ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

আজকের সেরা জোকস: ভিক্ষুক

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
আজকের সেরা জোকস: ভিক্ষুক
ছবি এআই

▶ ভদ্রলোক: এই যে, তুমি যে ভিক্ষা চাইতাছো, আমি কীভাবে বুঝব যে তুমি চোখে দেখো না?
ভিক্ষুক: ওই যে দূরে একটা গরু ঘাস খাইতাছে আপনি দেখতাছেন?
ভদ্রলোক জবাবে বললেন, হ্যাঁ।
ভিক্ষুক বলল, আমি কিন্তু দেখতাছি না।

 

▶ সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে গেছে এক যুবক। তার পাশের সিটে বসেছে এক বুড়ো। ওই বুড়োর হাতে একটা ছোট পেপসির বোতল।
বুড়ো পাঁচ মিনিট পরপর বোতলে চুমুক দিচ্ছেন। সিনেমায় দুর্দান্ত অ্যাকশন চলছে। কিন্তু একটু পরপর বুড়ো পেপসির বোতলে চুমুক দেওয়ায় যুবকের খুব ডিস্টার্ব হচ্ছিল।
এভাবে অনেকক্ষণ চলার পরে যুবক বিরক্ত হয়ে বুড়োর হাত থেকে পেপসির বোতলটা কেড়ে নিয়ে বলল, এটুকু খেতে এতবার চুমুক দিতে হয়?
এই দেখেন, কীভাবে খেতে হয়। এই বলে যুবক এক চুমুকে বোতলে থাকা পানীয় খেয়ে ফেলল।
বুড়ো ভীষণ অবাক হয়ে বলল, এ কি করলে বাবা! আমি তো পেপসি খাচ্ছিলাম না। ওই বোতলে একটু পর পর পানের পিক ফেলছিলাম।

