
মাসুম আর নিতু একে অন্যকে ভালোবাসে। তাই ভালোবাসা দিবসে তারা দুজনে মোটরসাইকেলে চেপে চলে গেল সেই পদ্মার পাড়ে। সারা দিন সেখানে কাটিয়ে সন্ধ্যার একটু আগে তারা আবার নিজের শহরে ঢুকে পড়ল। তারপর ভালো একটা চাইনিজে ঢুকে ভেজিটেবল রাইস, ফ্রাইড চিকেন, বিফ ওনিয়ন কারকুরি আর মাসালা শ্রিম্প দিয়ে ভূরিভোজ সেরে বাড়ি যাওয়ার জন্য রেডি হলো। মাসুম তার বাইকে উঠতে যাবে এমন সময় নিতু বলল, ‘আজ আমি বাইক চালাই না, প্লিজ?’
ভ্যালেন্টাইন দিবসে প্রেমিকার অনুরোধ রক্ষা না করে কি পারা যায়। অগত্যা মাসুমকে পেছনে বসিয়ে নিতু বাইক চালানো শুরু করল। সবকিছু ভালোই চলছিল। সমস্যা শুরু হলো কারওয়ান বাজারে এসে।
সেখানে আসতেই এক ট্রাফিক সার্জেন্ট মোটরসাইকেল থামানোর নির্দেশ দিলেন। ঘটনাচক্রে মাসুম জানত যে এই সার্জেন্টের মাথায় ঘিলু একটু কম আছে। সে কানে কানে নিতুকে তথ্যটা জানিয়ে বলল, ‘ভয় পেও না। বুদ্ধি করে মানিয়ে নাও।’
মিতুও চালাক কম না। সে মাসুমকে অভয় দিয়ে সার্জেন্টকে জিজ্ঞাসা করল, ‘কী সমস্যা?’
সার্জেন্ট বললেন, ‘হে হে হে ম্যাডাম, আপনি নির্ধারিত গতির চেয়ে বেশি জোরে বাইক চালাচ্ছিলেন। আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সটা একটু দেখি হে হে হে...।’
মিতু ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবে কোথায়। তবুও নিজের পার্সে সেটা খোঁজার ভান করে বলল, ‘মনে হয় বাসায় ফেলে এসেছি অফিসার।’
অফিসার বললেন, ‘হে হে হে বাসায় ফেলে আসলে কেমনে হবে খালাম্মা? অন্য কোনো পরিচয়পত্র আছে নাকি, হে হে হে?’
এমন সময় মিতুর মাথায় এক বুদ্ধি এল। সে পার্স থেকে ছোট আয়নাটা বের করে অফিসারের হাতে দিল। অফিসার আয়নাটাকে পরিচয়পত্র ভেবে নিজের সামনে মেলে ধরে বলল, ‘ও! আপনাকে দেখে না চিনলেও পরিচয়পত্রে আপনার ছবি দেখে কেমন যেন চেনা চেনা লাগছে। ছবি দেখে বুঝতে পারছি আপনি আমার মতো পুলিশে চাকরি করেন। ওকে, আপনি পুলিশ বলে ছেড়ে দিলাম। ভবিষ্যতে বাইকের গতিটা একটু কমিয়ে চালাবেন।’