এক চিকিৎসকের কারণে বিপাকে পড়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রোগী ও চিকিৎসকরা। দুই মাসে আগে ওএসডি হওয়া এই চিকিৎসক এখনো দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি বহিরাগতদের নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করায় আতঙ্কিত চিকিৎসকরা। তিনি একজন নারী চিকিৎসককে অপদস্থ করেছেন বলেও জানা গেছে। চিকিৎসকদের আতঙ্কের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চিকিৎসা ও সেবা কার্যক্রম। এ ছাড়া পরিচালকসহ প্রধান দুটি পদ শূন্য থাকায় ব্যাহত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
ওই চিকিৎসক হলেন ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবির জুয়েল। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে উপপরিচালক হিসেবে যোগদানের ৯ দিনের মাথায় তাকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়। কিন্তু তিনি সরকারি আদেশের তোয়াক্কা না করে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ ২ মাসের বেশি সময় ধরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটেই অফিস করে যাচ্ছেন।
ওই প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসকরা জানান, সফিকুল কবির দীর্ঘ চার বছর ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সব মিলিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানেই কাটিয়েছেন অন্তত ১০ বছর। অথচ তিনি এখন নিজেকে বৈষম্যের শিকার বলে দাবি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত ৪০০ শয্যার মানসিক স্বাস্থ্যের এই হাসপাতালে আন্তবিভাগ ও বহির্বিভাগে রোগীদের সেবা দেওয়া হয়। প্রায় ৮০ জন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী উচ্চতর কোর্সে অধ্যয়নরত।
প্রতিষ্ঠানের অস্থিরতার দ্রুত সমাধান চেয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর ৬৬ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। গত ৩১ অক্টোবর সুষ্ঠু কর্মপরিবেশের স্বার্থে বিশৃঙ্খলা রোধে ও বহিরাগতদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। একই দিন চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষে এই প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রার ডা. তৈয়বুর রহমান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন। তার আগে গত ২৭ অক্টোবর থেকে চিকিৎসক-নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিদিন প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করে আসছিলেন।
এতে একাত্মতা পোষণ করেছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইকিয়াট্রিস্টসের (বিএপি) আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ডা. মো. নিজাম উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. মেজর (অব.) মো. আব্দুল ওহাব, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. নিলুফার আকতার জাহান, যুগ্ম সদস্যসচিব ও বিএসএমএমইউর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. শামসুল আহসান, শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জুবায়ের মিয়া, কেন্দ্রীয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের ডা. রাহেনুল ইসলাম প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠানে উপপরিচালকের রুমের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে নেমপ্লেটে এখনো আছে ওএসডি হওয়া ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবিরের নাম।
অভিযোগের বিষয়ে ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবিরের বক্তব্য জানার জন্য তার ব্যক্তিগত মুঠোফোন নম্বরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ১১ মিনিটে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। পরে ৭টা ৪ মিনিটে ফোন করে রেদোয়ানা নামে এক নারী নিজেকে সফিকুল কবিরের আইটি অ্যাসিসট্যান্ট পরিচয় দেন। কোন বিষয়ে কথা বলতে চাই, তা জানিয়ে তাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিতে বলেন। তারপর তিনি বিষয়টি নিয়ে ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবিরের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানান। পরে রেদোয়ানা একজন সাংবাদিকের নম্বর দিয়ে তাকে সফিকুল কবিরের প্রেস সচিব জানিয়ে তার সঙ্গে আলাপ করতে বলেন। কথা হলে ওই সাংবাদিক জানান, তিনি তার প্রেস সচিব নন। কিন্তু সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আছে। সফিকুল কবির যোগদানের পর আওয়ামীপন্থি চিকিৎসকদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন। কিছু ভালো উদ্যোগ নেন। যে কারণে তিনি রোষানলে পড়েন।
ওএসডি হয়েও কক্ষ না ছাড়া প্রসঙ্গে ওই সাংবাদিক বলেন, ওএসডি হওয়ার পর সফিকুল কবির স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করে সব বিষয় অবহিত করলে তিনি তাকে উপপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে বলেন। সে জন্য তিনি হয়তো দায়িত্ব পালন করছেন।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আইনগতভাবে সচিবের মৌখিক নির্দেশে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ নেই।
গত ২১ আগস্ট সফিকুল কবির উপপরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। তাকে ১ সেপ্টেম্বর ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ন্যস্ত করা হয়। তখন এই হাসপাতালের পরিচালক ছিলেন অধ্যাপক ডা. অভ্র দাশ ভৌমিক। সফিকুল কবিরকে ওএসডি করার পর ১২ সেপ্টেম্বর অভ্র দাশ ভৌমিককেও ওএসডি করা হয়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি গত ২৩ সেপ্টেম্বর অবসরে যান। ওই দিনই তিনি প্রতিষ্ঠানের সহযোগী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি) ডা. মোহাম্মদ মুনতাসীর মারুফকে পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে যান।
পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ডা. মোহাম্মদ মুনতাসীর বলেন, পরিচালক ও উপপরিচালকের শূন্য পদ পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
