বাংলাদেশে শহিদ আবু সাঈদের নাম বললে তার সঙ্গে আর কিছু যুক্ত না করলেও চলে। কারণ ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর আবু সাঈদ যেন দ্রোহের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ গত বছরের ১৬ জুলাই তার আত্মত্যাগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের মোড় ঘুরে গিয়েছিল। দুই হাত প্রসারিত করে পুলিশের গুলির সামনে তার বুক পেতে দেওয়ার ওই ঘটনা ক্ষোভের আগুন জ্বালিয়েছিল ছাত্র-জনতার মনে। তারই পথ ধরে কোটা আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ব্যাপক গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। আবু সাঈদের আত্মত্যাগের এই দিনটিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আজ ‘জুলাই শহিদ দিবস’ ঘোষণা করেছে। এ উপলক্ষে আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হবে।
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র ছিলেন আবু সাঈদ। স্নাতকের সব পরীক্ষা দেওয়া শেষ করেছিলেন তিনি। অপেক্ষায় ছিলেন ফল পাওয়ার। ছয় ভাই-তিন বোনের মধ্যে একমাত্র উচ্চশিক্ষায় ছিলেন তিনি। পরিবারে সবার প্রত্যাশা ছিল, পড়াশোনা শেষে আবু সাঈদ একদিন ভালো চাকরি করবে। পরিবারের হাল ধরবে। কিন্তু আবু সাঈদের কপালে ছিল চিন্তার ভাঁজ। দেশে সরকারি চাকরিতে আবার ফিরেছে কোটা ব্যবস্থা। তখনই বুঝেছিলেন- চাকরি পাওয়ার পথ অনেক কঠিন। তৈরি হলো নানা অনিশ্চয়তা। তখনই কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে তরুণদের মিছিলে যুক্ত হন তিনি। বেরোবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হিসেবেও ভূমিকা রাখেন তিনি। জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে প্রতিদিনই সক্রিয়ভাবে অন্যদের নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নিতেন আবু সাঈদ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে আন্দোলনের পক্ষে জনমত তৈরিতে অসংখ্য পোস্ট দেন। কোটাব্যবস্থায় বৈষম্য নিয়ে বিভিন্ন বইয়ের তথ্য দিয়ে গ্রাফ আকারেও তুলে ধরেন। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আমলে কোটাব্যবস্থার তুলনামূলক তথ্য উল্লেখ করে জনসাধারণকে আন্দোলন সমর্থনের আহ্বান জানান। পাশাপাশি আন্দোলনে অংশ নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্ধুদ্ধ করতেন তিনি। ৫৬ ভাগ কোটাব্যবস্থায় ভবিষ্যতে যে চাকরি মিলবে না সহজে তার বিশদ বর্ণনা দেন আবু সাঈদ। আন্দোলনকারীদের মনোবল বাড়াতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উক্তি শেয়ার করতেও দেখা যায় তাকে। সেরকম একটা উক্তি ছিল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর। সেটি ছিল এই রকম-‘না লড়তে পারলে বলো। না বলতে পারলে লেখো। না লিখতে পারলে সঙ্গ দাও। না সঙ্গ দিতে পারলে যারা এগুলো করছে তাদের মনোবল বাড়াও। যদি তাও না পারো, যে পারে, তার মনোবল কমিও না। কারণ, সে তোমার ভাগের লড়াই লড়ছে।’
আবু সাঈদকে সরকারের বিভিন্ন বাধার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতেও দেখা যায়। ১১ জুলাই তিনি লেখেন, ‘ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট, ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচন, ৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল। অতএব আঘাত করো না, প্রতিঘাত খুব ভয়ংকর হবে, আমরা আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নিতে জানি।’ একই সঙ্গে সরকারকে আন্দোলনকারীদের ভুল না বুঝে কোটা ১০ ভাগ রাখলেও ছাত্রসমাজ মেনে নেবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আবু সাঈদ ছিলেন সাধারণ পরিবারের ছেলে। পোশাক-চালচলনে ছিল না কোনো আভিজাত্যের ছাপ। সংগ্রামে ভরা ছিল তার শৈশব, কৈশোর। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সুযোগ পান উচ্চশিক্ষার। শত প্রতিকূলতার মাঝে এসএসসি-এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া আবু সাঈদ ছিলেন তার লক্ষ্যে অবিচল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ভালো চাকরিতে যোগ দেওয়ার প্রত্যয়। ৫ জুলাই আবু সাঈদ লেখেন, ‘এই আন্দোলন শুধু আমাদের জন্য নয়। এটা আপামর জনসাধারণের গণ-আন্দোলন। কেননা আজকে যে ভাই রিকশা চালায় বা সবজি বিক্রি করে সেই ভাইও স্বপ্ন দেখে তার সন্তান বড় হয়ে একটা ভালো চাকরি করবে। কিন্তু এভাবে মেধাবীদের পথ আটকে দিলে আমার মতো এই বাংলার সব সাধারণ মানুষের স্বপ্ন মরে যাবে।’
আবু সাঈদের দুনিয়ার যাত্রা যে শেষ হচ্ছে দ্রুত সেটা নিজেই হয়তো বুঝে গিয়েছিলেন! তার বেশ কয়েকটি ফেসবুক পোস্টে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার স্পৃহা দেখা গেছে। মুষ্টিবদ্ধ হাতের স্টিকার দিয়ে আবু সাঈদ লেখেন- ‘সব থেকে যেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হলো আপনি ন্যায়ের পক্ষে না অন্যায়ের পক্ষে। অন্যায়ের পক্ষে থেকে ১০০ বছর বাঁচার চেয়ে ন্যায়ের পক্ষে থেকে মরে যাওয়া অধিক উত্তম, সম্মানের, শ্রেয়।’
তার সর্বশেষ পোস্ট ছিল ছাত্রদের জন্য প্রাণ দেওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শামসুজ্জোহাকে নিয়ে। ১৫ জুলাই যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করল সেই কঠিন সময়ের কথা স্মরণ করে কী আকুতি! আবু সাঈদ লিখেছেন- স্যার! এই মুহূর্তে আপনাকে ভীষণ দরকার স্যার! আপনার সমসাময়িক সময়ে যারা ছিলেন সবাই তো মরে গেছেন, কিন্তু আপনি মরেও অমর। আপনার সমাধি, আমাদের প্রেরণা। আপনার চেতনায় আমরা উদ্ভাসিত। একজন ‘শামসুজ্জোহা’ হয়ে মরে যাওয়াটা অনেক বেশি আনন্দের, সম্মানের আর গর্বের।
১৬ জুলাই, ২০২৪ সাল। ঘড়ির কাঁটায় তখন আড়াইটার কাছাকাছি। দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রংপুর শহরে মিছিল বের করা হয়। যার সর্বাগ্রে ছিলেন আবু সাঈদ। তীব্র ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ তার স্লোগানে। মিছিল যখন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে আসে, তখনই বাধা দেন পুলিশ সদস্যরা। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পুলিশের তীব্র আক্রমণের মুখে ছত্রভঙ্গ হন আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশের রাবার বুলেট আর গুলির মুখে লাঠি হাতে প্রতিরোধ করতে থাকেন আবু সাঈদ। কোনোভাবেই পিছু হটছিলেন না। অদম্য মনোবলে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন দুই হাত প্রসারিত করে। পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে একপর্যায়ে বসে পড়েন সড়কেই। অন্যরা হাসপাতালে নেওয়ার পথেই নিভে যায় তার জীবনপ্রদীপ।
তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শুরু হয় কোটা আন্দোলনে মৃত্যুর মিছিল। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় তীব্র বিক্ষোভ। কাছাকাছি সময়ে চট্টগ্রামে প্রাণ হারান ছাত্রদল নেতা ওয়াসিম। এদিন সারা দেশে প্রাণ যায় ৬ জনের। এরই মধ্যে আবু সাঈদের গুলিতে আহত হওয়ার ফুটেজ বের হয়ে আসে। টার্গেট করে তার দেহে গুলি করার দৃশ্য সবাইকে নাড়া দেয়। ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। গণদাবিতে রূপ নেয় কোটা ইস্যু। পুলিশের সামনে দুই হাত প্রসারিত করে বুক পেতে দেওয়ার দৃশ্য ক্ষোভের আগুন বাড়ায়; যা পরে দাবানলে রূপ নেয়। সরকারের মন্ত্রীদের আবু সাঈদের মৃত্যু নিয়ে নানা মন্তব্যেও ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয় আন্দোলনকারীরা। তারা স্লোগান তুলে, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, আবু সাঈদ শুধু ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে দেশের জন্য প্রাণ দেওয়ার কথা বলেননি, সেটা বাস্তবে প্রমাণও করে গেছেন।
আবু সাঈদের মৃত্যু কোটা আন্দোলনকারীদের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে যায় পরবর্তী দিনগুলোতে। ধারাবাহিক আন্দোলনে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। আবু সাঈদের মৃত্যুই টার্নিং পয়েন্ট ছিল আন্দোলনের। যা প্রধান উপদেষ্টাসহ বিশ্লেষকদের মূল্যায়নে উঠে আসে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে গুরুত্বসহকারে স্মরণ করা হয় আবু সাঈদকে। পাঠ্যপুস্তকে তাকে নিয়ে লেখা যুক্ত করা হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে আবু সাঈদের নামে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নামকরণ করা হয়।
আবু সাঈদের মৃত্যুর তিন মাস পরেই প্রকাশিত হয় তার স্নাতক পরীক্ষার ফলাফল। যেখানে দেখা যায়, সিজিপিএ-৩.৩০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন আবু সাঈদ। মেধা তালিকায় তার অবস্থান ছিল ১৪। একই সঙ্গে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। বেঁচে থাকলে শিক্ষকতার সুযোগ ছিল এই মেধাবী শিক্ষার্থীর।
আজ ১৬ জুলাই যা ঘটেছিল
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই। এই দিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হামলা, সংঘর্ষে ৬ জন প্রাণ হারান। রাজধানী ঢাকায় ২ জন, চট্টগ্রামে ৩ জন এবং রংপুরে ১ জন প্রাণ হারান। গুলিবিদ্ধসহ পাঁচ শতাধিক আহত হন। মোতায়েন করা হয় বিজিবি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ক্যাম্পাস সংলগ্ন চানখাঁরপুলেও ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঢাকার সাইন্সল্যাব ও ধানমন্ডিতে সবুজ আলী ও শাহজাহান নামে গুলিতে নিহত হন দুজন। চট্টগ্রামে ওয়াসিম একরাম, ফয়সাল ও ফারুক নিহত হন। রংপুরে প্রাণ হারান আবু সাঈদ। এ দিন মহাখালীতে রেললাইন অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। কিশোরগঞ্জ, ঝিনাইদহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করা হয়।
জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় শোক পালন আজ
‘জুলাই শহিদ দিবস’ উপলক্ষে আজ ১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় শোক পালন করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের সব সরকারি, আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। আজ শহিদদের মাগফিরাতের জন্য বাংলাদেশের সব মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তাদের আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
জুলাই শহিদ দিবসে বেরোবিতে যাচ্ছেন ৪ উপদেষ্টা
রংপুর প্রতিনিধি জানান, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ১৬ জুলাই পালিত হচ্ছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রথম শহিদ আবু সাঈদের শাহাদতবার্ষিকী ও ‘জুলাই শহিদ দিবস’। দিনটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন অন্তর্বর্তী সরকারের চার উপদেষ্টা। দিনটি ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও এ উপলক্ষে আজ রংপুরের পীরগঞ্জে যাচ্ছেন। দলগুলোর সেখানে ভিন্ন ভিন্ন কর্মসূচি রয়েছে।
বেরোবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন আবু সাঈদের বাবা। যে চার উপদেষ্টা অতিথি হিসেবে থাকবেন তারা হলেন- আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের এবং বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. তানজীমউদ্দীন খান।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বেরোবি ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৬টায় আবু সাঈদের গ্রামের বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার জাফরপাড়ার বাবনপুর গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা, সকাল সাড়ে ৭ টায় শহিদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত, সকাল সোয়া ৯টায় কালোব্যাজ ধারণ ও শোক র্যালি, সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ আবু সাঈদ তোরণ ও মিউজিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, সোয়া ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শহিদ আবু সাঈদ চত্বরে আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা, বেলা সাড়ে ৩টায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বাদ আসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকাত আলী জানান, আবু সাঈদের শাহাদতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে থাকবেন চার উপদেষ্টা। এ ছাড়া আরও ২১ শহিদ পরিবারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়া আজ পীরগঞ্জের জাফর পাড়ার বাবনপুরে শহিদ আবু সাঈদ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ওই এলাকার সকল মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
জুলাই ঘোষণাপত্র ও উন্নয়ন বঞ্চিত রংপুরকে এগিয়ে নিতে নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে রংপুর মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জেলার বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা করবেন।