
পাঁচ কারণে দেশে গ্যাসসংকট চরম আকার ধারণ করেছে। শীতকালে স্বাভাবিকভাবে গ্যাসের চাপ কম থাকা, পুরোনো লাইন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আবাসিক ও বাণিজ্যিক লাইনে সরবরাহ পৃথকভাবে না থাকা, কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি স্টেশনে মেরামতের জন্য ৭২ ঘণ্টা সরবরাহ বন্ধ এবং সর্বোপরি নিজস্ব উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে গ্যাসসংকট বৃদ্ধি পেয়েছে।
আবাসিকে গ্যাসসংকটের কারণে বেশি ভুগতে হচ্ছে নিম্নআয়ের মানুষকে। অন্যদিকে শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সামগ্রিক অর্থনীতিতে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। দ্রুতই সমস্যার সমাধান না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে নাগরিক সংগঠনগুলো।
গ্যাসসংকটের কারণ নিয়ে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) শাহনেওয়াজ পারভেজ খবরের কাগজকে বলেন, মহেশখালী এনএলজি স্টেশন রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য ৭২ ঘণ্টা সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এলএনজি থেকে যে পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ হতো, প্রতিদিন তার থেকে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ কমে গেছে। টোটাল যে সাপ্লাই তা থেকে যদি কমে যায়, তাহলে সব দিকে সেই প্রভাব পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ডেডিকেটেড লাইন নেই। বড় ডিস্ট্রিবিউশন লাইন থেকে যাচ্ছে শিল্পে, শিল্প থেকে ঢাকায় ঢুকছে, ঢাকা থেকে আবাসিকে যাচ্ছে। ওরা কনজিউম করার পরে আমাদের লিকেজগুলো আসে। ওরা যখন টানে তখন এদিকে গ্যাসের চাপ কমে যায়। মূলত সাপ্লাই যদি পর্যাপ্ত হতো তাহলে আর এই সমস্যা হতো না। সে জন্য সাপ্লাই বাড়াতে হবে। সাপ্লাই মানে দেশে উৎপাদন বাড়াতে হবে। তাহলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। এ ছাড়া পুরোনো লাইনের কারণেও সমস্যা দেখা দেয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পেট্রোবাংলা থেকে ছয়টা ডিট্রিবিউশন কোম্পানিকে ভাগ করে দেয়। সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে তাদের মধ্যে ভাগ করা হয়। যখন সরবরাহ কমে যায় তখন সবখানে মোটামুটি কমানো হয়। ফলে এটার প্রভাব পড়ে। এলএনজি থেকে তিতাসকে গত দুই মাস ধরে দেওয়া হয়েছে ৮৩০ মিলিয়ন ঘনফুট। গতকাল শনিবার দেওয়া হয় ৫৩০ মিলিয়ন ঘনফুট। অর্থাৎ ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট কমে গেছে। সরবরাহ বন্ধ থাকার পর ফাঁকা জায়গা পূরণ হতে দুই দিন সময় লাগে। তখনো চাপ কম থাকে।
রাজধানীতে তীব্র গ্যাসসংকট, বেশি কষ্টে গৃহিণীরা
রাজধানীতে মাস দেড়েক ধরে গ্যাসসংকট চলছে। বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস আসে গভীর রাতে। ১২টায় এসে থাকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। এরপর কমতে থাকে গ্যাসের চাপ। তাই গভীর রাতে যখন একটু স্বস্তিতে শান্তিতে ঘুমানোর সময়, তখন কষ্ট করে রান্না করতে হয় গৃহিণীদের। আবার রাত জেগে রান্নার কারণে ঘুমেরও সমস্যা হচ্ছে। যারা রাত জেগে রান্না করতে না পারেন, তাদের সকালের নাস্তা কিনে খেতে হয়। কেউ কেউ আবার দিনে গ্যাস না পেয়ে ইলেকট্রিক চুলায় রান্না করেন। চাপ না থাকায় অনেকে গ্যাসের লাইন থাকার পরও সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন।
