আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অস্থিরতা বিরাজ করছে। আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবির কারণে এই অস্থিরতা। এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত তিন দফা মহাপরিচালক পরিবর্তন করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে অনেককে। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক সমাবেশের নামে মহাখালী এলাকার বিভিন্ন বস্তি থেকে লোক এনে প্রতিদিন অধিদপ্তরের সামনে জড়ো করা হচ্ছে।
অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী বলছেন, এসবের পেছনে রয়েছেন চার কর্মকর্তা। যারা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন। সরকার পতনের পর রং বদল করে নিজেদের সুবিধাবঞ্চিত ঘোষণা দিয়ে অধিদপ্তরে অস্থিরতা সৃষ্টি করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, এই চার কর্মকর্তা মূলত সুবিধাভোগী। সব সরকারের আমলে সুবিধা পেতে তৎপর। বর্তমানে তারা সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অধিদপ্তরের নিচে সমাবেশ করেন। দুপুরের পর মেতে ওঠেন বদলি বাণিজ্যে। তাদের বিরুদ্ধে সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলমকে অপমান করা, সরকার পতনের পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দায়িত্ব দেওয়া অধ্যাপক রোবেদ আমিনকে বের করে দেওয়া, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সামনে টেবিলে দাঁড়িয়ে ধৃষ্টতা দেখানো এবং সরকারি আদেশ অমান্য করার অভিযোগ আছে।
গত রবিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল থেকে তারা অবস্থান নিয়ে আছেন। দাবির পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিচ্ছেন। মাইকের শব্দে কর্মকর্তাদের অফিস করতে অসুবিধা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আধিপত্য বিস্তার এবং বদলি বাণিজ্যের হোতা এই চার কর্তকর্তা হলেন শাহ আলী আকবর আশরাফী, ডা. মো. ফারুক হোসেন, মাহবুব আরেফিন রেজানুর ও ডা. মো. আবদুল ওয়াদুদ। তাদের ব্যক্তিগত নথি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, শাহ আলী আকবর আশরাফী ১৯৯৪ সালের ২৫ মার্চ সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১২ সালের পর তিনি চারবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। একবার মন্ত্রণালয়েও দায়িত্ব পালন করেন।
২০১২ সালের ১ জানুয়ারি তাকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ষষ্ঠ গ্রেড নিশ্চিতে ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে যোগদান করেন। মাত্র চার মাসের মাথায় ২০১৫ সালের ২১ এপ্রিল আবারও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ফিরে আসেন।
এক বছরেরও কম সময়ের ব্যবধানে ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে যোগদান করেন। এরপর দুই মাসের ব্যবধানে ২০১৬ সালের ২৬ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। এরপর শাহ আলী আকবর আশরাফী ২০২০ সালের ১ নভেম্বর পুনরায় ফিরে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। এরপর থেকে গুরুত্বপূর্ণ এমআইএস বিভাগে কর্মরত আছেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই সময়ে তিনি (শাহ আলী আকবর আশরাফী) শুধু উপপরিচালক হিসেবেই ছিলেন না, গোটা এমআইএসের নিয়ন্ত্রণ ছিল তার হাতে। তিনি আসার পর পাঁচ দফা এমআইএস পরিচালক পরিবর্তন হলেও আশরাফী ছিলেন বহাল। এই দপ্তরের কেনাকাটা থেকে শুরু করে সবই ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। কোনো পরিচালক তার কাজে বাধা দিলেই তাকে সরিয়ে দেওয়া হতো। এই সময় নিম্নমানের ট্যাব ও ডেস্কটপ কিনে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমনকি কোভিডের সময় তিনি টিকা সনদের দায়িত্বে ছিলেন। এ সময় ভুয়া টিকা সনদ বেচাকেনার হিড়িক পড়ে যায়। সরকারের গোয়েন্দাদের জালে নিম্ন পর্যায়ের কর্মীরা ধরা পড়লেও শাহ আলী আকবর আশরাফী থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই তিনি নিজেকে বৈষম্যের শিকার বলে আন্দোলনে নেমে পড়েন।
গত ১৭ অক্টোবর শাহ আলী আকবর আশরাফীকে ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়। তবে সেখানে তিনি যোগদান করেননি। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে শাহ আলী আকবর আশরাফী বলেন, ‘আমি ১৩তম বিসিএসের। অথচ ২০তম বিসিএসের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছি। এর চেয়ে বড় বৈষম্যের উদাহরণ আর কী দেখতে চান। এটাই কি যথেষ্ট নয়?’
