ছবি এআই
নোয়াখালী শহরে এক নামকরা গণিতবিদ বাস করতেন। তিনি দিনরাত গণিত নিয়ে এতই ব্যস্ত থাকতেন যে, গণিত ছাড়া দুনিয়ার আর কোনো প্র্যাক্টিকাল বিষয় সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা ছিল না। এই নিয়ে তার স্ত্রী সব সময়ই তার ওপর চোটপাট করতেন। কাজেই স্ত্রীর মন রক্ষা করার জন্য একদিন তিনি আশ্বাস দিয়ে বললেন, ‘যাও এখন থেকে আমি তোমার কাছ থেকে টুকটাক সংসারের কাজকর্ম শিখব।’
স্বামীর পরিবর্তন দেখে স্ত্রী খুবই আনন্দিত হয়ে প্রথমেই তাকে চা তৈরি করা শিখিয়ে দিলেন।
স্ত্রী জানতেন, তার স্বামী চাইলেও গণিত থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারবেন না। তাই চা তৈরির নিয়মটা স্বামীর মনে আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করার জন্য দুদিন পরে স্ত্রী জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আচ্ছা বলো তো, তোমাকে যদি একটা কেটলি আর একটা দেশলাই দেওয়া হয়, আর বলা হয় ঘরে গ্যাসের স্টোভ আছে এবং কলে পানি আছে, তাহলে তুমি ঠিক কীভাবে চায়ের পানি গরম করবে?’
জটিল সব গণিতের সমস্যায় বেচারা স্বামী নিয়মটা ভুলেই গিয়েছিলেন। কিন্তু অনেক ভেবে কিছুটা স্মরণশক্তি থেকে আর বাকিটা অনুমান থেকে ভয়ে ভয়ে বললেন, ‘প্রথমে কেটলিতে পানি নেব। তারপর দেশলাই জ্বালিয়ে গ্যাসের স্টোভটা চালাব। তারপর কেটলিটা স্টোভের ওপর বসিয়ে পানিটা গরম করলেই তো মনে হয়ে যাবে। তাই না?’
‘হ্যাঁ, হয়েছে’ স্ত্রী বললেন। ‘আচ্ছা এবার বলো তো, যদি তোমাকে একটা পানিভর্তি কেটলি, একটা দেশলাই এবং একটা গ্যাসের স্টোভ দেওয়া হয়, তাহলে কী করবে?’
গণিতজ্ঞ এবার হাসিমুখে উত্তর দিলেন, ‘এটা তো খুবই সহজ। প্রথমে কেটলি থেকে পানিটা ফেলে দেব। তাহলেই সমস্যাটা ঠিক আগের সমস্যাটার মতো হয়ে যাবে। আর সেটার সমাধান তো একটু আগেই করেছি।