ঢাকা ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

বরুশিয়ার বিপক্ষে ড্র, ভাগ্যের সহায়তায় দ্বিতীয় পর্বে পিএসজি

প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:০০ পিএম
আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৩০ এএম
বরুশিয়ার বিপক্ষে ড্র, ভাগ্যের সহায়তায় দ্বিতীয় পর্বে পিএসজি
ছবি : সংগৃহীত

জিতলেই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন আর হেরে গেলে বাদ পড়ার শঙ্কা নিয়ে মাঠে নামে পিএসজি। এসবের মাঝেও আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে পিএসজি। কিন্তু বারবার সুযোগ মিস করে তারা। অসংখ্য সুযোগ নষ্টের পঅর গোলও হজম করে বসে দলটি। ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা ফেরালেও জয়সূচক গোলের দেখা আর পায়নি তারা। ভাগ্যের সহায়তায় আরেক ম্যাচের ফল পক্ষে আসায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বের টিকেট পেয়েছে লুইস এনরিকের দল।
বুধবার রাতে সিগনাল ইদুনা পার্কে ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। একই সময়ে শুরু আরেক ম্যাচে এসি মিলান জেতায় গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের ধাপে উঠেছে পিএসজি।

ঘরের মাঠে মিলানের বিপক্ষে শুরুতে এগিয়ে গিয়ে আশা জোরাল করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেই হারিয়ে ফেলে ইংলিশ ক্লাবটি। ম্যাচের চূড়ান্ত ফলাফলে ২-১ গোলে হেরে ছিটকে যায় ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা থেকে। আর তাতেই ভাগ্য খুলে যায় পিএসজির।

আগেভাগে নকআউট পর্বে খেলা নিশ্চিত করা ডর্টমুন্ড এই ড্রয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হলো। ছয় ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১১। পিএসজি ও এসি মিলানের পয়েন্ট সমান ৮। মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। তাই ইউরোপা লিগে জায়গা করে নিল মিলান। তলানিতে থাকা নিউক্যাসলের পয়েন্ট ৫। 

ম্যাচের শুরুতেই বিপদে প্রায় পড়তে বসেছিল পিএসজি। ডর্টমুন্ডের তরুণ ফরোয়ার্ড জেমি বিনো-গিটেন্স ডি-বক্সে একজনকে কাটিয়ে শট নিতে পারতেন; কিন্তু তিনি মার্কো রয়েসকে পাস দেওয়ার চেষ্টায় ভুলটা করেন। বল ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি।

পিএসজি ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয়। পর্তুগিজ মিডফিল্ডার ভিতিনিয়ার ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর তখন পর্যন্ত সেরা সুযোগটি পান লি কাং-ইন; তবে সতীর্থের কাটব্যাক ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে হতাশা বাড়ান দক্ষিণ কোরিয়ান মিডফিল্ডার।

একের পর এক আক্রমণের ঝড় তুলে পরের আট মিনিটে আরও তিনটি সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে পিএসজি, যদিও সাফল্য ধরা দেয়নি। ১৭তম মিনিটে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে লুকা এরনঁদেজের উঁচু করে বাড়ানো থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। গোলরক্ষককেও কাটিয়ে আলতো করে শট নেন তিনি। বলে খুব একটা গতি না থাকলেও গোলমুখীই ছিল; কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে অসাধারণ নৈপুণ্যে স্লাইড করে শেষ মুহূর্তে ঠেকিয়ে দেন নিকলাস সুলে।

এর ঠিক তিন মিনিট পর ব্র্যাডলি বারকোলার কোনাকুনি শট গিয়ে লাগে পোস্টে। এরপর দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গতিতে প্রতিপক্ষের দুইজনকে পেছনে ফেলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান রন্দাল কোলো মুয়ানি। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে তিনিও নেন লক্ষ্যভ্রষ্ট শট।

রোমাঞ্চে ভরপুর প্রথমার্ধের শেষ দুই মিনিটে উভয় পক্ষই তৈরি করে দারুণ দুটি সুযোগ। কিন্তু ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতাকে কেউই কিছু করতে পারেনি।
দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। এর মাঝেই ৫১তম মিনিটে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে পিএসজি। গোলটি করেন জার্মান ফরোয়ার্ড করিম আদেইয়েমি।