চশমা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
চশমা
এঁকেছেন মাসুম

বিল্টু বলল, বাবা, তোমার যেসব বন্ধুর ছেলে আমার সঙ্গে পড়ে তারা সবাই পাওয়ার গ্লাস পরে। তোমার বন্ধু রাশেদ আঙ্কেল, তার ছেলে রিফাতের অবস্থা তো শোচনীয়-ছয় মাস পরপর চশমার পাওয়ার বাড়াতে হয়। 
বাবা পত্রিকা থেকে চোখ তুললেন। চোখের চশমা খুলে টেবিলে রাখলেন। কয়েক মুহূর্ত চেয়ে থাকলেন চশমাটার দিকে। তারপর বললেন- ওরা তো লেখাপড়া করে। লেখাপড়া করলে চশমা লাগে। তুই তো ফাঁকিবাজ। বইয়ের কাছে যাস না। তোর চশমা লাগবে কেন? কোনো গরুকে কখনো চশমা পরতে দেখেছিস? 
বাবার শেষ প্রশ্নটা বিল্টুর মানসম্মানে খুব লাগল। বাবা তাকে গরুর সঙ্গে তুলনা করতে পারেন না। বিল্টু বলল, চশমা পরা ছেলেরা ব্রিলিয়ান্ট হয় এটা তোমার ভুল ধারণা। 
—জগতের সব জ্ঞানীগুণীর চোখে চশমা। খেয়াল করে দেখেছিস কখনো? আইনস্টাইন, স্টিফেন হকিং, আলেকজান্ডার ফ্লেমিং সবার ছবি দেখে আয়। 
—তুমি চলে গেলে সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে। আমাদের রবীন্দ্রনাথের কোনো চশমা পরা ছবি দেখিনি। 
—রবীন্দ্রনাথ, নজরুল এক্সসেপশনাল। এক্সসেপশনাল ইজ নট এন এক্সাম্পল। তুই লেখাপড়া করিস না সেটা এই পাড়ার সবাই জানে। আমাকে লোকে বলে, আপনার ছেলে টো টো কোম্পানির ম্যানেজার। সারা দিন টো টো করে ঘুরে বেড়ায়। আগামী পরীক্ষার রেজাল্টের পর এসে চশমা না পরার পক্ষে যুক্তি দেখাস। দেখবি চশমাওয়ালারা সবাই তোকে ছাড়িয়ে গেছে। 
কিছুদিন পর...
বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট হয়েছে। বাবা ড্রইং রুমে বসে পত্রিকা পড়ছিলেন। বিল্টু বাবার দিকে না তাকিয়েই ড্রইংরুম অতিক্রম করে যাচ্ছিল। বাবা বললেন, কিছু না বলেই এরকম চোরের মতো চলে যাচ্ছিস যে?
বিল্টু দাঁড়াল। মাথা চুলকিয়ে বলল, তুমি পত্রিকা পড়ছিলে তো তাই...। 
—পত্রিকা পড়ছিলাম বলে তোর রেজাল্টের খবর জানতে পারব না? রেজাল্ট কী তাই বল। 
—তুমি তো চশমাপরুয়াদের খুব ব্রিলিয়ান্ট মনে করো। তাদের রেজাল্টের যা অবস্থা! 
—কী অবস্থা? 
—মতিন ফেল করেনি সত্য, তবে জান নিয়ে সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠেছে আর কী। কোনোমতে দড়ি টপকিয়েছে। 
—তোর খবর বল। 
—আর ওই রিফাত, ছয় মাস পরপর যে চশমার পাওয়ার বাড়ায় তার অবস্থা তো একেবারে ছেড়াবেড়া। 
—ছেড়াবেড়া কী?
— আরেকটু হলেই গিয়েছিল অতলে। কোনোমতে টেনেটুনে পাস, যাকে বলে কানকাটা পাস। 
—তোর অবস্থা কী তাই বল। 
—এরকম পাস আমার পছন্দ নয় বাবা। পাস করলে পাসের মতো করব। রেজাল্ট শুনে মানুষ পিঠ চাপড়াবে। ওরকম রেজাল্টের জন্য আবার চশমা লাগে? ধুর! 
—তুই কেমন পাসের মতো পাস করেছিস তাই বল। শুনে দেখি তো পিঠ চাপড়াব নাকি কানসার নিচে চাপড়াব। 
—এ বছর ছেড়ে দিলাম। আগামী বছর পাসের মতো পাস নিয়ে উঠব। 
—তার মানে ফেল! গত বছরও তুই একই কথা বলেছিলি। 
—এবার দ্বিতীয়বার হলো। দান দান তিন দান বলে একটা কথা আছে। এত অধৈর্য হয়ো না বাবা। দেখো...। 
—বছর বছর একই ক্লাসের জুনিয়রদের সঙ্গে পড়তে তোর লজ্জা করে না? 
—এতে লজ্জার কী আছে? এটা তো গর্বের। 
—গর্বের? 
—অবশ্যই। এবারের ওরা আমার চেয়ে এক বছরের জুনিয়র ছিল। সবাই আমাকে সম্মান দিয়ে চলত, আমাকে ভয়ের চোখে দেখত। এবার যারা আমার সঙ্গে আসবে তারা তো হবে মোস্ট জুনিয়র। ওরা আমার চোখে তাকিয়ে কথা বলতে সাহস পাবে না। পুরো ক্লাসে আমিই হব অল ইন অল। 
—তোর যুক্তিমতে আদু ভাইয়ের হওয়ার কথা ছিল সবচেয়ে সম্মানিত মানুষ। 
—আদু ভাই কে বাবা? 
—শোন, আগামী বছর যদি তুই ফেল করিস তো তোকে একটা বাইক কিনে দেব। 
—ফেল করলে! বিস্ময়ে বিল্টুর চোখ বড় হয়ে গেল। কতদিন ধরে একটা বাইকের শখ। বাবা ভালো রেজাল্টের শর্ত দিয়ে রেখেছেন বলে কেনা হচ্ছে না। আর বাবা এখন বলছেন ফেল করলে...। এ তো দেখা যাচ্ছে মহান মানুষ। 
বাবা বললেন, বাইক কিনে দেব, তবে রয়্যাল এনফিল্ড না। সাধারণ মানের একটা সেকেন্ডহ্যান্ড বাইক। জামার বোতাম খুলে, সানগ্লাস চোখে দিয়ে মেয়েদের সামনে দিয়ে চালানোর জন্য বাইক দেব না। সে বাইক তুই উবারে চালাবি। তুই হবি উবার রাইডার। সবাই তোকে চিনবে বাইকার হিসেবে। জগতে কোনো কাজই ছোট না। সারা দিন বাইক চালিয়ে যা পাবি এনে দিবি তোর মায়ের কাছে। কয়েক বছরে ভালো টাকা জমলে তোকে একটা ব্যবসা গড়ে দেওয়া হবে। ঠিক আছে? 
এমন সময় বিল্টুর মা এলেন। বিল্টু বলল, মা, কিছু খেতে দাও। আমি পড়তে বসব। আর আমার ম্যাথ এবং সায়েন্স টিচারকে খবর দাও, কাল থেকেই যেন পড়াতে আসেন। 
তারপর থেকেই বিল্টু মনোযোগী ছাত্র। বাইক তার চাই তবে উবার রাইডার সে হবে না। রয়্যাল এনফিল্ড চাই। 
কয়েকদিন পর...
রাতে বিল্টু কম্পিউটারের ওপর কম্পোজিশন পড়ছিল, উম...এ কম্পিউটার ইজ এ ডিভাইস...উম...রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার হ্যাজ এ ল্যাজ...উম...
পড়া শুনে বাবা কাছে গেলেন। বললেন, তুই কোন লাইন থেকে কোন লাইনে চলে যাচ্ছিস তার কোনো ঠিক নেই। 
বিল্টু বলল, বাবা, কদিন ধরে আমি চোখে কেমন ঝাপসা দেখছি, লেখাগুলো হিজিবিজি লাগে। 
—বুঝেছি। কাল তোকে চোখের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। তোর চশমা লাগবে।

