ঢাকা ৩০ পৌষ ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫

জেলেদের নিয়ে জোকস

প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ এএম
আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ এএম
জেলেদের নিয়ে জোকস
আঁকা মাসুম

১. ছোট ছেলেটি স্কুলে যেতে দেরি করেছে। চুপি চুপি ক্লাসে ঢুকতে গিয়েছিল সুপারিনটেনডেন্টের নজর এড়িয়ে। কিন্তু ধরা পড়ে গেল। সুপার খপ করে তাকে ধরলেন এবং দেরির জবাবদিহি চাইলেন। আমতা আমতা করে সে জবাব দিল, আমি আজ মাছ ধরতে যাব ঠিক করেছিলাম, কিন্তু বাবা যেতে দিল না।
সুপারের মুখ মৃদু হাসিতে উদ্ভাসিত হলো। বিচক্ষণ পিতা- তিনি বললেন। 
তোমাকে মাছ ধরতে যেতে না দিয়ে তিনি ঠিক কাজই করেছেন। কারণটাও তিনি নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা করেছেন, তাই না?
ছোট ছেলেটি জবাব দেয়, হ্যাঁ নিশ্চয়ই স্যার! তিনি বললেন, যা টোপ আছে, তাতে আমাদের দুজনের কুলোবে না!

 

২. মৎস্য শিকারিদের আড্ডায় অত্যন্ত বিমর্ষ হয়ে বসেছিল স্যাম। তা দেখে তার বন্ধু প্রশ্ন করল, কী দোস্ত! আজ দেখছি মুড অফ! নতুন করে কিছু হলো নাকি?
বন্ধু বলল, আর বলো কেন? বউ আল্টিমেটাম দিয়েছে, হয় বরাবরের মতো আমাকে মাছ ধরা ছাড়তে হবে, নইলে সে আমাকে শেষবারের মতো ছেড়ে চলে যাবে। হায় ভগবান! এত ভালো বউটাকে আমি হারাতে চলেছি!

 

৩. সমুদ্রতীরে মাছ ধরছেন এক দম্পতি। স্বামীর বড়শিতে টোপ গিলল এক বিশাল স্যামন মাছ। কিন্তু হুইল গুটিয়ে সেটাকে তীরে আনার আগেই সুতা-মাছ সব জড়িয়ে গেল সমুদ্র শৈবালের স্তূপে। স্বামী চিৎকার করে স্ত্রীকে বললেন, ওগো জলদি করো। ঝাঁপ দাও! সাঁতরে চলে যাও ওই শ্যাওলাগুলোর কাছে! ডুব দিয়ে সুতাটা ছাড়াও। নইলে হাঙরগুলো মাছটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলবে।

 

৪. মৎস্যশিকারির প্রতিবেশী: এই যে রাম বাবু! কাল নাকি আপনারা কয়জন মিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন? হে হে! তা মেজো মাছটা কে ধরলেন? হে হে!
রাম বাবু: মেজো মাছ? সেটা আবার কী?
প্রতিবেশী: হে হে! মানে সবচেয়ে বড় মাছের পরেরটা। সবচেয়ে বড় মাছটা তো নির্ঘাত আপনিই ধরেছেন, হে হে! তার পরের বড় মাছটা কে ধরলেন, সেটাই জানতে চাইছি! হে হে!

 

৫. এক মেছুড়ে গপ্পো বলছে, সেদিন জেটির ধারে ছিপ নিয়ে বসেছি। বসে আছি তো বসেই আছি। হঠাৎ ফাতনা নড়ে উঠল। স্বচ্ছ জলের ভেতর দিয়ে দেখি একটা পুঁটিমাছ টোপ গিলছে। এই তোমার কড়ে আঙুলের সাইজ। ওইটুকু মাছটাকে তুলব কি না ভাবছি। এমন সময় দেখি বেশ বড় একটা রুইমাছ পুঁটিটাকে গিলে ফেলল। সবে টান দেওয়ার উপক্রম করেছি। দেখি কী একটা বিশাল বোয়াল রুইটাকে কপাত করে খেয়ে ফেলল। শাবাশ বলে দিলাম ছিপে টান।
তারপর?- অধৈর্য শ্রোতা জানতে চান, ‘তারপর কী হলো? আপনি কি বোয়ালটাকে তুললেন?’
-না, আর তোলা হলো কই? পুঁটিমাছটাই যে বড়শি থেকে ছিঁড়ে গেল!

