সুনামগঞ্জের বোগলাবাজার ও ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই চেয়ারম্যানেরই নাম মিলন খান। শুধু চেহারা ও শারীরিক গঠন ছাড়া আর আনুষঙ্গিক সব বিষয়ে তাদের মিল রয়েছে। দুজনই প্রবাসফেরত। ২০২১ সালে উভয়ই প্রথমবার ভোটে জিতে চেয়ারম্যান হন। বর্ডার হাট ও গরুর হাটের ব্যবসার সঙ্গে দুজনই জড়িত। তবে তাদের একটি গোপন পরিচয় রয়েছে। দুজনই সীমান্ত পেরিয়ে আসা চোরাই চিনির কারবারে ভাগ বসিয়েছেন। একই নামের দুজনকেই নিজ নিজ এলাকার বাসিন্দারা আড়ালে ‘চিনি খান’ বলে ডাকেন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যঘেঁষা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুরের সীমান্তবর্তী এই দুই ইউনিয়নে দুটি বর্ডার হাট রয়েছে। বর্ডার হাট বসার সূত্র ধরে চোরাচালান বিস্তৃত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। দুটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চার মাসে সীমান্ত পথ দিয়ে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার চিনি চোরাচালান হয়েছে। তখন ছিল চিনি চোরাচালানের পিক টাইম। ঘটনাস্থল ঘুরে সিলেট ব্যুরোপ্রধান উজ্জ্বল মেহেদীর বিশেষ রিপোর্ট
মিলন খান। এক নামের দুই ইউপি চেয়ারম্যান। এক মিলন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, আরেকজন বিশ্বম্ভরপুরের ধনপুর ইউপির। নামের মতো তাদের ইউনিয়নের ভৌগোলিক অবস্থানেও মিল রয়েছে। দুটি ইউনিয়ন বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী। ওপারে মেঘালয় রাজ্যের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে পড়েছে বোগলা-ধনপুর। দুজনের নামের মিল কাকতালীয় হলেও তাদের কাজেও অনেক মিল। এসব মিলমিশের সর্বশেষ নজির হচ্ছে, দুজনের বিরুদ্ধে রয়েছে একই অভিযোগ। সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট সীমান্তপথে চিনির চোরাচালানে মিলন খান নামের এ দুই ইউপি চেয়ারম্যানের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
দুজনই প্রবাসফেরত। ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ার আগে ধনপুরের মিলন খান আফ্রিকাপ্রবাসী ছিলেন। আর বোগলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান মিলন খান ছিলেন যুক্তরাজ্যপ্রবাসী। ২০২১ সালের নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন দুজন। নিজ ইউনিয়নে উভয়েরই গরুর হাটের ব্যবসা আছে। বর্ডার হাট পরিচালনায়ও সম্পৃক্ত দুজন। সেখানেও রয়েছে দুজনের একচ্ছত্র আধিপত্য।
দুই মিলন একই রাজনৈতিক আদর্শের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদে আছেন বোগলার মিলন। ধনপুরের মিলন দলীয় কোনো পদে নেই। দুজনই পরিচয় দেন তারা সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের ‘লোক’।
অভিযোগ রয়েছে, দুই মিলন তাদের এলাকায় চোরাচালান ঠেকানোর নামে দিনের বেলায় নানা রকম প্রচার চালান। আর রাতে চোরাচালানে নিজেরাই জড়িয়ে পড়েন। ইউনিয়ন পরিষদের নামে চোরাচালানের বস্তাপ্রতি উৎকোচ নির্ধারণ করে দিয়েছেন তারা। ‘ইউপি-ফি’ নামে সেই টাকা উত্তোলন করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে চিনি চোরাচালানে দুই মিলনের সমান সক্রিয়তার বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যবেক্ষণ থেকে জানা গেছে। গোয়েন্দা তালিকায় দুটি ইউনিয়নের সঙ্গে তাদের নামও রয়েছে। নিজ এলাকায় দুজন ‘মিলন চেয়ারম্যান’ নামে পরিচিত হলেও চোরাচালান ও প্রভাব বিস্তারে তাদের ইউনিয়নের বাসিন্দারা কটাক্ষ করে আড়ালে দুজনকে ‘চিনি খান’ নামে ডাকেন!