দুটি গল্প

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৪ এএম
দুটি গল্প
এঁকেছেন মাসুম

▶ বনে ঘুরতে ঘুরতে হুট করে হারিয়ে গেল ছোট্ট একটা কুকুরছানা। হাঁটতে হাঁটতে ও চলে গেল একেবারে সিংহের এলাকায়। আচমকা ১০ হাত সামনেই উদয় হলো ক্ষুধার্ত এক সিংহ। কিন্তু কুকুরছানার বুদ্ধি অনেক। সিংহটাকে দেখতে পায়নি এমন একটা ভাব করে এগিয়ে গেল পড়ে থাকা কয়েকটা হাড়ের দিকে। একটা হাড় নিয়ে আয়েশ করে চিবিয়ে জোরে জোরে বলল, বাহ্, সিংহটা তো খুব মজার। 
এ কথা শুনে ঘাবড়ে গেল সিংহ। কুকুরছানাটা সাধারণ কিছু নয়! আস্ত সিংহ চিবিয়ে খেয়ে ফেলল! 
ভয়ে লেজ গুটিয়ে গাছের আড়ালে চলে গেল সিংহটা। আড়াল থেকে সব খেয়াল করছিল একটা বানর। পুরো ব্যাপারটাই বুঝেছে সে। ভাবল, সিংহকে সব বলে দিলে সে হয়তো তাকে খানিকটা পিঠে চড়ার সুযোগ দেবে। ওর ভীষণ শখ সিংহের পিঠে চড়ার। 
দেরি না করে গেল সিংহের কাছে। তারপর বলল, ‘সিংহ মামা, কুকুরছানাটা আসলে মহাপাজি। তোমাকে ভয় দেখানোর জন্য মিছেমিছি সিংহ খাবার কথা বলেছে।’ 
বানরের কথা শুনে সিংহ গেল ভীষণ রেগে। রেগে যাওয়ায় তার খিদে আরও বেড়ে গেল। বানর ছিল এই সুযোগে। সে বলল, ‘তা এই তথ্য যখন দিলাম, আমাকে একটু পিঠে চড়াও।’ 
বানরের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সিংহ তার প্রতি কৃতজ্ঞ ছিল। তাই সে বলল, ‘আয়, আমার পিঠে চড়। তোকে নিয়েই যাব বজ্জাত কুকুরটাকে খেতে।’
ওদিকে কুকুরছানা দেখল, সিংহের পিঠে চড়ে বানর আসছে। সিংহের চোখের দিকে তাকিয়েই বুঝে গেল কী ঘটতে যাচ্ছে। কিন্তু আগের ট্রিকস আর কাজে আসবে বলে মনে হলো না। অস্থিরচিত্তে পায়চারি শুরু করল কুকুরছানাটা। সিংহ যখন ঠিক ১০ হাত দূরে, তখনই কাউকে না দেখার ভান করে রাগে চেঁচিয়ে উঠল কুকুরছানা, ‘এক ঘণ্টা হয়ে গেল! বজ্জাত বানরটাকে বললাম আরেকটা সিংহ নিয়ে আসতে। কেন যে এত দেরি করছে!’
শুনে সিংহ পড়িমরি করে ছুটে পালাল।