 

৬. মেছুড়ের বাড়িতে অনেক দিন বাদে বন্ধু এসেছেন। ড্রয়িংরুমে দেখেন কাচের বাক্সে বড় একটা মাছ স্টাফ করে সাজিয়ে রাখা আছে। ব্যাপারটা কী জানতে চাইলে মেছুড়ে বললেন, গতবার মাছ ধরতে গিয়ে এটা পেয়েছিলাম। একা একটা ডিঙি নিয়ে বেরিয়েছিলাম। মাছটা টোপ গেলার পর কয়েক ঘণ্টা আমার তো নাকানিচুবানি অবস্থা। ডিঙি সামলাই, না মাছ সামলাই। ডিঙি প্রায় উল্টে যায় এমন অবস্থা! আর তুমি তো জানোই আমি সাঁতার জানি না। সে এক জীবন-মরণ অবস্থা! হয় মাছ, না হয় আমি- যেকোনো একজন বাঁচবে।
তবে- বন্ধু উত্তর দিলেন, ডেকোরেশনের দিক থেকে মাছটাই ভালো বলে আমার মনে হয়!

 

৭. মাছ ধরার নেশা নাকি সবকিছু ভুলিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের কথা যে ভোলে না, নিচের গল্পটা তার প্রমাণ।
এক প্রৌঢ় এবং এক যুবক মাছ ধরতে বেরিয়েছে। সেদিন সত্যিই তাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন ছিল। প্রচুর মাছ ধরে তারা দিনের শেষে যখন বাড়ি ফিরছে তখন প্রৌঢ় বললেন, দিনটা দারুণ ছিল! কি বলো?
: যা বলেছেন! এত বড় বড় মাছ কখনো তুলিনি। যুবকের উত্তর।
-তা হলে আগামীকাল সকালে ফের আসব! কি হে, রাজি আছ তো?
: আগামীকাল? আগামীকাল যে আমার বিয়ে! থাকগে, বিয়েটা না হয় এক দিন পিছিয়ে দেব।

 

৮. চার মহিলা ব্রিজ খেলছেন। ম্যান্টেলপিসের ওপর স্টাফ করা বিশাল হাঙরটা সবারই দৃষ্টি আকর্ষণ করছিল। গৃহকর্ত্রী বেশ গর্বের সঙ্গে বললেন, আমি এবং আমার স্বামী গভীর সমুদ্রে এই হাঙরটাকে ধরেছিলাম।
: কিন্তু হাঙরটাকে বেশ মোটা লাগছে। ওটার পেটের ভেতর কী পোরা আছে?
-আমার স্বামী!

 

৯. নদীর ধারে তাঁবু গেড়ে দুজন মাছ ধরছেন। ফিশিং ইন্সপেক্টর যথারীতি হাজির।
এই ছিপটা কার আমি জানতে চাই- ইন্সপেক্টর গম্ভীর গলায় বলেন।
-আমার।
: আপনি কি জানেন না এখানে মাছ ধরা নিষিদ্ধ?
-জানি! তবে সত্যি কথাই বলি, আমরা কিন্তু মাছ ধরছি না। আমরা একটা সুতায় বিয়ারের বোতল বেঁধে সেটাকে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছি মাত্র! যাতে বিয়ারটা ঠাণ্ডা হয়। বুঝেছেন তো?
: হুম! ইন্সপেক্টরের গম্ভীর মুখ গম্ভীরতর হয়। আমার সারা জীবনের অভিজ্ঞতায় কখনো কোনো বিয়ারের বোতল দেখিনি যেটা কি না বৃত্তাকার ঘোরে আর মাঝে মাঝে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য জলের ওপর ভেসে ওঠে!