রুট টু বোগলা-চিনাকান্দি
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের ১১ ও সুনামগঞ্জের ৫টি ইউনিয়নে ৫৭টি চোরাচালানের রুট রয়েছে। চোরাচালান চক্রে পুরো ইউনিয়ন বিস্তৃত কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, দোয়ারাবাজার ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাতটি। এর মধ্যে সুনামগঞ্জের দুটি হচ্ছে বোগলা ইউনিয়নের বোগলাবাজার ও ধনপুরের চিনাকান্দি। গত ৯ মাসের চোরাচালান পর্যবেক্ষণ পরিস্থিতি সূত্রে জানা গেছে, বোগলা থেকে চিনাকান্দি রুটটি ভারতের মেঘালয় রাজ্যের বালাটের সঙ্গে যুক্ত। বোগলার ওপারে ভারতের রেঙ্গা সীমান্ত এলাকা। চিনাকান্দির ওপারে রয়েছে রাঙাছড়া। ভারতের দুই এলাকা থেকে নেমে এসেছে দুটি সীমান্ত নদী। বোগলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে খাসিয়ামারা, ধনপুরে মনাইছড়া।
জানা গেছে, এ দুটি নদী ঘিরেই চোরাচালানির রুট। এ পথে পশুসহ নানা ধরনের পণ্য বছরজুড়ে নামে। এর মধ্যে চিনি চোরাচালান শুরু হয় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা গেছে, ধনপুর ইউনিয়ন থেকে রাজাপুর, মাছিমপুর, তাহিরপুরের লাউড়েরগড় ও দিঘারতলা সীমান্তের চোরাই পথ নিয়ন্ত্রিত হয়। বোগলা ইউনিয়ন থেকে নিয়ন্ত্রণ হয় পেকপাড়া, ইদিকুনা, কইয়ারাজুরি, কলাউড়া, বাঁশতলা, মুকামছড়া, লক্ষ্মীপুরের ভাঙাপাড়া, মাঠগাঁও এলাকা। দুই ইউনিয়নে দুটি বর্ডার হাট বসার সূত্র ধরে চোরাচালান বিস্তৃত হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। দুটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের হিসাবে অক্টোবর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত চার মাসে সীমান্তপথ দিয়ে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার চিনি চোরাচালান হয়েছে।
‘চিনি খান’ যেভাবে
সুনামগঞ্জ জেলায় তিনটি বর্ডার হাট রয়েছে। প্রথমটি সুনামগঞ্জ সদরের ডলুরা। এই হাটের সঙ্গে ভারতের বালাট সীমান্ত এলাকা সংযুক্ত। দ্বিতীয় বর্ডার হচ্ছে বোগলার বাগানবাড়ি। এ হাটের সঙ্গে যুক্ত মেঘালয় রাজ্যের রিংকু এলাকা। তৃতীয় বর্ডার হাট তাহিরপুর সীমান্তের লাউড়েরগড়। এ হাটে ভারতের পশ্চিম হিল সীমান্তের সায়েদাবাদ যুক্ত। অবস্থানগত কারণে লাউড়েরগড় ও ডলুরা হাটের একাংশ নিয়ন্ত্রিত হয় ধনপুর ইউনিয়ন থেকে। আর বাগানবাড়ি হাট পুরোটাই বোগলা থেকে।
স্থানীয় ইউপি সদস্যরা বলছেন, বর্ডার হাট পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে ধনপুর ও বোগলার মিলন জড়িয়ে পড়েন চোরাই কারবারে। সরেজমিন অনুসন্ধানে বিভিন্ন মাধ্যমে চিনি চোরাচালানের একাধিক ভিডিও এ প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। এসব ভিডিওর মধ্যে অধিকাংশ বোগলা ও চিনাকান্দি এলাকার। প্রতি বৃহস্পতিবার বর্ডার হাটবার শেষে রাতভর চলে চোরাই পণ্যের লেনদেন। এ সময় চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের মধ্যে কেবল চিনির আদান-প্রদান হয়।
