২০ নভেম্বর বেলা ২টা, রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালে দায়িত্ব পালন করছিলেন ইব্রাহিম নামের একজন ট্রাফিক পুলিশ। ওই সিগন্যালে দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেলে থাকা একজন পুলিশ অফিসার তাকে জিজ্ঞাসা করছিলেন পিবিআইয়ের হেড অফিস কোন দিকে (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। জবাবে ওই ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ‘চেনেন না’ বলে জানান। ধানমন্ডির ৪ নম্বর রোডে অবস্থিত পিবিআইয়ের অফিস। কলাবাগান থেকে মাত্র ১০ মিনিটের পথ হলেও ওই দুই পুলিশ সদস্যের কেউ ঢাকার রাস্তা চেনেন না। কারণ তারা দুজনই সম্প্রতি অন্য জেলা থেকে বদলি হয়ে ঢাকায় এসেছেন।
শুধু এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাই নন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিএমপিতে যোগ দেওয়া ৯০ শতাংশ সদস্যেরই কর্মস্থল দীর্ঘদিন ছিল ঢাকার বাইরে। গত তিন মাসে ঢাকায় পুলিশের বদলি ও পদায়ন হয়েছে ঝড়ের গতিতে। ডিএমপি জানায়, ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অন্তত ৩২ হাজার সদস্য কাজ করেন। এ পর্যন্ত ১৮ হাজার সদস্যকে বদলি করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরের রাস্তাঘাট ও অলিগলি না চেনার এই ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলমও। গত ৪ নভেম্বর রাজধানীর পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ঢাকার প্রায় সব পুলিশকে আমরা চেঞ্জ করছি। তাদের কিন্তু অলিগলি চিনতেও সময় লাগবে। তাদের ইন্টেলিজেন্স নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে সময় লাগবে।’
সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ মনে করেন, ‘পুলিশে বদলি এটা নিয়মিত চিত্র। যখন কাউকে বদলি করা হয়, তখন নতুন এলাকায় গিয়ে সব বুঝতে পাঁচ-ছয় দিনের বেশি লাগার কথা না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার কীভাবে তাদের ব্যবহার করছে, এখন তাদের কী অবস্থা। সংগত কারণে এখন আর তারা পুরোপুরি মারামারি করতে যেতে চায় না।’
গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশের ‘চেইন অব কমান্ড’ ভেঙে পড়েছে বলে খোদ পুলিশের মধ্যেই আলোচনা আছে। এ সময় সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, এসবিপ্রধান মনিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আত্মগোপনে চলে যান। ওই সময় ঢাকাসহ দেশের অনেক জায়গায় পুলিশের ওপর দফায় দফায় হামলার কারণে পুরো বাহিনী বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। তবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ঢাকার বিভিন্ন বিভাগে পুলিশে রদবদল শুরু হয়। পুলিশের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য নানা উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশের মনোবল চাঙা হয়নি।
পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, সরকার পতনের পর পুলিশে বড় ধরনের বিপর্যয় হয়েছে। অতীতের কতিপয় উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তার কারণে পুলিশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। পুলিশকে দেশের অনেক মানুষ অবিশ্বাস করে। তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। যে কারণে পুলিশের মনোবল ভেঙে গেছে, তারা সক্রিয় হতে পারছে না।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বলেন, ‘থানায় গেলে মানুষ পুলিশের কাছ থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় না- এমন অভিযোগ অনেকে করে থাকেন। অনেকে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হন বলেও অভিযোগ আছে।
তাই আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে একজন কনস্টেবল পর্যন্ত যোগাযোগ বাড়িয়েছি। তাদের মনোবল ফেরানোর চেষ্টা করছি। আমরা বলেছি আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। সবাই অপরাধী নয়, বেআইনিভাবে কাউকে শাস্তি দেওয়া হবে না। যারা অপরাধী শুধু তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ সদস্যদের আমরা বলেছি আমাদের সেবার মান বাড়াতে হবে। তাহলে আপনারা মানুষের আস্থার জায়গায় ফিরতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘থানাকে চাঙা করতে হবে, জাগিয়ে তুলতে হবে। সে জন্য প্রত্যেক থানায় আমি আসার আগেই যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা একটি নাগরিক কমিটি গঠন করেছেন। সেখানে সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই কাজ করছেন। আমরা চেষ্টা করছি। তবে পুলিশের যে সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে তা ফিরতে সময় লাগবে।’
