
অনেক আগের কথা। তখন বিশ্বে সেভাবে লেখাপড়ার প্রচলন হয়নি। উচ্চশিক্ষা তো নয়ই। ছেলেমেয়েরা রিডিং পড়তে জানলেই লোকজন মনে করত সে বিদ্বান হয়ে গেছে। এমনই এক অন্ধকার যুগে উচ্চশিক্ষার প্রচলন ঘটানোর জন্য কতিপয় বিজ্ঞ ব্যক্তি একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করলেন, নাম জ্ঞান সাগর বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ক্লাসরুমের পাশাপাশি দূরের শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য হলেরও বন্দোবস্ত ছিল।
এ রকম পরিস্থিতিতে জ্ঞান সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বছরের শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়া শুরু করলেন। দূরের শিক্ষার্থীরা বাক্স পেটরা নিয়ে আবাসিক হলে উঠে পড়লেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য ছেলেদের হলের আবাসিক শিক্ষক ছাত্রদের ডেকে হলের অডিটোরিয়ামে জড়ো হতে বললেন। স্যারের নির্দেশ পেয়ে সবাই অডিটোরিয়ামে জড়ো হলো। প্রথমে তিনি ছাত্রী হল সম্পর্কে বলা শুরু করলেন, ‘শিক্ষার্থীরা, তোমাদের হলের ঠিক ডান পাশে ১ হাজার মিটার দূরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের অবস্থান। তোমাদের জেনে রাখা দরকার যে, ছাত্রী হলে ছেলেদের প্রবেশ একেবারে নিষেধ। এই নিষেধাজ্ঞার পরও কাউকে যদি ছাত্রী হলে পাওয়া যায় তাহলে জরিমানাস্বরূপ তাকে ৫০ টাকা দিতে হবে। প্রথমবার জরিমানার পর তাকে যদি দ্বিতীয়বার ছাত্রী হলে পাওয়া যায়, তাহলে এবার তার জরিমানা বাড়বে। এবার তাকে দিতে হবে ১০০ টাকা। দ্বিতীয়বার জরিমানার পর সেই ছাত্রকে যদি তৃতীয়বার ছাত্রী হলে পাওয়া যায় তাহলে তাকে দিতে হবে ২০০ টাকা।’
এই পর্যন্ত বলে স্যার সমবেত ছাত্রদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ বিষয়ে কারও আর কিছু জানার আছে?’
পেছন থেকে লম্বা রোমিও চেহারার এক ছেলে হাত তুলল। তা দেখে স্যার বললেন, ‘কী জানতে চাও বলো?’
হাত তোলা ছেলে তার হাত নামিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘স্যার এক বছরের পাস পেতে হলে কত দিতে হবে?’