বর্ডার হাটের জন্য কাভার্ড ভ্যানে থাকে বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী। এসব পণ্যের প্রতিটি কনটেইনারে ‘ইউপি-ফি’ নামে ৮০ টাকা নেওয়া হয়। চিনির বস্তাপ্রতি ‘লাইন খরচ’ বাবদ যে ৩০০ টাকা উত্তোলনের রেওয়াজ রয়েছে, সেখান থেকে ৭০ টাকা রাখা হয় ইউপি চেয়ারম্যানের নামে। নিজ ইউনিয়নে পশুর হাটে নিজের ব্যবসায়িক নিয়ন্ত্রণ রয়েছে দুজনের। বর্ডার হাটে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই চেয়ারম্যানের লোকদের মধ্যে প্রায়ই বিবাদ হয়।
গত ১৪ এপ্রিল দিনে ও রাতে বিশ্বম্ভরপুরের পলাশ থেকে চিনাকান্দি হয়ে ধনপুরের স্বরূপগঞ্জ বাজারে গিয়ে সরেজমিনে চোরাচালান-চিত্র দেখা গেছে। এ সময় চোরাই চিনি পরিবহনের জন্য পলাশবাজারে রাতের বেলা রীতিমতো ট্রাকের যানজট লেগে যায়। স্বরূপগঞ্জ ও পলাশবাজারে সরেজমিন অবস্থানকালে একাধিক ব্যক্তিকে তখন মিলনকে ‘চিনি খান’ বলে অভিহিত করতে দেখা গেছে।
২৮ মে ছাতকের নোয়ারাই হয়ে বাংলাবাজার ও বোগলাবাজার ঘুরে ‘ইউপি-ফি’ উত্তোলন-চিত্র প্রায় প্রকাশ্যেই দেখা গেছে। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে দুটি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের নির্ধারিত কক্ষ। বিভিন্ন সূত্রসহ সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জানা গেছে, দুই ইউপি চেয়ারম্যান সপ্তাহান্তে ১৫ থেকে ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন কেবল চোরাচালানের নিরাপদ পথনির্দেশনা থেকে। এর মধ্যে বোগলা ইউপি চেয়ারম্যান মিলন খানের একটি সমবায় সমিতির মাধ্যমে চোরাই কারবারে আর্থিক বিনিয়োগ রয়েছে। গত ৯ মাসে সমিতির মাধ্যমে ৬ কোটি টাকার বিনিয়োগ থেকে চক্রবৃদ্ধি সুদের হারে টাকা আদায় হয়েছে। চোরাই চিনি খাতে আর্থিক বিনিয়োগের জন্য মিলন খানের আরেক পরিচিতি ‘চিনি খান’।
পছন্দ ‘ক্যাশ’ টাকা
দুই চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজনদের মাধ্যমে জানা গেছে, তাদের হাতে প্রচুর ক্যাশ টাকা রয়েছে। চোরাকারবার নিয়ন্ত্রণে যখন তখন টাকার দরকার পড়ে বলে ক্যাশ টাকা নিয়েই ঘোরেন তারা। বোগলার মিলন খানের ক্যাশ টাকার কিছু অংশ সংরক্ষিত রয়েছে সমবায় সমিতিতে। এ সমিতি চক্রবৃদ্ধি সুদের সমিতি। নাম ‘স্বপ্ন’। ২০২১ সালের নির্বাচনে মিলন খান বোগলা ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রথমবার অংশ নিয়ে হেরে যান। ২০১৬ ও ২০২১ সালের মধ্যবর্তী সময়ে তিনি ‘স্বপ্ন’ নামের সমবায় সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। এখন অবশ্য এটা অনেকটা গুটিয়ে রেখেছেন। ‘স্বপ্ন’সংশ্লিষ্ট দুজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে ‘স্বপ্ন’ কার্যক্রমকে ‘সুদের জাল’ বলে চিহ্নিত করেন। তারা বলেন, ‘মিলন চেয়ারম্যান ভোটে জিতেছেন স্বপ্নের জাল ফেলে। এখন এটি গুটিয়ে এককভাবে চোরাচালানে নিমজ্জিত করে রেখেছেন। তার ক্যাশ টাকার শক্তি এটিই।’
‘আমার ইউনিয়ন চোরাচালানমুক্ত’
দিনের বেলা অনেক চেষ্টা করেও দুজনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বোগলা ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মিলন খানের ফোন নম্বরে কল ঢুকলেও ফোন রিসিভ হচ্ছিল না। স্থানীয় একজন সংবাদকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার ফোনের মাধ্যমে সরাসরি কথা হয়।
গরু নিয়ে জানতে চাইলে মিলন বিস্তারিত মন্তব্য করলেও চিনি প্রসঙ্গ তুললেই তার কথা বলার ধরন পাল্টে যায়। জবাব দেন সংক্ষিপ্ত। ফোন রেখে দেওয়ার তাগাদা দিয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে এলাকায় আসার আমন্ত্রণ জানান। ‘চিনি খান’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কতজনই তো কত কথা কয়! এসব শুনলে কাজ করা যায় না।’
বর্ডার হাট ও স্থানীয় গরুর হাটে প্রভাব বিস্তারের বিষয়টি মিলন অস্বীকার করেন। বলেন, ‘আমি নিজে দেখেছি, দেশি গরু প্রতিপালন করে আমাদের হাটে গরু তোলা হয়। একটা গরুও ইন্ডিয়ান পাবেন না। আমার ইউনিয়ন চোরাচালানমুক্ত আছি, এটাই। এর বেশি কিছু নাই।’
কথা বলার সময় মিলন তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এড়িয়ে যান। ‘স্বপ্ন’ নামের সমিতির বিষয়টিও এড়িয়ে যেতে কথা বলার মধ্যেই তিনি ফোন কেটে দেন।
‘কে কয় চিনি খাই?’
ধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিলন খানও দিনের চেয়ে রাতে বেশি ব্যস্ত থাকেন। মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ফোন করলে তিনি জরুরি একটি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে ১০ মিনিট পর ফোন দিতে বলেন। এরপর ১০ মিনিট গড়িয়ে আধা ঘণ্টা পর ফোন দিলে তাকে ব্যস্ত পাওয়া যায়। শেষে রাত ৯টা ৫৭ মিনিটে ফোনে কথা বলা সম্ভব হয়।
বোগলার মিলনের মতো ধনপুরের মিলনেরও দাবি, তার এলাকায় আগে চোরাচালান হতো, এখন হয় না। কেন হয় না? এ প্রশ্নে বলেন, ‘মুক্ত করে রাখছি!’ তিনি জানান, এক-দুই মাস তার ইউনিয়নে চিনির চোরাচালান হয়েছিল। এরপর চিনির সঙ্গে মাদক ও অস্ত্র আসার বিষয়টি তিনি নিজে দেখে এসব বন্ধ করে দিয়েছেন। লোকমুখে ‘চিনি খান’ প্রসঙ্গে মিলন বলেন, ‘কে কয় আমি চিনি খাই? খাই না বইলাই কয়। আপনি এত কিছু কই থাকি পাইলেন! সব ভুয়া কথা।’
বর্ডার হাট দেখিয়ে চোরাচালান হচ্ছে- এ প্রশ্নে তিনি কিছুটা রেগে যান। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নাম ধরে বলেন, ‘এগুলো তারাই বিভ্রান্ত করে। কিছু চোরাচালান হইতেছে, এসব রাইতের দুইটা-তিনটায়। আমি তখন ঘুমিয়ে থাকি। প্রচুর চেষ্টা করতাছি ভাই! পারতাছি না। এই কদিন আগে ডলুরায় মারামারি পর্যন্ত অইছে।’
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কড়া হুঁশিয়ারি
সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল হুদা মুকুটের সঙ্গে দুই মিলন খানের বিষয়ে কথা হয়। তিনিও জানান, এ দুজনের বিরুদ্ধে সীমান্তে চোরাচালানসহ নানা অভিযোগ শোনা যাচ্ছে। স্থানীয় রাজনীতিতে দুই মিলন তার ‘লোক’ পরিচয় প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে জেলা পরিষদের সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের যোগাযোগ তো থাকেই। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজনৈতিক কারণে সব জনপ্রতিনিধিই তো আমার লোক। তবে এই পরিচয়ে কোনো ক্রাইম বরদাশত করব না। কারও ব্যক্তিগত অপরাধের দায় আমি বহন করব না। আওয়ামী লীগও বহন করবে না।’