ঢাকা ৬ বৈশাখ ১৪৩২, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
English

কৌন বানেগা ক্রোরপতি

প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০০ এএম
কৌন বানেগা ক্রোরপতি

সুখবিন্দর ঠাকুর অবশেষে ‘কৌন বানেগা ক্রোরপতি’ প্রোগ্রামে চান্স পেয়েছেন। হট সিটে বসার পর অমিতাভ বচ্চন তাকে বললেন, ‘সুখবিন্দর সাহেব, আমাদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রথম প্রশ্নের পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। তাই প্রশ্নটাও খুব সহজ। প্রশ্ন হলো আপনার বাবার নাম কী?’ 
প্রশ্ন শুনে সুখবিন্দর সাহেব অবাক হয়ে অমিতাভ বচ্চনের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘অপশন দেখান। আমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না।’ 
কম্পিউটারে অপশন দেখা গেল, এ. বিরেন্দার, বি. সুরেন্দার, সি. রাজেন্দার, ডি. জিতেন্দর। 
সুখবিন্দর সাহেব বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করে অমিতাভের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘টাকা-পয়সা নিয়ে আমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না। আমি আমার লাইফলাইন ব্যবহার করতে চাই।’ 
অমিতাভ বললেন, ‘কোন লাইফ লাইন ব্যবহার করতে চান?’ 
সুখবিন্দর সাহেব বললেন, ‘ফিফটি ফিফটি।’ 
তখনই কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে দুটি নাম সরে গেল, থাকল শুধু এ. বিরেন্দার এবং ডি. জিতেন্দর। তারপরও সুখবিন্দর সাহেবকে চিন্তিত মনে হলো। তিনি করুন চোখে অমিতাভের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমি আমার আরও একটা লাইফ লাইন অডিয়েন্স ভোট ব্যবহার করতে চাই।’
এবার অমিতাভ দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘দর্শক, সুখবিন্দর সাহেব আপনাদের মতামত জানতে চান। মতামত জানাতে আপনারা ১০ সেকেন্ড সময় পাবেন। আপনাদের সময় শুরু হচ্ছে এখন..।’ 
কিছুক্ষণের মধ্যে দর্শকদের মতামত জানা গেল। ৭৫ ভাগ ভোট পড়েছে জিতেন্দরের পক্ষে, আর ২৫ ভাগ বিরেন্দারের পক্ষে। তবে সুখবিন্দর সাহেব এবারও সন্তুষ্ট নন বলে মনে হলো। তিনি খুব চিন্তাভাবনা করে বললেন, ‘আমি আমার শেষ লাইফ লাইন ফোন এ ফ্রেন্ড ব্যবহার করতে চাই।’ 
অমিতাভ বললেন, ‘বেশ ভালো। তা আপনি কার কাছে ফোন করবেন সেটা জানতে পারি?’ 
সুখবিন্দর সাহেব একগাল হেসে বললেন, ‘কার কাছে আবার। আমার আব্বা জিতেন্দরের কাছে।’

আজকের সেরা জোকস: টেনশন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
আজকের সেরা জোকস: টেনশন
ছবি এআই

▶ প্রথম বান্ধবী: তুই যদি আমার টেনশনটা শেয়ার করিস তোকে ১ লাখ টাকা দেব।
দ্বিতীয় বান্ধবী: চমৎকার, টাকাটা কোথায়?
প্রথম বান্ধবী: ওটাই তো আমার টেনশন রে। 

 

▶ এক লোক গেছে চাকরির খোঁজে...
ম্যানেজার: আপনি কোন পোস্টের জন্য এসেছেন? 
প্রার্থী: জি ম্যানেজারের পোস্টের জন্য।
ম্যানেজার: আপনি কি পাগল?
প্রার্থী: কেন, পাগল ছাড়া কি এই পোস্টে কাউকে নেন না বুঝি?