ডিএমপির সূত্রগুলো আরও জানায়, বদলি হওয়া পুলিশের রাজধানীর বস্তি, ঘুপচি ও অলিগলি না চেনা ছাড়াও পরিচিত লোকদের মাধ্যমে অপরাধ জগতে তারা নতুন সোর্স এখনো তৈরি করতে পারেনি। ফলে সোর্স নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়েছে। এর ফলে আসামি ধরা বা মামলার তদন্তে একধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এ কারণে কাজে এসেছে ধীরগতি।
প্রায় একই চিত্র ট্রাফিক পুলিশেও। বেশির ভাগ সদস্যেরই রাজধানীতে আগে কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে সারা দেশে মোট নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ৫৯ লাখ ৮৬ হাজার।
সংস্থাটির আরেক হিসাবমতে, ঢাকায় নিবন্ধিত ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ রয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৬টি। নিবন্ধন ছাড়া এর দ্বিগুণ রয়েছে বলে মনে করা হয়।
ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) হিসাবে ঢাকার সড়কে সাড়ে তিন হাজার বাস ও মিনিবাস চলাচল করে। রিকশাচালকদের বিভিন্ন সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় ইজিবাইক, প্যাডেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার মোট সংখ্যা ১৫ লাখ। আর শুধু ব্যাটারিচালিত রিকশা ১০ লাখের বেশি। বিভিন্ন বাহনের চালকদের নানা ধরনের মনস্তত্ত্ব রয়েছে; যেটি দীর্ঘদিনের কাজের মধ্য দিয়ে পুলিশ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। কিন্তু নতুন বদলি হওয়া পুলিশ সদস্যরা বিষয়গুলো এখনো বুঝে উঠতে না পারায় কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
এ কারণে সড়কে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। ট্রাফিক ও মাঠপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি বাড়লেও তারা এখনো পূর্ণোদ্যমে কাজে ফেরেননি। এ ছাড়া কিশোর গ্যাং এখনো পুরোপুরি দমন হয়নি। সরকার পতনের পর কারাগার থেকে সুব্রত বাইন, ‘পিচ্চি হেলাল’, ‘কিলার আব্বাস’সহ শীর্ষ সন্ত্রাসীরা মুক্তি পাওয়ার পর তাদের অনুসারীদের মধ্যে সন্ত্রাসী তৎপরতা বেড়েছে বলে পুলিশ মনে করছে। ফলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে বেগ পেতে হচ্ছে।
শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে মাঠপর্যায়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হয়েছে। মাত্র তিন মাসের মধ্যে সাবেক আইজিপি মো. ময়নুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন বাহারুল আলম। এ ছাড়া সাবেক ডিএমপির কমিশনার মাইনুল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন শেখ সাজ্জাত আলী। ফলে বদলি-আতঙ্কে রয়েছেন বেশির ভাগ পুলিশ সদস্য। তারা কাজে মনোযোগী হতে পারছেন না বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তারা জানান, নতুন কর্মস্থলে অচেনা অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা কঠিন হচ্ছে। এ ছাড়া আগস্টে থানা থেকে লুট হওয়া বিপুলসংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্র এখনো অপরাধীদের হাতে থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর।
ডিএমপি থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ মাসে ঢাকার বিভিন্ন থানায় খুনের মামলা হয়েছে ৪৬০টি, এর মধ্যে সেপ্টেম্বরেই হয়েছে সর্বোচ্চ ১৪৮টি।
সম্প্রতি এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার জেরে যাত্রাবাড়ীতে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলার পর দফায় দফায় সংঘর্ষে ওই এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হলেও পুলিশকে কোনো অ্যাকশনে দেখা যায়নি। এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকের মতে, পুলিশ এখনো নানা হিসাব-নিকাশের মধ্যে আছে। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে তাদের মধ্যে একধরনের সংশয় কাজ করছে। তারা মনে করছেন, আন্দোলন দমাতে গিয়ে তারা আবার না কোন বিপদে পড়েন! তাই পুরোপুরি স্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য তারা অপেক্ষা করছেন।