 

১০. : আচ্ছা জিম, যে বিশাল মাছটা তোমার সুতা ছিঁড়ে পালিয়ে গিয়েছিল, সেটা ঠিক কত বড় ছিল?
-সে তো ভাই বলতে পারব না? এটুকু জানি, আমার হুইলে ৫০ গজ নতুন সুতা ছিল। মাছটা টোপ গিলেই উজানে ছুটল। হুইলের সুতাও শেষ হলো, আর আমি দেখলাম মাছের লেজ তখনো নৌকার ধার দিয়ে চলেছে।

 

১১. অনেকক্ষণ পাশে দাঁড়িয়ে অন্যের মাছ ধরা দেখছেন এক ভদ্রলোক। মাঝেমধ্যে ফুট কাটছেন। মৎস্য শিকারির মেজাজও স্ফুটনাঙ্কের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। এক সময় দর্শক ভদ্রলোক প্রশ্ন করেন, আচ্ছা, আজ কি মাছ ঠোকরাচ্ছে না?
ক্রুদ্ধ মৎস্যশিকারি উত্তর দিলেন, জানি না জনাব! আর যদি ঠুকরেও থাকে, তারা একে অন্যকে ঠোকরাচ্ছে!

মোটিভেশনাল স্পিকার

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
মোটিভেশনাল স্পিকার
এঁকেছেন মাসুম

