ঢাকা ৩ আশ্বিন ১৪৩১, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এবার আঙুলে চোট পেলেন তামিম

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০২:১২ পিএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:৩০ পিএম
এবার আঙুলে চোট পেলেন তামিম
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের আগে হোম সিরিজে মাঠে নেমেছিলেন তামিম ইকবাল। নানা নাটকীয়তার পর আর বিশ্বকাপ খেলা হয়নি তামিমের। গেল বছরের শেষে সংবাদ সম্মেলন ডেকে বিপিএল দিয়ে মাঠে ফেরার কথা জানান তিনি।

তাই বিপিএলকে সামনে রেখে গতকাল থেকে মিরপুরে অনুশীলন শুরু করেছেন তামিম ইকবাল। মঙ্গলবারও এসেছিলেন মিরপুরের মাঠে অনুশীলন করতে।

তবে ইনজুরির কারণে জাতীয় দলের বাইরে থাকা তামিমকে যেন পিছি ছাড়ছে না চোট। বিপিএলের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলন করতে গিয়ে তাসকিন আহমেদের বলে আঙুলে চোট পেয়েছেন তামিম। তবে জানা গেছে তেমন গুরুতর কিছু হয়নি টাইগার ওপেনারের।

অনুশীলনে তাসকিনের বল এসে আঘাত করে তামিমের বাম হাতের তর্জনি আঙুল। আঘাতের কারণে দ্রুতই অনুশীলন থামিয়ে দেন তিনি। ফিজিও বায়েজেদুল ইসলাম এসে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন। পরবর্তীতে নেট ছেড়ে তামিম চলে যান ইনডোরের ভেতরে। ধারণা করা হচ্ছে খুব একটা গুরুতর কিছু নয়।

অনেকদিন ধরেই মাঠের বাইরে তামিম ইকবাল। কোমরের ব্যাথার কারণে ভুগছেন গতবছর থেকেই। বিপিএলে খেলতে হলে দরকার পুরোপুরি সেরে উঠে নিজেকে ঝালিয়ে তারপর মাঠে নামা। সেই লক্ষ্যেই গতকাল থেকে মিরপুরে কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের অধীনে মিরপুরে ঘন্টা তিনেক ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন তিনি।

তবে আজ আবারও অনুশীলন ছেড়ে উঠে যেতে হলো তাকে। পরবর্তীতে তাকে আবার কবে নেটে দেখা যাবে, সেটা জানা যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর। 

সুজনের আত্মহত্যার চেষ্টাকে ব্রেন স্ট্রোক বলেছিল বিসিবি!

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৮ এএম
আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ এএম
সুজনের আত্মহত্যার চেষ্টাকে ব্রেন স্ট্রোক বলেছিল বিসিবি!
হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় খালেদ মাহমুদ সুজন। ফাইল ছবি

২০১৭ সালের ৩০ জুলাই। ইউনাইটেড হাসপাতালের রোগী ভর্তির তালিকায় লেখা আছে Sedative overdose অর্থাৎ অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট সেবন। রোগী ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির সাবেক পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন। অবস্থা অবনতি হওয়াতে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তার আগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে, কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হলে তার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। তখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিসিবির ব্যবস্থাপনায় এয়ার অ্যাম্বুলেস ভাড়া করে সিঙ্গাপুরের গ্রিন ঈগল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে খালেদ মাহমুদ সুজন সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন। করতে থাকেন আগের মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপন।

এটি ছিল প্রকৃত ঘটনা। কিন্তু এই ঘটনা অদৃশ্য কারণে বিসিবির পক্ষ থেকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। কোনো সংবাদমাধ্যমে এখন পর্যন্ত নিউজ হয়নি। বিসিবি থেকে জানানো হয় খালেদ মাহমুদ সুজন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। তার জীবন সংকটাপন্ন। সে সময় সংবাদমাধ্যমে সুজনের অবস্থা জানিয়ে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ কোনো কোনো পরিচালকও কথা বলেছিলেন। 

বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়েছিলেন, ‘আমরা জানি সে একেবারেই কলাপস করেছে।’ সে সময় তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এমআরআই হয়তো কালকে করবে সকালে। করলে হয়তো কিছু বোঝা যাবে। এ মুহূর্তে আমরা কিছুই জানি না।’ 

