বাংলাদেশ রেলওয়ের সেবা বিস্তৃতিতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুরু হওয়া ছয়টি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে কোনো কোনোটির মেয়াদ ফুরালেও এখনো চলছে সম্ভাব্যতা যাচাই। গত ১০ বছরে দুইটি প্রকল্পের কাজই শুরু করা যায়নি, কাজ শুরু হলেও বন্ধ আছে তিনটি প্রকল্প। সব মিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার ৭৮৮ কোটি টাকার কাজ ঝুলে গেছে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারতীয় ঋণ বা লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় রেলের মোট প্রকল্প রয়েছে ছয়টি। এর মধ্যে কাজ শেষ হয়েছে খুলনা-মোংলা রেলপথের। সেটিও কয়েকবার সময় বাড়িয়ে শেষ করা হয়েছে। অন্য প্রকল্পগুলো হলো বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ রেলপথ প্রকল্প, কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইন পুনঃস্থাপন প্রকল্প, ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প, খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন প্রকল্প, পার্বতীপুর-কাউনিয়া ডুয়েল গেজ লাইন প্রকল্প।
এলওসি ঋণের শর্তে বলা হয়েছে, প্রকল্পগুলোর ৭৫ শতাংশ অর্থায়ন আসবে ভারত থেকে, বাকি ২৫ শতাংশ দেবে বাংলাদেশ। আর ভারতীয় ঋণের সব প্রকল্পের অর্থ দেবে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। চুক্তি অনুসারে ৭৫ শতাংশ পণ্য-সেবা ভারত থেকে আমদানি করতে হবে, বাকি ২৫ শতাংশ পণ্য-সেবা ভারতের বাইরে থেকে কেনা যাবে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর রেলের এসব প্রকল্পের কাজে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা। কারণ ভারতের ঋণে চলমান প্রকল্পের ঠিকাদাররা নিরাপত্তার কারণে ৫ আগস্টের পর ভারতে চলে গেছেন। তারা কবে এসে প্রকল্পের কাজে যুক্ত হবেন, তা নিশ্চিত নয় বাংলাদেশ রেলওয়ে।
জানা গেছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান রেলওয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে রেলওয়ের এলওসি প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি।
এদিকে এলওসি প্রকল্পের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব প্রকল্পের বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য জানতে চেয়ে প্রকল্প কর্মকর্তারা একাধিক চিঠি দিলেও ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জবাব দেয় না সময়মতো। তা ছাড়া অর্থছাড়েও কালক্ষেপণ করে ভারতের কর্তৃপক্ষ। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, এলওসি প্রকল্পের প্রতিটি ধাপে অনুমোদনের শর্ত দিয়েছে ভারত। ভারতীয় ঠিকাদার ও পরামর্শক নিয়োগের বাধ্যবাধকতাও দিয়েছে দেশটি।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ প্রকল্প, সাড়া দিচ্ছে না ভারতের এক্সিম ব্যাংক
২০১৮ সালের ১ আগস্ট শুরু হয় ভারতের এলওসির আওতায় বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ। ২০২৩ সালের জুনে এই প্রকল্পের মেয়াদ ফুরানোর কথা থাকলেও এক বছর বাড়িয়ে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। পরে সময় আরও বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, ৫ হাজার ৫৭৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের ৩ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দেবে ভারত।
প্রকল্প কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই প্রকল্পের ঋণের অর্থছাড় নিয়ে ভারতের এক্সিম ব্যাংককে চিঠি দিলেও তারা এখন পর্যন্ত কোনো চিঠির উত্তর দেয়নি। এখন পর্যন্ত পাঁচটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। শর্ত মোতাবেক এলওসির আওতাভুক্ত হওয়ায় প্রাথমিক ঠিকাদার নির্বাচন করবে এক্সিম ব্যাংক। ওই ব্যাংক ঠিকাদারদের সংক্ষিপ্ত তালিকা দিলে দরপত্র আহ্বান করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলওয়ে গত বছরের অক্টোবরে ঠিকাদারদের সংক্ষিপ্ত তালিকার জন্য ভারতকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো জবাব আসেনি। ফলে প্রকল্পটি কবে শেষ হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বগুড়া-সিরাজগঞ্জ ডুয়েল গেজ রেলপথ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম ফিরোজী জানিয়েছেন, ভূমি অধিগ্রহণ মাঝামাঝি পর্যায়ে রয়েছে। সব ধরনের কাগজপত্র ভারতের এক্সিম ব্যাংককে পাঠানো আছে। ঋণ ছাড় হলে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হবে।
চার দফায় মেয়াদ বাড়িয়েও শেষ হয়নি কুলাউড়া-শাহবাজপুর প্রকল্প
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথে বিদ্যমান মিটার গেজ লাইন সংস্কারের লক্ষ্যে ১১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় রেলওয়ে। প্রকল্প অনুমোদনের কয়েক বছর পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে ভারতীয় একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিঙ্গেল লাইনের ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মাণে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের আওতায় ৪৪ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার মেইন লাইন; ৭ দশমিক ৭৭ কিলোমিটার লুপ লাইনসহ মোট ৫১ দশমিক ৯৪ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রকল্প ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭৮ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী ভারতের ৫৫৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু যথাসময়ে প্রকল্প শেষ হয়নি; মেয়াদ বাড়ানো হয় চার দফায়। জানা গেছে, কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইন পুনঃস্থাপন প্রকল্প কাজের চতুর্থ দফা বর্ধিত মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যায়। কিন্তু চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৪৫ শতাংশ। এরই মাঝে পঞ্চম দফা মেয়াদ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. সুলতান আলী বলেন, ‘এই প্রকল্পে এখন বাংলাদেশের শ্রমিকরা কাজ করছেন। ভারতের কর্মকর্তারা কেউ নেই। তাদের এখন মন্ত্রণালয় থেকে আসার অনুমতি দেয়নি। মেয়াদ শেষ হলেও প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়নি। এটি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ ডাবল লাইন
রাজধানী ঢাকায় রেলওয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। ২০১২ সালে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। ভারত যুক্ত হওয়ার পর এই প্রকল্পে ২ হাজার ৮২১ কোটি টাকা ঋণ দিতে রাজি হয়। বাংলাদেশ সরকার এ প্রকল্পে ৫২১ কোটি টাকা বিনিয়োগের কথা জানিয়েছিল। চুক্তিতে বলা হয়েছিল, এই প্রকল্পে নির্মাণ ও পরামর্শক ব্যয় ভারত দেবে। বাংলাদেশ দেবে ট্যাক্স, ভ্যাট ও জনবল খাতের ব্যয়।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩৬ শতাংশ। প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া জানান, এ প্রকল্পের দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করতেই লেগেছে ছয় বছর। আবার সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়ায় বাস্তবায়ন নকশার পরিবর্তন করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতের এক্সিম ব্যাংক এখন অর্থায়ন করবে কি না তা অনিশ্চিত হয়ে গেছে। ৩০ কোটি টাকা পর্যন্ত লোন ছাড় দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা সেটা আর দেবে কি না জানি না।’
খুলনা-দর্শনা ডাবল লাইন প্রকল্পে ঠিকাদারই নিয়োগ হয়নি
বাংলাদেশ রেলওয়ের খুলনা থেকে দর্শনা জংশন সেকশনে সিঙ্গেল লাইনকে ডাবল লাইনে রূপান্তর করার জন্য ২০১৮ সালে একনেকে প্রকল্প অনুমোদন দেয় সরকার।
এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালে। যথাসময়ে শেষ হয়নি বলে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৩ হাজার ৫০৬ কোটি ৭৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি শুরু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। এর মধ্যে প্রকল্প ব্যয়ের ২ হাজার ৬৮৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা দেওয়ার কথা ভারতীয় এক্সিম ব্যাংকের। অনুসন্ধানে জানা যায়, ছয় বছর ধরে এই প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। এলওসির এই প্রকল্পে এখনো অর্থ ছাড় করেনি ভারতের এক্সিম ব্যাংক। এ ছাড়া এখনো ঠিকাদার নিয়োগ করা যায়নি।
প্রকল্প পরিচালক মনিরুল ইসলাম ফিরোজী বলেন, ‘রেলওয়ে ঠিকাদার নিয়োগে টেন্ডার আহ্বান করতে প্রস্তুত। এতে এই প্রকল্পের ব্যয় কিছুটা বাড়বে। কত টাকা ব্যয় বাড়বে তা ভারতকে জানাব, তারপর এই প্রকল্পের কী হবে বলতে পারব।’
পার্বতীপুর-কাউনিয়া ডুয়েল গেজে রূপান্তর
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে রংপুরের কাউনিয়া পর্যন্ত ৫৭ কিলোমিটার মিটার গেজ রেলপথকে ডুয়েল গেজে রূপান্তরের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে পুরোনো লাইনের পাশ দিয়েই নতুন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এতে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারত থেকে ১ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা ঋণসহায়তা পাওয়ার কথা ছিল। এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২৩ সালে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি এখনো। এখনো চলছে সম্ভাব্যতা যাচাই। এই প্রকল্পেও ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠান ভারতের এক্সিম ব্যাংক পরামর্শক নিয়োগের বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় সম্মতি দিতে সময়ক্ষেপণ করে। এর ফলে প্রস্তাবিত মেয়াদের শেষের দিকে পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়।
প্রকল্প পরিচালক মো. আহসান জাবির বলেন, ‘এখনো যেহেতু সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে, তাই নতুন মেয়াদ ঠিক করা হয়নি। এটি শেষ হলে নতুন মেয়াদ ঠিক করা হবে।’
কী বলছে কর্তৃপক্ষ
গত ৩০ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জানান, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে কিছু প্রকল্পের কাজ থমকে আছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে এলওসি প্রকল্পের কাজ শুরু করবে।
এ বিষয়ে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘এসব প্রকল্পের বিষয়ে রেলপথ সচিব আবদুল বাকীকে জানানো হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সচিব জানিয়েছেন তারা বসে আলোচনা করে দেখবেন কী কী প্রকল্প এমন অবস্থায় রয়েছে। প্রকল্পগুলোর বর্তমান কী অবস্থা তা জেনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগ করা হবে। এরপর হয়তো কোনো সিদ্ধান্ত আসবে।’
যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, ‘ভারত এলওসির আওতায় লোন দিয়ে বলেছে, তাদের দেশ থেকে ৭৫ শতাংশ পণ্য নিতে হবে। একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশে তারা তো এভাবে নির্দেশনা জারি করতে পারে না। এলওসি প্রকল্পগুলো অ্যানালাইসিস করলে দেখা যাবে, কীভাবে এসব প্রকল্পের অতিমূল্যায়ন করা হয়েছে। এলওসি বা জিটুজি প্রকল্প যা-ই বলি না কেন, শর্তে বলা থাকে সফট লোনের কথা। পরে আমরা দেখতে পাই, সিন্ডিকেটেড কনট্রাক্টররা কীভাবে ঋণের টাকা বাড়িয়ে নিয়েছেন। কনট্রাক্ট তো ওপেন টেন্ডারে হয় না, তাই লিমিটেড টেন্ডারে কাজ বাগিয়ে নেওয়া কনট্রাক্টররা নানাভাবে প্রজেক্ট ঝুলিয়ে দেন। যখন আমরা এলওসি প্রজেক্ট ওপেনের কথা বলি, ওরা তাড়াহুড়ো করে এমনভাবে প্রজেক্ট হস্তান্তর করে যার গুণগত মান একদমই থাকে না, প্রজেক্ট টেকসইও হয় না। পরে প্রকল্পের যে খরচ তা আদতে টানতে হয় বাংলাদেশের জনগণকে।’
এলওসি প্রকল্পের বিষয়ে অধ্যাপক শামসুল আলমের পরামর্শ হলো, এলওসি প্রকল্পের মধ্যে যেগুলো প্রায় সম্পন্ন হয়ে এসেছে সেগুলো দ্রুততম সময়ে শেষ করা। তবে তার আগে ঠিকাদারের কাছে গুণগত মান বুঝে নিতে হবে রেলওয়েকে। আর যে প্রকল্পগুলো অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে আছে, সেগুলো সম্পন্ন করতে এলওসির ওপর ভরসা না করে অন্য কোনো ঋণে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন তিনি। এতে করে রেলওয়ে কিছু খরচ বাঁচাতে পারবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।