মেয়েটার সঙ্গে প্রথম পরিচয় লাইব্রেরিতে। স্থানীয় একটা লাইব্রেরিতে কাজ করি তখন। সেখানেই মেয়েটা এসেছিল। ওয়াইল্ড লাইফের ওপর বইয়ের জন্য। নাম সুজাইনা। মেয়েটার সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর দুটি জিনিস জানলাম। এক মেয়েটা খুব দুঃসাহসী। বনে-বাদাড়ে ঘুরে বেড়াতে খুব পছন্দ করে। দ্বিতীয় ব্যাপারটি হলো কালো মোটা ফ্রেমের চশমা পরা, ফরসা মেয়েটার সম্প্রতি তার প্রেমিকের সঙ্গে ব্রেকআপ হয়ে গেছে। কোনো এক মনীষী বলেছিলেন, ‘কোনো মেয়ের কাছাকাছি আসিবার জন্যে মেয়েটা যা যা পছন্দ করে তুমিও তাই তাই পছন্দ করিবে।’
আমিও ওয়াইল্ড লাইফের ওপর পড়াশোনা শুরু করলাম। একদিন আমি আর সুজাইনা মিলে বান্দরবানের একটা পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গেলাম। যেতে যেতে আমরা বন্ধুরা যে একবার সুন্দরবনে বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে করে বাঘের পিছু নিয়েছিলাম, সেটা জানালাম। একবার যে আমাদের গ্রামের বাড়িতে জ্যোৎস্না রাতে একটা গোখরা সাপ ধরে ফেলেছিলাম, সেটা জানালাম। সুজাইনা খুবই ইম্প্রেসড। প্রতি কথার পর সে চোখ বড় করে করে বলছিল, ‘সত্যি!’
আমি যদিও প্রতিবারই উত্তর দিলাম, ‘সত্যি না তো কি মিথ্যা?’
কিন্তু চরম সত্যিটা হলো আমি এসব কিছুই করিনি। আমার এই জীবনে সবচেয়ে দুঃসাহসিক কাজ হচ্ছে একবার লিফট বন্ধ থাকার কারণে আমাদের লাইব্রেরির পাঁচতলায় সিঁড়ি ভেঙে উঠেছিলাম।
যেতে যেতে হঠাৎ একটা উঁচু জায়গায় এসে পানির শব্দ শুনলাম। একটা পাহাড়ের কিনারায় এসে দেখি একটা ঝরনা বয়ে গেছে নিচে। কিনারায় একটা বৃদ্ধ লোক উদাস বসে বিড়ি টানছে (বিড়ি টানা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর)।
কিনারায় দাঁড়িয়ে বাচ্চাদের মতো হাততালি দিয়ে সুজাইনা বলল, ‘নিচে নামা যাবে না?’
‘যাইব অবশ্যই।’ এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে বৃদ্ধ বলল। 
‘এই নামো তুমি।’ আবদার শুনে মনে হলো আমি সুজাইনার মামা।
‘আমি?’ অবাক হয়ে একটা ঢোক গিলে জিজ্ঞাসা করলাম।
‘তো আর কে?’
‘ইয়ে মানে...,’ আমতা আমতা করতে লাগলাম।
‘আরে আমিও নামতাম। গতকাল থেকে সর্দি।’
‘এই পথ দিয়ে নামা যাবে?’ বৃদ্ধ লোকটিকে আমতা আমতা করে জিজ্ঞাসা করলাম।
‘যাইব অবশ্যই।’ উদাস মুখে বৃদ্ধ বলল।
আমার ইচ্ছা করল বুইড়াকে লাথি দিয়ে নিচে ফেলে দিই। যে ভাব নিয়ে ‘যাইব অবশ্যই’ বলতেছে, মনে হচ্ছে সে সকাল-বিকাল চারবার ওঠানামা করে।
‘কোনো ঝামেলা হবে না তো?’