রাজধানী জুরাইন এলাকার খালেদা বেগম বলেন, গ্যাসের সমস্যার কারণে রাতে এক বেলা রান্না করি। গ্যাস না থাকলে রান্না করা খাবার গরমও করতে পারি না। তাই দুপুরে শুকনো খাবার যেমন মুড়ি চিড়া বিস্কুট এসব খেতে হয়। কোনো কোনো দিন দুপুরে খাওয়াও হয় না। গ্যাস এই আসে, এই আসে করে অপেক্ষায় থেকে গ্যাস না আসায় আর খাওয়া হয় না।
মগবাজার এলাকার বাসিন্দা নিখিল ভদ্র বলেন, ‘আমাদের এখানে গ্যাস একেবারেই থাকে না। চুলা জ্বালালে আগুন মিটমিট করে জ্বলে।’
চট্টগ্রামে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন
গ্যাসসংকটের কারণে চট্টগ্রামে শিল্প-কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। নগরীতে ছোট-বড় ১ হাজার ২০০ কারখানায় গ্যাস সরবরাহ দিচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিভিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এর মধ্যে বিএসআরএম, একেএস, কেএসআরএম, জিপিএইচ ইস্পাত, গোল্ডেন ইস্পাত, এইচএম স্টিল, বায়েজিদ স্টিলসহ ইস্পাত শিল্পের শীর্ষ প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই চট্টগ্রামে। এ ছাড়া আছে সিইউএফএল, কাফকো, ডিএপি ফার্টিলাইজার কোম্পানিসহ সার উৎপাদনকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। সিমেন্ট উৎপাদন করা ৯-১০টি প্রতিষ্ঠানের কারখানাও আছে চট্টগ্রামে। আছে পাঁচ শতাধিক গার্মেন্ট কারখানা ও কাচ উৎপাদন করা প্রতিষ্ঠান। বন্দরনগরীতে তাই মোট গ্যাসের চাহিদা থাকে ৩০ থেকে ৩২ কোটি ঘনফুট। এর মধ্যে শিল্প-কারখানায় গ্যাসের দৈনিক চাহিদা ৮ থেকে ১০ কোটি ঘনফুট। এ চাহিদার সব গ্যাস নিরবচ্ছিন্নভাবে পাচ্ছে না শিল্প-কারখানার মালিকরা। চাহিদার তুলনায় ঘাটতি থাকছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ।
চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান খবরের কাগজকে বলেন, গ্যাস না থাকায় কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী শফিউল আজম খান খবরের কাগজকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে চাহিদা অনুযায়ী গ্যাসের জোগান একটু কম আছে। তবে মঙ্গলবার থেকে আবার পুরোদমে গ্যাস সরবরাহ করতে পারব।’
ইস্পাত খাতের আরেক শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেনগুপ্ত খবরের কাগজকে বলেন, ‘চাহিদামতো গ্যাস সরবরাহ পাচ্ছি না আমরা। ইস্পাত কারখানায় শীত মৌসুমে উৎপাদন বেড়ে যায়। গ্যাসসংকটে উৎপাদন কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
অপরদিকে চট্টগ্রাম মহানগরের আগ্রাবাদের শান্তিবাগ, হালিশহর, আন্দরকিল্লা, লাভ লেন, কাজীর দেউড়ি, কাতালগঞ্জ, আসকার দীঘিরপাড়, হিলভিউ, এনায়েতবাজার, ওয়াসা, দুই নম্বর গেট, হামজারবাগ, মুরাদপুর, রৌফাবাদসহ বিভিন্ন এলাকার গ্রাহকরা গ্যাসের সংকটে ভুগছেন। গ্রাহকরা বলছেন, বিদ্যুতের মতো গ্যাসেও লোডশেডিং শুরু হয়েছে মনে হচ্ছে। গ্যাস এই আছে-এই নেই।
ময়মনসিংহে গ্যাস এই আসছে তো এই যাচ্ছে!
বিভাগীয় প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের অনেক এলাকায় গ্যাসসংকটে বিপাকে পড়ছেন গ্রাহকরা। নগরীর দিঘারকান্দা এলাকার গৃহিণী শিরিনা খাতুন খবরের কাগজকে বলেন, ঠিকমতো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। কখনো কখনো কয়েকঘণ্টা গ্যাস থাকছে না। এতে সময়মতো রান্না করতে পারছি না। কৃষ্টপুর এলাকার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে গ্যাস এই আসছে তো এই যাচ্ছে। নিবুনিবু আগুন দিয়ে বাসায় রান্না করছে। পরে বাধ্য হয়ে সিলিন্ডারের গ্যাস কিনে এনেছি।’
গ্যাস বিতরণ প্রতিষ্ঠান তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ময়মনসিংহের ম্যানেজার (অপারেশন) হিল্টন পাল খবরের কাগজকে বলেন, ময়মনসিংহের যেসব গ্রাহক সরু পাইপলাইন ব্যবহার করছেন তারা বেশি গ্যাসসংকটে ভোগান্তিতে পড়েছেন। তবে আগামী সোমবারের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেটে গ্যাসের চাপ কমে ভোগান্তি ফিলিং স্টেশনে
সিলেট ব্যুরো জানায়, সংস্কারের কারণে নগরীর আবাসিক লাইনের সংযোগে সংকট না থাকলেও ফিলিং স্টেশনে গ্যাসের চাপ না থাকায় বেড়েছে ভোগান্তি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস-ডিস্ট্রিবিউটরস-এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিভাগীয় সভাপতি জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, চাহিদা অনুযায়ী স্টেশনগুলোতে বরাদ্দ না দেওয়ায় মাসের ২০ দিনের মাথায় অনেক ফিলিং ষ্টেশন বন্ধ হয়ে যায়। তখন অন্যান্য ফিলিং স্টেশনে চাপ বাড়ে।
ফিলিং স্টেশন মালিকরা জানান, চলমান ফিলিং স্টেশনগুলোর বরাদ্দের পরিমাণও বাড়ানো হচ্ছে না। এ নিয়ে গ্যাস বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার লিখিত ও মৌখিক আবেদন করেও সুরাহা পাননি তারা।
জালালাবাদ গ্যাসের কুমারগাঁও স্টেশনের একজন কর্মকর্তা খবরের কাগজকে জানান, ২০০৭ সালের তুলনায় বর্তমানে সিএনজিচালিত যানবাহনের সংখ্যা অন্তত চার গুণ বেড়েছে। গ্যাস বরাদ্দসাপেক্ষে স্টেশন বাড়ানো হবে।
গাজীপুরে গ্যাসসংকট তীব্র, চরম ক্ষতির মুখে শিল্প-কারখানা
শিল্প-অধ্যুষিত গাজীপুরেও গ্যাসসংকট চরমে। গাজীপুরের শিল্পাঞ্চল, টঙ্গী, বাইপাস, কোনাবাড়ী, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, কালীগঞ্জ, কালিয়াকৈর, মৌচাক, সফিপুর ও চন্দ্রা এলাকার সুতা তৈরির কারখানাসহ বিভিন্ন শিল্পে গ্যাসসংকটে উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে। জেলার শামীম স্পিনিং মিলস, সামছুউদ্দিন স্পিনিং মিলস, মালেক স্পিনিং মিলস, মৌচাক এলাকার হানিফ স্পিনিং মিলসসহ প্রায় অর্ধশতাধিক সুতা তৈরির কারখানা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কারখানাসংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি ঘনফুটে ১৫ পিএসআই গ্যাসের চাপ থাকার কথা থাকলেও অনেক কারখানায় সেই গ্যাসের চাপ কমে প্রতি ঘনফুটে ২ থেকে ৩ পিএসআইতে বিরাজ করছে। ফলে অনেক মেশিন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তিন শিফটের মধ্যে এক শিফটে কাজ হচ্ছে, বাকি শিফটের কর্মীদের বসিয়ে রেখেই বেতন দিতে হচ্ছে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে শ্রমিকদের বেতন দিতেও ব্যাপক সমস্যা হবে। আবার ডিজেলের মাধ্যমে জেনারেটর চালানোর কারণে খরচ বেড়ে যায়।
গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় খান ব্রাদার্স কারখানার এমডি হযরত আলী জানান, গ্যাসের চাপ বাড়ানোর দাবি জানানো হলেও কোনো উন্নতি হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে ভালো হলেও সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিন দিন গ্যাসের চাপ থাকে না।
তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির গাজীপুর জোনের ডিজিএম মো. সুরুজ আলম বলেন, অনেক এলাকায় আবাসিকের সংযোগে পাইপগুলো পুরোনো হয়ে যাওয়ায় বাসাবাড়িতেও গ্যাসের সমস্যা রয়েছে। সেগুলো ধীরে ধীরে সমাধান করা হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি
তীব্র গ্যাসসংকটে হুমকির মুখে পড়েছে নারায়ণগঞ্জের রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্প। গ্যাস না পাওয়ায় একদিকে যেমন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি পণ্য রপ্তানিতেও পিছিয়ে পড়ছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে বাসা বাড়িতেও গ্যাস না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। আর দ্রুত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নাগরিক সংগঠনগুলো।
বাংলাদেশ নিটওয়ার ম্যানুফ্যাকচার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) সভাপতি এম এ হাতেম খবরের কাগজকে বলেন, গ্যাস না থাকায় সময়মতো পণ্যও রপ্তানি করা যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে বিকল্প পথে কারখানা চালাতে হচ্ছে। তিতাসকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তারা দ্রুত পদক্ষেপ নিবে বলে আশ্বস্ত করেছে।
নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক বলেন, গ্যাসের সংকটে এখন বাসাবাড়িতে যেমনি হাহাকার তেমনি বহু শিল্প-কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। গ্যাসসংকটের সমাধান না হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে তিতাস গ্যাসের অফিস আবারও ঘেরাও করা হবে।
তেল গ্যাস খনিজ রক্ষা কমিটির নারায়ণগঞ্জের সভাপতি রফিউর রাব্বি বলেন, ‘গ্যাস দেশের নিজস্ব সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশে আজ গ্যাসসংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।
গ্যাসসংকটে ভুগছে সাভার-আশুলিয়ার নিম্নআয়ের মানুষ
সাভার প্রতিনিধি জানান, গ্যাসসংকটে ভুগছে রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাভার-আশুলিয়ার নিম্নআয়ের মানুষ। সাভার পৌরসভার ব্যাংক কলোনি, বিনোদবাইদ; আশুলিয়া থানার ডেন্ডাবর, কুরগাঁও, ভাদাইল, পলাশবাড়ী, বাঁশবাড়ী, জামগড়া, চিত্রশাইল, বাইপাইলসহ অধিকাংশ এলাকার কয়েক লাখ বাসিন্দা গ্যাসসংকটে ভুগছেন। পলাশবাড়ী এলাকার গার্মেন্ট শ্রমিক আলেয়া আক্তার বলেন, ‘সকাল ৮টায় গার্মেন্টে কাজে যোগ দিতে হলে আমাকে ভোর রাতে উঠেই সবার জন্য রান্না করতে হয়। অফিস থেকে ফেরার পর সন্ধ্যায় বাসায় এসে গ্যাস পাই না। ক্লান্ত শরীরে রান্নার জন্য রাত ১২-১টা পর্যন্ত গ্যাসের অপেক্ষায় থাকি। গ্যাসের সিলিন্ডার কিনে রান্না করার সামর্থ্য আমাদের মতো নিম্ন আয়ের শ্রমিকদের নেই।’
প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন, চট্টগ্রামের নিজস্ব প্রতিবেদক আবদুস সাত্তার, সিলেট ব্যুরোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাকিলা ববি, ময়মনসিংহের বিভাগীয় প্রতিনিধি কামরুজ্জামান মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসাইন, গাজীপুর প্রতিনিধি পলাশ প্রধান ও সাভার প্রতিনিধি ইমতিয়াজুল ইসলাম।