চারজনের আরেকজন ডা. মো. ফারুক হোসেন। যার বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার তিলছাড়া গ্রামে। তিনি ১৯৯৮ সালের ২৮ জুন মাগুরার ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ২০০২ সালের ২৪ অক্টোবর মেডিকেল অফিসার হিসেবে সংযুক্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দেন। ২০২১ সালের ৭ মার্চ ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ফিন্যান্স) হিসেবে এবং একই বছরের ২১ ডিসেম্বর প্রোগ্রাম ম্যানেজার (লজিস্টিক অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হিসেবে সংযুক্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ার সুবাদে ডা. মো. ফারুক হোসেন নিজেকে আওয়ামী লীগার পরিচয় দিয়ে অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। এই সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের সব ধরনের কেনাকাটা ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এই দপ্তরের একজন চিহ্নিত ঠিকাদার এবং ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর হয়ে সব ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত হয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আওয়ামী সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসকদের ব্যানারে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘প্রোগ্রাম ম্যানেজার থাকলেও আমাদের কাজে ডাকতেন না। সব লাইন ডাইরেক্টরই করতেন।’ প্রোগ্রাম ম্যানেজার বা ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার থাকলেও বঞ্চিত ছিলেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, লাইন ডাইরেক্টরের কথার বাইরে কিছুই করার সুযোগ ছিল না। যেভাবে বলতেন সেভাবেই করতেন। নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ ছিল না। সব সময় ভয়ে থাকতেন কখন আবার ঢাকার বাইরে বদলি করে দেন। সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সঙ্গে সখ্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একই এলাকায় বাড়ি হওয়ায় স্যার ভালো জানতেন। সেই দিক থেকে স্যার ঢাকায় আসতে সহযোগিতা করেছিলেন।
মাহবুব আরেফিন রেজানুর ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার রামশীল ইউনিয়ন হেলথ সাব-সেন্টারে মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১৭ সালে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর তিনি সহকারী পরিচালক হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দেন। ২০২২ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ডিভিশনাল চিফ (ল্যাব অ্যান্ড ফিল্ড) হিসেবে প্রমোশন পেয়ে ইনস্টিটিটিউশন অব পাবলিক হেলথ নিউট্রিশনে (আইপিএইচএন) যোগদান করেন। এই পদায়নের পর তিনি সেখানে নিজের লুটপাটের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। তাকে এই সুযোগ করে দেন বর্তমান পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ গোলাম নবী। তারা দুজনেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী।
মাহবুব আরেফিন রেজানুর বিএনপি-সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) মহাখালী শাখার সদস্যসচিব। জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রদল করেছেন। চাকরি জীবনে ১৭ বছর খুবই বঞ্চিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাকে বদলির পর বদলি করা হয়েছে। কখনো মেঘালয় সীমান্তঘেঁষা এলাকায় আবার কখনো লক্ষ্মীপুরে, কখনো একেবারেই প্রত্যন্ত এলাকায় বদলি করে রাখা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা হলেও বসিয়ে রাখা হতো ইউনিয়ন সাব-সেন্টারে। সীমাহীন বৈষম্যের শিকার হয়েছি।’ ২০২২ সালে ডিভিশনাল চিফ (ল্যাব অ্যান্ড ফিল্ড) হিসেবে প্রমোশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওই পদে কেউ আসতে চান না। ওখানে কিছুই নেই। যে পদে কেউ আসতে চান না, সেখানে আমাকে দায়িত্ব দিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। বাসা থেকে যেতাম আর আসতাম। আমি ছাত্রদল করার কারণে বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমি ড্যাব করে আসছি প্রকাশ্যে। এর মধ্যে গোপন কিছু নেই।’
