ঢাকা ৩০ কার্তিক ১৪৩১, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

বিকেএসপির নিষেধাজ্ঞা কী বার্তা দেয়?

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৪ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:২২ পিএম
বিকেএসপির নিষেধাজ্ঞা কী বার্তা দেয়?
ছবি : সংগৃহীত

খেলোয়াড় গড়ার কারখানা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)। সেই প্রতিষ্ঠানটিকেই ফুটবলের সব কার্যক্রম থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে খেলোয়াড় নিবন্ধনে জালিয়াতির অভিযোগের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ডিসিপ্লিনারি কমিটি। গত রবিবার তাই বিকেএসপিকে নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানা করে সংস্থাটি। সঙ্গে জালিয়াতিকাণ্ডে জড়িত দুজন কোচ ও সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা  নিয়েছে বাফুফে। কোচদের এক বছরের জন্য ও সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের ৬ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বিকেএসপির মতো প্রতিষ্ঠানকে এই শাস্তি দেওয়া বা প্রতিষ্ঠানটির এই শাস্তি পাওয়া- দুটিই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে তোলপাড় ফেলার মতো খবর। হয়েছেও তাই। এ নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। সেই সঙ্গে কিছু প্রশ্নও উঁকি দিচ্ছে অনেকের মনে।

বাংলাদেশের নিচের সারির লিগগুলো নিয়ে অভিযোগের আসলে অন্ত নেই। যে কাণ্ডে বিকেএসপি নিষিদ্ধ হলো, সেই ঘটনাও আসলে নতুন কিছু নয়। তবে বিকেএসপির মতো প্রতিষ্ঠান যখন এমন ঘটনায় জড়িয়ে যায়, তখন প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে তো আঙুল উঠবেই। ডিসিপ্লিনে যাদেরকে আদর্শ মানে সবাই, সেই তারাই এমন ঘটনায় জড়ালে সেটা শুধু হতাশাজনকই নয়, পুরো ক্রীড়াঙ্গনের জন্যই  বড় বিপর্যয়।

বাফুফে বিকেএসপির বিরুদ্ধে যে প্রমাণ পেয়েছে, তাতে বলা হয়েছে তৃতীয় বিভাগ ফুটবলে প্রতিষ্ঠানটির নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের চকবাজারের হয়ে খেলার বিষয়ে দুই পক্ষের চুক্তি হয়। কিন্তু তিনজন খেলোয়াড়ের জায়গায় নাম পরিচয় বদলে একই প্রতিষ্ঠানের অন্য খেলোয়াড়রা খেলেছেন। এই খেলোয়াড়রা পরে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলে বিকেএসপির হয়ে নিজেদের প্রকৃত নাম-পরিচয় ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে গেলে বিষয়টি বাফুফের নজরে আসে। পরে এই খেলোয়াড়দের দ্বিতীয় ফুটবলে খেলতে দেওয়া হয়নি। এই সব খেলোয়াড় বিষয়টি বাফুফের কাছে স্বীকার করে নেয়। তারা এও স্বীকার করে যে, পুরো বিষয়টি অবগত ছিলেন বিকেএসপির কোচ রবিউল ইসলাম। যিনি চকবাজার কিংসের কোচের দায়িত্বে ছিলেন। এ ছাড়া দলটির প্রধান কোচ ও ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন বিকেএসপির সিনিয়র প্রশিক্ষক শাহীনুল হক। বাফুফে এই দুজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছে। ফুটবল কার্যক্রম থেকে তাদের এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করার সঙ্গে আর্থিক জরিমানাও করেছে।

বাফুফে বলছে, তিন খেলোয়াড়ের ঘটনায় বিকেএসপিকে সতর্ক করার পরও নাম-পরিচয় বদলে তৃতীয় বিভাগে খেলা আরও একজন খেলোয়াড়কে দ্বিতীয় বিভাগে খেলিয়েছে তারা। এ নিয়ে আরামবাগ ফুটবল একাডেমি গত ২৪ নভেম্বর বাফুফের কাছে প্রতিবাদ দাখিল করে। আর এরপরই বাফুফে নিয়েছে কঠোর সিদ্ধান্ত।

বিকেএসপি অবশ্য বাফুফের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরই মধ্যে আপিল করেছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক (ট্রেনিং) কর্নেল মো. মিজানুর রহমান গত সোমবার খবরের কাগজকে বলেন, ‘দেখুন কোনো ব্যক্তির দোষ তো আর প্রতিষ্ঠান নিতে পারে না। আমরা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপলি করেছি।’ ঘটনার সংশ্লিষ্টতায় প্রতিষ্ঠানটির দুই কোচের নাম এসেছে। তাদের বিষয়ে জানতে চাইলে কর্নেল মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করব। যদি তারা দোষী প্রমাণিত হন, অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

পুরো ঘটনা নিয়ে দেশের একজন শীর্ষ কোচ নাম প্রকাশ না করার শর্তে খবরের কাগজকে বলেন, ‘বাফুফে বিষয়টি অন্য ভাবে দেখতে পারত। যেহেতু প্রতিষ্ঠানটি বিকেএসপি। দেশের খেলাধুলায় তাদের অবদান অনেক। শুধু ফুটবল নয়, অন্য অনেক খেলায় তারা খেলোয়াড় সাপলাই দিচ্ছে বছরের পর বছর। বাফুফে হয়তো এই সিদ্ধান্তের জন্য এখন বাহবা পাবে। কিন্তু এর চেয়ে অনেক বড় ঘটনাও তো তারা দেখছে না।’ তিনি প্রশ্ন তুলেন, ‘চকবাজার এখানে ছাড় পেল কীভাবে? দলটির কোচদের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু কোচরা তো আর কর্মকর্তা নন। দলটির বা দলটির কোনো কর্মকর্তার এখানে শাস্তি হলো না কেন?’

বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী ও জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার রাশেদুল ইসলামও একই প্রশ্ন রেখেছেন, ‘আমরা যারা বিকেএসপির শিক্ষার্থী, বিকেএসপিতে বড় হয়েছি, স্বাভাবিকভাবেই এই  প্রতিষ্ঠানদের প্রতি আলাদা আবেগ বা ভালোবাসা তো কাজ করেই। গণমাধ্যমে যে বিষয়গুলো দেখলাম, যে খেলোয়াড়রা অন্যায় করেছে, তারা শাস্তি পেয়েছে। পাওয়াটাই স্বাভাবিক। যারা কোচিং ম্যানেজমেন্টে ছিল তাদেরও শাস্তি হয়েছে। তৃতীয় বিভাগের একটি ক্লাবের হয়ে তারা জালিয়াতি করেছে। কিন্তু এখানে বিকেএসপির শাস্তির বিষয়টি ক্লিয়ার না। যারা বিচারক তারা নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে শাস্তিটা দিয়েছেন। কিন্তু বিকেএসপি এক বছর নিষিদ্ধ হওয়ার মতো  অপরাধ করেছে কি না, সে বিষয়টি মনে হয় আরেকটু ভাবা উচিত। কারণ তৃতীয় বিভাগে তো বিকেএসপি খেলেনি। আর দ্বিতীয় বিভাগে যে খেলোয়াড় নিয়ে অভিযোগ, সে তো প্রকৃত নামেই খেলেছে। তাহলে কেন একটা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দেওয়া হয়। বিকেএসপিতে অনেক খেলোয়াড় খেলছে। তারা অনেক স্বপ্ন নিয়ে আসে। এখন যদি এক বছর খেলা বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে সেটা তাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

তবে ভিন্ন মতামতও রয়েছে। বিকেএসপির সাবেক প্রধান হকি কোচ কাওসার আলী যেমন বললেন, যে ফেডারেশন এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিশ্চয়ই তারা আবেগবশত এটা দেয়নি। নিশ্চয়ই এখানে বিকেএসপির দোষ রয়েছে। আমি ৩২-৩৩ বছর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ছিলাম। আমার অনেক খেলোয়াড় জাতীয় দলে খেলেছে। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলি, এখানে বিকেএসপির অবশ্যই মিসটেক আছে। সেটা ব্যক্তিগতভাবে আছে, প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও আছে।’

বিকেএসপির এই নিষেধাজ্ঞার খবরে এই কোচ খুবই ব্যথিত, ‘বিকেএসপির একটা অন্ধকার দিক প্রকাশ হয়ে গেল। আমি অত্যন্ত লজ্জিত। আমাদের জন্য এটা বড় ক্ষত। কোনো ফেডারেশন আমাদের কখনো ব্লেম করতে পারেনি। সেখানে এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল। বিকেএসপির এখানে যে মিসটেকগুলো আছে, সেগুলোর যদি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তবে সেটা বিকেএসপিরই বদনাম হবে।’

৯ ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত সোহাগ

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৯ পিএম
আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩২ পিএম
কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিতর্কিত সোহাগ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৯টি ফেডারেশনের বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ৯টি ফেডারেশন হলো- দাবা, ব্রিজ, হকি, অ্যাথলেটিকস, বাস্কেটবল, স্নুকার এন্ড বিলিয়ার্ড, টেনিস, স্কোয়াশ ও কাবাডি।  

৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ গ্রহণের পর ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ৩০ আগস্ট ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করেন। তারা অ্যাডহক কমিটি গঠন করে ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে জমা দেন। পরে সেখানে যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব স্বাক্ষরিত ৯টি ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

৯টি ফেডারেশনের কোনো কোনোটিতে ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট সংগঠক একজনও নেই। যেমন ব্রিজ ফেডারেশন। আবার কোনো কোনোটিতে খুবই কম। যেমন স্কোয়াশ ও কাবাডি ফেডারেশন। বিভিন্ন কমিটিতে ব্যবসায়ী, ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এমডি, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের আধিপত্য বেশি। ভেঙে দেওয়া কমিটির সংগঠকদের অ্যাডহক কমিটিতে জায়গা হয়নি বললেই চলে। তবে ব্যতিক্রম কাবাডি ফেডারেশন। আগের কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা বিতর্কিত এস এম নেওয়াজ সোহাগকে করা হয়েছে সাধারণ সম্পাদক। সভাপতি হয়েছেন পুলিশের আইজি ময়নুল ইসলাম। কোনো কোনো ফেডারেশনে আবার আগে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা সংগঠককেও নতুন করে দায়িত্ব দিয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যেমন অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নতুন সাধারণ সম্পাদক রাষ্ট্রীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত ক্রীড়াবিদ শাহ আলম আগেও এই ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই ফেডারেশনের সভাপতি করা হয়েছে মেজর জেনারেল ড. নাঈম আশফাক চৌধুরীকে।

এই ৯টি ফেডারেশনের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল হকি ফেডারেশন। সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক খেলোয়াড় লে. কর্ণেল রিয়াজুল হাসানকে (অব.)। সভাপতি হিসেবে আছেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ। দাবা ফেডারেশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক  সৈয়দ সুজা উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ফিদে মাস্টার ড. তৈয়বুর রহমান সুমন। ব্রীজ ফেডারেশনের সভাপতি করা হয়েছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন হাসান এন্ড অ্যাসোসিয়েটসের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাঈমুল হাসান। ঢাকা ব্যাংকের চেয়ারম্যান সাবেক খেলোয়াড় আব্দুল হাই সরকারকে করা হয়েছে টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি। সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন আরেক সাবেক খেলোয়াড় সেল্টার আর্কিটেক্ট এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিচালক ইশতিয়াক আহমেদ। স্কোয়াশ ফেডারেশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দু’জনই সেনাবাহিনীর। সভাপতি মেজর জেনারেল মো. হাসান উজ জামান, সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিএম কামরুল ইসলাম। 

এছাড়া বিলিয়ার্ড এন্ড স্নুকার ফেডারেশনের সভাপতি ইউএস বাংলার উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সরকার মুহাম্মদ শামসুদ্দিন (অব.), সাধারণ সম্পাদক সাবেক খেলোয়াড় রিয়াসাত করিম ভুঁইয়া, বাস্কেটবল ফেডারেশনের সভাপতি জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ডা.  শামীম নেওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সাবেক খেলোয়াড় ও জাতীয় দলের কোচ মেজর মোহাম্মদ আতিকুল।

অলিম্পিকের চেতনায় ভারত-পাকিস্তানকে এক হতে বললেন আফ্রিদি

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ পিএম
অলিম্পিকের চেতনায় ভারত-পাকিস্তানকে এক হতে বললেন আফ্রিদি
ছবি : সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে পাকিস্তানের মাটিতে ভারতের খেলা না খেলা নিয়ে চলছে উত্তেজনা। এরইমধ্যে কথা ছড়িয়েছে ভেন্যু পরিবর্তন করে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিয়ে যাওয়ার। পরে অবশ্য এমনকোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে আইসিসি। ভারত পাকিস্তানে খেলতে মোটেও আগ্রহী নয়, তবে পাকিস্তানও কোনোভাবে ছাড় দিতে রাজি নয় এবার। 

দুই দলকে একবিন্দুতে আনতে হিমশিম খাচ্ছে খোদ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। দুই দলকে নিয়েই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চায় আইসিসি। নইলে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে আইসিসিকে। 

অন্যদিকে, বিভেদ ভুলে অলিম্পিকের চেতনায় ভারতকে এক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।

উদ্ভুত এই পরিস্থিতি নিয়ে ঐক্যের আহবান করে এক্সে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক লিখেছেন, ‘১৯৭০-এর দশকের পর ক্রিকেট একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়কে অবস্থান করছে।সম্ভবত এটি এখন অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। কাজেই এখনই সময় ভেদাভেদ দূরে সরিয়ে খেলাটির মাধ্যমে আমাদের একত্রিত হওয়ার। ইতিহাস দ্বারা বিভক্ত দেশগুলি যদি অলিম্পিকের চেতনায় একত্রিত হতে পারে তবে কেন আমরা ক্রিকেট এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য একই কাজ করতে পারি না?’

পোস্টে তিনি আরও লিখেন, ‘এই খেলাটির মাধ্যমে আমরা নিজেদের অহংকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। খেলাটির বৃদ্ধি ও চেতনার দিকে মনোনিবেশ করার স্বার্থে আমি আশা করি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এ পাকিস্তানের প্রতিটি দলকে দেখতে পাব। আমাদের আতিথেয়তার অভিজ্ঞতা লাভ করবে দলগুলো। সেই সাথে মাঠের বাইরে কিছু অবিস্মরণীয় স্মৃতি নিয়ে তারা এখান থেকে যাবে।’

২০০৮ সালের পর আর পাকিস্তানের মাটিতে ক্রিকেট খেলতে যায়নি ভারত। ২০২৩ সালে পাকিস্তানের মাটিতে এশিয়া কাপ হওয়ায় সেখানেও ভারত খেলতে যেতে রাজি না হওয়ায় হাইব্রিড পদ্ধতিতে তা আয়োজ়ন করতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলেছিল শ্রীলঙ্কায়। এশিয়া কাপে খেলতে না এলে পাকিস্তানও ভারতের মাটিতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে না যাওয়ার হুমকি দিলেও শেষ পর্যন্ত তারা খেলতে যায় সেখানে।

এর আগে, ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতেও ভারতে গিয়েছিল পাকিস্তান।

গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার পরিবারের পাশে তামিম

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার পরিবারের পাশে তামিম
ছবি : সংগৃহীত

মাস চারেক আগে দাবা খেলতে খেলতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের অন্যতম সেরা দাবাড়ু ছিলেন তিনি। স্বামী জিয়ার মৃত্যুতে একমাত্র সন্তান তাহসিনকে নিয়ে স্ত্রী লাবণ্য অথৈ পড়ে যান আর্থিক কষ্টে। 

ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে অনেক আশ্বাস দিলেও তার কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি এখন পর্যন্ত। তবে প্রয়াত গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া পরিবারের দুঃসময়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।

সাবেক এই অধিনায়ক জিয়ার পরিবারকে দিয়েছেন ৫ লক্ষ টাকা সহায়তা। পাশাপাশি আশ্বাস দিয়েছেন যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার। ছেলে তাহসিনের লেখাপড়া ঠিকঠাকভাবে চালিয়ে নেওয়া ও দাবার ক্যারিয়ারে মনোযগী হওয়ার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন তামিম।

তামিম আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকেও তাদের সহায়তার। বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন তাদের আবেদন জমা দিতে বলেছেন, যাতে ভবিষ্যতে তাহসিনের দাবা ক্যারিয়ারে সহযোগিতা করা সম্ভব হয়।

প্রয়াত গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়ার ছেলে তাহসিন তাজওয়ার জিয়া ফিদে মাস্টার। তিনি সম্প্রতি হাঙ্গেরিতে দাবা অলিম্পিয়াড ও তিনটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্ট খেলে দেশে ফিরেছেন। 

‘নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামানো যাবে না মেসি ম্যানিয়া’

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পিএম
‘নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থামানো যাবে না মেসি ম্যানিয়া’
ছবি : সংগৃহীত

লিওনেল মেসির ভক্ত কেবল আর্জেন্টিনা নয়, ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সারাবিশ্বে। তাই যেকোনো প্রতিপক্ষের মাঠে খেললেই মেসি ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের ঘাটতি পড়ে না। প্রতিপক্ষের মাঠের মেসির জার্সি পরিহিত দর্শকের উপস্থিতি থাকে চোখে পড়ার মতো।

তবে এবার নিজেদের মাঠে মেসির প্রতি ভক্তদের উন্মাদনা ঠেকাতে ও ঘরের মাঠের পূর্ণ ফায়দা আদায়ে গ্যালারিতে আর্জেন্টিনা ও মেসির জার্সি নিষিদ্ধ করেছে প্যারাগুয়ে। তবে এসব করে মেসি ম্যানিয়া ঠেকানো যাবে না মনে করিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি।

আগামীকাল ভোর সাড়ে পাঁচটায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে প্যারাগুয়ের আসুনসিওনে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। সেখানে আর্জেন্টিনা ও মেসির নাম সংবলিত জার্সি পরে গ্যালারিতে আসা নিয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্যারাগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ‘আমাদের দলের জার্সি ছাড়া অন্য কোনো শার্ট পরে ঢোকার অনুমতি আমরা দেব না। মেসির সঙ্গে কোনো সমস্যা নেই। সব ফুটবলারের ক্যারিয়ারকে সম্মান করি আমরা। কিন্তু এখানে মূল ব্যাপারটি হলো, ঘরের মাঠ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

তবে এসব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যে মেসি ম্যানিয়া ঠেকানো যাবে না সেটি মনে করিয়ে দিয়েছেন স্কালোনি, ‘যৌক্তিকভাবে চিন্তা করলে প্যারাগুয়ের সমর্থকরা তাদের ফুটবলারদের জন্য নিজেদের জাতীয় দলের জার্সিই পরতে চাইবে। তবে লিও তো এসবের চেয়েও শক্তিশালী এবং অবশ্যই সেখানে (গ্যালারিতে) আর্জেন্টিনার জার্সি থাকবেই। এর মানে এই নয় যে তারা প্যারাগুয়েকে সমর্থন করেন না। তবে ফুটবলের লোকেরা যখন লিওকে স্বীকৃতি দেয়, এটা খেলাটির জন্যই ভালো। কেবল জার্সি গায়ে চাপালেই কেউ আর্জেন্টিনার ভক্ত হয়ে যায় না।’

টেনিস অভিষেকটা রাঙাতে পারলেন না ফোরলান

প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪০ পিএম
টেনিস অভিষেকটা রাঙাতে পারলেন না ফোরলান
ছবি : সংগৃহীত

২০১০ ফিফা বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হওয়া দিয়েগো ফোরলান ফুটবল থেকে অবসর নিয়েছেন ২০১৯ সালে। এবার তিনি যাত্রা শুরু করলেন নিজের পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ারের। তবে শুরুটা মন মতো হয়নি। অভিষেকেই ডাবলসে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে ফোরলানকে।

৪৫ বছর বছর বয়সী ফোরলান নিজ শহরে খেলতে নেমেছিলেন ফেদেরিকো কোরিয়ার সঙ্গী হিসেবে। তবে তাদের পরাজিত হতে হয়েছে বলিভিয়ান জুটি বরিস আরিয়াস ও ফেদেরিকো জেবায়সের কাছে। 

ফোরলান ও কোরিয়া জুটি হেরেছে মাত্র ৪৭ মিনিটেই। ৬-১, ৬-২ গেমে হেরে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছেন ফোরলান ও কোরিয়া। 

উরুগুয়ের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম এই সেরা ফুটবলার ম্যাচের শুরু থেকেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পান দর্শকদের। করতালি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান দর্শকরা। তিনিও দর্শকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়াতে নাড়াতে কোর্টে প্রবেশ করেন।

পুরোদস্তু ফুটবলার হয়ে বিশ্বমঞ্চেও দলকে নিয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করা ফোরলানের টেনিসের সঙ্গে সখ্যতা ২ বছর বয়সে। গেল পাঁচ বছর ধরে তিনি অপেশাদার মাস্টার্স টেনিস টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে কিছু সাফল্যও পেয়েছেন। যা তাকে উরুগুয়ের সবচেয়ে বড় পেশাদার টুর্নামেন্টে খেলায় উদ্বুদ্ধ করেছে।