 

▶ খদ্দের ও দোকানদারের কথা হচ্ছে...
খদ্দের: আপনি বলেছিলেন, এই পাখি যা শুনবে তা হুবহু বলতে পারবে। কিন্তু কই?
দোকানদার: একদম সত্যি বলেছি স্যার। কিন্তু স্যার, এই পাখিটি একদম কানে শুনে না।

আজকের সেরা জোকস: মাছ ধরা

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ পিএম
আজকের সেরা জোকস: মাছ ধরা
ছবি এআই

▶ পুকুরের মালিক: ‘এখানে মাছ ধরা নিষেধ’- লেখাটা দেখেন নাই? 
শিকারি: আমি মাছ ধরি না তো, কেঁচোটাকে গোসল করাচ্ছি। 
পুকুরের মালিক: তাহলে বড়শিতে আটকাচ্ছেন ক্যান?
শিকারি: যদি ভাইগা যায়!

 

▶ প্রথম বন্ধু: বল তো সকাল আর বিকালের মধ্যে পার্থক্য কি? 
দ্বিতীয় বন্ধু: আমার কাছে দুটোই সমান। সকালে টিচাররা বকে, বিকেলে বাবা বকে।

 

▶ বাবা: কাঁদে না সোনামণি। বল, তোমাকে কে মেরেছে? 
মেয়ে: ওই যে লাল গেটওয়ালা বাড়ির ছেলেটি। 
বাবা: ওই বাড়িতে যমজ দুটি ছেলে থাকে। কোনটি মেরেছে বল। 
মেয়ে: যার গালে খামচির দাগ আছে, সে।

আজকের সেরা জোকস: তিন বন্ধু

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
আজকের সেরা জোকস: তিন বন্ধু
ছবি এআই

প্রথম বন্ধু: আমার বউ তানিয়ার কোনো তুলনা হয় না। চা খেতে গিয়ে আমার হাত থেকে কাপ পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তানিয়া সেটা নিয়ে এমনভাবে আঠা লাগিয়ে দিল যে, বোঝারই উপায় নেই ওটা ভেঙেছিল।
দ্বিতীয় বন্ধু: একবার আমার প্যান্ট ছিঁড়ে গেল। আমার বউ সেই প্যান্ট এমনভাবে সেলাই করে দিলো যে, দেখে বুঝতেই পারবে না ওটা কোনোকালে ছিঁড়ে গিয়েছিল।
তৃতীয় বন্ধু: আমার বউ আমার শার্টটা ধুয়ে দিয়েছে। তাকিয়ে দেখ, বোঝার উপায়ই নেই যে ওটা ধোয়া হয়েছে।

ইরাকি শিশু

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
ইরাকি শিশু
এঁকেছেন মাসুম

আমেরিকার ইরাক আক্রমণের শুরুর দিকের কথা। যুদ্ধের ভয়াবহতার হাত থেকে বাঁচতে এক ইরাকি শিশু তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আমেরিকা চলে গেল। সেখানে গিয়ে তাকে এক ইংলিশ স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হলো। যথাসময়ে শিক্ষক ক্লাসে এসে নতুন ছাত্রকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার নাম কী বাবা?’ 
শিশুটি বলল, ‘আমার নাম জসিম।’
শিক্ষক বললেন, ‘তুমি এখন আমেরিকায় আছ। এখানে জসিম নাম ভালো শোনায় না। আজ থেকে তোমার নাম দিলাম জিমি, কেমন।’ 
জসিম বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আজ থেকে আমি একজন আমেরিকান এবং আমার নাম জিমি।’ 
বাসায় ফেরার পর মা জসিমকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ স্কুল কেমন কাটল?’ 
জসিম বলল, ‘খুব ভালো কেটেছে। তবে একটা বিষয় তোমাকে জানিয়ে রাখা দরকার যে, আমার নাম এখন আর জসিম নেই মা। আমি আমেরিকায় আছি, তাই আমার নাম এখন থেকে জিমি।’ 
জসিমের কথা শুনে তার মা সত্যিই রেগে গেলেন এবং বললেন, ‘এভাবে নাম পরিবর্তন করে তুমি তোমার ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে অপমান করেছ। তোমার কাছে আমি এটা আশা করিনি।’ 
অতঃপর রাগের একপর্যায়ে মা জসিমকে কয়েক ঘা লাগিয়ে দিলেন।
রাতে জসিমের বাবা বাসায় ফিরে এলেন। বাসায় ঢুকে ছেলেকে মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ব্যাপার, এভাবে মনমরা হয়ে বসে আছ কেন?’ 
জসিম তাকে সব খুলে বললেন। কিন্তু এবার ফলাফল আরও খারাপ হলো। তিনি সব শুনে মায়ের চেয়ে বেশি ধোলাই করলেন।
পরদিন স্কুলে গিয়ে জসিমকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে সেই শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কী হয়েছে জিমি?’ 
জসিম কাঁদো কাঁদো হয়ে বললেন, ‘ম্যাডাম, আমি আমেরিকান হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে দুজন আরব আমাকে আক্রমণ করেছে।’

