সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ক্রিকেটে আলোচিত দুই নাম তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপের আগে সাক্ষাৎকারে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দিয়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন দুজন। একটা সময়ে দুজনের মধ্যে বন্ধুত্ব সম্পর্ক থাকলেও তাতে ভাটা পড়েছে। বরং জন্মেছে রাগ, ক্ষোভ, অভিমান। কী কারণে সেটা, তা সবারই জানা।
গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বিপিএলের দশম আসর। উদ্বোধনী দিনে অনুষ্ঠিত হয়েছে দুটি ম্যাচ। আজও রয়েছে দুটি ম্যাচ। এর মধ্যে একটি ম্যাচ সবার আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে। যেখানে মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স ও ফরচুন বরিশাল। বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। রংপুরের নেতৃত্বে না থাকলেও সাকিব আল হাসান দলটির প্রধান আকর্ষণ। মিরপুরে আজ তাই সাকিব-তামিমের মহারণ বলাই যায়।
বিশ্বকাপ বিতর্কের পর থেকে বরিশাল-রংপুর লড়াইকে সবাই বলেছিল সাকিব বনাম তামিম লড়াই। বরিশাল-রংপুর ম্যাচকে এমন বিশ্লেষণে বিশেষায়িত করতে রাজি নন বরিশালের হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা সহ-অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। বরং, তিনি এই লড়াইকে দেখতে চান অন্যসব ম্যাচের মতোই।
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমরা তো এই রকম কখনই চিন্তা করি না। সাকিব ভাই ভার্সেস তামিম ভাই যে লড়াইয়ের কথা বলেন সেটা না। আপনি যার সঙ্গেই খেলেন না কেন, তারাই কিন্তু প্রতিপক্ষ।’ মিরাজ আরও যোগ করেন, ‘ক্রিকেট খেলায় আপনি যারই অপনেন্ট হন না কেন সেই আপনার প্রতিপক্ষ এবং মাঠে কিন্তু কেউ কাউকে ছাড় দেন না। সেটা যেই হোক। আমি যদি আমার ফ্রেন্ডের সঙ্গে খেলি তো কখনই ছাড় দিব না।’
শক্তিমত্তার বিচারে দুদলের মধ্যে পার্থক্য প্রায় সামান্য। ফলে জমজমাট এক লড়াইয়ের অপেক্ষায় আছে হাজারও ক্রিকেটপ্রেমী। ম্যাচের আগে সমর্থকদের জন্য আশার বাণী শোনান মিরাজ। তার কথায়, ‘ভালো খেলা হবে আশা করি।’ এই হাইভোল্টেজ ম্যাচে পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনকে পাচ্ছে না ফরচুন বরিশাল। বিসিবি থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট না পাওয়ায় তাকে দেখা যাবে না রংপুরের বিপক্ষে ম্যাচে। আপাতত তার মাঠে নামা নির্ভর করছে বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগের সবুজ সংকেতের ওপর। বিসিবি সাড়া দিলে তবেই মাঠে নামবেন সাইফউদ্দিন।
অন্যদিকে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। সন্ধ্যার এই ম্যাচ নিয়ে নেই অবশ্য খুব একটা আলোচনা। শক্তিমত্তার বিচারে খুব একটা ব্যবধান নেই দুই দলের মধ্যে।