 

▶পাঁচু ব্যাংকের বিভিন্ন ডেস্কের সামনে লম্বা লাইন। ব্যাংক কর্মকর্তারা যার যার মতো চেষ্টা করছেন। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে মকবুলকে নিয়ে। তিনি নিজের কাজের পাশাপাশি কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে কথা বলছেন। কাস্টমাররা এই দৃশ্য দেখে যারপরনাই বিরক্ত। এদেরই মধ্যে একজনকে দেখে মনে হলো তিনি তার ধৈর্যের সীমা হারিয়ে ফেলেছেন। কারণ, একটু পরপর তিনি বলছেন, ‘আর কত দাঁড়িয়ে থাকব? ভালো লাগে না।’ 
এভাবে বলতে বলতেই একপর্যায়ে তার মধ্যে বিস্ফোরণ হলো। তিনি লাইন ভেঙে সবার সামনে এসে মকবুলকে বললেন, ‘এই যে মিয়াভাই, তাড়াতাড়ি করেন। আমি সারা দিন দাঁড়িয়ে থাকতে পারব না।’
মকবুল তার কান থেকে ব্লুটুথটা সরিয়ে বললেন, ‘লাইন ধরেন। সময়মতো কাজ হয়ে যাবে।’ 
ভদ্রলোক বললেন, ‘এই ঘোড়ার ডিমের লাইন আমি ধরব না।’ 
মকবুল বললেন, ‘বাজে কথা বলবেন না। এটা ভদ্রলোকের জায়গা।’ 
ভদ্রলোক এবার আরও গরম হয়ে গেলেন। আপনি থেকে তিনি নেমে আসলেন তুই তে, ‘তুই ভদ্রলোক! একটা চেক জমা দেওয়ার জন্য আমাকে দেড় ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখেছিস, তারপরও বলছিস তুই ভদ্রলোক?’ 
মকবুল বললেন, ‘খবরদার। আপনি কিন্তু বাজে ভাষা ব্যবহার করছেন। আমি কিন্তু ম্যানেজারকে ডাকব।’ 
ভদ্রলোক চেঁচিয়ে বললেন, ‘গাধার বাচ্চা কোথাকার, যা তোর ম্যানেজারকে ডাক।’
মকবুল তার ম্যানেজারকে ঠিকই ডেকে আনলেন। ম্যানেজার এসেই বললেন, ‘খারাপ ভাষায় কথা বলছেন কেন? এখানে সবাই সম্ভ্রান্ত লোক। আজেবাজে লোকদের এই ব্যাংকে কোনো কাজ থাকে না। এখন বলুন আপনার সমস্যা কী?’ 
ভদ্রলোক বললেন, ‘আমি ১০ কোটি টাকার এই চেকটা জমা দিতে এসে গত দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে আছি।’
ম্যানেজার চেকটা হাতে নিলেন। টাকার অঙ্ক দেখলেন। ছোট্ট একটা শিস দিলেন। এরপর বললেন, ‘আচ্ছা, আপনি চেক নিয়ে এসেছেন, আর এই গাধার বাচ্চা আপনার চেক জমা নিচ্ছে না?’

