
মাসুদ কিছুদিন হলো ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন। নিজেকে নিয়ে তার গর্বের শেষ নেই। তার ধারণা, তার মতো জ্ঞানী ছেলে বর্তমান শতাব্দীতে আর নেই। তবে জ্ঞানী হওয়ার পরও একের পর এক ইন্টারভিউ দিয়েও তিনি কোনো চাকরি পাচ্ছিলেন না। তেমন এক ইন্টারভিউতে একদিন কী হলো শুনুন।
ইন্টারভিউয়ের একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে কোম্পানির চেয়ারম্যান জিজ্ঞাসা করলেন, তাহলে মাসুদ সাহেব, আপনার সবকিছু আমরা শুনলাম। এবার বলুন আপনি এখানে কত স্যালারি আশা করছেন?
মাসুদ যেন এই প্রশ্নেরই অপেক্ষা করছিলেন। দেরি না করে বললেন, দেখুন স্যার, যেহেতু আমি একজন ইঞ্জিনিয়ার, সেহেতু আমার স্যালারিটা একটু বেশি হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি প্রতি মাসে দুই লাখ করে চাইব।
মাসুদের জবাব শেষ হতেই চেয়ারম্যান সাহেব একগাল হেসে বললেন, ওকে। এটার সঙ্গে আপনি কোম্পানির তরফ থেকে ব্র্যান্ড নিউ মার্সেডিজ বেঞ্চ কার পাবেন। তেলের খরচ আমরাই বহন করব। থাকার জন্য গুলশানে ডুপ্লেক্স হোম। পুরো বাড়ি কোম্পানির তরফ থেকে ডেকোরেশন করা। প্রতি মাসের ২৮ তারিখে দুই বস্তা বাসমতি চাল পাবেন। আপনার এবং আপনার পরিবারের চিকিৎসা খরচ আমরা দেখব। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি পাবেন। এর সঙ্গে বছরে আলাদাভাবে অবকাশ যাপনের জন্য পাবেন দুই মাসের অবকাশ ছুটি। বিদেশে ছুটি কাটানোর সব খরচ আমরা বহন করব। চাকরির তিন মাস শেষ হলে আপনি আমাদের অফিসে পারমানেন্ট হয়ে যাবেন। তখন আপনার স্যালারি দুই লক্ষ থেকে বেড়ে সাড়ে তিন লাখ হয়ে যাবে। আপনার বিয়ের...।
চেয়ারম্যান স্যার তার কথা শেষ করতে পারলেন না। তার আগেই মাসুদ খুশিতে গদগদ হয়ে বললেন, আমি তো আপনার কথা বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা মশকরা নয় তো?
চেয়ারম্যান স্যার বললেন, মশকরা নয় তো কী! তবে মশকরাটা কিন্তু আপনি আগে শুরু করেছেন।