পাঁচ মিনিটেই গোল শোধ দেয় পিএসজি। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে এমবাপ্পে বক্সে ঢুকে কাটব্যাক করেন। প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে বল পেয়ে যান ওয়ারেন জাইরে-এমেরি। ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডারের শট প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পা ছুঁয়ে খুঁজে নেয় ঠিকানা। ম্যাচে তখন  সমতা ফেরে ১-১ গোলে।

৬২তম মিনিটে আবারও দোন্নারুম্মার নৈপুণ্যে বেঁচে যায় পিএসজি। ডাচ ফরোয়ার্ড ডোনিয়েল মালেনের জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান ইতালিয়ান গোলরক্ষক।

৭৫তম মিনিটে দারুণ এক প্রতি-আক্রমণে গতিতে সবাইকে পেছনে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন এমবাপ্পে। কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠিয়ে শুরুও করে দেন উল্লাস। কিন্তু, ভিএআরে দেখা যায় অফসাইডে ছিলেন তিনি।

বাকি সময়ে পিএসজি আর পারেনি তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে। তবে তাদের ভাগ্য খুলে যায় মিলানের ৮৫তম মিনিটের গোলে। সব শঙ্কা আর অনিশ্চয়তার নানা ধাপ পেরিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টিকে থাকার স্বস্তিতে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।

দল সাজিয়ে উচ্ছ্বসিত শাকিব খান

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৭ এএম
দল সাজিয়ে উচ্ছ্বসিত শাকিব খান
ছবি : সংগৃহীত

ঢালিউডের সবচেয়ে বড় তারকা শাকিব খান নাম লিখিয়েছেন বিপিএলের মালিকানায়। নিজের দল ঢাকা ক্যাপিটালসের ড্রাফটের টেবিলেও গতকাল উপস্থিত ছিলেন তিনি। নিলামের টেবিলে সবার চোখ গিয়েছে রূপালী পর্দার শীর্ষ নায়কের দিকে

মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস ও সাব্বির রহমানের মতো দেশি তারকার পাশাপাশি বিদেশি ক্রিকেটার হিসেবে দলে ভিড়িয়েছেন জনসন চার্লস, স্টিফেন এসকিনাজি, সাইম আইয়ুব ও আমির হামজাদের। 

মোট ১৬ জন ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে ঢাকা ক্যাপিটালস। এরমধ্যে ৬জনকে সরাসরি আর ১০ জনকে নিয়েছে ড্রাফট থেকে।

ড্রাফট শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে শাকিব খান বলেন, ‘সিনেমা ও ক্রিকেট কীভাবে একসঙ্গে করা যায় সেটা নিয়েই একটা স্বপ্ন ছিল। আমরা সকলেই জানি, সিনেমার থ্রিল, রোমান্স আর ক্রিকেট মাঠের উত্তেজনা- এই দুই মহাশক্তি একত্র হলে একটা মহাবিস্ফোরণ হতে পারে। রচিত হতে পারে একটা মহাকাব্য। যার আভাস আমরা যখন দল ঘোষণা করেছি, তখনই পেয়েছি। যখন আমাদের দল ঘোষণা হয়, তখন থেকে আমরা দারুণ সাড়া পেয়েছি। সবাই এত ভালোবাসা পেয়েছি যা অবাক করার মতো।’

পছন্দমতো দল সাজাতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শাকিব বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ক্রিকেটকে ভালোবাসি। বাংলাদেশের সিনেমাও যেমন আমাদের ক্রিকেটও আমাদের। আমরা বিপিএলে দল কিনতে পেরে খুব উচ্ছ্বসিত। আজ প্রত্যাশা মতো দল সাজাতে পেরেছি। আশা করি, নম্বর ওয়ানের মতো দলটাও তাই হয়েছে। তাছাড়া ঢাকা ক্যাপিটালসকে নিয়ে আমরা যতটা উচ্ছ্বসিত, আমাদের দেশের মানুষ আরও বেশি উচ্ছ্বসিত। ব্যাপারটি আমাকে খুব আনন্দ দিচ্ছে।

সেপ্টেম্বরের মাসসেরা কামিন্দু মেন্ডিস

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪৯ এএম
সেপ্টেম্বরের মাসসেরা কামিন্দু মেন্ডিস
ছবি : সংগৃহীত