বিশ্বজিৎ দাস প্রক্সি

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫১ এএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
প্রক্সি
এঁকেছেন মাসুম

ইচ্ছামতী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান কাদের নওয়াজ একে একে তার সঙ্গীদের দিকে তাকালেন। কাউকেই তিনি চেনেন না। পকেট থেকে একটা অর্ডার বের করে গলা খাঁকারি দিলেন, ‘আমি তো আপনাদের সবাইকে চিনি না। তাই অর্ডার দেখে দেখে নাম পড়ছি। আপনারা সাড়া দিয়েন।’
অন্য শিক্ষকরা বেশ মজা পেলেন। তারাও বিভিন্ন কলেজের শিক্ষক। কেউ সরকারি কেউবা বেসরকারি। সবাই একই মাইক্রোবাসে একত্রিত হয়েছেন একটা কারণে- তা হলো ভিজিলেন্স। চলমান এসএসসি পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকদের নিয়ে শিক্ষাবোর্ডগুলো ভিজিলেন্স টিম গঠন করেছে। তারাও একটা টিম।
সবাই নিজ নিজ পরিচয় দিলেন। সবার শেষে পরিচয়দানকারী যুবকের দিকে তাকালেন কাদের নওয়াজ। 
আপনি?
স্যার, আমার নাম মো. রফিকুল ইসলাম। প্রভাষক।
নতুন চাকরি বুঝি? বয়স একেবারে কম মনে হচ্ছে!
জি স্যার। দুমাস হলো জয়েন করেছি।
আচ্ছা। সবাই শুনুন। টিম লিডার হিসেবে আমার এই কথাগুলো বলা উচিত। যে যেই কলেজ থেকেই আসি না কেন, আমাদের কাজ হচ্ছে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো ভিজিট করা। আজ তালিকায় আছে চারটি পরীক্ষাকেন্দ্র। বোর্ডের প্রতিনিধি হিসেবে যাচ্ছি। কাজেই কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করব না আমরা। কোথাও কোনো অনিয়ম দেখলে সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করব। আর গুরুতর কোনো অনিয়ম পেলে আমি নিজেই তা রিপোর্টে উল্লেখ করে বোর্ডে জমা দেব। বুঝেছেন?
সবার দিকে তাকালেন কাদের নওয়াজ। 
জি স্যার।—বাকি চারজন সমস্বরে বলল।
ঠিক আছে। আমরা প্রথম পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকেছি। আপনারা নেমে বিভিন্ন রুমে ঢু মারবেন। চুপচাপ অবজার্ভ করবেন। বেস্ট অব লাক।
রফিকুল চুপচাপই ঢুকলেন একটি কক্ষে। দেখলেন ছাত্রছাত্রীরা একে অন্যের খাতা দেখাদেখি করছে। তাকে ঢুকতে দেখেও কোনো ভ্রুক্ষেপ করল না।
এই ছেলে তুমি ওর সঙ্গে কথা বলছ কেন? — রফিকুল মোলায়েমভাবে জানতে চাইলেন।
স্যার, আমি কথা বলছিলাম না। রাবার চাইছিলাম ওর কাছে।
রাবার? আজ তো অঙ্ক পরীক্ষাই না।
স্যার আমি উত্তরগুলো প্রথমে পেনসিলে লিখেছিলাম। সেগুলো আন্দাজে লিখেছিলাম। এখন ওর খাতা দেখে দেখে সঠিক উত্তর লেখার জন্য রাবার প্রয়োজন।
রফিকুল শেষে রুম পরিদর্শককে ধরলেন—
আপনি দেখছেন না সবাই দেখাদেখি করে লিখছে!
দেখেছি স্যার। ওদের লেখাপড়ার যা অবস্থা, দেখাদেখি করে লিখলেও পাস করতে পারবে না।
অন্তত রুমে হাঁটাহাঁটি তো করবেন। ওদের প্রবেশপত্র চেক তো করবেন! কেউ কেউ প্রক্সি বা ডুপ্লিকেট পরীক্ষার্থীও তো হতে পারে।—রেগেমেগে রফিকুল বললেন। 
