ওল্ড ট্রাফোর্ডে শুধুমাত্র বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জিতলেই হতো না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। কোপেনহেগেনে গালাতাসারাই এবং স্বাগতিকদের ম্যাচ ড্র হতে হতো। কিন্তু দুটির একটিও না হওয়ায় কপাল পুড়েছে ম্যানইউ’র। ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হেরে বাদ পড়তে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্ব থেকে।
আগেই গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত করা বায়ার্ন অবশ্য এদিন খুব একটা ভালো ফুটবল খেলতে পারেনি। তবে, শুরু থেকেই আক্রমণে ওঠার সব চেষ্টা করতে থাকে তারা। আর তাতে শেষ পর্যন্ত হাসি ফোটে তাদের মুখেই। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরল জার্মান ক্লাবটি। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে নকআউট পর্বে পা রাখল তারা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে থেকে ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা থেকেই ছিটকে গেল ইউনাইটেড।
বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পায় বায়ার্ন ম্যাচের প্রথমার্ধে। কিন্তু কাজে লাগার ব্যর্থ হয় তারা। অন্যদিকে স্বাগতিক ইউনাইটেড ম্যাচের প্রথমভাগে ছিল নিষ্প্রভ একেবারেই। বিরতির পর কিছুটা আক্রমণ বাড়ায় তারা।
ম্যাচের ডেডলক ভাঙতে অপেক্ষা করতে হয় ৭০তম মিনিট পর্যন্ত। পাসিং ফুটবলে শাণানো আক্রমণে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ওয়ান-টাচ পাসে ভেতরে বল বাড়ান হ্যারি কেইন। আর অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে বক্সে ঢুকে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফরাসি ফরোয়ার্ড কোমান। আর সেখানেই শেষ হয়ে যায় ইউনাইটেডের আশা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে এতটা খারাপ অবস্থা কখনও হয়নি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। এর আগে তাদের সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল ২০০৫-০৬ মৌসুমে; সেবার ৬ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছিল তারা।
এদিকে ‘বি’ গ্রুপের শীর্ষস্থান আগেই নিশ্চিত হওয়ায় শেষ ম্যাচে দলে অনেক পরিবর্তন আনেন আর্সেনাল কোচ। আগের ম্যাচের দলে আটটি পরিবর্তন আনার প্রভাব পড়ে তাদের পারফরম্যান্সে। পিএসভি আইন্দহোভেনের বিপক্ষে তারপরও প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল আর্সেনাল। কিন্তু পরে গোল হজম করে ১-১ ড্র করেছে তারা। গ্রুপের আরেক ম্যাচে সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ফরাসি ক্লাব লঁস।