ঢাকা ৩০ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১

সাবধান!

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:১০ পিএম
সাবধান!
আঁকা মাসুম

আমাদের এলাকার পল্টু ভাইকে দেখে সব সময় হিংসা হতো। এর প্রথম কারণ তার কোনো কাজ ছিল না। সকালে উঠে বিশাল এক মগ চা নিয়ে, লুঙ্গি পরে এলাকা পরিদর্শনে বের হতেন। এখানে পরিদর্শন কথাটার একটা অন্তর্নিহিত অর্থ আছে। পরি+দর্শন মানে এলাকার যত পরীর মতো সুন্দরী মেয়েরা যখন স্কুল-কলেজে যেত, তাদের দর্শনে বের হতো। আমরা তখন ঘুম ঘুম চোখে, সরিষার তেল মাথায় দিয়ে এক পাশে সিঁথি করে স্কুলে যাচ্ছি স্যারদের প্যাদানি খাওয়ার জন্য। উনি তখন রাস্তার পাশ থেকে আমাদের দেখে খ্যাঁক খ্যাঁক করে হেসে বলতেন, কীরে রামছাগলের দল, কই যাস?

আমরা কিছু বলতে পারতাম না। কেননা বিকেলে আমাদের ক্রিকেট খেলার সব সরঞ্জাম পল্টু ভাইয়ের। উনিই সবকিছুর জোগানদাতা। আর হবেন নাই-বা কেন। বাবার একমাত্র সন্তান। যে কয়টা ব্যবসা আছে সব পল্টু ভাইয়ের বাবা দেখেন। উনি শুধু কলেজে বিকম না কী একটাতে যেন ভর্তি হয়ে আছেন। বছরে একবার ক্লাসে যান, কখন পাস করবেন, আদৌ করবেন নাকি তার কোনো ঠিক নেই। এভাবেই যখন দিন চলছিল, একদিন বিকেলে ঘটল ঘটনা। আমরা যথারীতি খেলছিলাম। পল্টু ভাই হঠাৎ বলে উঠলেন, চল নদীর তীরে যাই।
খেলবেন না?- আমরা অবাক।
না, তোদের সঙ্গে কথা আছে। তোরা ছাড়া আমার আর কেই-বা আছে বল।
আমরা পুলকিত হয়ে উঠলাম। কারণ পল্টু ভাইয়ের এই ‘তোরা ছাড়া আমার আর কেই-বা আছে’ মানে ভালো খাওয়া-দাওয়া হবে আজকে। এবং অবশ্যই পল্টু ভাই কোন ঝামেলায় পড়েছেন, যার সমাধান আমাদের দিতে হবে। আমরা সরল অঙ্ক, পাটিগণিতের সমাধান দিতে না পারলে কী হবে, এসব কাজের আবার ভালো সমাধান দিতে পারি।
নদীর পাড়ে গিয়ে হেভি খাওয়া-দাওয়ার পর পল্টু ভাই একটা সিগারেট ধরিয়ে (ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর) বললেন, আমি ধরা খাইছি রে!
কোথায়? আবার খালুর পকেট থেকে টাকা....!- মুখ ভর্তি তখনো খাবার প্রাণেশের।
আরে না পাঠা। আমি প্রেমে পড়েছি।
প্রেম!- আমরা সবাই অবাক।
আমি আগেই বুঝছিলাম এটা নারীঘটিত ব্যাপার স্যাপার।- রাজু আমাদের মধ্যে একটু বেশিই পরিপক্ব। পেকে একেবারে ঠসঠস হয়ে গেছে।
কার প্রেমে?- তারকা খচিত প্রশ্নটা ছাড়লাম।
রিনা!
ওরে বাপরে, রিনা আপা!- তারেক অবাক। বলল, মনে আছে একবার তাদের বাড়ির জানালার কাচ ভাঙছিলাম বলে উনি লাঠি নিয়ে দৌড়ানি দিছিল।
ওইসব বাদ দে। এখন কীভাবে রিনাকে ইম্প্রেস করা যায় বলে ফেল।
মেয়েরা কসমেটিকস খুব পছন্দ করে। এক ডজন পাউডার দিয়ে দেন।- মাথামোটা প্রাণেশ বলল।
এক ডজন!- অবাক আমি। বললাম, এক ডজন দিয়ে কী করবে?
রাজু বলল, দোকান দেবে আর কী।
এভাবে একের পর এক আইডিয়া আসতে থাকল। সবগুলোই বাতিল হয়ে যাচ্ছিল।
আমি দেখছি সকালে রিনা আপার কলেজে যেতে খুব ঝামেলা হয়। রিকশা পাওয়া যায় না। প্রায়ই উনার দেরি হয়। আপনি একটা স্কুটি কিনে ফেলেন না কেন? একদিন সকালে উনাকে স্কুটিতে কোনোভাবে তুলে কলেজে পৌঁছে দেবেন, ব্যস!- রাজুর আইডিয়া শুনে লাফিয়ে উঠল পল্টু ভাই। 
আমরা সবাই রাজুর দিকে হিংসার দৃষ্টিতে তাকালাম। 
পেকে গাছ থেকে পড়ার সময় হয়েছে!- বিড়বিড় করল তারেক।
পরের ব্যাপারগুলো খুব ঝটপট ঘটতে লাগল। ফটফট শব্দ করে এরকম একটা স্কুটি কিনে ফেলল পল্টু ভাই। এক শুভক্ষণে সেটার পেছনে বসে পড়ল রিনা আপা। শুরু হলো প্রেম কাহিনি। আমাদের ব্যাট-বলের অভাব দেখা দিল। কারণ পল্টু ভাইয়ের খেলায় মন নেই। 
হইছে তো এখন? কাবিলে বুদ্ধি দিছে! এখন আঙুল চুষো।- আমরা চান্স পেয়ে একেবারে ধুয়ে দিলাম রাজুকে।
তারপর একদিন বিকেলে পল্টু ভাই আবার আমাদের নদীর পাড়ে নিয়ে এল। 
ভাই খেলতে আসেন না যে?- আমি জিজ্ঞাসা করলাম।
সব সময় যে খেলা খেলা করিস, প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেট জিতছে কে বল দেখি?
আমরা হা করে তাকিয়ে থাকলাম। প্রাণেশের মুখে মাছি ঢুকে পড়ল।
পারলি না তো। পারবি কীভাবে? ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারপর ক্রিকেট পিচের দৈর্ঘ্য কত জানিস? জানিস না! পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম কোনটা?
একনাগাড়ে পল্টু ভাইয়ের প্রশ্ন দেখে ভয় পেয়ে গেলাম আমরা। 
ভাই কী হয়েছে আপনার?- অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করল রাজু।
আমাকে বিসিএস দিতে হবে। রিনা বলছে বিসিএস পাওয়া ছাড়া ওর আব্বা মেয়ে বিয়ে দেবে না।
কাম সারছে!- ফস করে আমি বলে উঠলাম।
তো আর কী। একেই বলে আটকপালে। আটকপালে মানে জানিস তো? হতভাগ্য।
খেলবেন না আর?
না, খেলা null and void। এর মানে কি জানিস তো?
নান আর ভাজি?- ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করল প্রাণেশ।
মাথায় একটা গাট্টা মেরে পল্টু ভাই বললেন, গর্দভ! Null and void মানে বাতিল।
সরল সহজ তরতাজা পল্টু ভাই চোখের সামনে বদলে গেলেন। সারা দিন বিড়বিড় করেন। এলাকায় রটে গেল উনি পাগল হয়ে গেছেন। আমরা দলবেঁধে একবার উনাকে দেখতে গেলাম। 
আমাদের দেখে উনি খেঁকিয়ে উঠলেন, এই রামছাগলের দল, বল দেখি বাংলার প্রাচীনতম জনপদ কী?
আমরা পালিয়ে এলাম। 
পরিশিষ্ট
এর মধ্যে অনেক বসন্ত পার হলো। রিনা আপার বিয়ে হয়ে গেল। পল্টু ভাইকে নিয়ে তার বাবা-মা অন্য শহরে চলে গেলেন। আমরা স্কুল পেরিয়ে কলেজে চলে এলাম। এলাকায় সুমন নামে নতুন এক ভাইয়া এল। আমাদের সঙ্গে খেলত। সুখেই দিন কাটছিল। একদিন উনিও ভূতের কিল খেলেন। প্রেমে পড়ে গেলেন এক সুন্দরীর। এক সন্ধ্যায় এসে ফিসফিস করে বললেন, এই তোরা যে সব সময় খেলা খেলা করিস, বল দেখি প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেট জিতছে কে?
প্রাণেশ হাত থেকে চা ফেলে জামা কাপড়ে করে ফেলল।

আজকের সেরা জোকস: প্রেম

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
আজকের সেরা জোকস: প্রেম
সংগৃহীত

প্রেমিকার বাবা : তুমি কি আমার মেয়ের সব ইচ্ছে পূরণ করতে পারবে?
প্রেমিক : জ্বি, পারবো।
প্রেমিকার বাবা : এত শিওর হচ্ছ কী করে?
প্রেমিক : আপনার মেয়ে বলেছে, সে আমাকে ছাড়া কিছুই চায় না।

 

বাড়ির মালিক মারা গেছেন। চাকর হাউমাউ করে কাঁদছে। প্রতিবেশীরা এসেছে দেখতে। একজন চাকরকে জিজ্ঞাস করলেন, ‘কী হয়েছিল তোমার মালিকের?’
চাকর: ভারি ভুলোমনা মানুষ ছিলেন। বোধ হয় গত রাতে নিশ্বাস নিতে ভুলে গিয়েছিলেন।

 

বিক্রেতা: এই নাও মাছ। বিশ গ্রাম কম দিলাম। বাসায় নিয়ে যেতে সুবিধা হবে।
পল্টু: এই নিন টাকা।
বিক্রেতা: এ কী, মাছের দাম তো একশ টাকা। বিশ টাকা কম দিলে কেন?
পল্টু: টাকা একটু কম দিলাম। তাতে আপনার গুনতে সুবিধা হবে।

 

আজকের সেরা জোকস: পাঞ্জাবি

প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:২২ পিএম
আজকের সেরা জোকস: পাঞ্জাবি
সংগৃহীত

১. এক প্রবীণ দর্জির কাছে পাঞ্জাবি নিয়ে গেছে এক যুবক।
যুবক: দাদু, আমার পাঞ্জাবিটা কি একটু সাইজ করে দেওয়া যাবে?
দর্জি: এখন তো আর চোখে দেখি না বাপু। শেষবার পাঞ্জাবি সাইজ করেছি ১৯৭১ সালে।

 

২. এক অফিসের কর্মচারীরা সবাই অফিসে একদম ঠিক সময়ে পৌঁছে যান।
বসকে তার এক বন্ধু জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কর্মচারীদের কী এমন জাদু করেছ যে তারা এত সময়ানুবর্তী হয়ে গেল?
বস হাসতে হাসতে বললেন, জাদু না হে, আমার অফিসে একটা চেয়ার কম। সবাই সময়মতো পৌঁছাতে চেষ্টা করে, যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়!

 

৩. অফিসের বস কর্মচারীদের বললেন, আজ আমার মনটা বেশ ভালো। বলো, তোমাদের কী দাবিদাওয়া। আজ সব শুনব।
এক কর্মচারী বললেন, স্যার, আমরা ছুটি খুবই কম পাই। ছুটি একটু বাড়িয়ে দেওয়া যায় না?
বস: কী রকম ছুটি চাও, বলো?
কর্মচারী: ছয় মাসের ছুটি, বছরে দুই বার!

আজকের সেরা জোকস: ভিজা ও শুকনা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
আজকের সেরা জোকস: ভিজা ও শুকনা
সংগৃহীত

১. খালা: কি রে টুনু, তুই দিনকে দিন শুকিয়ে যাচ্ছিস কেন?
টুনু: চিন্তা করো না খালা, বৃষ্টি হলেই আবার ভিজে যাব।

 

২. কর্মচারী: স্যার, বাইরে বৃষ্টিতে শহর ডুবে গেছে। আজ অফিসে আসা সম্ভব না।
বস: আপনিই তো জব অ্যাপ্লিকেশনে লিখেছিলেন সাঁতার কাটা আপনার শখ! ১০টার মধ্যেই চলে আসবেন।

 

৩. আত্মীয়ের বাসায় ঈদের দাওয়াত খেতে যাওয়ার সময় স্বামী-স্ত্রীর কথোপকথন...
স্ত্রী: জলদি বাড়ি ফিরে চলো।
স্বামী: কেন?
স্ত্রী: ভুলে চুলা জ্বালিয়ে এসেছি। আগুন ধরে সব ছারখার হয়ে যাবে।
স্বামী: ছারখার হবে না।
স্ত্রী: এত নিশ্চিত হয়ে বলছো কীভাবে?
স্বামী: কারণ আমিও ভুলে পানির কল ছেড়ে এসেছি।

আজকের জোকস : বাবা ছেলে

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:০৪ পিএম
আজকের জোকস : বাবা ছেলে
সংগৃহীত

১. বিল্টুর বাবা বিল্টুর ঘরে এসে কিছু একটা খুঁজছিলেন। হঠাৎ বিল্টুর একটি কোট দেখে সেটির পকেটে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পেলেন সিগারেট আর মেয়েদের ফোন নম্বর! বাবা প্রশ্ন করলেন, কবে থেকে এসব চলছে?
বিল্টু: বাবা এই কোটটা তোমার।

 

২. রোগী: আমার সমস্যা হলো ঘুমালে চোখে দেখি না। কী করা যায়?
ডাক্তার: আপনি পাকা লাল মরিচের গুঁড়া পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চোখে লাগান। তাহলে ঘুমালেও চোখে দেখতে পারবেন।

 

৩. রঞ্জু রাগ করে বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। কিছুদিন পর সে একটি ছাগল নিয়ে বাড়ি ফিরল। এটা দেখে রঞ্জুর স্ত্রী বলল, ওই বদমাশটাকে নিয়ে এলে কেন?
রঞ্জু: বদমাশ বলছ কেন, দেখছ না এটা ছাগল!
রঞ্জুর স্ত্রী: আমি তো ছাগলকেই জিজ্ঞেস করেছি।

আজকের জোকস: সাঁতার জানে না

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
আজকের জোকস: সাঁতার জানে না
সংগৃহীত

১. জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন এক ব্যক্তি। ইন্টারভিউয়ের ডাক এল।
বস: আপনি সাঁতার জানেন?
চাকরিপ্রার্থী: না স্যার।
বস: জাহাজে চাকরির জন্য আবেদন করেছেন, আর সাঁতার জানেন না?
চাকরিপ্রার্থী: কিছু মনে করবেন না স্যার, উড়োজাহাজের পাইলট কি উড়তে জানে?


২. নতুন কয়েদি: আপনি কত বছর ধরে এই জেলে আছেন?
পুরোনো কয়েদি: ১০ বছর।
নতুন কয়েদি: আহা! নিশ্চয়ই খুব কষ্ট হয় আপনার।
পুরোনো কয়েদি: বললে বিশ্বাস করবে না, আমি একদিন বিল গেটসের মতো জীবনযাপন করেছি। বিলাসবহুল হোটেলে থেকেছি, দামি খাবার খেয়েছি, বউকে দামি গহনা কিনে দিয়েছি।
নতুন কয়েদি: তারপর?
পুরোনো কয়েদি: তারপর একদিন, বিল গেটস থানায় অভিযোগ করলেন, তার ক্রেডিট কার্ডটা হারিয়ে গেছে!

 

৩. ফুলের দোকানদারকে একজন জিজ্ঞাসা করল, আপনার চেহারা মলিন কেন?
দোকানদার: আর বলবেন না, প্রতিদিন যে যুবক আমার এখান থেকে ফুল কিনত, কাল তার বিয়ে!
ক্রেতা: তাতে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন কেন? আপনার তো খুশি হওয়ার কথা!
দোকানদার: আপনি কী বুঝবেন! আমি তো একজন নিয়মিত ক্রেতা হারালাম।