নজরকাড়া পারফরম্যান্স করে আইসিসির সেপ্টেম্বরের মাসসেরা হয়েছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস। মাসসেরা হতে গিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড ও স্বদেশী প্রবাথ জয়াসুরিয়াকে। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকালে সেপ্টেম্বরের মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় কামিন্দু মেন্ডিসের। দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতেছেন তিনি। আর সেপ্টেম্বরের সেরা নারী ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ইংল্যান্ডের ট্যামি বিউমন্ট।

গেল চার টেস্ট ম্যাচে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া কামিন্দু ৯০.২০ গড়ে করেছেন ৪৫১ রান। মাসের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৪ এবং ৬৪ রানের দুই ইনিংস খেলেন তিনি।

এরপর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে গলে ১১৪ রানের লড়াকু ইনিংসের পর ১৮২ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিং খেলেন দ্বিতীয় টেস্টে। সেই টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জেতে শ্রীলঙ্কা। 

প্রথম আট টেস্টের সবকটিতে কমপক্ষে একটি ফিফটি হাঁকানো প্রথম ব্যাটার কামিন্দু। একইসঙ্গে ৭৫ বছরের ইতিহাসে টেস্টে দ্রুততম ১ হাজার রানের মাইলফলকও গড়েছেন তিনি।

বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রতি অনীহা!

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ এএম
আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৮ এএম
বিদেশি ক্রিকেটারদের প্রতি অনীহা!
ছবি : সংগৃহীত

৫ আগস্ট সরকারের পটপরিবর্তনের কারণে এবারের বিপিএলের ১১তম আসর যথাসময়ে শুরু নিয়ে শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা দূর হয়ে যায় ফারুক আহমেদ সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর। তারপর ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার ছিল বাড়তি নজর। পরে সেখানে যোগ হয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরামর্শ। অবশেষে প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে এবারের বিপিএলের যাত্রা শুরু হলো। এবার মাঠে গড়ানোর পালা। খেলা শুরু হবে ২৭ ডিসেম্বর।

এক সময় বিপিএলে প্লেয়ার্স ড্রাফট নিয়ে সবার মাঝে ব্যাপক কৌতূহল থাকত। এখন আর সে রকম থাকে না। এই না থাকার কারণ দেশি-বিদেশি তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আগেই সরাসরি চুক্তি করে নেওয়া। পাশাপাশি নিজেদের পছন্দের ক্রিকেটারদেরও ধরে রাখা হয়। তারপরও এবারের প্লেয়ার্স ড্রাফটে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু ছিলেন ঢালিউড নায়ক সাকিব খান। তিনি নতুন মালিকানায় ঢাকা ক্যাপিটালসের হয়ে প্লেয়ার্স ড্রাফটে উপস্থিত হয়েছিলেন। 

এবারে প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই পুরোনো ক্রিকেটারদের ধরে রাখা এবং সরাসরি স্বাক্ষর করে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, জাকির হাসান, তানজিম হাসান সাকিব, তানজিদ হাসান তামিম, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, নাসুম আহমেদের মতো ক্রিকেটারকে দলে ভেড়ানোর কাজটি সেরে রাখে।

গতবারের মতো এবারের আসরে সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশ নিলেও তিনটি নতুন মালিকানায়। এ তিনটি দল হলো চিটাগাং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ঢাকা ক্যাপিটালস। চারবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এবার খেলছে না। ড্রাফটে ১৯৮ জন দেশি ও ৪৩৪ জন বিদেশি ক্রিকেটারের নাম ছিল। দেশি ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছিল ৬ ক্যাটাগরিতে। বিদেশি ক্রিকেটার খুব একটা মান সম্পন্ন না হওয়াতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ড্রাফট থেকে খেলোয়াড় কিনতে খুব একটা আগ্রহী হয়নি। সরাসরি নেওয়া ছাড়া ড্রাফটে মাত্র ১৬ জন ক্রিকেটার বিক্রি হয়েছেন। আবার সরাসরি কোনো বিদেশি ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি করেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্বার রাজশাহী। ঢাকা ক্যাপিটালস করেছে একজন ও খুলনা টাইগার্স দুজনের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছে। 

