পরিবারের সদস্য দ্বারা আর্জেন্টিনার সাবেক ফরোয়ার্ড এজেকিয়েল লাভেজ্জ ছুরিকাঘাতের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ছুরিকাঘাতে আহত লাভেজ্জিকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাড় করা হয়েছে।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) উরুগুয়ের মালদোনাদোয় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস ও ক্লরিন।
লাভেজ্জির ব্যাপারে টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল ভোরে পরিবারের সঙ্গে পার্টিতে ছিলেন লাভেজ্জি। এ সময় তার সঙ্গে প্রেমিকাও ছিলেন। সেই পার্টিতেই পরিবারের কেউ তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন।
ছুরির আঘাতে পেটে ও কলারবোনে (কণ্ঠাস্থি) ক্ষত সৃষ্টি হলে জরুরি সেবা সংস্থাকে ফোন দেওয়া হয়। জরুরি সেবায় নিয়োজিত সদস্যরা এসে তাকে মালদোনাদোর কান্তেগ্রিল সানাতোরিয়াম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার অগুস্তিনির অধীন চিকিৎস নিচ্ছেন ৩৮ বছর বয়সী লাভেজ্জি।
তবে লাভেজ্জিকে কেউ ছুরিকাঘাত করেনি এমনটা দাবি করা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে। পার্টিতে আলোক বাতি পরিবর্তন করতে গিয়ে মই থেকে পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন।
ক্লারিন জানিয়েছে, স্থানীয় পুলিশ লাভেজ্জির ছুরিকাহত হওয়ার ঘটনা নিশ্চিত করতে পারেনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানায়নি।
পরিবার যা বলেছে তার ঠিক উল্টোটা বলছে উরুগুয়ের পত্রিকা এল অবজারভাদর পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, পার্টিতে লাভেজ্জির পরিবারের কেউই ছুরিকাঘাত করেছেন। এ ঘটনার পর গতকাল স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় জরুরি সেবা সংস্থাকে ফোন করা হয়।
এল অবজারভাদর আরও জানিয়েছে, লাভেজ্জির পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে টাকাপয়সা নিয়ে পারিবারিক ঝামেলার কারণে। ছুরিকাঘাতের পর ভারসাম্য হারিয়ে পাশে থাকা একটি আসবাবের ওপর পড়ে গেলে তার কলারবোন ভেঙে যায়। তবে মেইল অনলাইন প্রকাশিত পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০ ডিসেম্বর ভোর ৫টায় পুলিশ অ্যারেনাস দে হোসে ইগনাসিওতে পৌঁছায়, সেখানে জরুরি সেবা চাওয়া হয়েছিল।’
২০১৯ সালে পেশাদার খেলোয়াড়ি জীবন থেকে অবসর নেন তিনি। এরপর থেকে পরিবার নিয়ে উরুগুয়েতে বসবাস করছেন লাভেজ্জি। আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৫১ ম্যাচে ৯ গোল করা ফরোয়ার্ড ২০১৪ বিশ্বকাপের স্কোয়াডে ছিলেন। খেলেছিলেন ফাইনালেও।