ঢাকা ২৯ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

দুটি মজার গল্প

প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০২ পিএম
দুটি মজার গল্প
আঁকা মাসুম

১. হারুন তার গরুর গাড়ি ভালোই চালাচ্ছিল কিন্তু পথের মাঝামাঝি এসে রাস্তার গর্তটা ঠিকমতো খেয়াল করতে পারেনি। তারপর যা হওয়ার তা-ই হলো। পুরো গাড়ি কাত হয়ে পড়ল। গাড়িতে যে ধানের বস্তা ছিল সেগুলোও গাড়ি থেকে একপাশে গড়িয়ে পড়ল।
ঠিক এমন সময় হারুনের স্কুলের বন্ধু সোলেমান পাশ দিয়েই যাচ্ছিল। সে হারুনকে দেখে বলল, ‘স্কুল মাঠে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা চলছে। চল দুজনে মিলে দেখে আসি।’ হারুন বলল, ‘না বাবা না, আমি এখন গেলে আব্বা রাগ করবে। পরে যাব।’
কিন্তু সোলায়মান এতই চাপাচাপি শুরু করল যে, সে না গিয়ে পারল না। এক ঘণ্টা পর যখন খেলা শেষ হলো তখন হারুন বলল, ‘আমি এখন যাই রে।’ 
সোলায়মান বলল, ‘এখনই যাবি কেন? মাত্র খেলা শেষ হলো। এখন ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার দেবে। সেটা দেখে না গেলে লোকে কী বলবে বল?’ 
হারুন বলল, ‘কিন্তু না গেলে যে আব্বা বকা দেবে।’ 
সোলায়মান বললেন, ‘আরে বকা দেবে না। পুরস্কার বিতরণীটা দেখেই যা।’ 
অগত্যা হারুন আরও আধা ঘণ্টা পুরস্কার বিতরণী দেখলেন। 
এর মধ্যে সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে এল। আর থাকা যায় না। হারুন সোলায়মানকে বললেন, ‘দোস্ত আমি আর থাকব না। এখন যদি না যাই তবে আব্বা আমাকে আস্ত রাখবে না।’ 
হারুনের এই কথা শোনার পর সোলায়মান এমন ভাব করল যেন এই জীবনে সে এমন অদ্ভুত কথা শোনেনি। 
সে বলল, ‘আরে এখন তো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে, মানে গান বাদ্য বাজনা। আর এই সময় তুই চলে যেতে চাইছিস। তোর মতো বোকা আমি কখনো দেখিনি।’
হারুন বলল, ‘বোকা-চালাকের বিষয় না। আমি এখন না গেলে আব্বা খুবই মাইন্ড করবে।’
সোলায়মান রাগ হয়ে বললেন, ‘খালি বাবা রাগ করবে, বাবা রাগ করবে বলছিস। কোথায় তোর বাবা?’ 
হারুন বললেন, ‘কেন, গাড়ি উল্টে যে ধানের বস্তা পড়ল, সেগুলোর নিচে।’

 


২. এটি ১৯৯৫ সালে একটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজের সঙ্গে কানাডা কর্তৃপক্ষের ওয়্যারলেস কথোপকথনের সত্য বিবরণ। রেডিও কথোপকথনটি ১০ অক্টোবর, ১৯৯৫ সালে কানাডিয়ান চিফ নেভাল অপারেশনস অফিসার প্রকাশ করেন।
কানাডিয়ান: হ্যালো, কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলছি। মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য অনুগ্রহ করে আপনারা আপনাদের জাহাজটি ১৫ ডিগ্রি দক্ষিণে ঘুরিয়ে ফেলুন। আপনাদের হাতে সময় আছে মাত্র ১৬ মিনিট। ওভার।
আমেরিকান: আমেরিকান কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে বলছি, আমরা আপনাদের মেসেজ পেয়েছি। আমরা আমাদের জাহাজ ঘুরাব না। সংঘর্ষ এড়াবার জন্য আপনারা ১৫ ডিগ্রি উত্তরে ঘুরে যান। ওভার।
কানাডিয়ান: এটা একবারেই অসম্ভব। সংঘর্ষ এড়াতে হলে আপনাদের ১৫ ডিগ্রি ঘুরতে হবে। ওভার।
আমেরিকান: আমি আমেরিকান যুদ্ধ জাহাজের ক্যাপ্টেন। আমরা নির্দেশ দিতে ভালোবাসি। কারও নির্দেশ শোনার অভ্যাস আমাদের নেই। সে কারণে আপনাদের জন্য এটাই ভালো হবে যে, আপনারা আপনাদের জাহাজ ঘুরিয়ে ফেলুন। ওভার।
কানাডিয়ান: তা হবে না। তা ছাড়া এটা কোনো নির্দেশ দেওয়ার ব্যাপার না। আমি আবার বলছি, আপনারা আপনাদের জাহাজ ঘুরিয়ে ফেলুন। সময় দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। সংঘর্ষ হলে আপনার ক্ষতিই বেশি হবে সেটা মাথায় রাখবেন। ওভার।
আমেরিকান: এটা আমেরিকান নৌবাহিনীর আটলান্টিক জোনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরী ইউএস লিংকন। এ বহরে তিনটি ডেস্ট্রয়ার, তিনটি ক্রুজ জাহাজসহ বহু সাহায্যকারী যুদ্ধ জাহাজ আছে। আমাকে নির্দেশ দেওয়া আপনাদের মানায় না। আমি নির্দেশ দিচ্ছি আপনাদের জাহাজ ১৫ ডিগ্রি উত্তরে ঘুরিয়ে নিন। ওভার।
কানাডিয়ান: এটা আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত কানাডিয়ান সরকারের মালিকানাধীন একটা দ্বীপ। আমি সেই দ্বীপের লাইট হাউজের পরিচালক বলছি। আমরা এখান থেকে জাহাজের চলাচল পর্যবেক্ষণ করে কোন দিকে যেতে হবে তার পরামর্শ দিই। আপনাদের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ এড়াবার জন্য দ্বীপ ঘুরানো সম্ভব না। ওভার।

আজকের সেরা জোকস: পাঞ্জাবি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২২ পিএম
আজকের সেরা জোকস: পাঞ্জাবি
সংগৃহীত

১. এক প্রবীণ দর্জির কাছে পাঞ্জাবি নিয়ে গেছে এক যুবক।
যুবক: দাদু, আমার পাঞ্জাবিটা কি একটু সাইজ করে দেওয়া যাবে?
দর্জি: এখন তো আর চোখে দেখি না বাপু। শেষবার পাঞ্জাবি সাইজ করেছি ১৯৭১ সালে।

 

২. এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই অফিসে একদম ঠিক সময়ে পৌঁছে যান।
বসকে তার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কর্মচারীদের কী এমন জাদু করেছ যে তারা এত সময়ানুবর্তী হয়ে গেল?
বস হাসতে হাসতে বললেন, জাদু না হে, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম। সবাই সময়মতো পৌঁছাতে চেষ্টা করে, যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়!

 

৩. অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, আজ আমার মনটা বেশ ভালো। বলো, তোমাদের কী দাবিদাওয়া। আজ সব শুনব।
এক কর্মচারী বললেন, স্যার, আমরা ছুটি খুবই কম পাই। ছুটি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না?
বস: কী রকম ছুটি চাও, বলো?
কর্মচারী: ছয় মাসের ছুটি, বছরে দুই বার!

আজকের সেরা জোকস: ভিজা ও শুকনা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আজকের সেরা জোকস: ভিজা ও শুকনা
সংগৃহীত

১. খালা: কি রে টুনু, তুই দিনকে দিন শুকিয়ে যাচ্ছিস কেন?
টুনু: চিন্তা করো না খালা, বৃষ্টি হলেই আবার ভিজে যাব।

 

২. কর্মচারী: স্যার, বাইরে বৃষ্টিতে শহর ডুবে গেছে। আজ অফিসে আসা সম্ভব না।
বস: আপনিই তো জব অ্যাপ্লিকেশনে লিখেছিলেন সাঁতার কাটা আপনার শখ! ১০টার মধ্যেই চলে আসবেন।

 

৩. আত্মীয়ের বাসায় ঈদের দাওয়াত খেতে যাওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথন...
স্ত্রী: জলদি বাড়ি ফিরে চলো।
স্বামী: কেন?
স্ত্রী: ভুলে চুলা জ্বালিয়ে এসেছি। আগুন ধরে সব ছারখার হয়ে যাবে।
স্বামী: ছারখার হবে না।
স্ত্রী: এত নিশ্চিত হয়ে বলছো কীভাবে?
স্বামী: কারণ আমিও ভুলে পানির কল ছেড়ে এসেছি।

আজকের জোকস : বাবা ছেলে

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
আজকের জোকস : বাবা ছেলে
সংগৃহীত

১. বিল্টুর বাবা বিল্টুর ঘরে এসে কিছু একটা খুঁজছিলেন। হঠাৎ বিল্টুর একটি কোট দেখে সেটির পকেটে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পেলেন সিগারেট আর মেয়েদের ফোন নম্বর! বাবা প্রশ্ন করলেন, কবে থেকে এসব চলছে?
বিল্টু: বাবা এই কোটটা তোমার।

 

২. রোগী: আমার সমস্যা হলো ঘুমালে চোখে দেখি না। কী করা যায়?
ডাক্তার: আপনি পাকা লাল মরিচের গুঁড়া পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চোখে লাগান। তাহলে ঘুমালেও চোখে দেখতে পারবেন।

 

৩. রঞ্জু রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। কিছুদিন পর সে একটি ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরল। এটা দেখে রঞ্জুর স্ত্রী বলল, ওই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন?
রঞ্জু: বদমাশ বলছ কেন, দেখছ না এটা ছাগল!
রঞ্জুর স্ত্রী: আমি তো ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি।

আজকের জোকস: সাঁতার জানে না

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
আজকের জোকস: সাঁতার জানে না
সংগৃহীত

১. জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন এক ব্যক্তি। ইন্টারভিউয়ের ডাক এল।
বস: আপনি সাঁতার জানেন?
চাকরিপ্রার্থী: না স্যার।
বস: জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন, আর সাঁতার জানেন না?
চাকরিপ্রার্থী: কিছু মনে করবেন না স্যার, উড়োজাহাজের পাইলট কি উড়তে জানে?


২. নতুন কয়েদি: আপনি কত বছর ধরে এই জেলে আছেন?
পুরোনো কয়েদি: ১০ বছর।
নতুন কয়েদি: আহা! নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয় আপনার।
পুরোনো কয়েদি: বললে বিশ্বাস করবে না, আমি একদিন বিল গেটসের মতো জীবনযাপন করেছি। বিলাসবহুল হোটেলে থেকেছি, দামি খাবার খেয়েছি, বউকে দামি গহনা কিনে দিয়েছি।
নতুন কয়েদি: তারপর?
পুরোনো কয়েদি: তারপর একদিন, বিল গেটস থানায় অভিযোগ করলেন, তার ক্রেডিট কার্ডটা হারিয়ে গেছে!

 

৩. ফুলের দোকানদারকে একজন জিজ্ঞাসা করল, আপনার চেহারা মলিন কেন?
দোকানদার: আর বলবেন না, প্রতিদিন যে যুবক আমার এখান থেকে ফুল কিনত, কাল তার বিয়ে!
ক্রেতা: তাতে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন কেন? আপনার তো খুশি হওয়ার কথা!
দোকানদার: আপনি কী বুঝবেন! আমি তো একজন নিয়মিত ক্রেতা হারালাম।

চাকরিজীবী ছেলে

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ এএম
চাকরিজীবী ছেলে
ছবি এআই

এলাকার সবচেয়ে বড় মুদি দোকানটা রফিকের। সুসজ্জিত দোকান। নাম রফিক জেনারেল স্টোর। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব ধরনের জিনিসই দোকানে পাওয়া যায়। 
ভরদুপুর। ক্রেতা নেই। রফিক বসেছিল দোকানে। তাকে কেমন মনমরা লাগছিল। ক্রেতার অভাবে মনমরা থাকার কথা না। ভরদুপুরে সাধারণ মুদি দোকানগুলোতে ক্রেতা থাকে না। 
এরকম সময় রফিকের বন্ধু মিজান এল। মিজানকে দেখে রফিক নড়েচড়ে বসল। একটা টুল দেখিয়ে বসতে বলল। তবে তার মনমরা ভাব কাটল না। মিজান বলল, এই ভরদুপুরে তুই দোকানে বসে আছিস?
- কী করব বল?
- তোর কর্মচারী কই?
- কর্মচারী চাকরি ছেড়ে চলে গেছে। 
- কেন?
- বিয়ে করেছে। এখন আর মুদি দোকানে চাকরি করবে না।  
- এরই মাঝে তোর তিন-চারজন কর্মচারী চলে গেল। 
- সবার একই কেস। বিয়ে করে তারপর চলে যায়। গিয়ে নিজের মতো ব্যবসা শুরু করে। 
মিজান একটু অবাক হলো। সত্যি অদ্ভুত ব্যাপার। মিজান বলল, তোর কর্মচারীদের বিয়ে হয়ে যায়, অথচ তোর বিয়ে হচ্ছে না। 
- সমস্যা তো ওখানেই। 
- ওখানেই মানে?
- মানে তারা চাকরি করে। আমি তো কোনো চাকরি করি না। 
- ব্যবসা তো করিস।
- মেয়ের বাপ-মা সেভাবে ভাবে না। ভাবে ছেলে বেকার ছিল, ভাদাইম্যা ছিল। শেষে বাপ একটা মুদি দোকান করে দিয়েছে। ছেলে জাস্ট দোকানদার। দোকানদারের সঙ্গে তারা মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি হয় না। কোনো মেয়েও দোকানদারকে বিয়ে করতে রাজি হয় না। 
- তাহলে তোর কর্মচারীদের বিয়ে হয় যে!
- কর্মচারীরা তো দোকানদার না। তারা চাকরি করে। বায়োডাটায় লিখে-ম্যানেজার, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ‘ম্যানেজার’ শব্দটা শুনতেই কেমন ওজনদার লাগে। কেউ কেউ লেখে ‘জেনারেল ম্যানেজার’। 
- হা হা হা। 
মিজান অনেকক্ষণ হাসল। 
রফিক জিজ্ঞেস করল, চা খাবি?
হাসি থামিয়ে মিজান বলল, চা খেতেই তো এসেছি। তোদের পাশের দোকানের চা-টা সেই রকম হয়। কুচি কুচি করে আদা কেটে দেয় এই ব্যাপারটা ভালো লাগে।  
রফিক পাশের দোকানে ফোন করে দুই কাপ লাল চা দিতে বলল। 
ওরা যখন চা খাচ্ছিল তখন সেখানে এল এক যুবক। যুবকের চেহারা-সুরত বেশ সুন্দর। পোশাক-আশাকে ফিটফাট। শিক্ষিত মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে তরুণ অধ্যাপক। যুবক এসে একবার দোকানের নেমপ্লেটে তাকায়, একবার রফিক আর মিজানের মুখের দিকে তাকায়, আরেকবার পুরো দোকানটায় চোখ বোলায়। সে এরকম করছে তো করছেই। ব্যাপার কী? খারাপ কোনো মতলব নাই তো? আজকাল পাড়া-মহল্লায় লুটপাট, ডাকাতি বেড়ে গেছে। দোকান লুট করবে নাকি? হয়তো সে কোনো ডাকাত দলের লিডার। তার দলের লোক আশপাশেই আছে।
রফিক সাহস নিয়ে বলল, কিছু বলতে চান? 
- জি। 
- বলুন।  
- আপনাদের এই দোকানের ঠিকানায় একটা বিজ্ঞাপন পেয়েছিলাম ফেসবুকে। কর্মচারী নিয়োগ হবে।
- হ্যাঁ দিয়েছিলাম, তা প্রার্থী কে?
- আমি নিজেই প্রার্থী। আমি ম্যাথমেটিক্সে মাস্টার্স। 
মিজান আর রফিক বড় চোখ করে তাকালো যুবকটার দিকে। এরকম সুদর্শন, উচ্চশিক্ষিত যুবক মুদি দোকানে কর্মচারীর চাকরি করবে! রফিক বলল, আপনি এখানে চাকরি করতে চাচ্ছেন কেন? বেতন তো সেরকম দিতে পারবে না, তার চেয়ে টিউশনি করলেও...। 
- বেতন যা খুশি দেবেন। বেতন কোনো বিষয় না। চাকরিটা আমার দরকার। 
- ব্যাপারটা একটু খুলে বলুন। 
যুবকটা তার ফোন তুলে ধরল মিজান আর রফিকের সামনে। স্ক্রিনে একটা মেয়ের ছবি। টানা টানা হরিণী চোখ। কানের পাশ দিয়ে ঢেউ খেলানো চুল নেমে গেছে। মেয়েটার মুখে মুচকি হাসি। তার বাম গালে টোল পড়ে আছে। খুবই রূপবতী একটা মেয়ে। 
ছবিটার দিকে তাকিয়ে রফিক কেমন ফ্যাকাশে হয়ে গেল। তার মুখে যেন কোনো কথা জোগাচ্ছিল না। মিজান বলল, কার ছবি এটা?
যুবকটা বলল, এই মেয়েটার সঙ্গে আমার বিয়ের কথাবার্তা পাকা হয়েছে। সমস্যা হলো, একটা চাকরি হলেই আমি মেয়েটাকে বিয়ে করতে পারব। টিউশনি করে আমি ৪০-৪৫ হাজার টাকা আয় করি। কিন্তু টিউশনিকে তারা গুরুত্ব দেয় না। তারা চায় চাকরি। তাই চাকরিটা আমার খুব দরকার। ওকে বিয়ে করতে না পারলে আমার জীবনটা ব্যর্থ হয়ে যাবে। আমার স্বপ্ন ছিল গালে টোল পড়া কোনো মেয়েকে বিয়ে করব। মেয়েটা হাসলে বাম গালে টোল পড়ে। 
- কিন্তু দোকানের কর্মচারী...।
- আমি বায়োডাটায় লিখব, জেনারেল ম্যানেজার-ডিপার্টমেন্টাল স্টোর।
মিজান তাকালো রফিকের মুখে। রফিক যুবককে বলল, বায়োডাটা এনেছেন?
- জি। এই যে।
- রেখে যান। এর মধ্যেই আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। 
যুবকটা খুশি হলো। ধন্যবাদ দিয়ে চলে গেল। তারপর রফিক কেমন ঠেসে গিয়ে বসে রইল। মিজান বলল, কীরে, এমন সুদর্শন, উচ্চশিক্ষিত কর্মচারী পেলি অথচ কেমন চুপসে গেলি যেন। 
রফিক বলল, যুবকের ফোনে যে মেয়েটাকে দেখলি সেই মেয়েকে গত মাসে আমরা দেখতে গিয়েছিলাম। দোকানদার বলে তারা আমাকে পাত্তা দেয়নি। 
- বলিস কী! 
- সত্যি বলছি! 
- হা হা হা হা।
- তুই হাসছিস?
- হাসা উচিত না, তাও হাসছি। দোকানের মালিক আর কর্মচারীর জীবনের স্বপ্ন একই ছিল। তবে জিতে যাচ্ছে কর্মচারী।  
রফিকের বুক ভেঙে একটা দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে গেল।