ভারত সফর শেষ করে মঙ্গলবার রাতে দেশে ফিরে জাতীয় দল। তাদের মাঝে মেহেদি হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ-ভারত সিরিজের ধারাভাষ্য দেওয়া তামিম ইকবালও এসে উপস্থিত হয়েছিলেন। প্লেয়ার্স ড্রাফটে একমাত্র চিটাগাং কিংসই বিদেশি ক্রিকেটারদের মাঝে শন টেইটকে রেখেছিল। প্লেয়ার্স ড্রাফটে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ১২ জন ক্রিকেটারকে রাখা হয়েছিল। যাদের আর্থিক মূল্য ছিল ৬০ লাখ টাকা। প্রথম ডাকেই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটারদের নেওয়ার সুযোগ হাত ছাড়া না করলেও নাজমুল হোসেন শান্ত ও রিশাদ হোসেনের ক্ষেত্রে ঘটে ব্যতিক্রম। প্রতি সেটে একটি দল দুবার করে ক্রিকেটারকে দলে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু প্রথম সেটে নাজমুলকে কোনো দলই নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি। এ সময় নাজমুলের সঙ্গে অবিক্রিত থেকে যান রিশাদ হোসেনও। দ্বিতীয় সেটে নাজমুলকে কিনে নেয় ফরচুন বরিশাল। কিন্তু রিশাদ অবিক্রিতই থেকে যান। শেষ পর্যন্ত তিনি বিক্রি হন চতুর্থ সেটে। এবারও ত্রাণ কর্তা হয়ে হাজির হয় ফরচুন বরিশাল। তারা কিনে নেয় রিশাদকে। এই দুজনের পাশাপাশি তারা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও প্রথম ডাকে কিনে নেয় বরিশাল। তামিম ও মুশফিকে ফরচুন বরিশাল ধরে রাখার কারণে এই তিন ক্রিকেটার গতবারের মতো এবারও একই দলে খেলবেন। সঙ্গে যোগ হলেন নাজমুল ও রিশাদ। সিলেট স্ট্রাইকার্স প্রথম ডাকে রনি তালুকদারকে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডাকে নেয় গত দুই আসরে তাদের হয়ে খেলা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। এ ছাড়া প্রথম ডাকে একে একে কিনে নেয় দুর্বার রাজশাহী তাসকিন আহমেদকে, ঢাকা ক্যাপিটালস লিটন দাসকে, খুলনা টাইগার্স শামীম হোসেনকে, চিটাগাং কিংস হাসান মাহমুদকে, রংপুর নাহিদ রানাকে। খেলোয়াড় কেনাবেচার হাটে দল পাননি কানপুর টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকানো মুমিনুল হক সৌরভ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, শুভাগত হোমের মতো জাতীয় দলের বর্তমান ও সাবেক ক্রিকেটাররা।

ড্রাফটে দেশি-বিদেশি ক্রিকেটার মিলে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটার কিনেছে ফরচুন বরিশাল ও সিলেট স্ট্রাইকার্স (বিদেশি ৩ জন) ১১ জন করে। ঢাকা ক্যাপিটালস, দুর্বার রাজশাহী, খুলনা টাইগার্স ও চিটাগাং কিংস কিনেছে ১০ জন ( বিদেশি ২ জন) করে। সরাসরি স্বাক্ষর সবচেয়ে বেশি ৭ জন করে করেছে চিটাগাং কিংস ও ফরচুন বরিশাল। চিটাগাং দেশি ২ জন ও বিদেশি ৫ জন ক্রিকেটারের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি করেছে। ফরচুন বরিশালের ৭ ক্রিকেটারের মাঝে দেশি শুধু তাওহিদ হৃদয়। বাকি ৬ জন বিদেশি। সরাসরি চুক্তি সবচেয়ে কম ১ জন করে করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও দুর্বার রাজশাহী। সিলেট জাকের আলী অনিক ও রাজশাহী এনামুল হক বিজয়কে নিয়েছে।

দলগুলো কেমন হলো তা এখনই বলা যাবে না। কারণ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটার আনার জন্য চেষ্টা করে যাবে? তবে আপাতত শক্তিশালী দল গড়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল, নতুন করে ফিরে আসা চিটাগং কিংস।

আক্ষেপ নিয়েই সাফে যাচ্ছেন সাবিনারা

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫০ পিএম
আক্ষেপ নিয়েই সাফে যাচ্ছেন সাবিনারা
ছবি : খবরের কাগজ

দীর্ঘদিন চোটের সঙ্গে লড়াই করা কৃষ্ণা রানী সরকারকে নিয়েই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের দল ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ পিটার বাটলার। দলে রয়েছে নতুন খেলোয়াড়ের ছড়াছড়ি।