এ সময় নাজমুল হাসান পাপনের কণ্ঠ ধরে আসছিল। চেহারা ছিল মলিন আর চিন্তার ভাঁজ। সুজনের বড় ভাইও কান্না জড়িত কণ্ঠে দেশবাসীর কাছে সুজনের জন্য দোয়া চেয়েছিলেন। কিন্তু সুজনের অবস্থা জানিয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালের কোনো ডাক্তার মিডিয়ার সামনে সে সময় কোনো কথা বলেননি।

খালেদ মাহমুদ সুজন মূলত আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। তার এই আত্মহত্যার ঘটনা ধামাপাচা দিতেই বিসিবির পক্ষ থেকে সে সময় সব ধরনের চেষ্টা চালানো হয়েছিল। খালেদ মাহমুদ সুজন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে খুবই পরিচিত মুখ। তার জীবনসংকটাপন্ন হয়ে যাওয়াতে আপডেট খবরা-খবর জানার জন্য ক্রিকেটপ্রেমীরা উদগ্রীব হয়ে উঠেন। এরকম পরিস্থিতি সাধারণত কোনো ডাক্তারই কথা বলার কথা। কিন্তু সে দিন ইউনাইটেড হাসপাতালের কোনো ডাক্তার মিডিয়ার সামনে কথা বলতে আসেননি। কারণ তারা এলে তো আর মিথ্যা তথ্য দিতে পারতেন না। সুজনের এই সংবাদ আবার যাতে কোনো সংবাদমাধ্যমেও প্রচার বা প্রকাশিত না হয়, সে পদক্ষেপও বিসিবি নিয়েছিল। পরবর্তিতে সুজনকে সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে সবার ধরাছুঁয়ার বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। যে কারণে সুজনের আত্মহত্যা করার চেষ্টার ঘটনাটি বিসিবি ধামাচাপা দিতে সক্ষম হয়েছিল। 

খালেদ মাহমুদ সুজনের যে ব্রেন স্ট্রোক করেনি তা বোঝা যায় তার সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর স্বাভাবিক জীবন-যাত্রার মাঝে। কারণ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে বিদেশে পাঠানো ব্রেন স্টোকে আক্রান্ত রোগীর অবস্থা সাধারণত খুবই বিপজ্জনক হয়ে থাকে। সুস্থ হয়ে এলেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা আর সম্ভব হয়ে উঠে না। শরীরে কোনো না কোনো অঙ্গে সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু সুজনের ক্ষেত্রে ছিল ব্যতিক্রম। সুস্থ হয়ে ফিরে আসার পর তাকে দেখা বোঝার উপায়ই ছিল না তার ম্যাসিভ ব্রেন অ্যাটাক হয়েছিল। তিনি যথারীতি কোচিং করিয়েছেন। খেলাধুলা করেছেন। 

খালেদ মাহমুদ সুজনের ব্রেন স্ট্রোক হয়নি। কিন্তু তিনি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন কেন? জানা গেছে তার আত্মহত্যার চেষ্টা করার পেছনে রয়েছে নারী ঘটিত ঘটনা। প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন সুজন। তার স্ত্রীর নাম ছিল রিপা। তাদের ঘরে দুই সন্তান। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবন ছিল সুখের। সেখানে সুজন অন্য এক নারীর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। জানা গেছে, তার নাম সাদিয়া। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার বাদানুবাদ চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। তারই এক পর্যায়ে তিনি অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সুজন আত্মহত্যার চেষ্টা করার আগে কক্সবাজার থেকে এসেছিলেন। সেখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি মাস্টার্স ক্রিকেটের অন্যতম উদ্যোক্ততা ছিলে তিনি। আসরের মাঝ পথেই তিনি কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিজ বাসায় ফিরে আসেন। তারপরই ঘটে এই ঘটনা। দীর্ঘদিন প্রেম করে বিয়ে করা স্ত্রী রিপার সঙ্গে তারা বিচ্ছেদ ঘটে। যে নারীর কারণে সুজনের সংসার ভেঙে ছিল, পরে তিনি সেই নারীকে বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর ঘরেও দুই সন্তান এসেছে।

এ ব্যাপারে খালেদ মাহমুদ সুজনের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

অবশেষে হারের মুখ দেখল বাংলাদেশের মেয়েরা

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:৪০ পিএম
অবশেষে হারের মুখ দেখল বাংলাদেশের মেয়েরা
ছবি : সংগৃহীত

জাতীয় দলের আদলে গড়া বাংলাদেশ নারীদের ‘এ’ দলের শ্রীলঙ্কা সফরে টানা তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে রেখেছিল বাংলাদেশ। চতুর্থ ম্যাচে এসে থামল জয়রথ। ১৯ রানে হেরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থ্রুস্টানে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১২৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১০৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে ১৫ রানের জয়ে সিরিজে প্রথমবারের মতো সফলতার মুখ দেখল লঙ্কান মেয়েরা।

টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ৩০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়লেও পঞ্চম উইকেটে সাথয়া সান্দিপানি ও পিউমি ওয়াথশালার ৪৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি খেলায় ফেরায় শ্রীলঙ্কাকে।

পিউমি মারুফার বলে এলবিডব্লিউ করে আউট হন ২৯ বলে ২৯ রান করে। সাথয়া অপরাজিত থাকেন ৩৩ বলে ৪৬ রানে। মালশা শেহানির ব্যাটে আসে ২১ রান। নির্ধারিত ২০ ওভারে শ্রীলঙ্কা তোলে ৫ উইকেটে ১২৪ রান। বাংলাদেশের হয়ে মারুফা ও ফাহিমা খাতুন নেন দুটি করে উইকেট।

এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই শীর্ষ তিন ব্যাটার বিদায় নেইয় সফরকারীদের। ৩৮ রান করেন উইকেটকিপার ব্যাটার শামীমা সুলতানা। স্বর্ণা আক্তারের ব্যাটে আসে ২৮ রান। কিন্তু তারা কেউই জেতাতে পারেননি  বাংলাদেশকে। ১০৫ রানে অলআউট হয়ে শেষ হয় সফরকারীদের ইনিংস।

বাড়ল নারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৮ পিএম
বাড়ল নারী বিশ্বকাপের প্রাইজমানি
ছবি : সংগৃহীত

যুগান্তকারী এক সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। পুরুষ ও নারী উভয় বিশ্বকাপের জন্য সমান অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪ থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। নারী ক্রিকেটকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০৩২ সালের মধ্যে খেলার ব্যাপক প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে আইসিসি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।

আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে ৭.৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা দাঁড়ায় ৯৫ কোটি টাকা। যা কিনা ২২৫ শতাংশ বেশি ২০২৩ সালের ২.৪৫ মিলিয়নের চেয়ে। টুর্নামেন্টের বিজয়ী দল পাবে ২.৩৪ মিলিয়ন ডলার। যা ২০২৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে শিরোপা জয়ী অস্ট্রেলিয়ার প্রাপ্ত ১ মিলিয়ন ডলারের তুলনায় ১৩৪ শতাংশ বেশি। 

রানার্স-আপ দল পাবে ১.১৭ মিলিয়ন ডলার, যা গত বছরের ৫০০,০০০ ডলারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।

সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়া দুই দলই পাবে সমান ৬,৭৫,০০০ ডলার। ২০২৩ সালের ২১০,০০০ ডলারের তুলনায় অনেক বেশি। 

প্রুপ পর্বের প্রতিটি ম্যাচগুলো জয়ের জন্য প্রতিটি দল পাবে ৩১.১৫৪ ডলার। সেমিফাইনালে না পৌঁছাতে পারা দলগুলোর মধ্যে ১.৩৫ মিলিয়ন ডলার ভাগ করে দেওয়া হবে তাদের পারফরম্যান্স অনুযায়ী।

নারী ও পুরুষের ক্রিকেটকে সমকক্ষ করতে আইসিসির ২০৩০ সালের লক্ষ্যমাত্রার সাত বছর আগেই এই সমান পুরস্কার অর্থ প্রদানের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

নারী ও পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সমান পারফরম্যান্সের জন্য পুরস্কারের সমান অর্থ প্রদান করা করা হবে। যদিও ২০২৪ সালের পুরুষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তহবিল কিছুটা বেশি ছিল, অতিরিক্ত ১০টি দল ও ৩২টি ম্যাচ থাকায়। 

আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২২-এর পুরস্কার তহবিলও বেড়ে ৩.৫ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর পর এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়।

আসন্ন আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর উদ্বোধনী ম্যাচটি ৩ অক্টোবর শুরু হবে।  যেখানে বাংলাদেশ শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। 

৫ অক্টোবরের ডাবল হেডারের সূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। সেখানে প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া বিকাল ২টায় শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে, এবং বাংলাদেশ সন্ধ্যা ৬টায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে।

মেসি-মারিয়ার বিকল্প খুঁজতে নারাজ স্কালোনি

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০১ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:০২ পিএম
মেসি-মারিয়ার বিকল্প খুঁজতে নারাজ স্কালোনি
ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয়বারের মতো চলতি বছরের জুলাইয়ের কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতে আর্জেন্টিনার জার্সি তুলে রাখেন আনহেল ডি মারিয়া। আর্জেন্টিনার হয়ে সবকিছু জিতলেও এখনও অবসরের ঘোষণা দেননি লিওনেল মেসি। আগামী বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলে তিনি খেলবেন কি না, তা নিয়েও আছে অনেক জল্পনা।

ডি মারিয়ার মতো যদি মেসিও অবসরে চলে যান তাহলে কারা হতে পারেন আর্জেন্টিনা দলে এই দুই তারকার বিকল্প? যদিও তাদের বিকল্প নিয়ে ভাহবতে নারাজ আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি। 

আর্জেন্টিনাকে সব শিরোপা জেতানো এই জুটিকে নিয়ে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘তাদের কোনো বিকল্প হয় না। তারা এমন কোনো খেলোয়াড় নয়, যাদের বিকল্প তৈরি করা যায়। ফিদেও (ডি মারিয়া) আর ফিরবে না। আমরা তার জায়গায় কোনো বিকল্প তৈরির চেষ্টা করব না, কারণ এটা ভুল হবে। তার মতো কেউ নেই। সে রাইট এবং লেফট উভয় দিকেই দলকে সার্ভিস দিয়ে গেছে। আমরা এমনই একজন খেলোয়াড় খোঁজার চেষ্টা করব।’

কোপা আমেরিকার পরই অবসরের ঘোষণা দেন আনহেল ডি মারিয়া। কোপার ফাইনালে চোটে পড়েন মেসি। এরপর আর্জেন্টিনা কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেললেও মাঠে নামা হয়নি তার। তবে চোট কাটিয়ে ফিরে ইন্টার মায়ামির হয়ে জোড়া গোল করে জিতিয়েছেন দলকে। ডি মারিয়াকে আর না পাওয়া গেলেও, অক্টোবরে মেসিকে জাতীয় দলের জার্সিতে আবারও দেখা যেতে পারে।

এ দুজনকে ছাড়া কেমন হতে পারে আর্জেন্টিনার একাদশ, এমন প্রশ্নের জবাবে স্কালোনি বলেন, ‘আমি বলছি না যে সব বদলে ফেলতে হবে, কিন্তু খেলার ধরনটা বদলে ফেলা যেতে পারে। কারণ, তারা তো এখন নেই।’

কোহলির কাছ থেকে উপহার পেলেন আকাশ দীপ

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
কোহলির কাছ থেকে উপহার পেলেন আকাশ দীপ
ছবি : সংগৃহীত

বিরাট কোহলির কাছ থেকে উপহার পাওয়া যেকোনো তরুণ ক্রিকেটারের কাছে স্বপ্ন। এমনকি কোহলির সমসাময়িক ক্রিকেটাররাও তার কাছ থেকে উপহার পেয়ে সম্মানিতবোধ করেন। প্রায়ই তরুণ ক্রিকেটারদের বিভিন্ন উপহার দিয়ে থাকেন তিনি। ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে লিটন দাসকে ব্যাট এবং একই বছর বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে এসে জার্সি উপহার দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজকে। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরকেও দিয়েছিলেন তার ব্যবহৃত একটি ব্যাট উপহার।

এবার বাংলাদেশ সিরিজ শুরুর আগে আকাশ দীপকে বলতে গেলে চমকে দিয়েছেন কোহলি। উপহার দিয়েছেন তাকে নিজের ব্যাট। 

পরশু থেকে চেন্নাইতে শুরু হতে চাচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট। ঘোষিত ১৬ সদস্যের দলে ডাক পেয়েছেন এই ভারতীয় পেসার। উপহার পেয়ে ব্যাটের ছবি দিয়েছেন ইন্সটাগ্রামের স্টোরিতেও। আর সেখানে লিখেছেন, ‘ধন্যবাদ বিরাট ভাইয়া।’

এখন পর্যন্ত ভারতের হয়ে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন আকাশ। চলতি বছরের ফেবুয়ারিতে রাঁচিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে শিকার করেছিলেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে একাদশে সুযোগ পাওয়ার জন্য মুখিয়ে আছেন এই পেসার। 

যদিও একাদশে সুযোগ পাওয়াটা সহজ হবে না তার জন্য। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) এক প্রতিবেদনে জানা গেছে,  একাদশে তিন স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব খেলানোর চিন্তা করছেন রোহিত-গম্ভীর। বোলিং আক্রমণে তিন স্পিনারের পাশাপাশি দুই পেসার মোহাম্মদ সিরাজ ও জসপ্রীত বুমরাকে খেলানোর পরিকল্পনা করছে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট।