৫ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটা, রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেটের পশ্চিম পাশে খামারবাড়ি ট্রাফিক সিগন্যাল। এই সিগন্যালে গণপরিবহনের জটলার মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিল একটি ব্যাটারিচালিত রিকশা। সিগন্যাল ছাড়তেই ফার্মগেট হয়ে কারওয়ান বাজারের দিকে অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে শুরু করে রিকশাটি। খামারবাড়ি সিগন্যালে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ রিকশাটিকে থামাতে না পারলেও কারওয়ান বাজারে আসার পর পুলিশ সার্জেন্ট সেটি আটকানোর চেষ্টা করেন। রিকশায় থাকা যাত্রী নেমে যাওয়ার পর পেছন থেকে তিন চাকার ‘পঙ্খিরাজ’ নামের বাহনটি আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ওই চালকের কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এর একপর্যায়ে রিকশাটি উল্টে যায়। পরে রিকশাটি আটকে রাখে পুলিশ।
একই দিনে রাজধানীর নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউর এই ভিআইপি সড়কে সাধারণ মানুষকে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার না করে যত্রতত্র রাস্তা পার হতে দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যরা পথচারীদের সতর্ক করলেও কোনোভাবেই মানানো যাচ্ছে না তাদের। পুলিশকে তোয়াক্কা করছেন না পথচারীরা।
পুলিশকে ভয় না পাওয়ার এই প্রবণতা শুরু হয়েছে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই। কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনে জনগণের সঙ্গে পুলিশের একধরনের অনাস্থার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। দলীয়করণের ফলে বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি জনগণের বড় অংশই মনে করেছে, পুলিশ মানেই হলো শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার হাতিয়ার।
বিশ্লেষকদের মতে, হাসিনা সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের অভিযোগ ছিল যে, হাসিনা সরকারকে পুলিশই টিকিয়ে রেখেছে। এমনকি তিনটি প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনেও পুলিশের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি ছিল বলে জনগণের মধ্যে আলোচনা আছে। এ ছাড়া বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোকে দমন-পীড়নের পাশাপাশি সর্বশেষ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনেও পুলিশের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি দৃশ্যমান ছিল। ফলে হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের প্রতি জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে ব্যাপকভাবে। ওই আান্দোলনে মোট ১ হাজার ৫৮১ জন মারা যান, আহত হন ৩১ হাজারের বেশি। এ ছাড়া ঢাকাসহ সারা দেশের ৪৫০টির বেশি থানা ও কয়েক শ পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এমনকি অনেক থানায় লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। সরকারি হিসাবে মোট ৪৪ জন পুলিশ সদস্য মারা যান। এসব ঘটনায় পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়। সেনাবাহিনীর সহায়তায় বেশ কয়েক মাস সময় লাগে থানা-পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে। তারপরও এখনো পুরোপুরি সক্রিয় হতে পারেনি বাহিনীটি।
৫ আগস্টের পর থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন দাবিতে ঢাকায় দেড় শ'র বেশি আন্দোলন হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন ও গোষ্ঠীর ব্যানারে এসব আন্দোলন পরিচালিত হয়েছে। এসব আন্দোলনকারী দাবি করেছেন, তারা বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করা ছাড়াও তারা একাধিকবার ঘেরাও করেছেন সচিবালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অবরোধের কারণে যানজটসহ নানা ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এসব আন্দোলনে পুলিশকে কমই অ্যাকশনে যেতে দেখা গেছে।
এ ছাড়া সম্প্রতি পুলিশভ্যান থেকে আসামি ছিনতাই, থানায় হামলা, জামিনের পর শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া হয়ে ওঠা, চাঁদাবাজি ও চুরি, ছিনতাই ও কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাসহ বিভিন্ন অপরাধ বেড়েছে। এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চেষ্টা করেও প্রণিধানযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি। শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে অপরাধ দমাতে চোখে পড়ার মতো তৎপরতা দেখায়নি পুলিশ। ফলে অপরাধীরা পুলিশকে তোয়াক্কা করছে না, এমনই আলোচনা আছে বিভিন্ন পর্যায়ে। বলা হচ্ছে, আগে পুলিশের প্রতি মানুষের ছিল অনাস্থা, আর এখন ভয় পাচ্ছে না। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে একশ্রেণির মানুষের মধ্যে আইন ভাঙার প্রবণতাও বেড়েছে।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম খবরের কাগজকে বলেন, “সরকার পতনের পর কিন্তু আমরা দেখেছি অনেক পুলিশ তাদের কর্মস্থল ছেড়ে চলে গিয়েছিল। সেই কারণে মানুষ মনে করছে, এরা তো সেই লোক যারা পালিয়ে গিয়েছিল। যদি এমন চিন্তা করা হতো, এই পুলিশ রাখব না, নতুন ফোর্স তৈরি করতে হবে। নতুন নাম হয়তো দেওয়া যেত ‘পুলিশ অফিসার’। অনেক জায়গায় এ রকম হয়, আয়ারল্যান্ডে পুলিশকে বলে ‘গার্দা সিওচানা না হেরিয়ান’ যার অর্থ শান্তির রক্ষক। নাম পরিবর্তন করলে মানুষ হয়তো মনে করত এটা একটা নতুন ফোর্স।” আইজিপি বলেন, ‘আগের পুলিশই রয়ে গেছে, মানুষ কিন্তু এমনটাই মনে করে। অসৎ সব পুলিশকে তো আমরা আইনের আওতায় আনতে পারিনি। শুধু যাদের সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
বিগত সরকারের আমলে নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়িত পুলিশের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অনেকেই ভাবছেন এই বুঝি মামলায় পড়লাম, এই বুঝি ধরে জেলে নিয়ে যাবে। এই ধরনের আতঙ্ক পুলিশে এখনো আছে। তবে আমরা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি। বিনা কারণে কাউকে ধরা বা হয়রানি করা হবে না।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করার পর অনেক সময় তাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় বা নেওয়ার চেষ্টা করা হয়- এ ধরনের ঘটনা পুলিশকে খুবই ডিমোটিভেট করে। পুলিশ মনে করে আমাকে তো মানছে না।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ইউএনডিপির (জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি) সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছিলাম, তারা আমাদের সোশ্যালি বা সাইকোলোজিক্যালি কিছু সাপোর্ট দিতে পারে কি না। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের পুলিশ সদস্যদের নিয়ে ওয়ার্কশপ করার কথা রয়েছে। আশা করি, এই ওয়ার্কশপ পুলিশের মনোবল বাড়াতে সাহায্য করবে।’
সাবেক আইজিপি আবদুল কাইয়ুমের মতে, ‘বিগত সরকারের আমলে পুলিশ সেবক হয়ে কাজ করতে পারেনি। ফলে সরকার পতনের পর পুলিশে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। সেই বিপর্যয় পুলিশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।’
খবরের কাগজকে তিনি বলেন, ‘পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা, শ্রদ্ধা ও ভয় কোনোটাই নেই বললেই চলে।
দেশের বেশির ভাগ মানুষই আইন, পুলিশ কিছুই মানতে চায় না। কিন্তু সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে, আইন মানতে হবে, শৃঙ্খলার মধ্যে আসতে হবে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজটি পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়। পুলিশকে সবাই মিলে সহযোগিতা করতে হবে। শৃঙ্খলা ফেরাতে আইন মানার বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত সরকারের আমলে মানুষ পুলিশকে ভয় পেত। বিএনপির বিভিন্ন আন্দোলনে আমরা দেখেছি পুলিশের কঠোরতা। কারণ তখন ছিল একটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পুলিশ। এখন জনগণের দেশ, জনগণের পুলিশ, জনগণই সব ক্ষমতার উৎস।’
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক খবরের কাগজকে বলেন, ‘পুলিশের অতীতের কর্মকাণ্ডের রেশ এখনো কাটেনি। তা ছাড়া বর্তমান সময়ে পুলিশ মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। এতে বাড়ছে নিরাপত্তাঝুঁকি। ফলে আগের অনাস্থা রয়েছে ও বর্তমানে ভয় কমেছে।’ তিনি বলেন, চুরি, ছিনতাইসহ যেকোনো অপরাধে ভিকটিম পুলিশের দ্বারস্থ হলেও সেভাবে সেবা পাচ্ছে না। এ ছাড়া ভিকটিমের পরবর্তী সুরক্ষাও অনিশ্চিত। ফলে আস্থার জায়গা নষ্ট হয়ে সংকট তৈরি হয়েছে। মানুষ এখন পুলিশের চেয়ে অপরাধীদের বেশি শক্তিশালী মনে করছে। ফলে পুলিশকে এখন ভয় কম পাচ্ছে মানুষ। এ ছাড়া পুলিশ হামলার শিকার হচ্ছে, পুলিশ ভ্যান থেকে আসামি ছিনতাই ও থানায় হামলা হচ্ছে। এসব বিষয় চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে পুলিকে এখন আর মানুষ ভয় পাচ্ছে না।
পুলিশভ্যান থেকে আসামি ছিনতাই
গত ২ ফেব্রুয়ারি পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাবকে পুলিশ ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেন নেতা-কর্মীরা। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় পুলিশের কাছ থেকে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেন স্বজনরা। ৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উত্তরা পশ্চিম থানায় হামলা চালান বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এর আগে গত ৬ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুই মাদক কারবারিকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ২৪ জানুয়ারি ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ হোসাইন ওরফে মিথুনকে পুলিশ ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নিতে নিউ মার্কেট থানায় হামলা করা হয়।
শীর্ষ সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া, বেড়েছে চাঁদাবাজি চুরি ও ছিনতাই
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের মধ্যে অন্তত ছয়জন জামিনে মুক্তি পায়। তাদের বেশির ভাগই এক থেকে দেড় যুগের বেশি সময় ধরে কারাগারে ছিল। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গত ১৫ আগস্ট মুক্তি পায় ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর অন্যতম ইমন, ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, কিলার আব্বাস, সুইডেন আসলাম, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু।
এসব দাগি অপরাধীর মুক্তির পর থেকেই ঢাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুনোখুনি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর মতো ঘটনা বেড়ে যায়। সন্ত্রাসীরা খুনোখুনির পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য নেমে পড়ে। সর্বশেষ গত ১০ জানুয়ারি রাতে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে ইসিএস কম্পিউটার সিটির (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) সামনে দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী এহতেশামুল হককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় তাদের ওপর হামলা হয় বলে জানা যায়।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম খবরের কাগজকে বলেন, ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে দাগী অপরাধীদের বিষয়ে আমাদের কাজ চলমান আছে। তা ছাড়া প্রতিনিয়ত রাজধানীতে নানা কারণে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর মাঝেই ওই সব অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
কিশোর গ্যাংয়ের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা
সরকারের পতনের পর আদাবর, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও এই মুহূর্তে সক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন গ্রুপের একাধিক কিশোর গ্যাং। গত ২৯ জানুয়ারি ঢাকার রায়ের বাজারে আসামি ধরতে গিয়ে হামলায় চার পুলিশসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১৫ জনকে। আহত পুলিশ সদস্যদের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল এবং জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাদের অনেকের মাথা ফেটে গেছে, হাতের রক্তনালি কেটে গেছে, কারও ভেঙেছে হাত।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান খবরের কাগজকে বলেন, ‘বিভিন্ন অপরাধে শুধু জানুয়ারি মাসে আমার এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যসহ ৪২৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, খুনোখুনিসহ সব ধরনের অপরাধ কমে এসেছে। পুলিশ এসব নিয়ন্ত্রণের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।’