সাফ উপলক্ষ্যে আজ সোমবার বাফুফে ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণা করা হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে সাফে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না পারায় আক্ষেপ ঝরেছে অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের কণ্ঠে। কোচ পিটার বাটলারের কণ্ঠেও ছিল আক্ষেপ।
প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে না পারা নিয়ে অধিনায়ক সাবিনা বলেন, ‘সাফের জন্য আসলে কিছু ম্যাচ পাওয়া দরকার ছিল। অবশ্যই খারাপ লাগছে যে কিছু ম্যাচ খেলতে পারিনি। এখানে আক্ষেপের জায়গা আছে। কিন্তু এখন তো আর এটা ভাবার সময় নেই। সামনে তাকাতে হবে।’

লক্ষ্যের কথা জানতে চাইলে সাবিনা বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে সাফ এবার খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। আমাদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জের হবে। অনেকে নতুন। তাদের জন্য এটা নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা আমাদের স্বাভাবিক খেলা খেলার চেষ্টা করবো। ম্যাচ বাই ম্যাচ আমরা এগোতে চাইবো।’

তবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে জোর দিয়ে কিছু বলতে পারেননি সাবিনা। সরাসরি প্রশ্ন করলে বলছেন, ‘এটা বলতে পারবো না। সাফ এবার অনেক কঠিন হবে। চ্যালেঞ্জিং হবে।’
কোচ পিটার বাটলার বলেন, ‘গ্রুপটা খুবই শক্ত। পূর্ণ পয়েন্ট পাওয়া খুব সহজ হবে না। বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড় আছে, সঙ্গে সাবিনার মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। যদিও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা হয়নি। তবে ভালো করতে আশাবাদী।’

দলে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড়দের নেই। এরপরও লক্ষ্য পূরণে বেশ আশাবাদী বাটলার।

নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন বলেন, ‘মেয়েরা যেভাবে ট্রেনিং করে সেভাবেই ট্রেনিং করে। এক্সট্রা কিছু আমরা করিনি। অর্থাৎ কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ আমরা আয়োজন করতে পারিনি। আমি মনে করি পিটার বাটলার ‍খুব ভালো কোচ। সেভাবে মেয়েদের খুব ভালোভাবে তৈরি করেছে। আমাদের মেয়েরা গ্রুপ পর্বে ভালো করবে এবং সেমিফাইনাল কোয়ালিফাই করে ফাইনালে খেলবে। আমার বিশ্বাস মেয়েরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলবে, ফাইনালে খেলবে।’

এবারের সবমিলিয়ে ৯ জন খেলোয়ড় প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবেন। জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় একজন- মিলি আক্তার।

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াড:

রুপনা চাকমা, মাসুরা পারভীন, আফঈদা খন্দকার প্রান্তি, শিউলি আযীম, শামছুন্নাহার সিনিয়র, নিলুফা ইয়াসমীন নিলা, আইরিন খাতুন, কোহাতি কিসকু, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, স্বপ্না রানী, সুমাইয়া মাতসুসিমা, সানজিদা আক্তার, মুনকি আক্তার, রিতুপর্ণা চাকমা, শাহেদা আক্তার রিপা, সাবিনা খাতুন, তহুরা খাতুন, শামছুন্নাহার জুনিয়র, কৃষ্ণা রানী সরকার, মোছা. ইয়ারজান, মিলি আক্তার, মোছা. সাগরিকা।

দল পাননি মুমিনুল-মোসাদ্দেক

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
দল পাননি মুমিনুল-মোসাদ্দেক
ছবি : সংগৃহীত

শেষ হলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট। নতুন ও পুরাতন ক্রিকেটারদের সমন্বয়ে স্কোয়াড গুছিয়েছে ৭টি দল। 

তবে দল না পাওয়ার হতাশায় ডুবতে হয়েছে জাতীয় দলের সাবেক টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

টেস্ট ক্রিকেটের নিয়মিত সদস্য হলেও নিয়মিত বিপিএলে সুযোগ পেতেন মুমিনুল। তবে এবার তার প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।

অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে ক্রিকেটে জাতীয় দলেই ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে। অথচ তার প্রতিও আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।
দল পাননি শুভাগত হোমও। ৩৮ ছুঁইছুঁই এই অলরাউন্ডার দল না পাওয়ার পেছনে বয়সটা কারণ হতে পারে। 

তবে ২৮ বছর বয়সী মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দল না পাওয়ার ঘটনা বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। এই অলরাউন্ডার দেশের হয়ে ৩৩টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।