বৃদ্ধ এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে বলল, ‘আরে না। খালি কয়দিন আগে এক পোলায় পড়ে গেছিল। ওঠার পর খালি উল্টাপাল্টা কথা কইতেছিল!’
‘কী উল্টাপাল্টা কথা?’ আমি ঢোক গিললাম আরেকটা।
‘কী না কী এক মাছের সঙ্গে নাকি তার আলাপ হইছে। আবোল তাবোল কথা। পরে হে রে পাগলাখানায় পাঠাইছে!’
‘এই নামো না প্লিজ।’ সুজাইনার কণ্ঠে মুক্তা ঝরে পড়ল।
আমি সুজাইনার চোখের দিকে তাকালাম। এটাই সুযোগ। এক মনীষী বলেছেন, ‘সুযোগ হেলায় হারিও না, মুরুব্বিদের সম্মান করিও।’ 
আমি নামতে শুরু করলাম। দু-একবার পা হড়কে গেল। প্রেম মানুষকে দুঃসাহসী করে। কোনো এক কবি বলেছিলেন, ‘আমি ভালোবেসে বুনো ষাঁড়ের চোখে বাঁধতে পারি লাল কাপড়।’
পা হড়কে ফড়ফড় করে পানিতে পড়ে গেলাম। প্রথম ডুবে এক জগ পানি খেলাম। পরেরবার দেখলাম একটা মাছ। বোয়াল মাছ নাকি?
‘আমি বোয়াল দ্য গ্রেট!’
মাছ কথা বলছে! মাথা টাথা গেছে নাকি।
‘আমি একজন মোটিভেশনাল স্পিকার!’
‘পানিতেও মোটিভেশনাল স্পিকার!’ আমি মাননীয় স্পিকার হয়ে গেলাম! 
‘শোনো হে বৎস। জীবনে কখনো মিথ্যা বলিবে না। তুমি যা তাই দেখাবে। একবার এক ব্যাঙ হাতি হতে যেয়ে ফুলতে ফুলতে পেট ফেটে মারা যায়। জীবনে সবকিছু পেতে হয় না। সবকিছু পাওয়ার জন্যই মানুষ অভিনয় করে। যেমন তুমি করছো সুজাইনার সঙ্গে!’
আরে শালা এ দেখি সুজাইনার নামও জানে। 
‘দেখো হে বৎস, মিথ্যা বলে যা পাওয়া যায়, তা টিকে না। তুমি এখনই উপরে উঠে তুমি যা তাই বলে দাও। সুজাইনা তোমার সঙ্গে থাকলে থাকবে, না থাকলে নাই।’
আমি পানি থেকে উঠে তরতর করে উপরে উঠে গেলাম।
সুজাইনা আমাকে দেখে খুশিতে লাফ দিয়ে উঠল। 
‘ওয়াও! তুমি এতক্ষণ পানির নিচে ছিলে। ইউ আর জাস্ট গ্রেট!’
‘সুজাইনা তোমার সঙ্গে আমার কিছু কথা আছে!’ আমি তখন কাঁপছি। শীতে নয়, উত্তেজনায়।
‘হ্যাঁ বলো।’
‘দেখো আমি কিন্তু এত দুঃসাহসী না। ভ্রমণপিপাসুও নই। তোমাকে যে বললাম, সুন্দরবনের বাঘের পায়ের ছাপ, খালি হাতে সাপ ধরা এগুলো সব ভুয়া। সাপ আমি জীবনে দেখছিই দুই জায়গায়। চিড়িয়াখানায় আর ডিসকভারি চ্যানেলে! এই যে এখন নিচে নামলাম, আমার জন্যে না। তোমার আবদার রাখতে।’
‘ওকে। সত্যি বলার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। এই জন্যই আমরা সারা জীবন অনেক ভালো বন্ধু হয়ে থাকব।’
বন্ধু! এই চেয়েছিলাম। আমি বেশ কিছু পাথর কুড়িয়ে নিচে জ্বলে ছুড়তে লাগলাম।
‘হালা বোয়াল দ্য গ্রেট। তোর মোটিভেশনাল স্পিকিংয়ের নিকুচি করি। আমার সব শেষ করি দিলি।’ রাগে ক্ষোভে আমি একের পর এক পাথর ছুড়তে লাগলাম।
‘এটাও গেছে। পাগলাখানায় পাডাইবার প্রয়োজন!’

আজকের জোকস: গান গেয়ে ভালোবাসা

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৮ পিএম
আজকের জোকস: গান গেয়ে ভালোবাসা
সংগৃহীত

১. লোক: বিয়ে হয়ে গেছে আপনার?
নারী: জি। 
লোক: তা, ছেলে কী করে?
নারী: আফসোস করে!

 

২. প্রেমিক: এই শোনো না, আমি আমার মানিব্যাগটা ভুলে বাসায় ফেলে এসেছি।
প্রেমিকা: তাতে সমস্যা কী?
প্রেমিক: কিন্তু এখন আমার দুই হাজার টাকার খুব দরকার।
প্রেমিকা: কোনো সমস্যা নেই, আমি আছি না! এই নাও ২০ টাকা। 
প্রেমিক: ২০ টাকা দিয়ে কী করব?
প্রেমিকা: এটা দিয়ে রিকশায় করে বাসায় গিয়ে মানিব্যাগটা নিয়ে এসো!

 

৩. গান গেয়ে হেনার প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করল জলিল। তারপর গদগদ স্বরে বলল—
জলিল: প্রিয়তমা, কেমন গাইলাম বলো তো?
হেনা: তোমার তো টেলিভিশনে গান গাওয়া উচিত।
জলিল: সত্যি!
হেনা: হ্যাঁ। সে ক্ষেত্রে আমি অন্তত টিভিটা বন্ধ করে দিতে পারব।

জনি জনি ইয়েস পাপার আঞ্চ‌লিক ভার্সন

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০০ এএম
জনি জনি ইয়েস পাপার আঞ্চ‌লিক ভার্সন
আঁকা মাসুম

রাজশাহী ভার্সন


জনি জনি। 
বুলেন আব্বা।
চিনি খ্যাছিস? 
না আব্বা।
মিথ্যা কথা বুলছিস? 
না আব্বা।
মুখ খুলত মামুর ব্যাটা।
হা! হা! হা!

 

চাঁপাই ভার্সন


জনি! জনি! 
জি আব্বা? 
চিনি খ্যাছো? 
না আব্বা।
মিচ্ছ্যা কথা কহিছো? 
না আব্বা।
মুখ খুল ব্যাডা
হা! হা! হা!


বরিশাল ভার্সন


জনি জনি! 
কী অইছে আব্বা?
চিনি খাইতে আছ? 
না আব্বা।
মিত্তা কতা কইতে আছ? 
না আব্বা।
আক্কর দেহি
হা! হা! হা!


নোয়াখালী ভার্সন


এরওই জনি! 
কিয়া হইচে আব্বা?
চিনি খওরি, কেন?
না আব্বা।
মিছা হতা কওরি কিল্লাই? 
না আব্বা, কিয়া কন এগিন।
আক্কর চাই।
হা হা হা


চট্টগ্রাম ভার্সন


জইন্না জইন্না! 
ও আব্বা কী ওইয়েদে? কিল্লাই পুজর লর?
চিনি হাইয়ুচ? 
ন বাপ, আই ন হাই।
মিচা হতা কেল্লাই হদ্দি? 
ন বাপ। আই আচা হতা হইর।
আ গর
হা হা হা।


বগুড়ার ভার্সন


জনি জনি! 
কি কচ্চেন আব্বা? 
চিনি কি খাচু তুই? 
না আব্বা। 
মিছা কতা কিসোক কলু? 
না আব্বা! 
হা করেক
হা! হা! হা!

 

নাটোর ভার্সন


জ‌নি জনি! 
কি কইচ্চেন আব্বা?
চিনি খাইচ্চু নাকি রে বা? 
না আব্বা।
মিত্ত্যা কতা কচ্চু নাকি রে বা? 
না আব্বা।
মুক খুলেক তো
হা! হা! হা!


পুরান ঢাকা ভার্সন


জনি আব্বে! 
হালায় ডাকো ক্যালা?
চিনি খাইহালাইছোস? 
আব্বে না খাইনাইক্কা।
মিছা কথা কছ ক্যালা..। 
এক্টুও মিছা কইনাইক্কা।
মুখ খুল
হা! হা! হা!


সিলেটি ভার্সন


জনি জনি! 
জি আব্বা!
ছিনি খাইছছ নি রে ফুত! 
কিওর? খেগুয়ে খইছে ইতা?
মিছা মাতরে নি? 
খছম খাইছি না,
আ খর বেঈমানর ফুয়া !
হা হা হা


ময়মনসিংহ ভার্সন

জইন্যাহ্ কই তুই?
কিতা আব্বা?
চিনি খাইছস?
না, আব্বা!
মিছা কতা কছ? 
না আব্বা?
আক্কর দেহি?
হা হা হা

আজকের জোকস: সাধুবাবার খপ্পরে

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
আজকের জোকস: সাধুবাবার খপ্পরে
আঁকা মাসুম

এক সাধুবাবা এক পার্টিতে পৌঁছাতেই তাকে নিয়ে সবাই হাসি-ঠাট্টা শুরু করল। 
সাধু: আমি সাধু সন্ত মানুষ। আমার সঙ্গে যদি এরকম ঠাট্টা তামাশা করিস, তাহলে আমার অভিশাপে তোরা সব অন্ধ খোড়া লুলা হয়ে যাবি বদমাইশের দল।
সবাই আরও জোরে জোরে হাসতে শুরু করল।
একটু পরেই দেখা গেল কেউ আর চোখে দেখতে পাচ্ছে না। সবাই সাধু বাবার পায়ে গিয়ে পড়ল। বলতে লাগল, বাবা আমরা পাপী, আমরা অবুঝ, আমাদের ক্ষমা করো বাবা।
সাধু বাবা তখন তার জুতা খুলে সবাইকে মারা শুরু করল আর বলতে লাগল, বেক্কলের দল, বিদ্যুৎ চলে গেছে। কেউ গিয়ে জেনারেটর চালু কর। আমিও কিছু দেখতে পাচ্ছি না।

সাবধান!

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১০ পিএম
সাবধান!
আঁকা মাসুম

আমাদের এলাকার পল্টু ভাইকে দেখে সব সময় হিংসা হতো। এর প্রথম কারণ তার কোনো কাজ ছিল না। সকালে উঠে বিশাল এক মগ চা নিয়ে, লুঙ্গি পরে এলাকা পরিদর্শনে বের হতেন। এখানে পরিদর্শন কথাটার একটা অন্তর্নিহিত অর্থ আছে। পরি+দর্শন মানে এলাকার যত পরীর মতো সুন্দরী মেয়েরা যখন স্কুল-কলেজে যেত, তাদের দর্শনে বের হতো। আমরা তখন ঘুম ঘুম চোখে, সরিষার তেল মাথায় দিয়ে এক পাশে সিঁথি করে স্কুলে যাচ্ছি স্যারদের প্যাদানি খাওয়ার জন্য। উনি তখন রাস্তার পাশ থেকে আমাদের দেখে খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসে বলতেন, কীরে রামছাগলের দল, কই যাস?