যদিও বিএনপির হাইকমান্ড দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীর কার্যক্রমে বিব্রত। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কড়া নির্দেশনা রয়েছে যাতে কেউ নেতিবাচক কোনো কর্মকাণ্ডে না জড়ান। কিন্তু সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন অনেকে। এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। বিএনপির কিছু কিছু নেতা-কর্মীর কর্মকাণ্ড অনেকেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না। তারা বলছেন, এখনো তারা ক্ষমতায় বসেননি, তার আগেই যদি আওয়ামী লীগের মতো শুরু করেন, তাহলে ক্ষমতায় বসলে এসব লোকজন আওয়ামী লীগের চেয়েও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন।
ডা. মো আবদুল ওয়াদুদ ২০০১ সালের ৩১ মে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০১৬ সালের ১৯ জুলাই তিনি ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (সংযুক্তি) হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগ দেন। ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রোগ্রাম ম্যানেজার (এএসপি) হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি ঢাকায় কর্মরত। ডিপিএম ও পিএম হিসেবে তিনি লুটপাটের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলেন। এ সময় তিনি নিজেকে স্বাচিপ সমর্থক হিসেবে পরিচয় দিয়ে সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শামিউল ইসলাম এবং বিএমএর মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরীর আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডা. মো. আবদুল ওয়াদুদকে ফোন করা হলে তিনি কেটে দেন।
এসব বিষয়ে ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমাদের দাবি হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী ঘরানার কাউকে যাতে না বসানো হয়। কিন্তু পরিচালক (প্রশাসন) পদে যাকে (ডা. এ বি এম আবু হানিফ) বসানো হয়েছে তিনি সব সময় আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। ডোনেট করেছেন। এখন বলা হচ্ছে তিনি নাকি জামায়াত সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন এনডিএফের লোক। এটা হতেই পারে না। যারা আওয়ামী লীগের মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তারা গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে তো আবার আমাদের এই লোকগুলোই বঞ্চিত হবে। তাই ওরা এদের সরানোর দাবিতে আন্দোলন করলে ওদেরই বদলি করে দেওয়া হয়। তাদের বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা হলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। আশা করি, দ্রুত একটা সমাধান আসবে।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্যবিষয়ক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সঙ্গে ডা. মো. ফারুক হোসেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি (ড্যাব সভাপতি ডা. হারুন অর রশিদ) বলেন, তার সেক্টরের হেড ছিলেন সৈয়দ মোদাচ্ছের। তিনি শেখ হাসিনার খুবই আস্থাভাজজন ছিলেন। তার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে না চললে তো তার চাকরি থাকার কথা নয়। তাই হয়তো ততটুকুই যোগাযোগ রক্ষা করেছেন।
ড্যাব সভাপতি শাহ আলী আকবর আশরাফী প্রসঙ্গে বলেন, তার ব্যাচের লোকজন ডিজি হয়েছেন। এই দিক থেকে তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তবে হ্যাঁ, এটা আপনি বলতে পারেন যে তারা কিছু সুবিধা পেয়েছেন। যেমন রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি দেওয়া হয়নি। তারা ঢাকায় কয়েক বছর থাকতে পেরেছেন। এদিক থেকে বলতে গেলে তারা কিছুটা সুবিধা পেয়েছেন। কিন্তু সব মিলিয়ে দেখলে তারা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এরা কখনো পরিচালক প্রশাসনের মতো আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে যাননি। তারা অন্দোলনের সময় ছাত্রদের বিপক্ষে যাননি। ছাত্রদের চিকিৎসা দেওয়াসহ সব ধরনের সহযোগিতা করেছেন।