আগের ঘটনার বিবরণ দিয়ে চিকিৎসকরা জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ৬ আগস্ট পরিচালকের কার্যালয়সহ ৬ জন শিক্ষকের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অধ্যাপক অভ্র দাশ ভৌমিক পরিচালক থাকাকালীন ৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের বরাবর দেওয়া এক চিঠিতে কক্ষ ভাঙচুর প্রসঙ্গে অবহিত করেন। তাতে তিনি লিখেছেন, পরিচালকের কার্যালয়ের অনার বোর্ড ভাঙার ছবি দেখে একজনকে চিহ্নিত করা হয়। তিনি হলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (চলতি দায়িত্ব) ডা. এইচ এম মাহমুদ হারুন। তবে বিষয়টি অস্বীকার করে ডা. এইচ এম মাহমুদ হারুন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি ওই দিন ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্ব পালন করেছি। কেউ হয়তো এডিট করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার ছবি বসিয়ে দিয়েছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
চিকিৎসকরা জানান, ভাঙচুর ও লুটের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও রিপোর্ট দেওয়ার আগেই গত ২১ আগস্ট কমিটির প্রধান তৎকালীন উপপরিচালক ডা. মো. গোলাম মোস্তফাকে বদলি করা হয়। সেখানে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবিরকে পদায়ন করা হয়।
সফিকুল কবির যোগদানের পর তৎকালীন পরিচালক অভ্র দাশ ভৌমিক ছুটিতে গেলে উপপরিচালক ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবিরকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে যান। কিন্তু তিনি রুটিন দায়িত্বের বাইরে গিয়ে গত ৩১ আগস্ট ৯ জন শিক্ষককে স্ব-স্ব দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার জন্য চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন। সরে না গেলে এ ইনস্টিটিউটে ছাত্র ও কর্মচারীদের দ্বারা কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটুক- এটা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেন।
সিনিয়র সচিবের বরাবর দেওয়া ওই চিঠিতে সাবেক পরিচালক অভ্র দাশ ভৌমিক লিখেছেন, একজন কোর্স আউট হওয়া পরবর্তী সময়ে মার্সি পিটিশনের মাধ্যমে কোর্সে ফেরত আসা ডা. এ কে এম খালেকুজ্জামানকে দিয়ে একটি ভুয়া কাগজে ৬০ জন প্রশিক্ষণার্থী চিকিৎসকের স্বাক্ষর নিয়ে নিজ স্বার্থে ব্যবহার করেন সফিকুল কবির। শিক্ষার্থীরা এই প্রতারণা ও মিথ্যাচারের বিরোধিতা করলে তাদের পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার ভয় দেখান এবং হুমকি দেন। একজন নারী প্রশিক্ষার্থী চিকিৎক না বুঝে করা ওই স্বাক্ষর প্রত্যাহারের জন্য সফিকুল কবিরকে অনুরোধ করলেও তিনি অনুরোধ রাখেননি।
জানা গেছে, পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা এসব বিষয়ে প্রতিবাদ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরে আবেদন করেন। পরদিন গত ১ সেপ্টেম্বর ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবিরকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পদায়ন করা হয়। ২ সেপ্টেম্বর ওই নারী চিকিৎসক সাবেক পরিচালক ডা. অভ্র দাশ ভৌমিকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন, যা জানতে পেরে ওই দিন বেলা আড়াইটায় সফিকুল কবিরের রুমে ডেকে বহিরাগত এক চিকিৎসককে দিয়ে ওই নারী চিকিৎসককে অপদস্থ করা হয়।
খবরের কাগজের হাতে আসা একটি ছবিতে দেখা গেছে, ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবির উপপরিচালকের চেয়ারে বসে আছেন। রুমের মধ্যে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন এবং ডান হাতে চোখ মুছছেন ওই নারী চিকিৎসক। তার দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে চোখ রাঙ্গাচ্ছেন ডা. ফরিদুজ্জামান রানা।
জানা গেছে, রানা চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। এ ঘটনার পর ওই নারী চিকিৎসক গত ৪ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।
এ বিষয়ে নারী চিকিৎসক ডা. নাজিয়া হক অনি বলেন, ‘অভিযোগের পর তদন্ত কমিটি এসে তদন্ত করে গেছে, কিন্তু এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি’। তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, ওএসডি হওয়ার ক্ষোভে সফিকুল কবির গত ৩ ও ৪ সেপ্টেম্বর বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ অস্থির করে তোলেন। তিনি নিজেকে বৈষম্যের শিকার উল্লেখ করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, তিনি ওএসডি হওয়ার পরও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে যোগদান না করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের উপপরিচালকের কক্ষ দখল করে বহিরাগত ব্যক্তিদের নিয়ে মিটিং করেন। তিনি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসাগত, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ এবং দাপ্তরিক নথিতে স্বাক্ষর করে চলেছেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার কাছে পাঠানো স্মারকলিপিতে বলা হয়, সফিকুল কবির গণ-অভ্যুত্থানের চেতনা পরিপন্থি কাজ করে নিজেই একজন স্বৈরাচারের ভূমিকা পালন করছেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডা. সফিকুল কবিরের কর্মকাণ্ড বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। গত ২২ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খন্দকার মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে একটি দল তদন্ত করে।
যুগ্ম সচিব খন্দকার মোহাম্মদ আলী খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমি তদন্তের পর প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই।’
তদন্ত কমিটিকে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে অবসরে যাওয়া সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন ওএসডি হওয়া ডা. মোহাম্মদ সফিকুল কবির জুয়েলের প্রতিদিন অফিস করার বিষয়টি উল্লেখ করেন। গত ১৪ সেপ্টেম্বর সফিকুল কবির পরিচালক হিসেবে (ওএসডি উল্লেখ না করে) নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।