ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

আজকের সেরা জোকস: গ্যারান্টি

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৩৭ পিএম
আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আজকের সেরা জোকস: গ্যারান্টি
ছবি এআই

১. খদ্দের ও দোকানদারের কথা হচ্ছে...
খদ্দের: এই রেডিওটা বিক্রির সময় আপনি সারা জীবনের গ্যারান্টি দিয়েছিলেন, কিন্তু এটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
দোকানদার: তখন তো ভাবিনি আপনি এত দীর্ঘজীবী হবেন।

 

২. অফিসের বস ইন্টারভিউ নিচ্ছে...
বস: তুমি মিথ্যা বল?
প্রার্থী: না স্যার। তবে আপনারা চাইলে অভ্যাস করে ফেলব।

 

৩. শিক্ষক ও ছাত্রের কথা হচ্ছে...
শিক্ষক: তুমি ইতিহাস নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাচ্ছ না, কেন?
ছাত্র: কারণ যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে স্যার।

আজকের সেরা জোকস: মাছ ধরা

প্রকাশ: ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২২ পিএম
আজকের সেরা জোকস: মাছ ধরা
ছবি এআই

▶ পুকুরের মালিক: ‘এখানে মাছ ধরা নিষেধ’- লেখাটা দেখেন নাই? 
শিকারি: আমি মাছ ধরি না তো, কেঁচোটাকে গোসল করাচ্ছি। 
পুকুরের মালিক: তাহলে বড়শিতে আটকাচ্ছেন ক্যান?
শিকারি: যদি ভাইগা যায়!

 

▶ প্রথম বন্ধু: বল তো সকাল আর বিকালের মধ্যে পার্থক্য কি? 
দ্বিতীয় বন্ধু: আমার কাছে দুটোই সমান। সকালে টিচাররা বকে, বিকেলে বাবা বকে।

 

▶ বাবা: কাঁদে না সোনামণি। বল, তোমাকে কে মেরেছে? 
মেয়ে: ওই যে লাল গেটওয়ালা বাড়ির ছেলেটি। 
বাবা: ওই বাড়িতে যমজ দুটি ছেলে থাকে। কোনটি মেরেছে বল। 
মেয়ে: যার গালে খামচির দাগ আছে, সে।

আজকের সেরা জোকস: তিন বন্ধু

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:১৯ পিএম
আজকের সেরা জোকস: তিন বন্ধু
ছবি এআই

প্রথম বন্ধু: আমার বউ তানিয়ার কোনো তুলনা হয় না। চা খেতে গিয়ে আমার হাত থেকে কাপ পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তানিয়া সেটা নিয়ে এমনভাবে আঠা লাগিয়ে দিল যে, বোঝারই উপায় নেই ওটা ভেঙেছিল।
দ্বিতীয় বন্ধু: একবার আমার প্যান্ট ছিঁড়ে গেল। আমার বউ সেই প্যান্ট এমনভাবে সেলাই করে দিলো যে, দেখে বুঝতেই পারবে না ওটা কোনোকালে ছিঁড়ে গিয়েছিল।
তৃতীয় বন্ধু: আমার বউ আমার শার্টটা ধুয়ে দিয়েছে। তাকিয়ে দেখ, বোঝার উপায়ই নেই যে ওটা ধোয়া হয়েছে।

ইরাকি শিশু

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
ইরাকি শিশু
এঁকেছেন মাসুম

আমেরিকার ইরাক আক্রমণের শুরুর দিকের কথা। যুদ্ধের ভয়াবহতার হাত থেকে বাঁচতে এক ইরাকি শিশু তার বাবা-মায়ের সঙ্গে আমেরিকা চলে গেল। সেখানে গিয়ে তাকে এক ইংলিশ স্কুলে ভর্তি করে দেওয়া হলো। যথাসময়ে শিক্ষক ক্লাসে এসে নতুন ছাত্রকে দেখে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার নাম কী বাবা?’ 
শিশুটি বলল, ‘আমার নাম জসিম।’
শিক্ষক বললেন, ‘তুমি এখন আমেরিকায় আছ। এখানে জসিম নাম ভালো শোনায় না। আজ থেকে তোমার নাম দিলাম জিমি, কেমন।’ 
জসিম বলল, ‘ঠিক আছে স্যার, আজ থেকে আমি একজন আমেরিকান এবং আমার নাম জিমি।’ 
বাসায় ফেরার পর মা জসিমকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ স্কুল কেমন কাটল?’ 
জসিম বলল, ‘খুব ভালো কেটেছে। তবে একটা বিষয় তোমাকে জানিয়ে রাখা দরকার যে, আমার নাম এখন আর জসিম নেই মা। আমি আমেরিকায় আছি, তাই আমার নাম এখন থেকে জিমি।’ 
জসিমের কথা শুনে তার মা সত্যিই রেগে গেলেন এবং বললেন, ‘এভাবে নাম পরিবর্তন করে তুমি তোমার ইতিহাস এবং সংস্কৃতিকে অপমান করেছ। তোমার কাছে আমি এটা আশা করিনি।’ 
অতঃপর রাগের একপর্যায়ে মা জসিমকে কয়েক ঘা লাগিয়ে দিলেন।
রাতে জসিমের বাবা বাসায় ফিরে এলেন। বাসায় ঢুকে ছেলেকে মনমরা হয়ে বসে থাকতে দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কী ব্যাপার, এভাবে মনমরা হয়ে বসে আছ কেন?’ 
জসিম তাকে সব খুলে বললেন। কিন্তু এবার ফলাফল আরও খারাপ হলো। তিনি সব শুনে মায়ের চেয়ে বেশি ধোলাই করলেন।
পরদিন স্কুলে গিয়ে জসিমকে মন খারাপ করে বসে থাকতে দেখে সেই শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার কী হয়েছে জিমি?’ 
জসিম কাঁদো কাঁদো হয়ে বললেন, ‘ম্যাডাম, আমি আমেরিকান হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যে দুজন আরব আমাকে আক্রমণ করেছে।’

এক ঢিলে দুই পাখি

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৬ পিএম
এক ঢিলে দুই পাখি
এঁকেছেন মাসুম

স্টিফেন জেরক্স হাসপাতালের বারান্দায় বসে আছেন। হাসপাতালে বসেও তার মন খুব ভালো। কারণ মিসেস স্টিফেন জেরক্স এখন লেবার রুমে আছেন। যেকোনো সময় ডাক্তার সুসংবাদ নিয়ে আসবেন।
বলতে না বলতেই লেবার রুমের দরজা খোলার আওয়াজ পাওয়া গেল। ডাক্তার না, একজন নার্স হাসতে হাসতে তার দিকে এগিয়ে আসছেন। নার্সের হাসি দেখে স্টিফেন জেরক্সের মনের টেনশন এক মুহূর্তে উড়ে গেল। 
নার্স এসে বললেন, ‘কনগ্র্যাচুলেশনস মি. জেরক্স, আপনার পুত্রসন্তান হয়েছে। তাও আবার একটা নয়, দুটো।’ 
এক ঢিলে দুই পাখির খবর শুনে জেরক্স সাহেব খুশিতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। মনে মনে তখনই দুই ছেলের নাম ঠিক করে ফেললেন, বড়টা হবে টিন আর ছোটটা হবে মার্টিন। একটা ধাতু অন্যটা পাখি।
সেই থেকে শুরু। কয়েক বছর পরের কথা। স্টিফেন জেরক্স একই ভাবে হাসপাতালের বারান্দায় পায়চারি করছেন। তবে এবার একা না, সঙ্গে টিন এবং মার্টিন আছে। মিসেস জেরক্স যথারীতি লেবার রুমে। এবারও নার্সকে লেবার রুম থেকে হাসি মুখে বের হতে দেখে স্টিফেন জেরক্সের টেনশন দূর হয়ে গেল। নার্স জানালেন ‘এবারও ডাবল সুসংবাদ আছে। দুটো ফুটফুটে ছেলে হয়েছে। তবে যমজ হলেও এবারের ছেলে দুটো দেখতে দুই রকম।’ 
আবারও যমজ ছেলের খবর শুনে স্টিফেন জেরক্স খুশিতে বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন। তবে মনে মনে তাদের নাম ঠিক করতে ভুললেন না। এবার বড়টার নাম দাঁড়াল পিট, ছোটটার রিপিট।
আরও কয়েক বছর পরের কথা। স্টিফেন জেরক্স সাহেব টিন, মার্টিন, পিট ও রিপিটকে নিয়ে হাসপাতালের বারান্দায়। মিসেস জেরক্স লেবার রুমে। নার্স জানালেন আবারও ডাবল ছেলে। এবার জেরক্স সাহেব একটু হতাশ। অগত্যা ছেলেদের নাম দাঁড়াল ম্যাক্স এবং ক্লাইম্যাক্স।
কয়েক বছর পরে আবার যমজ ছেলে হলো, জেরক্স এবার ফেডআপ হয়ে পড়লেন। বাচ্চাদের নামেই সেটা প্রকাশ পেল। নতুন অতিথিদের নাম ছিল টায়ার্ড ও রিটায়ার্ড।

বরবাদ

প্রকাশ: ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩৩ পিএম
বরবাদ
এঁকেছেন মাসুম

কী রে জান, কী করস? রুহেল জানতে চাইল। ক্লাসমেট হলেও মেহেরকে ও জান বলেই ডাকে।
আর বলিস না দোস্ত! জীবনটা লাইফ হয়ে যাচ্ছে! বাসায় খালি মেহমান আর মেহমান। আম্মা বলছে আমি যেন বাসা থেকে এক পা-ও না নড়ি।
তোদের বাসায় না অনেক কাজের লোক। তোকে কেন থাকতে হবে?
আরে দোস্ত তুই বুঝবি না। বাসায় মেহমান আসার কী যে প্যারা! যতগুলা মেহমান বাসায় আসল, সবার সঙ্গে একটা-দুইটা করে পিচ্চি। আর পিচ্চিগুলা যে কী পরিমাণ মিচকা শয়তান না দেখলে বুঝবি না। কেউ আমার ল্যাপটপ নিয়ে টানাটানি করে। কেউ আমার গিটার লইয়া টুংটাং করে। অসহ্য! জীবনটা একদম বরবাদ হয়ে যাচ্ছে দোস্ত।
বরবাদ দেখছস। তোর বাড়ির সামনেই তো সিনেপ্লেক্স। হেসে জানতে চাইল রুহেল।
আরে এই বরবাদই তো আমার জীবনটা বরবাদ কইরা দিতাছে! লতায় পাতায় যত মামাতো-খালাতো ভাইবোন আছে, সব এই সিনেপ্লেক্সে বরবাদ দেখতে আসতেছে আর আমাদের বাসায় ঢুইক্যা সেমাই-মিষ্টি খাইয়া হাইসা হাইসা বলতেছে, আপু তুমি কিন্তু বরবাদ দেইখো। নাইলে কিন্তু তোমার জীবনটাই বরবাদ। কেউ সিনেপ্লেক্সে যাওনের সময় জিগায়ও না আপু বরবাদ দেখবা! 
তুই তাইলে বরবাদ দেখস নাই, জান?
না রে দোস্ত! কোথাও টিকিটই পাচ্ছি না। সব জায়গায় সোল্ড আউট। সত্যি সত্যিই লাইফটা বরবাদ মনে হইতাছে রে দোস্ত। হতাশ গলায় বলল মেহের।
ঠিক আছে জান। ভাবছিলাম তোরে নিয়া বরবাদ দেখমু, কিন্তু তুই তো আবার ব্যস্ত। কী আর করা, একটা টিকিট নষ্টই হইব মনে হইতাছে। বিষণ্নতা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করল রুহেল।
এক মিনিট! তুই কই থিকা কথা কইতে আছস। আমাগো বাড়ির সামনের সিনেপ্লেক্স থাইক্যা?
না রে জান। আমি আছি বসুন্ধরায়। অনেক কষ্টে দুইটা টিকিট পাইছিলাম। তুই তো আবার আইতে পারবি না।
কয়টার শোয়ের টিকিট পাইছস? জানতে চাইল মেহের।
চারটার।
ঠিক আছে। আমি আইতাছি। তুই কিন্তু হারাইস না কইলাম।
হাতে সময় আছে মাত্র আধাঘণ্টা। এর মধ্যে তুই কি আইতে পারবি? রুহেল বলল।
আরে দোস্ত ঈদের পর রাস্তা তো খালিই আছে। ধানমন্ডি থাইক্যা বসুন্ধরা যাওন কুনো ব্যাপার হইলো! তুই থাক আমি আইতাছি।
সত্যি সত্যিই শো শুরুর ১০ মিনিট আগেই বসুন্ধরায় পৌঁছে গেল মেহের।
সিনেমা হলের সিটে বসে উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটতে শুরু করল ও।
দোস্ত কত কিছু বইল্যা যে আম্মারে ম্যানেজ করলাম, শুনলে বিশ্বাস করবি না। খালি বরবাদের টিকিট পাইছস শুইনা আমারে আইতে দিল। নাইলে দিত না।
তুই আম্মারে আমার কথা কইছস! বিস্ময়ের সঙ্গে জানতে চাইল রুহেল।
আরে পাগল নাকি!  আম্মারে কইছি লাইলি আমারে বরবাদ মুভি দেখাইব। 
আর তোর আম্মা যদি এখন লাইলিরে ফোন দেয়?
আচ্ছা, খাড়া অরে একটা ফোন দিয়া লই। সিনেমা শুরু হইলে তো আর কল দিবার পারুম না। ফোন বের করল মেহের।
লাইলি, আমি কিন্তু বরবাদ মুভি দেখবার আইছি। হ হ, টিকিট পাইছি। হ, আমি এহন বন্ধুগো লইয়া বরবাদ মুভি দেখতে আইছি। আম্মা তরে ফোন করলে কইস যে আমি তর লগেই আছি।
কল কাটতেই পেছন থেকে একজন দর্শক বলল, আপা আপনি মনে হয় ভুল সিনেমা হলে ঢুকে পড়েছেন। এই হলে বরবাদ মুভি দেখাবে না।
ঝট করে রুহেলের দিকে তাকাল মেহের।
তুই বরবাদ-এর টিকিট কাটস নাই?
পাই নাই।
তাইলে কি এই হলে জংলী মুভি দেখাইব?
না।
তাইলে কি দাগি মুভি?
না।
তাইলে এই হলে কোন মুভি চলতাছে? রুহেলের শার্ট খামছে ধরল মেহের।
জ্বীন-৩।
শয়তান! তুই জানস না আমি ভূত-প্রেত-জিনকে ভয় পাই। প্রায় চিৎকার করে বলল মেহের।
জানি তো। জানি বইলাই তো কাটছি। তুই এই মুভিটা দেখতে দেখতে ভয় পাইয়া আমারে জড়াইয়া ধরবি হের লাইগা এই মুভির টিকিট কাটছি, বুঝলিরে জান।
এক কথাতেই মেহেরের মুভি দেখার ইচ্ছেটাই বরবাদ করে দিল রুহেল।