
সুখবিন্দর ঠাকুর অবশেষে ‘কৌন বানেগা ক্রোরপতি’ প্রোগ্রামে চান্স পেয়েছেন। হট সিটে বসার পর অমিতাভ বচ্চন তাকে বললেন, ‘সুখবিন্দর সাহেব, আমাদের অনুষ্ঠানে আসার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। প্রথম প্রশ্নের পুরস্কার ৫ হাজার টাকা। তাই প্রশ্নটাও খুব সহজ। প্রশ্ন হলো আপনার বাবার নাম কী?’
প্রশ্ন শুনে সুখবিন্দর সাহেব অবাক হয়ে অমিতাভ বচ্চনের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘অপশন দেখান। আমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না।’
কম্পিউটারে অপশন দেখা গেল, এ. বিরেন্দার, বি. সুরেন্দার, সি. রাজেন্দার, ডি. জিতেন্দর।
সুখবিন্দর সাহেব বেশ কিছুক্ষণ চিন্তা করে অমিতাভের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘টাকা-পয়সা নিয়ে আমি কোনো রিস্ক নিতে চাই না। আমি আমার লাইফলাইন ব্যবহার করতে চাই।’
অমিতাভ বললেন, ‘কোন লাইফ লাইন ব্যবহার করতে চান?’
সুখবিন্দর সাহেব বললেন, ‘ফিফটি ফিফটি।’
তখনই কম্পিউটারের স্ক্রিন থেকে দুটি নাম সরে গেল, থাকল শুধু এ. বিরেন্দার এবং ডি. জিতেন্দর। তারপরও সুখবিন্দর সাহেবকে চিন্তিত মনে হলো। তিনি করুন চোখে অমিতাভের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আমি আমার আরও একটা লাইফ লাইন অডিয়েন্স ভোট ব্যবহার করতে চাই।’
এবার অমিতাভ দর্শকদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘দর্শক, সুখবিন্দর সাহেব আপনাদের মতামত জানতে চান। মতামত জানাতে আপনারা ১০ সেকেন্ড সময় পাবেন। আপনাদের সময় শুরু হচ্ছে এখন..।’
কিছুক্ষণের মধ্যে দর্শকদের মতামত জানা গেল। ৭৫ ভাগ ভোট পড়েছে জিতেন্দরের পক্ষে, আর ২৫ ভাগ বিরেন্দারের পক্ষে। তবে সুখবিন্দর সাহেব এবারও সন্তুষ্ট নন বলে মনে হলো। তিনি খুব চিন্তাভাবনা করে বললেন, ‘আমি আমার শেষ লাইফ লাইন ফোন এ ফ্রেন্ড ব্যবহার করতে চাই।’
অমিতাভ বললেন, ‘বেশ ভালো। তা আপনি কার কাছে ফোন করবেন সেটা জানতে পারি?’
সুখবিন্দর সাহেব একগাল হেসে বললেন, ‘কার কাছে আবার। আমার আব্বা জিতেন্দরের কাছে।’