স্যার, উনি কি প্রক্সি পরীক্ষার্থী ধরবেন! উনি নিজেই তো আরেকজনের হয়ে প্রক্সি ডিউটি দিচ্ছেন।—একজন ছাত্র হেসে বলল। অমনি গোটা পরীক্ষার হল হেসে উঠল।
রফিকুল সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষার কন্ট্রোলরুমে গেলেন। সেখানে মাত্র একজন লোক বসে আছেন।
আমি বোর্ড থেকে এসেছি। এই পরীক্ষার কনভেনর কে?
কনভেনর হলেন সিনিয়র শিক্ষক মো. আবু রেজা।
তিনি কোথায়? ২০২ নম্বর রুমে কক্ষ পরিদর্শকের বদলে আরেকজন প্রক্সি ডিউটি দিচ্ছে। এটা কি ঠিক হচ্ছে?
স্যার ওই রুমে যে ডিউটি দিচ্ছিলেন, তার স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি। তাই তিনি প্রক্সি হিসেবে আরেকজনকে রেখে গেছেন। অসুবিধা নেই স্যার। তিনি আমাকে বলেই হাসপাতালে গেছেন। 
আপনি কে?— প্রচণ্ড রেগে গেল রফিকুল। 
স্যার, আমি কনভেনর স্যারের প্রক্সি দিচ্ছি। তিনি বাজারে গেছেন। আজ তার মেয়ে জামাই আসবে তো। বাজার করে দিয়েই ফিরে আসবেন।
কী! এখানেও প্রক্সি! আপনাদের প্রধান শিক্ষক কোথায়?
জি। সামনের ওই দালানের নিচেই উনার অফিস।
রফিকুল প্রধান শিক্ষকের রুমে গেলেন।
এখানে প্রধান শিক্ষক কে? আমি বোর্ড থেকে এসেছি পরীক্ষার ভিজিলেন্সের কাজে।
জি বলুন।
রফিকুল পুরো ঘটনা জানিয়ে বললেন, এটা কেমন কথা! কক্ষ পরিদর্শক, কনভেনর সবকিছুতে প্রক্সি ব্যক্তিরা দায়িত্ব পালন করছেন।
জি স্যার। আমি ওদের চিনি। ওরা বেশ ভালো মানুষ। সত্যি কথাই বলেছে। সত্যি সত্যিই ওরা প্রক্সি দিচ্ছে।
আমার তো সন্দেহ হচ্ছে আপনিও বুঝি এখানকার হেডমাস্টার নন।—ব্যঙ্গ করলেন রফিকুল।
জি স্যার, ঠিক ধরেছেন। হেডস্যার ডায়াবেটিসের রোগী। ডাক্তার বলেছেন দিনে এক ঘণ্টা হাঁটতে। উনি তাই হাঁটতে বেরিয়েছেন। আসলে আমি এই স্কুলের হেড ক্লার্ক।
বিষণ্ন হয়ে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের কাছে পৌঁছলেন রফিকুল। দেখলেন, টিমলিডার কাদের নওয়াজ স্যার একপাশে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছেন। তাকে ঘটনা খুলে বললেন রফিকুল।
প্রক্সির এই দুনিয়ায় কে যে কার প্রক্সি দিচ্ছে বোঝা দায়। এই আপনিই যে রফিকুল হিসেবে কারও প্রক্সি দিচ্ছেন না তার কী নিশ্চয়তা? আপনার গায়ে তো আর নাম লেখা নেই।—হেসে বললেন টিমলিডার। 
স...সরি স্যার। আপনাকে আমার আগেই বলা উচিত ছিল। মো. রফিকুল ইসলাম আসলে আমার বড় ভাই। তিনি একটা ট্রেনিংয়ে গেছেন। বললেন তুই আমার হয়ে প্রক্সি ভিজিলেন্স দিয়ে আয়।—কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন প্রক্সি রফিকুল। 
বাদ দেন। পরীক্ষা ঠিকমতো হচ্ছে কি না সেটাই বড় কথা। প্রক্সি আগেও ছিল। বর্তমানেও আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে। চলুন অন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে যাই।—বললেন টিমলিডার কাদের নওয়াজ।
তারপর মাইক্রোবাসে উঠলেন কাদের নওয়াজ। পকেট থেকে মোবাইল বের করে মেসেজ লিখলেন, কাদের, আমি তোর প্রক্সি হিসেবে এসেছি—কেউ বুঝতে পারেনি। চিন্তা করিস না।