এক ঢিলে দুই পাখি

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
এক ঢিলে দুই পাখি
এঁকেছেন মাসুম

স্টিফেন জেরক্স হাসপাতালের বারান্দায় বসে আছেন। হাসপাতালে বসেও তার মন খুব ভালো। কারণ মিসেস স্টিফেন জেরক্স এখন লেবার রুমে আছেন। যেকোনো সময় ডাক্তার সুসংবাদ নিয়ে আসবেন।
বলতে না বলতেই লেবার রুমের দরজা খোলার আওয়াজ পাওয়া গেল। ডাক্তার না, একজন নার্স হাসতে হাসতে তার দিকে এগিয়ে আসছেন। নার্সের হাসি দেখে স্টিফেন জেরক্সের মনের টেনশন এক মুহূর্তে উড়ে গেল। 
নার্স এসে বললেন, ‘কনগ্র্যাচুলেশনস মি. জেরক্স, আপনার পুত্রসন্তান হয়েছে। তাও আবার একটা নয়, দুটো।’ 
এক ঢিলে দুই পাখির খবর শুনে জেরক্স সাহেব খুশিতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। মনে মনে তখনই দুই ছেলের নাম ঠিক করে ফেললেন, বড়টা হবে টিন আর ছোটটা হবে মার্টিন। একটা ধাতু অন্যটা পাখি।
সেই থেকে শুরু। কয়েক বছর পরের কথা। স্টিফেন জেরক্স একই ভাবে হাসপাতালের বারান্দায় পায়চারি করছেন। তবে এবার একা না, সঙ্গে টিন এবং মার্টিন আছে। মিসেস জেরক্স যথারীতি লেবার রুমে। এবারও নার্সকে লেবার রুম থেকে হাসি মুখে বের হতে দেখে স্টিফেন জেরক্সের টেনশন দূর হয়ে গেল। নার্স জানালেন ‘এবারও ডাবল সুসংবাদ আছে। দুটো ফুটফুটে ছেলে হয়েছে। তবে যমজ হলেও এবারের ছেলে দুটো দেখতে দুই রকম।’ 
আবারও যমজ ছেলের খবর শুনে স্টিফেন জেরক্স খুশিতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। তবে মনে মনে তাদের নাম ঠিক করতে ভুললেন না। এবার বড়টার নাম দাঁড়াল পিট, ছোটটার রিপিট।
আরও কয়েক বছর পরের কথা। স্টিফেন জেরক্স সাহেব টিন, মার্টিন, পিট ও রিপিটকে নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায়। মিসেস জেরক্স লেবার রুমে। নার্স জানালেন আবারও ডাবল ছেলে। এবার জেরক্স সাহেব একটু হতাশ। অগত্যা ছেলেদের নাম দাঁড়াল ম্যাক্স এবং ক্লাইম্যাক্স।
কয়েক বছর পরে আবার যমজ ছেলে হলো, জেরক্স এবার ফেডআপ হয়ে পড়লেন। বাচ্চাদের নামেই সেটা প্রকাশ পেল। নতুন অতিথিদের নাম ছিল টায়ার্ড ও রিটায়ার্ড।