চট্টগ্রামে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণের ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। গত ২৮ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি বলেছেন, পুলিশের প্ররোচনায় সেদিন হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে সব কর্মকাণ্ড আদালত ভবনে সংঘটিত হয়েছে।
নাজিম উদ্দিন চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে যখন কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলো, তখন পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয় ছিল। কাদের ইন্ধনে চিন্ময় কৃষ্ণকে ৩ ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। তাকে হ্যান্ডমাইক দেওয়া হয়েছিল। প্রিজন ভ্যান থেকে তিনি কীভাবে বক্তৃতা দিলেন। এসব বিষয়ে তদন্ত করার জন্য পুলিশ কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
পুলিশের নীতিনির্ধারকরা বলছেন, পুলিশের পুরোনো সুনাম ফেরাতে ও কাজে গতি আনতে এই বদলি। বিগত সরকারের আমলে নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ায় পুলিশ। গণ-অভ্যুত্থানে পুলিশের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশও দেখা গেছে। এ পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এ ছাড়া অল্প সময়ে এতসংখ্যক পুলিশ সদস্যের কর্মস্থল বদলের ঘটনা নজিরবিহীন। ঢাকার বাইরে থেকে এসে পুলিশ সদস্যরা ডিএমপির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে ঢুকছেন। এসব পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ ও উদ্দীপনা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকায় আসা নতুন অনভিজ্ঞ পুলিশ সদস্যদের দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। এতে করে মহানগরে অপরাধ বাড়ছে।
সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ এ প্রসঙ্গে বলেন, পুলিশের মনোবলে-জনবলে তো আঘাত লেগেছে। এই মনোবলটা ফিরিয়ে আনতে হবে। প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘আপনি (সরকার) বলবেন তাদের পেটাতে। যেটা সবচেয়ে খারাপ কাজ, নেগেটিভ কাজগুলো তো সরকার পুলিশকে দিয়ে করায়। বিক্ষোভটা দমন করাতে হবে, ব্যারিকেড ভাঙতে হবে। সমাবেশটা বন্ধ করতে হবে। পেটানোর কাজটা পুলিশকে দিয়ে সরকার করায়। যখন এই কাজ করে তখন মার খায়, প্রাণ যায়। আন্দোলনে পুলিশ মারা হলো, এসব তো তাদের মাথায় থাকবে। তার পরও আমি মনে করি পুলিশের মনোবল ফিরে আসবে।’
পুলিশ কেন এখনো চাঙা হতে পারছে না। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান শাহরিয়া আফরিন খবরের কাগজকে বলেন, ‘মোল্লা কলেজের ঘটনার কথা যদি বলি, তাহলে দেখবেন ওই দিন পুলিশ কিন্তু তেমন কোনো অ্যাকশনে যায়নি। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের পর পুলিশের মধ্যে এখনো ভীতি কাটেনি। কারণ ওই সময়ে অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হন, অনেক মেরে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। পুলিশ এখনো আতঙ্কের মধ্যে আছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখছি কোথাও মব অপরাধ সংঘটিত হলে সেখানে প্রায় ১০ হাজার লোক মিলে এটি করছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশের একার পক্ষে সেটি সামাল দেওয়া সম্ভব না।’
পুলিশের বদলির বিষয়ে তিনি বলেন, বদলির কারণে পুলিশ সদস্যরা নতুন জায়গায় নিজেকে মানিয়ে নিতে সময় নিচ্ছেন। এ ছাড়া কাজেও বেগ পেতে হচ্ছে। ফলে গতি কমে গেছে।
তিনি বলেন, পুলিশ তো নিজে বলতে পারছে না তাদের সমস্যার কথা। তাই সবার উচিত তাদের সহযোগিতা করা। গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে থানায় আগুন দেওয়া, পুলিশের গাড়ি, মামলার নথি পুড়িয়ে দেওয়া ও অস্ত্র লুট করা হয়েছিল। এ ছাড়া পুলিশের আনুষঙ্গিক অনেক সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান হলে মনোবল ফিরবে, পুলিশ মানুষের আস্থার জায়গায় যেতে পারবে। তবে অবশ্যই সেটি সময়ের ব্যাপার। পুলিশকে চাঙা হতে সময় দিতে হবে।