আজকের সেরা জোকস: বই প্রেমিক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২৫, ০১:০৬ পিএম
আজকের সেরা জোকস: বই প্রেমিক
কার্টুন এআই

▶ নার্সিংহোমে এক নবজাতককে কোলে নেওয়ার পর বাচ্চাটা হিসি করে দিল। ভদ্রলোকের পাঁচ বছর বয়সী বড় ছেলে বলে উঠল, বাবা ডাক্তারকে বলো, এটা পাল্টে দিতে। 
বাবা: কেন বাবা? 
ছেলে: দেখছ না এটাতে লিকেজ আছে। 

 

▶ এক ভদ্রলোক নার্সিংহোমের বাইরে বেঞ্চে বসে তন্ময় হয়ে বই পড়ছিলেন। 
নার্স: অভিনন্দন স্যার, আপনার ছেলে হয়েছে।
ভদ্রলোক: ডিসটার্ব করছেন কেন? দেখছেন না আমি বই পড়ছি। ওকে বাসায় চলে যেতে বলুন।

আজকের সেরা জোকস: টেনশন

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
আজকের সেরা জোকস: টেনশন
ছবি এআই

▶ প্রথম বান্ধবী: তুই যদি আমার টেনশনটা শেয়ার করিস তোকে ১ লাখ টাকা দেব।
দ্বিতীয় বান্ধবী: চমৎকার, টাকাটা কোথায়?
প্রথম বান্ধবী: ওটাই তো আমার টেনশন রে। 

 

▶ এক লোক গেছে চাকরির খোঁজে...
ম্যানেজার: আপনি কোন পোস্টের জন্য এসেছেন? 
প্রার্থী: জি ম্যানেজারের পোস্টের জন্য।
ম্যানেজার: আপনি কি পাগল?
প্রার্থী: কেন, পাগল ছাড়া কি এই পোস্টে কাউকে নেন না বুঝি?

 

▶ খদ্দের ও দোকানদারের কথা হচ্ছে...
খদ্দের: আপনি বলেছিলেন, এই পাখি যা শুনবে তা হুবহু বলতে পারবে। কিন্তু কই?
দোকানদার: একদম সত্যি বলেছি স্যার। কিন্তু স্যার, এই পাখিটি একদম কানে শুনে না।