল্লিশে পা রাখলাম।
রঙ্গব্যঙ্গ: তাহলে আপনি যে বললেন এই পেশায় ৪০ বছর ধরে আছেন।
চোর: আরে ভাইজান, আমারে পেটে নিয়াই আমার আম্মা পাশের বাড়ির এক ভাবির শাড়ি চুরি করছিল; এইবার হিসাব করেন।
রঙ্গব্যঙ্গ: বাহ চমৎকার। তা কোনো স্বপ্নটপ্ন দেখেন?
চোর: ভাইজান যে কী জন্য বারবার লজ্জা দেন, তা বুঝি না। রাতের বেলাই ঘুমাই কখন যে স্বপ্ন দেখুম।
রঙ্গব্যঙ্গ: আরে ভাই, স্বপ্ন বলতে বলছি ভবিষ্যতে কিছু করার কথা ভাবেন কি না।
চোর: তা তো অবশ্যই ভাবি ভাইজান।
রঙ্গব্যঙ্গ: কী সেটা?
চোর: একবার আমেরিকা যাইতে চাই।
রঙ্গব্যঙ্গ: বিদেশে! যাক ভালো হওয়ার চিন্তাভাবনা আছে তাহলে। তা কী করবেন আমেরিকা গিয়ে?
চোর: আমার বড় পোলাডা ওই দিন কইল সে নাকি ফেসবুকে দেখছে যে ওই দেশে বিল গেটস নামে এক বিরাট ধনী লোক আছে। তার বাসায় একবার চুরি করবার চাই। আর ওইখানে একবার চুরি করতে পারলেই তো ঠ্যাঙের ওপরে ঠ্যাং তুইলা সারা জীবন কাটায় দিবার পারমু, বুঝলেন।
রঙ্গব্যঙ্গ: বাহ...আপনার চিন্তাভাবনায় আমরা মুগ্ধ। ভাই সাহেব, আপনাকে একটা পরামর্শ দিই?
চোর: অবশ্যই ভাইজান। আপনারা জ্ঞানীগুণী মানুষ, কোনো বুদ্ধি-পরামর্শ দিলে ওইডা তো আমাগো সৌভাগ্য।
রঙ্গব্যঙ্গ: এই পেশাটা ছেড়ে দিয়ে ভালো হয়ে যান।
চোর: ধন্যবাদ ভাইজান। ভাইজান, আপনারে একটা কথা কই?
রঙ্গব্যঙ্গ: হুম, অবশ্যই।
চোর: সবসময় নিজের পকেটের দিকে খেয়াল রাখবেন। সামান্য বেখেয়াল হইলেই কিন্তু...
রঙ্গব্যঙ্গ: এই...আমার! আমার মানিব্যাগ কই? আমার মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোন কই গেল!

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });