একটু বেশি বৃষ্টি হলেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক উপকূলের নিম্নাঞ্চলের মতো প্লাবিত হয়। পানি নিষ্কাশনব্যবস্থায় গলদ থাকায় এসব সড়কে দীর্ঘ সময় ধরে পানি জমে থাকে। আর এতে মানুষের এবং যানবাহন চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে। হাঁটু পর্যন্ত পোশাক তুলে ও জুতা খুলে হাতে নিয়ে হাঁটতে হয়। সড়কের পাশের বাসাবাড়ির নিচতলা এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে যায়। বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজধানীতে বসবাসকারী বিভিন্ন এলাকার মানুষ যেন মাঝে মাঝে উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চলে বসবাসের অনুভূতি পাচ্ছেন। চরম ভোগান্তি পোহালেও এসব এলাকার বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না স্থায়ী সমাধান। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এবং সেসব এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জুরাইনের একটি মিষ্টির দোকানের ব্যবসায়ী বলেন, ‘বেশি বৃষ্টি হলে দোকানে পানি ঢুকে যায়। সড়কের পাশের বাসাগুলোর নিচতলায়ও পানি ঢুকে পড়ে। সড়ক দিয়ে গাড়ি চলাচলের সময় সৃষ্ট ঢেউয়ে আরও বেশি পানি ঢুকে পড়ে। বৃষ্টি থামলে বালতি বা গামলা দিয়ে পানি সেচে বের করতে হয়। একটু বেশি বৃষ্টি মানেই আমাদের জন্য চরম দুর্ভোগ।’

রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন পূর্ব জুরাইনের ২৪ ফিট থেকে চেয়ারম্যান বাড়ি, কমিশনার মোড়, মিষ্টির দোকান হয়ে জুরাইন মেইন সড়ক পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই হাঁটুপানি জমে যায়। পানি নামতে দীর্ঘ সময় লাগে। শনির আখড়া থেকে ২৪ ফিট যেতে জাপানি বাজারের পর ৬ নম্বর সড়কের মুখের একটু আগে থেকেই ৭, ৮ এবং ৯ নম্বর সড়কে প্রবেশমুখসহ ২৪ ফিট পর্যন্ত সড়ক বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়।
পূর্ব জুরাইনের বাসিন্দা সবুজ বলেন, ‘বৃষ্টি হলে বাইক নিয়ে বের হওয়া মুশকিল। যদি দিনভর বৃষ্টি হয়, তখন হাঁটুসমান পানি হয়ে যায়। সে জন্য বৃষ্টি হলে ভয়ে থাকি।’
জুরাইন রেলগেট থেকে দয়াগঞ্জ যেতে গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের সড়কের খানাখন্দে বেশির ভাগ সময়ই পানি জমে থাকে। এখানকার পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। সড়কের পানি শুকায় সূর্যের তাপে আর গাড়ির চাকায়। রেলস্টেশনের দিকে যেতে এখানে একটি আন্ডারপাসের কাজ চলমান। এর একটু সামনে দয়াগঞ্জের দিকে যেতে দেখা গেছে- পানি নিষ্কাশনের মুখগুলো সড়কের চেয়ে উঁচু। ফলে বৃষ্টির পানি নামতে পারে না। যেদিক দিয়ে পানি নামে, সেসবের মুখ কাদায় আটকে গেছে।

জুরাইনের রেলগেট থেকে গুলিস্তান সড়কে চলাচলকারী লেগুনাচালক হাসান বলেন, ‘গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের সামনের এই সড়কের পানি খুব কম সময়ই শুকায়। খানাখন্দের এই পানি হয়তো শুকনা মৌসুমে কিছুদিন থাকে না। আর বছরের ১০ মাসই এখানে পানি থাকে। এই জায়গা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে আমাদের খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেশি পানি হলে তখন রাস্তা বোঝা যায় না। অনেক সময় খানাখন্দে গাড়ির চাকা আটকে যায়। তখন পানির মধ্যে যাত্রী নামিয়ে দিতে হয়। যাত্রীরাও বকাঝকা করেন। পরে আমাদের লোকজন নিয়ে এসে গাড়ি ঠেলে তুলতে হয়। ওই পাশে পাইপ-রাস্তার অবস্থাও খুব খারাপ।’
ইত্তেফাকের মোড় থেকে মানিকনগরের দিকে যেতে গোপীবাগের একটি অংশে, টিকাটুলী ফুটওভার ব্রিজ থেকে বামের সড়কে কিছু দূর যাওয়ার পর সোজা সেন্ট্রাল উইমেন কলেজ রেখে সামনের মোড়ে পানি জমে থাকে। বেশি বৃষ্টি হলে ব্যাংকপাড়া হিসেবে পরিচিত মতিঝিলের মূল সড়কেই পানি জমে যায়। নিউ মার্কেট সড়কে জমে হাঁটুসমান পানি। প্লাবিত হয় শাহজাহানপুরের বিভিন্ন অলিগলি।
আগারগাঁওয়ে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাসিমা রাজ্জাক যুঁথি বলেন, ‘আমার বাসা মীরপুর-১ নম্বরে। আমি মীরপুর-১০ নম্বর হয়ে যাতায়াত করি। বৃষ্টি হলে শেওড়াপাড়া, মিরপুর-১০ নম্বর মোড় থেকে ২ নম্বরের দিকে যেতে, মীরপুর-১ নম্বরে চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে, মিরপুর নিউ মার্কেটের সামনে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা সালমা শান্তা জানান, একটু বৃষ্টি হলেই মিরপুর রোডের ধানমন্ডি‑২৭ নম্বরের সিগনালে পানি জমে যায়। এ ছাড়া পান্থপথের দিকেও পানি জমতে দেখেছেন তিনি।
কাঁঠালবাগান ঢালে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। আর বেশি বৃষ্টি হলে নিচতলার বাসাগুলোতে পানি ঢুকে যায়। এখানকার বাসিন্দা মুন বলেন, ‘আমার বাসায় তো সামান্য বৃষ্টি হলে পানি ঢুকে যায়। তখন আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।’
উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, জয়নাল মার্কেটের পাশে, রেললাইনের পাশে, ফায়দাবাদ ও আটিপাড়ায় পানি জমে যায়।

রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে সড়কে কোথাও সামান্য, কোথাও বেশি কাদা থাকে। রাজধানীর বেশির ভাগ সড়ক পরিষ্কার নয়। এর চেয়ে গ্রামের অনেক সড়কও বেশি পরিষ্কার। এসব কাদামাটি ও রাস্তায় ফেলে দেওয়া পলিথিন একসময় গিয়ে পানি নিষ্কাশনের মুখ বন্ধ করে দেয়। নিয়মিত রাজধানীর সড়ক পরিষ্কার করলে কাদা কম হতে পারে বলে মনে করেন অনেকে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, পানি জমে থাকার কারণ হচ্ছে খালগুলোর ন্যাচারাল সংযোগ নেই। ঢাকাকে বাঁচাতে হলে খালগুলো ‘কাগজ থেকে বাস্তবে’ ফিরিয়ে আনতেই হবে। তা না হলে জলাবদ্ধতা, ডেঙ্গু, পরিবেশ দূষণ- সব সমস্যাই বাড়বে।
তাদের মতে, খাল পুনরুদ্ধার ছাড়া ঢাকার জলাবদ্ধতা ও পরিবেশ সংকট মোকাবিলা সম্ভব নয়। খাল বাঁচানো গেলে শুধু পানি নিষ্কাশনই নয়, শহরেও প্রাণ ফিরবে।
জানা গেছে, ঢাকায় একসময় ৫০টিরও বেশি খাল সচল ছিল। চারপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর সঙ্গে সংযুক্ত ছিল ওই খালগুলো। রাজধানীর পানি নিষ্কাশনের প্রধান ভরসা ছিল এই খালগুলো। কিন্তু দখল, দূষণ, অব্যবস্থাপনা আর নজরদারির অভাবে বর্তমানে অনেক খাল শুধু নামেই টিকে আছে। বাস্তবে সেখানে উঠে গেছে মার্কেট, গুদাম, ভবন কিংবা বস্তি! একসময় খালগুলোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল ওয়াসার হাতে। বছরের পর বছর ধরে এই সংস্থা কার্যকর কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় খাল রক্ষায় বড় ব্যর্থতা দেখা দেয়। ২০২০ সালের দিকে ওয়াসা থেকে খাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশনের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।
সিটি করপোরেশনের হিসাবে এখন দখল-দূষণে সংকটাপন্ন ২৬টি খাল টিকে আছে। তাহলে বাকি খালগুলো কোথায় গেল? গেন্ডারিয়া খাল, মুগদা খাল, ধোলাই খাল ও শ্যামপুর খাল এখন কাগজে রয়ে গেলেও বাস্তবে তার অস্তিত্ব নেই। রূপনগর খাল, প্যারিস খাল, ইব্রাহিমপুর খাল, কালশী খাল, কাঁটাসুর খাল, রামচন্দ্রপুর খাল, কল্যাণপুর খাল এবং বাউনিয়া খাল- এগুলোর অধিকাংশই এখন আর তাদের স্বরূপে নেই। একসময় যৌবন ছিল পান্থপথ খালের, যা ধানমন্ডি লেক ও হাতিরঝিলকে সংযুক্ত করত। এই খালটি এখন শুধুই অতীত।
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতাকে জলাবদ্ধতার একটি অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান।
তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘বস্তুত খাল, জলাশয় বা জলাভূমি সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত আমাদের নগর কর্তৃপক্ষগুলো বিগত দিনে তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে লোকবলের অভাবসহ নগর সংস্থাগুলোর অন্যান্য যুক্তির কোনো অভাব ছিল না। অথচ আধুনিক প্রযুক্তি, জিআইএস, স্যাটেলাইট ইমেজ অ্যানালাইসিস, ওয়াটার মডেলিং প্রভৃতি নগর পরিকল্পনার আধুনিক ধারণা প্রয়োগের মাধ্যমে খাল দখলদারদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া নগর কর্তৃপক্ষগুলোর পক্ষে সম্ভব ছিল। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর উদাসীনতা, দখলদারদের সঙ্গে গোপন আঁতাত কিংবা শক্তিশালী বলয়ের প্রভাবে নির্লিপ্ত আচরণ- এসব ছিল তাদের ব্যর্থতার মূল কারণ।’
তিনি আরও বলেন, অপ্রতুল নগর অবকাঠামো নিয়ে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা এ শহর ক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ ভবন ও মানুষকে ধারণ করে আছে, বিপরীতে জলাশয় ও সবুজ এলাকার পরিমাণ অতি অল্প। ফলে নগর পরিকল্পনার প্রকৃত অনুশীলনের মাধ্যমেই সিটি করপোরেশন ও নগর সংস্থাগুলোকে জলাবদ্ধতার সমাধান খুঁজতে হবে। নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে নগরসংশ্লিষ্ট যেকোনো সমস্যা সমাধানের অনেক উপাদান থাকে।
এই পরিকল্পনাবিদ মনে করেন, ঢাকার খালগুলো সিটি করপোরেশনের হাতে হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত ঢাকার জলজট সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে একটি প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ। পাশাপাশি ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা, প্রকৌশল, ব্যবস্থাপনা, সামাজিক, আইনগত, পরিবেশগত, জনমিতিগত, জনসচেতনতামূলক, সুশাসন, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক প্রভৃতি অনুষঙ্গভিত্তিক সমাধানের বাস্তবভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ ও তদনুযায়ী বাস্তবায়নের মধ্যেই ঢাকার জলজট সমস্যার কার্যকরী সমাধান নিহিত। সিটি করপোরেশনের কার্যকর নেতৃত্বে ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা প্রণয়নের মাধ্যমেই ঢাকার জলজট সমস্যা সমাধানের এসব উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যকর সম্ভব।
এদিকে খাল উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও বাস্তবে এসব অভিযান সীমিত এবং অকার্যকর বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। কেউ কেউ মনে করেন, এখন ওয়াসার স্যুয়ারেজের লাইন বসানোর কাজ জলাবদ্ধতার কারণ হতে পারে। বিশেষ করে যদি ড্রেনেজব্যবস্থা ত্রুটিপূর্ণ থাকে বা কাজের সময় সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হয়।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া খবরের কাগজকে বলেন, ‘জলাবদ্ধতা নিরসনের ক্ষেত্রে ওয়াসার তেমন কার্যক্রম নেই। স্যুয়ারেজ লাইনে কোথাও জ্যাম থাকলে তা নিরসন করে ক্লিয়ার করা হয়। সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, নিউ মার্কেট ও শাজাহানপুর এলাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে। নিউ মার্কেটের একটি ড্রেনেজ লাইন ছিল, যা বিডিআর বন্ধ করে রেখেছে। সেই ড্রেনেজ দিয়ে নিউ মার্কেটের পানি নিষ্কাশন হতো। আমরা তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। সেই লাইন আবার চালু হলে পানি আর জমে থাকবে না।’ শাজাহানপুরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে কিছু ড্রেন বন্ধ ছিল। সেগুলো খুঁড়ে চালু করার কাজ চলছে। চালু হয়ে গেলে পানি আর জমে থাকবে না।
জলাবদ্ধতার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চলা অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। তিনি খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের আওতাভুক্ত প্রধান সড়কে এখন আর পানি জমে না। কারণ সংশ্লিষ্ট এলাকা চিহ্নিত করে পরিকল্পনার মাধ্যমে কাজ করা হয়েছে। এ জন্য ১২২ কিলোমিটার খাল পরিষ্কার ও খনন করা হয়েছে। আরও ৫০-৬০ কিলোমিটার খাল খনন করা হবে। তবে অলিগলির জলাবদ্ধতা দূর করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। বহু খাল উদ্ধার করতে হবে।’
জলাবদ্ধতার নিরসনে রাজনৈতিক সহযোগিতার প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, গলিতে পানি জমার প্রধান কারণ মানুষজন ও হকাররা পানি নিষ্কাশন ড্রেনেজের ঠিক মুখে ময়লা-অবর্জনা ফেলে রাখে। মাঝেমধ্যে ড্রেনের ভেতরও আবর্জনা ঢুকিয়ে রাখে। তাদের উচ্ছেদ করলে রাজনৈতিক প্রভাবে তারা আবার সেখানে বসে এবং ড্রেনেজ ময়লা করে। বিনিময়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা সুবিধা নেন। এসব নিরসনে রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়।