
মকবুল হোসেন ঘুম থেকে উঠেই চিৎকার চেঁচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুললেন। তার চিৎকারে অতিষ্ঠ হয়ে পাড়াপ্রতিবেশীরাও এগিয়ে এলে। সবাই ঘটনা শুনে পরামর্শ দিল, ‘দেরি না করে আপনি বরং একজন ডাক্তারকে ব্যাপারটা বলেন। তিনি চিকিৎসা করে দেবেন। তাহলে আর কোনো সমস্যা হবে না।’
সবার পরামর্শ মকবুল হোসেন সাহেবের পছন্দ হলো। এক প্রতিবেশীকে বললেন, ‘ভাই ভালো ডাক্তারের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। আপনি যদি আমাকে একটু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেন। তাহলে আমার খুব উপকার হতো।’
কোনো উপায় না দেখে প্রতিবেশী সাহেব তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন বলে কথা দিলেন।
সেদিন বিকেলে দুজনে ডাক্তার খানায় যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়লেন। প্রতিবেশী সাহেব আগেই ধারণা করেছিলেন, এটা মানসিক রোগ, তাই তিনি মকবুল সাহেবকে নিয়ে পরিচিত এক পাগলের ডাক্তারের কাছে উপস্থিত হলেন।
ডাক্তার রোগীকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী সমস্যা আপনার ভাই সাহেব?’
মকবুল হোসেন বললেন, ‘ডাক্তার সাহেব, গত রাতে আমি স্বপ্নে একটি ঘোড়া গিলে ফেলেছি। ঘোড়াটা আমার পেটের মধ্যে সমানে দৌড়াচ্ছে। আমার কিচ্ছু‚ ভালো লাগছে না। আপনি ঘোড়াটার একটা ব্যবস্থা করেন।’
ডাক্তার সাহেব বললেন, ‘আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। এটা কোনো রোগই না। ছোট্টা একটা অপারেশনের মাধ্যমেই আপনার রোগের সমাধান করা সম্ভব। আপনি এই বিছানায় শুয়ে পড়ুন। আমি এখনই আপনার অপারেশন করব।’
অতঃপর ডাক্তার সাহেব রোগীকে ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে মাঠ থেকে একটা ঘোড়া ধরে এনে তার মাথার কাছে বেঁধে রাখলেন। ইনজেকশনের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর রোগীর ঘুম ভেঙে গেল। সেটা দেখে ডাক্তার বললেন, ‘অপারেশন সাকসেসফুল। পেট কেটে আমরা সেই ঘোড়াটাকে উদ্ধার করেছি। এই যে সেটা এখানে বাঁধা আছে।’
মকবুল হোসেন ঘোড়াটিকে দেখে চেঁচিয়ে বললেন, খাইছে আমারে। আমি তো এই ঘোড়া গিলি নাই। আমি তো গিলছিলাম সবুজ রঙের ঘোড়া। এটা তো কালো!’