আমরা কিছু বলতে পারতাম না। কেননা বিকেলে আমাদের ক্রিকেট খেলার সব সরঞ্জাম পল্টু ভাইয়ের। উনিই সবকিছুর জোগানদাতা। আর হবেন নাই-বা কেন। বাবার একমাত্র সন্তান। যে কয়টা ব্যবসা আছে সব পল্টু ভাইয়ের বাবা দেখেন। উনি শুধু কলেজে বিকম না কী একটাতে যেন ভর্তি হয়ে আছেন। বছরে একবার ক্লাসে যান, কখন পাস করবেন, আদৌ করবেন নাকি তার কোনো ঠিক নেই। এভাবেই যখন দিন চলছিল, একদিন বিকেলে ঘটল ঘটনা। আমরা যথারীতি খেলছিলাম। পল্টু ভাই হঠাৎ বলে উঠলেন, চল নদীর তীরে যাই।
খেলবেন না?- আমরা অবাক।
না, তোদের সঙ্গে কথা আছে। তোরা ছাড়া আমার আর কেই-বা আছে বল।
আমরা পুলকিত হয়ে উঠলাম। কারণ পল্টু ভাইয়ের এই ‘তোরা ছাড়া আমার আর কেই-বা আছে’ মানে ভালো খাওয়া-দাওয়া হবে আজকে। এবং অবশ্যই পল্টু ভাই কোন ঝামেলায় পড়েছেন, যার সমাধান আমাদের দিতে হবে। আমরা সরল অঙ্ক, পাটিগণিতের সমাধান দিতে না পারলে কী হবে, এসব কাজের আবার ভালো সমাধান দিতে পারি।
নদীর পাড়ে গিয়ে হেভি খাওয়া-দাওয়ার পর পল্টু ভাই একটা সিগারেট ধরিয়ে (ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর) বললেন, আমি ধরা খাইছি রে!
কোথায়? আবার খালুর পকেট থেকে টাকা....!- মুখ ভর্তি তখনো খাবার প্রাণেশের।
আরে না পাঠা। আমি প্রেমে পড়েছি।
প্রেম!- আমরা সবাই অবাক।
আমি আগেই বুঝছিলাম এটা নারীঘটিত ব্যাপার স্যাপার।- রাজু আমাদের মধ্যে একটু বেশিই পরিপক্ব। পেকে একেবারে ঠসঠস হয়ে গেছে।
কার প্রেমে?- তারকা খচিত প্রশ্নটা ছাড়লাম।
রিনা!
ওরে বাপরে, রিনা আপা!- তারেক অবাক। বলল, মনে আছে একবার তাদের বাড়ির জানালার কাচ ভাঙছিলাম বলে উনি লাঠি নিয়ে দৌড়ানি দিছিল।
ওইসব বাদ দে। এখন কীভাবে রিনাকে ইম্প্রেস করা যায় বলে ফেল।
মেয়েরা কসমেটিকস খুব পছন্দ করে। এক ডজন পাউডার দিয়ে দেন।- মাথামোটা প্রাণেশ বলল।
এক ডজন!- অবাক আমি। বললাম, এক ডজন দিয়ে কী করবে?
রাজু বলল, দোকান দেবে আর কী।
এভাবে একের পর এক আইডিয়া আসতে থাকল। সবগুলোই বাতিল হয়ে যাচ্ছিল।
আমি দেখছি সকালে রিনা আপার কলেজে যেতে খুব ঝামেলা হয়। রিকশা পাওয়া যায় না। প্রায়ই উনার দেরি হয়। আপনি একটা স্কুটি কিনে ফেলেন না কেন? একদিন সকালে উনাকে স্কুটিতে কোনোভাবে তুলে কলেজে পৌঁছে দেবেন, ব্যস!- রাজুর আইডিয়া শুনে লাফিয়ে উঠল পল্টু ভাই। 
আমরা সবাই রাজুর দিকে হিংসার দৃষ্টিতে তাকালাম। 
পেকে গাছ থেকে পড়ার সময় হয়েছে!- বিড়বিড় করল তারেক।
পরের ব্যাপারগুলো খুব ঝটপট ঘটতে লাগল। ফটফট শব্দ করে এরকম একটা স্কুটি কিনে ফেলল পল্টু ভাই। এক শুভক্ষণে সেটার পেছনে বসে পড়ল রিনা আপা। শুরু হলো প্রেম কাহিনি। আমাদের ব্যাট-বলের অভাব দেখা দিল। কারণ পল্টু ভাইয়ের খেলায় মন নেই। 
হইছে তো এখন? কাবিলে বুদ্ধি দিছে! এখন আঙুল চুষো।- আমরা চান্স পেয়ে একেবারে ধুয়ে দিলাম রাজুকে।
তারপর একদিন বিকেলে পল্টু ভাই আবার আমাদের নদীর পাড়ে নিয়ে এল। 
ভাই খেলতে আসেন না যে?- আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
সব সময় যে খেলা খেলা করিস, প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেট জিতছে কে বল দেখি?
আমরা হা করে তাকিয়ে থাকলাম। প্রাণেশের মুখে মাছি ঢুকে পড়ল।
পারলি না তো। পারবি কীভাবে? ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপর ক্রিকেট পিচের দৈর্ঘ্য কত জানিস? জানিস না! পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম কোনটা?
একনাগাড়ে পল্টু ভাইয়ের প্রশ্ন দেখে ভয় পেয়ে গেলাম আমরা। 
ভাই কী হয়েছে আপনার?- অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল রাজু।
আমাকে বিসিএস দিতে হবে। রিনা বলছে বিসিএস পাওয়া ছাড়া ওর আব্বা মেয়ে বিয়ে দেবে না।
কাম সারছে!- ফস করে আমি বলে উঠলাম।
তো আর কী। একেই বলে আটকপালে। আটকপালে মানে জানিস তো? হতভাগ্য।
খেলবেন না আর?
না, খেলা null and void। এর মানে কি জানিস তো?
নান আর ভাজি?- ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করল প্রাণেশ।
মাথায় একটা গাট্টা মেরে পল্টু ভাই বললেন, গর্দভ! Null and void মানে বাতিল।
সরল সহজ তরতাজা পল্টু ভাই চোখের সামনে বদলে গেলেন। সারা দিন বিড়বিড় করেন। এলাকায় রটে গেল উনি পাগল হয়ে গেছেন। আমরা দলবেঁধে একবার উনাকে দেখতে গেলাম। 
আমাদের দেখে উনি খেঁকিয়ে উঠলেন, এই রামছাগলের দল, বল দেখি বাংলার প্রাচীনতম জনপদ কী?
আমরা পালিয়ে এলাম। 
পরিশিষ্ট
এর মধ্যে অনেক বসন্ত পার হলো। রিনা আপার বিয়ে হয়ে গেল। পল্টু ভাইকে নিয়ে তার বাবা-মা অন্য শহরে চলে গেলেন। আমরা স্কুল পেরিয়ে কলেজে চলে এলাম। এলাকায় সুমন নামে নতুন এক ভাইয়া এল। আমাদের সঙ্গে খেলত। সুখেই দিন কাটছিল। একদিন উনিও ভূতের কিল খেলেন। প্রেমে পড়ে গেলেন এক সুন্দরীর। এক সন্ধ্যায় এসে ফিসফিস করে বললেন, এই তোরা যে সব সময় খেলা খেলা করিস, বল দেখি প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেট জিতছে কে?
প্রাণেশ হাত থেকে চা ফেলে জামা কাপড়ে করে ফেলল।